এখনও কিছুই জানা যায়নি কর্ণেল জাকির হোসেন সম্পর্কে

নেটে ছিলাম না। প্রায় ছয়শ মন্তব্য দেখলাম তিনটি ব্লগে। সেগুলোতে চোখ বুলানোর মতো মানসিক অবস্থা নেই। ভালো লাগছে না কিছুই।

স্যামের সাথে শেষ কথা হয়েছে রাত সাড়ে দশটায়।

ঘটনা শুরু হবার আগের দিন রাতে ও বাসায় ছিল না। বাসার ভেতরে আটকা পড়ে যান আন্টি আর ছোট ভাই সাকিব। আর আংকেল কর্নেল জাকির ছিলেন দরবার হলে।

প্রথমদিন বেলা এগারোটায় স্যামের ড্রাইভারকে ফোন করা হলে তিনি জানান আংকেলের সুস্থ থাকার কথা। তারপর থেকে আর তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

গতরাত আন্টি আর সাকিব বেশ দুঃশ্চিন্তা আর উৎকন্ঠায় পার করেছেন। একদিকে আঙ্কেলের কোন খোঁজ নেই। অপরদিকে মাঝে মাঝেই বিডিয়ার জওয়ানরা বাসার দরজা ধাক্কা- ধাক্কি করে ভয় সৃষ্টি করছে।

আজকে বিকেলের দিকে তাদের বের করে আনা হয়েছে। আন্টি আর সাকিব এখন শারিরিক ভাবে সুস্থ আছেন।

স্যাম রাত নয়টা পর্যন্ত বিডিয়ার গেটে ছিল। সেখানে মুক্তি প্রাপ্ত কর্মকর্তারা কর্নেল জাকির সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেন নি। পারেন নি পরবর্তীতে মুক্তি পাওয়া বেশ কয়েকজন ডাক্তার কর্মকর্তাও।

পুলিশ হ্যান্ডওভার করার পর ও ফিরে আসে ওর বড় আপুর বাসায়।

আগামীকাল ভোরে আবার যাবে।

আমি এখনও বিশ্বাস করি যেই ১৩৭ জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি তারা বেঁচে আছেন, সুস্থ আছেন। হয়তো অন্ধকার কোন ঘরে তাদের আটকে রাখা হয়েছে।

আঙ্কেলের মতো ভালোমানুষের কোন ক্ষতি হয়েছে এটা চিন্তা করতেও ভালো লাগছেনা। কিছুই ভালো লাগছে না। কিছুই না।

স্যাম তুই একটু শক্ত থাক। তোকে বলার মতো আর কিছু নেই আপাতত।

৫,১৭২ বার দেখা হয়েছে

৪৫ টি মন্তব্য : “এখনও কিছুই জানা যায়নি কর্ণেল জাকির হোসেন সম্পর্কে”

  1. রাশেদ (৯৯-০৫)

    আমিও আশা করি আঙ্কেল সুস্থ আছেন। আর সামিয়ার প্রতি আসলেই কিছু বলার নেই শুধু দোয়া করি যেন এই অবস্থায় আর শক্ত থাকতে পারে।


    মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

    জবাব দিন
  2. আশিক (১৯৯৬-২০০২)
    আমি এখনও বিশ্বাস করি যেই ১৩৭ জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি তারা বেঁচে আছেন, সুস্থ আছেন। হয়তো অন্ধকার কোন ঘরে তাদের আটকে রাখা হয়েছে।

    চোখ ভিজে যাচ্ছে!!!! যেন সত্যি হয়!!! যেন সত্যি হয়!!!!

    জবাব দিন
  3. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)
    আমি এখনও বিশ্বাস করি যেই ১৩৭ জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি তারা বেঁচে আছেন, সুস্থ আছেন। হয়তো অন্ধকার কোন ঘরে তাদের আটকে রাখা হয়েছে।
    স্যাম তুই একটু শক্ত থাক। তোকে বলার মতো আর কিছু নেই আপাতত।


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  4. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    সামিয়াপু শক্ত থেকো প্লিজ। বলাটা অনেক সহজ জানি তাও কি করতে পারি বল।
    যে কেউ যে কোন খবর পাবার সাথে সাথে প্লিজ এখানে যানায়েন। খুব চিন্তায় আছি আঙ্কেলের জন্য।

    জবাব দিন
  5. সাইফ (৯৪-০০)

    সামিয়া আপু,কি বল ব, এই পোস্ট এর মন্তব্য পড়ার মত অবস্থা এবং সু্যোগ কোন টিই তোমার নেই আমি জানি.........সান্তনা র বাণীও তোমার কানে প্রবোধ এর মত শুনাবে.........শুধু বলতে পারি,তোমার এতগুলা ভাই এর দুয়া তোমার জন্য রইল............তোমাদের পরিবারের জন্য রইল............।

    জবাব দিন
  6. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    প্রথম কিলিং এর সময় আঙ্কেল বাঁচতে পেরেছিলেন। বের হয়ে তিনি তার একসহকর্মীর সাথে ফোনেও যোগাযোগ করেন। তারপর থেকে আর তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

    আংকেলের সাথে ছিলেন কামরুজ্জামান নামে একজন সেনা কর্মকর্তা। তিনি বেঁচে ফিরে এসেছেন। তার কাছ থেকে জানা যায়, আংকেল এবং তিন লেডি অফিসার (ডাক্তার) কে বিডিয়ার জওয়ানরা এসে সরিয়ে নিয়ে যায়।

    তার সাথের লেডি অফিসাররাও বের হয়ে এসেছেন। তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে সারাদিন। কিন্তু সবার ফোন বিডিয়ার জওয়ানরা সিজ করায় কারও সাথে এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

    বিকেল পাঁচটার দিকে সামিয়া ও সাদিয়া আপু সলিমুল্লাহ মেডেক্যালে যান। সেখানেও আংকেলের ... সন্ধান মেলেনি।

    জবাব দিন
  7. জিহাদ (৯৯-০৫)

    আমার ব্লগে ২২ তারিখে করা সামিয়ার এই কমেন্টটা যতবার পড়ছি চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে:

    সামিয়া'৯৯ বলেছেনঃ
    ফেব্রুয়ারী ২২, ২০০৯ @ ৩:১৫ পূর্বাহ্ন edit

    ওহ নোহ, টেল্ড ইয়ু, বাট আগেইন টেলিং, জাস্ট আমেজিং :thumbup:

    অফটপিকঃ ছোট ভাই ফেইসবুক নিয়া বসে আছে, আব্বু বিরক্ত হয়ে বলছে ঐ language martyr লিখে গুগল এ সার্চ দাও, কি পাও আমাকে জানাও। সে বলে, এইটার উপর সেইদিনই আমি একটা এসাইনমেন্ট করসি, আমি জানি। আব্বু বলল, তাইলে ekushe bookfair 2009 দিয়ে সার্চ দাও, কি পাবা বল আমাকে। ছোট ভাই ততোধিক বিরক্ত হয়ে পিসি ছেড়ে উঠে গেল।
    আমি বললাম, আব্বু পাঁচ জন ভাষা শহীদের নাম বলোত।
    আব্বু বলে, রফিক,সালাম, বরকত, অ্যাঁ অ্যাঁ…বরকত রফিক সালাম জব্বর অ্যাঁ…অ্যাঁ…আর নাই তো।
    আমি দাঁত বের করে বললাম, আব্বু, গুগলে language martyr লিখে সার্চ দাও। 😀

    জানিনা আমার এই বন্ধুটার মুখে কবে এমন দাঁত বের করা হাসি আবার দেখবো। আদৌ দেখবো কীনা....


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  8. ইফতেখার (৯৫-০১)

    এই মাত্রই সানাউল্লাহ ভাই এর পোস্ট থেকে খবরটা পেলাম,

    ইন্নালিল্লাহ...

    আমাদের কারোরই কিছু বলার নেই এখানে, শুধুমাত্র একরাশ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা রইল উনার প্রতি।

    প্রতিটা মুহুর্তে তিনি যাদের চিকিৎসা করেছেন, প্রান বাচিয়েছেন, তাদের হাতেই প্রান দিলেন... এর চেয়ে বেশি কষ্ট বোধহয় তিনি আর পেতে পারতেন না।

    আল্লার তার রুহের মাগফিরাত করুন, তার পরিবারকে এই কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা দিন।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।