আজ সেই দিন…

পিস্তলটা রেখে ড্রয়ার বন্ধ করে দিলেন তিনি।

না… এভাবে তাকে ভোগানো যাবে না। মেরে ফেলা যাবে, তাতে সব কিছুর অবসান ঘটলেও সে ভুগবে না। তাকে কষ্ট দিতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী অকল্পনীয় কষ্ট…

তিনি বেডরুমের আয়নার দিয়ে তাকিয়ে ধীরে ধীরে কলার এর বোতাম লাগানো শুরু করলেন। খুব ধীরে, অনাবশ্যক সতর্কতায়। বাড়ির পাশের রাস্তায় ততক্ষনে ছোট বাচ্চাদের দৌড় ঝাঁপ শুরু হয়ে গিয়েছে।

বাচ্চাদের মধুর কলকাকলির শব্দে তিনি আরেকবার ক্যালেন্ডারের দিকে তাকান। এখন অক্টোবর মাস। অক্টোবরের শেষদিন। মধুর একটা দিন। তাইনা?? এইদিন ছোট ছোট নিষ্পাপ বাচ্চারা বিভিন্ন ধরণের মুখোশ পরে…তারপর একে অন্যকে ভয় দেখায়। যাকে ভয় দেখানো হয় সে ভয় পাবার অভিনয় করে আর্ত-চিৎকার করে। তারপর একে অন্যকে ধরাধরি করে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খায়…

না!! আজ মোটেও মধুর কোন দিন না। তার জীবনে এই দিনের কোন মাহাত্ম্য নেই। যদি থেকেও থাকে সেটা আনন্দের নয়। জঘণ্য এবং প্রত্যাশাহীন…

একতালা থেকে মৃদু পায়ের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। “নিশ্চই মেরেডিথ”। নিজেকেই বললেন কথাটা। আট বছরে পা দিয়েছে মেয়েটি। কথা বলতে পারেনা সে। ধূসর চোখ আর সদা বিস্মিত মুখ দিয়েই সব কিছু প্রকাশ করে।

আজ সারাদিন মেরেডিথ অনেকবার তার কাছে এসেছে। একেক সময় একেক মুখোশ পরে। সবচে’ ভয়ংকর কোনটা হবে সেটা সে বাবার কাছ থেকেই জানতে চায়…শেষমেষ দুইজন মিলে কংকালের মুখোশটিকেই বাছাই করলেন। “এটা পরতে পার। দেখলেই সবার অন্তরাত্মা বের হয়ে আসতে চাইবে।” মেয়েকে বলেছিলেন তিনি।

আয়নায় নিজের ভেসে ওঠা প্রতিবিম্বটার দিকে গভীর মনযোগে আবার তাকালেন তিনি। অক্টোবরের সব কিছু তার কাছে অসহ্য লাগে। অনেকদিন আগের কথা মনে পড়ে গেল তার। তখন দাদীমার বাসায় থাকতেন। অক্টোবরের এমন দিনে মৃদু বাতাসের শব্দ শুনে আর পাতাহীন গাছগুলো দেখে কোন কারণ ছাড়াই কান্না পেয়ে গিয়েছিল। প্রতিবছর এই সময়টাতে সেই অনুভুতি ফিরে আসে। কারণহীন মারাত্মক কষ্টকর এক অনুভূতি। বসন্তের সাথে সাথে ম্লান হয়ে যায় সেই কষ্ট।

কিন্তু আজকের রাতটি ভিন্ন…একদম ভিন্ন…লক্ষ বছরে এমন রাত আর আসবে না…

নীচ থেকে ভেসে আসা গন্ধটা তার নাকে লাগলো। “সারা” নিশ্চয় অতিথি অভ্যর্থনার জন্য নানা আয়োজন করেছে।

তার স্ত্রী “সারা”। তাকে এড়িয়ে চলে ভীষণ ভাবে। বিরাট বাড়ির সব রুমে সবসময় আশা যাওয়া করছে, শুধুমাত্র তার রুমটা বাদে। হঠাৎ নীচে তার সাথে কোন রুমে দেখা হয়ে গেলে সারা খুব অন্তরংগ ভাবে বলে, “ওহ্‌ মাইক!! তুমি যখনই আস তখনি আমার একটা রুমে কিছু আনার জন্য যেতে হয়”। বলেতে বলতে সে প্রস্থান করে। এই সময়টাতে তিনি বাচ্চাদের মতো একটা খেলা খেলেন…সারা যদি রান্নাঘরে যায় তাহলে তিনিও রান্নাঘরে যেয়ে বলেন, “আমাকে এক গ্লাস পানি দাও তো…” পানি হাতে নিতে নিতেই সারা বলে ওঠে “ওহ! ড্রয়িং রুমের জানালাটা লাগানো হয়নি। তাড়াতাড়ি যাই। নতুবা ঝড় আসলে সব ওলট পালট হয়ে যাবে…” বলেই বের হয়ে যায়। তিনি হাসি হাসি মুখ করে বলেন, “ড্রয়িং রুম থেকে আমারও পাইপ টা আনতে হবে…” পিছু পিছু ড্রয়িংরুমে পৌছাতেই সারা হয়তো বলে ওঠে, “বারান্দার লাইটটা জ্বালানো হয়নি এখনও…” “ঠিক আছে, চলো আমিও তোমার সাথে যাচ্ছি”…পিছু নিতেই সারা তখন বারান্দার দিকে না যেয়ে দৌড়ে বাথরুমের দিকে চলে যায়…ভেতরে ঢুকে দরজা লক করে দেয়। তিনি বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। একসময় তার পাইপ নিভে আসে। তিনি সরে আসেন। দোতালায় ফিরে যান। সেখান থেকেই অপেক্ষা করতে থাকেন। একসময় বাথরুমের লক খোলার শব্দ হয়। সারা বের হয়ে আসে। জংগল থেকে একদল দস্যু চলে যাবার পর জংগলে যেমন শান্তি নেমে আসে সারার একতলাটাও তখন তেমন হয়ে যায়।

আয়নার দিকে তাকিয়ে তিনি টাইটা গলায় বাধলেন। তারপর গায়ে কালো রংয়ের কোট চাপালেন। এমন সময় আগমন ঘটলো মেরেডিথের।

“আমাকে কেমন লাগছে, বাবা??”
“ভয়ংকর” মৃদু হেসে জবাব দিলেন তিনি।

মুখোশের আড়ালে মেরেদিথের চুল দেখা যাচ্ছিল। দেখা যাচ্ছিল তার অদ্ভুত সুন্দর চোখ দুটি। দৃশ্যটি দেখে তিনি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।

*******

“আর কোন সন্তান নেয়েটা আপনাদের জন্য ঠিক হবেনা, মিস্টার মাইক”
“কেন?”
“কারণ সেটা সারার মৃত্যুর কারণ হতে পারে। হবেই যে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তবে ঝুঁকির সম্ভাবনা অনেক বেশী” প্রথম গর্ভধারণের সময় ডাক্তার তাকে জানিয়েছিল এই কথাটি…

“কিন্তু আমার একটা ছেলে চাই।” আজ থেকে আট বছর আগে সারাকে তিনি কথাটি বলেছিলেন।

তার কয়েকদিন পর মেরেডিথের জন্ম হয়। এই জন্ম তাকে কোন আনন্দ দেয়নি।

তিনি সারাকে আবারো বলেছিলেন তার ইচ্ছার কথা। একটা পুত্রসন্তার পাবার আকাংখার কথা। সেই তীব্র আকাংখার কাছে সারার জীবনের ঝুঁকি ম্লান হয়ে গিয়েছিল। এই জোরাজুরিতেই হয়তো সারা তার কাছে থেকে দূরে সরে সরে গিয়েছে। সারা তাকে ভয় পায়। অবশ্য ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। তার মতো একজন স্বার্থপর মানুষ এর চেয়ে বেশী আর কিইবা পেতে পারে…

আটটি বছর…তিনি পার করেছেন। ঘৃণা নিয়ে। আবার অক্টোবর ফিরে এসেছে। তিনি জানেন এই শেষ। সব সমস্যারই সমাধান আছে।

পাগলের মতো বেজে উঠলো কলিংবেল। সবাই চলে আসতে শুরু করেছে। মেরেডিথ দৌড়ে নীচে নেমে গেল। তিনিও ধীরে ধীরে অনাগত অতিথিদের উদ্দেশ্যে এগিয়ে গেলেন। সারা সবার কাছ থেকে উপহারের প্যাকেট গ্রহণ করছে আর বাচ্চাদের সাথে হাসাহাসি করছে।

“হায় মিস্টার মাইক” তিনি নামার সাথে সাথেই বাচ্চারা চিৎকার করে ওঠলো…

রাত দশটা নাগাদ কলিংবেল বাজা বন্ধ হয়ে গেল। ততক্ষণে সবাই চলে এসেছে। তিনি সারার কাছ থেকে পার্টির দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। সবার সাথে মেতে উঠলেন হাসি ঠাট্টায়। বাচ্চাদের নানা রকম গল্প বললেন, জাদু দেখালেন। একসময় হল ঘরের বাতি বন্ধ করে দেয়া হলো। বাচ্চারা তাকে ঘিরে ধরে…আনন্দে চিৎকার শুরু করল। শুধুমাত্র মেরেডিথ বাদে। তার সকল আনন্দ বিস্ময় অন্তরে। সে শুধু অনুভব করে যায়…

“উপরের ঘরে একটা ডাইনি আছে। সেটাকে এখন মেরে ফেলতে হবে। যাদের সাহস আছে তারা সবাই আমার সাথে চলো…”
কন্ঠস্বরকে বেশ ভয়ার্ত করে বললেন তিনি। একে একে সবাই সেই ঘরে যাওয়া শুরু করল। সবার শেষে দাঁড়িয়ে ছিল মেরেডিথ। তিনি মেরেডিথকে কোলে তুলে নিলেন। “চলো মামনি”…

বাচ্চারা সবাই একটা বৃত্ত তৈরি করে দাঁড়ালো। অভিবাবকরা একটু দূরে। গাঢ় অন্ধকারে ঢাকা সেই রুম। কোথাও কোন শব্দ নেই।

হুংকার ছাড়লেন তিনি…”ডাইনিটাকে এই মাত্র মেরে ফেললাম। যেই ছুরি দিয়ে মারা হলো সেটা ধরে দেখ” বলে তিনি লাইনে সবার সামনের জনকে ছুরিটা এগিয়ে দিলেন। সে পরেরজনকে দিল।

“ডাইনীটা মরে গিয়েছে। এইযে তার মাথা।” জিনিসটা কাছের জনকে হস্তান্তর করলেন তিনি।

এই খেলাটা আমি জানি। কিছু বাচ্চা আনন্দে চিৎকার করে উঠলো। “”উনি বরফের বাক্সে মুরগীর কিছু নাড়ি-ভুড়ি বের করে সবার হাতে দিয়ে বলবেন, এই যে তার নাড়ি-ভুড়ি। একটা মার্বেল দিয়ে বলবেন, এই যে তার চোখ। কাদামাটির তৈরি মাথা ধরিয়ে বলবেন, নাও তার মাথা, কিছু খই দিয়ে বলবেন এই যে দাঁত…এটা কিভাবে খেলা হয় আমরা জানি””

“ধুর তোমরা মজাটাই নষ্ট করছ” পাশ থেকে কয়েকজন মেয়ে বলে উঠলো…

“ডাইনী হাত দিয়ে আমাদের ক্ষতি করতে এসেছে। এই নাও তার হাত” মাইক বলল।

“ঈঈঈঈঈঈঈ”

একে একে বিভিন্ন জিনিস হাত বদল হতে থাকলো। কিছু বাচ্চা ভয় গেয়ে বৃত্তের মাঝখানে এসে দাঁড়ালো। যতক্ষণ না খেলাটা শেষ হয়।

“আরেহ!! এটা তো একটা মুরগী। এতো ভয় পাবার কি আছে। হেলেন চলে আস” কয়েকজন বাচ্চা তাদের স্বান্তণা দিল।

“ডাইনীটাকে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়েছে। এই নাও তার হৃদপিন্ড” লোকটি বলল।

“মেরেডিথ ভয় পেওনা…এটা একটা খেলা।” সারা মেয়ের উদ্দেশ্যে বলল।

মেরেডিথ নিশ্চুপ।

মেরেডিথ তুমি কি ভয় পাচ্ছ?” সারা বলে উঠল।

“ও মোটেও ভয় পাচ্ছেনা” মাইক জবাব দিল।

একের পর এক জিনিস হাত বদল হয়ে থাকল। আর বাচ্চাদের চিৎকারে কেঁপে উঠতে থাকলো ঘরটা।

“মেরেডিথ?” দূর থেকে সারা ডাক দিল।

ততক্ষণে সবাই কথা বলা শুরু করে দিয়েছে।

“মেরেডিথ??” একটু জোরে চিৎকার করতেই ঘরের সবাই আবার নিশ্চুপ হয়ে গেল…

“মেরেডিথ, তুমি কোথায় সোনা??”

মেরেডিথ কোন জবাব দিলনা…

“মেরেডিথ কোথায়?” সে জানতে চাইল।

পাশ থেকে এক ছেলে বলল “ও তো এখানেই ছিল”

“অথবা সে উপরে আছে”

“মেরেডিথ”

কোথাও মেরেডিথের সাড়া পাওয়া গেলনা…

ডাইনীর শরীরের বিভিন্ন জিনিসের হাত বদল ততক্ষণে বন্ধ। কেউ কেউ সেটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

“কেউ একজন বাতিটা জ্বালাও দয়া করে” বড়দের মধ্য থেকে কেউ বললেন।

“না!! সারা চিৎকার করে উঠলো।” “বাতি জ্বালিও না। তোমাদের দোহাই লাগে বাতি জ্বালিও না” পাগলের মতো বলতে লাগলো সারা…

খেলা বন্ধ করে সবাই দাঁড়িয়ে থাকলো। ঘুটঘুটে অন্ধকার। জানালা দিয়ে অক্টোবরের বাতাস সবার গায়ে পরশ বুলিয়ে দিল। কেমন একটা গন্ধ তখন ঘরটাতে। খুব সম্ভবত হাতে ধরে রাখা ডাইনীটার শরীর থেকে আসছে সেটা। আমি একটু উপরে দেখে আসি। বলেই এক বালক ছুটে গেল উপরে। মেরেডিথ, মেরেডিথ, মেরেডিথ, মেরেডিথ…কেউ জবাব দিল না। সে আবার নীচে নেমে আসল। অন্ধকারের উদ্দেশ্যে বলল, “সে উপরে নেই”

তারপর…….. কোন এক নির্বোধ বাতিটা জ্বালিয়ে দিল।

* “রে ব্র্যাডবারি” রচিত একটি সাইকো গল্পের ভাবানুবাদ করার চেষ্টা।

৫,২২৫ বার দেখা হয়েছে

৬১ টি মন্তব্য : “আজ সেই দিন…”

  1. ফয়েজ (৮৭-৯৩)
    সাইকো গল্পের ভাবানুবাদ

    ভাবানুবাদ করছ নাকি পুরা অনুবাদ? প্রেক্ষাপট বদল করনি তো তাই জানতে চাইছি।

    ভালো লেগেছে, তবে মাঝখানে একটু ঝুলে গেছে মনে হয়েছে আমার। এটা অনুবাদের জন্য নয়, তুমি ইচ্ছাকৃতভাবে লাইনের মাঝে গ্যাপ বেশি দিয়ে ফেলেছ মনে হয়েছে।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  2. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    অনুবাদ হয়েছে, না ভাবানুবাদ হয়েছে, না-কি কিছুই হয়নি তা জানি না; শুধু জানি খুব সুন্দর হয়েছে। নইলে কি আমি সাধে আবার গল্পটা পড়লাম। অনেক আগে তোর এই অনুবাদটাই তো পড়েছিলাম। কাহিনীও মনে ছিল। তারপরও আবার পড়লাম। এবারও খুব ভাল লেগেছে। অনুবাদ বলে না দিলে কেউ বুঝতেই পারত না যে এটা অনুবাদ।

    গল্পটা পড়ে আমারও একটা গল্প লিখতে ইচ্ছে করছে: হিচককের সাইকো সিনেমা অবলম্বনে। সাইকোর কাহিনীটা সেইরকম। তোর এটা পড়ে আমি প্রচণ্ড অনুপ্রাণিত। বলা যায় না, কখন যে লেখা শুরু করে দেই.... 🙂

    খাওয়া-পরার চিন্তা না থাকলে যা হয় মার্কিনীদের তা-ই হয়েছে। সেধে ভয় পাওয়ার জন্য একেবারে একটা দিবস করে ফেলেছে। এখানে তো সেই হ্যালোউইন এর কথাই বলা হয়েছে মনে হল।

    সবশেষে অনুরোধ: বিদেশী গল্প অবলম্বনে আরও গল্প লেখ। আগ্রহ নিয়ে পড়ব।

    জবাব দিন
    • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

      হুম, এইটা অনেক আগের লেখা। আজকে পুরান লেখা ঘাটতে যেয়ে লেখাটায় অনেক ভুল। তারেক ভাই ঐ সময় বলছিস কিছু জিনিস পরিবর্তন করতে। সেইটা আজকে করলাম। তারপর দিলাম সিসিবিতে।

      তাড়াতাড়ি লিখ। টিটু ভাইয়েরটার মতো তোরটাও চোখ বন্ধ করে পড়ে ফেলবো। :grr: :grr:

      জবাব দিন
  3. টিটো রহমান (৯৪-০০)

    রায়হান কাজী আনোয়ার হোসেনও এই গল্পটা অনুবাদ করেছেন
    পঞ্চগল্প বা এই জাতীয় কি যেন নাম ছিল সেই বইয়ের............ তার একটা গল্প 'জন্মদিন' নামে

    যাই হোক। আবার পড়লাম এবং আগের মতই চমৎকৃত হলাম
    :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:

    আমিও একটা সাইকো নামামু নাকি?? সহ্য হবে তো 😕 😕 😕 😕 😕 😕


    আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

    জবাব দিন
  4. তানভীর (৯৪-০০)

    এইরকম ভয়াবহ সাইকো গল্প লেখার জন্য রায়হানের চোখ,মুখ,নাক,কান,গলা,হাত,পা সব শুদ্ধা ভ্যান চাই! :grr: :grr: :grr:

    লেখা খুবই ভালো হইছে রায়হান। :thumbup: :thumbup:
    তোমার লেখার স্টাইল সবসময়ই সুন্দর।

    জবাব দিন
  5. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    ও হ্যা, গল্পটা পড়ে মাঝখানে একবার "M" সিনেমাটার কথা মনে হয়েছিল। ফ্রিৎস লাং এর করা সিনেমা, ১৯৩১ সালের। ৮০ বছর আগেও এত চমৎকার সাইকো থ্রিলার করার উপায় ছিল, এটা না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবেন না।
    এই সিনেমার থিমও শিশুকেন্দ্রিক মনোবিকল্য। এক সিরিয়াল কিলার বাচ্চা বাচ্চা মেয়েদের ধরে খুন করে। এটা নিয়েই থ্রিলার। সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য ছিল, একইসাথে মনস্তাত্ত্বিক অনেক কিছু দেখানো হয়েছে। এই গল্পের সাথে অবশ্য থিমগত দিক দিয়ে তেমন কোন সম্পর্ক নাই, তারপরও মনে হল তাই বলে ফেললাম। অনেকে আগ্রহী হতে পারেন এই ভেবে।

    এটা এবং হিচককের আরও কিছু সিনেমা দেখে এখন খুব হতাশ বোধ করি, কারণ ভাল সাইকো সিনেমার সেই যুগ আর নেই। আমার মনে হয় গত ১৮ বছরে তেমন ভাল কোন সাইকো থ্রিলার হয়নি। শেষ ভাল সাইকো থ্রিলার বোধহয় "সাইল্যান্স অফ দ্য ল্যাম্ব্‌স" (১৯৯১)।

    জবাব দিন
  6. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)
    “রে ব্র্যাডবারি” রচিত একটি সাইকো গল্পের ভাবানুবাদ করার চেষ্টা।

    এই কথা বলে এমনিতেই বিনয় দেখায়া নিছস।
    তারপর আবার "গল্প" ক্যাটাগরি দেস নাই এবং "অনুবাদ" ট্যাগ লাগাস নাই।
    তাই আবারও কমেন্টাইলাম: বিনয় বাদ দিয়া ক্যাটাগরি এবং ট্যাগটা লাগায়া দেয়।
    কি আছে জীবনে 😀

    জবাব দিন
  7. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    আরেকটা কাহিনী ঘটায়া ফেলছি। রে ব্র্যাডবারির একটা গল্প অবলম্বনে ১৯৬৬ সালে একটা সিনেমা হইছিল। সিনেমার নাম "ফারেনহাইট ৪৫১"। পরিচালক ফ্রঁসোয়া ত্রুফো (The 400 Blows এর পরিচালক)। টরেন্টে এই সিনেমা নামাইতে দিলাম মাত্র। তুমুল বেগে ডাউনলোড হইতাছে: স্পিড ১৭ কেবিপিএস। সিনেমা নিয়া রটেন টম্যাটোসের লিংকটা দিলাম:
    - Fahrenheit 451 (1966)

    জবাব দিন
  8. স' নামে একটা ক্যাটাগরি দেয়া দরকার। 😉 ওইখানে এই গল্পগুলি থাকবে। 😉

    অনুবাদ ভালো হইছে। :thumbup: আইএলটিএস করছিলি নাকি? 😉 আমার তো ২ লাইন ইংরেজি পড়তেই দাঁত ভাইঙ্গা যায়। 😀

    জবাব দিন
  9. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    আমার :just: একটা জিনিস একটু কেমন জানি লাগছে...
    ক্লাইমেক্সের সময়টার লেখাটাকে কেন জানি 'আক্ষরিক অনুবাদ' মনে হয়েছে...অনেক্টা বিটিভি টাইপ... :-B


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : তানভীর (৯৪-০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।