ব্লগাড্ডাঃ- একটু, একটু…

১…

ডিসেম্বরে শীত পড়ে। দিন ছোট হয় আর রাতগুলো ইলাস্টিকের মতো বাড়তেই থাকে। ঠান্ডা ঠান্ডা বড় বড় শীতের রাতে প্রাপ্তবয়স্ক বিয়াইত্যা মানুষদের মনে পড়ে যায় তাদের খাটটা যেন এক ফুটবল মাঠ। সেখানে বল আছে- কিন্তু প্রতিপক্ষ নাই। এই দুঃখেই মনে হয় শীতকালে বিয়ে- শাদীর ধুম পড়ে যায়। ফরেনাররাও এই সময়ে চট করে দেশে চলে আসেন- পট করে একটা বিয়ে যদি হয়ে যায় এই সম্ভাবনায়। আমাদের মতো গুড়া-গাড়া পোলাপানদের এখনো খেলাধুলার বয়স আসেনি। আমরা তাই খালি বিয়ের দাওয়াতে যাই- সেখানে খাপো খাপো রব তুলি। অথবা ফরেনারদের ছিল্লা- কাইট্টা লবণ দেওনের উদ্দেশ্যে গেট টুগেদারের আয়োজন করি…

২…

গেট টুগেদারের জন্য চীন মৈত্রী সন্মেলন কেন্দ্র কেনার কথা থাকলেও জিহাদের “না” ভোটে সেই প্ল্যান শেষমেষ ভেস্তে যায়। সে গেট টুগেদার করতে চায় কামরুল ভাইয়ের বাসাতেই। কারণ এই বাসার তিন তলায় “মাল” আছে- যা চীন মৈত্রীতে নাই। চীন মৈত্রীতে খালি আছে বড় বড় উঁচা উঁচা খাম্বা!! এক্কেরে আমাদের কলেজের মুনতাসির ভাইয়ের মতো।

কামরুল ভাইয়ের বাসার অবস্থা খারাপ। গোস-গাছ করার জন্য কাক ডাকা দুপুরে ঘুম থেকে উঠেই সেখানে হাজির হয়ে গেলাম। মক্কার মানুষ সবসময় লেট করে- এইটা প্রমান করতেই বোধহয়, সুদূর ঘাটাইল থেকে জিহাদ আমার আগে এসে হাজির। বুয়া’হীন এলোমেলো বাসা জাতে আনতে আমি, কামরুল ভাই ঝাড়ু দিতে সমানে ব্যাটিং করতে থাকতাম। জিহাদ সারাজীবন ঘষা-ঘষি করে কাটাইছে, ওরে বেসিন ঘষতে দেওয়া হলো। কামরুল ভাই কোণা কাঞ্চিতে ময়লা আবিষ্কার করে আমার দিকে হাঁক দেয়- ওই ময়লা পরিষ্কার কর, সানা ভাই দেখলে কি বলবে? আমিও জো হুকুম বলে ময়লার গুষ্ঠি উদ্ধার করতে থাকি। পরে বোঝা গেলো, সবি পন্ড শ্রম! কারণ এতো মানুষ হয়েছিল বাসায়- এক ইঞ্চি ফ্লোরও খালি ছিল না।

প্রিলিমিনারি গণনায় ঠিক যতজনকে ধরা হয়েছিল সবাই এসে হাজির। এমনি ঘন্টা খানেক আগে দাওয়াত দেওয়া সিসিবির এককালের জমিদার শফি ভাই (যিনি এখন আমাদের এক্কেরেই ভুলে গেছেন) তিনিও লাল টুকটুকে গাড়ি একটা নিয়ে শমরিতার বিপরীত থেকে ফোন দিলেন, রায়হান- “মিলা ৬৯” কোথায়। আমি পেলেনে চড়পো!!

৩…

বিকাল তিনটায় আড্ডা শুরুর কথা থাকলেও শুরু হলো চারটায়- চুনোপুটি সাইফ ভাইয়ের আগমনের পর। এসেই উনি নাইজেরিয়ান মহিলার কী কীসব যন্ত্রের বর্ণনা শুরু করলেন- সাথে অঙ্গাভিনয়। ছোট ছোট ছেলে পেলে আমরা, এইসব শোনার অভ্যেস নেই। আমাদের কান লাল হয়ে গেলো, মাইরি!!

আমি খেয়াল করেছি, যে কোন গাল গপ্প একসময় নোয়াখালিরা খারাপ এই সিদ্ধান্তে এসে শেষ হয়। এবারও তাই। নোয়াখালিরা খারাপ, এইটা সবাই জানে। তাও মাসফু ভাই হাল ছাড়বেন না। তিনি জীবন থেকে নেওয়া একটা ঘটনা শোনানো শুরু করলেন। ঘটনা সংক্ষেপে এমনঃ-

একদা এক কুরবানীর ঈদে উনি গেলেন ওনার এক নোয়াখাইল্লা জাস্ট ফ্রেন্ডের বাসায়। তিনি ঘরের সামনে দোলনায় চড়ে ৫ ঘন্টা দোল খাওয়ার পরও সে মাসফু ভাইকে খাপানোর জন্য ভেতরে ডাকেন নি।। এই ঘটনার পর থেকে মাসফু ভাই সিদ্ধান্ত নিলেন, নোয়াখাইল্লারা খারাপ। আর তার এই রোমাঞ্চকর গল্প শোনার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, এই লোকটা দুই টুকরা গরুর মাংস খাওয়ার জন্য পাঁচ ঘণ্টা সময় নষ্ট করতে পারেন।

আমরা ৯৯ ইনটের কচি-কাচারা, ক্রিস্মমাস ভাইয়ারা মিলে মজাসে সাইফ ভাইয়ের গপ্প গিলছি এমন সময় হাজির হলেন চল্লিশার্ধো কিন্তু সিসিবি জুনি কন্টিনজেন্টের লীডার ফৌজিয়ান ভাই। তারপর টিটু ভাই, বাংলা সিনেমার গলাকাটা নায়ক মান্না ভাই।

৪…

আমি ব্লগ লিখি হুদাই। হঠাৎ হঠাৎ যখন লিখতে মন চায়, নোট প্যাড খুলে এক কোনা দিয়ে শুরু করে দেই। লেখার সময় অনেকটা হাই থাকি। কি লিখি নিজেও বুঝি না, এমন কি লেখা শেষ করার পর একবার রিভিশনও দেই না। আমি নিজেই আমার নিজের লেখার অনুরক্ত না, অন্য কেউ হবে- সেটা তাই স্বপ্নেও ভাবি না। কিন্তু সিসিবির একদম প্রথমে দেওয়া একটা পোস্টে অনেকদিন পর তানভীর ভাইয়ের একটা কমেন্ট পড়ে আনন্দে মিরা যেতে ইচ্ছা হলো। যাক দুন্নিয়াতে আমারও পাংখাও আছে।

তানভীর ভাই যখন মেডালিয়নের সামনে এসে ফোন্দিলেন, তখন আমিই ছুটলাম তারে নিয়ে আসার জন্য। কামরুল ভাইয়ের বাসা অনেক ভেতরে- ফোনে ফোনে রাস্তা চিনানো সম্ভব না। একটু পরেই বিনয়ের অবতার, আইডি- কার্ড তানভীর ভাইয়ের আগমন ঘটলো। আমাকে দেখা মাত্রই উনি ধানমন্ডি ৩২ এর দিকে হাঁটা শুরু করলেন। আমি কিছু বলি না, ভাবলাম কিছু-মিছু কিনবে বোধ হয়। কিন্তু কিছু মিছুর দোকান ছেড়ে যখন উনি স্কয়ার হাসপাতালও অতিক্রম করে ফেললেন, তখন আমি বাধ্য হয়েই জিজ্ঞেস করলাম- তানভীর ভাই, কই যান? উত্তরে উনি বললেন, ক্যান কামরুলের বাসায়। আমি বলি, তাহলেই এইদিকে ক্যান। উনি অবাক হয়ে, তুমিই না নিয়া আসতেছো।

মর জ্বালা!!

৫…

আমাদের সবার দায়িত্ব আমাদের পূর্ব-পুরুষের অভিজ্ঞতা নিজের ভেতর নিয়ে নেওয়া। তাতে করে একদিনেই অনেক কিছু জেনে ফেলা সম্ভব। ছোট্ট এক জীবনে আমরা আমাদের পূর্ববর্তী হাজার বছরের সভ্যতা নিজের মধ্যে যতটুকু পারি গ্রহণ করবো। তারপর নিজেদের অভিজ্ঞতাটুকু যোগ করে তা রেখে যাবো পরবর্তী প্রজন্মের উদ্দেশ্যে…

সানাউল্লাহ ভাই আসার পর আমরা সবাই তাকে ঘিরে বসে পড়লাম- শুধু কামরুল ভাই নীল ডাউন হয়ে। সানা ভাই নিজের জীবনের গল্প শুরু করলেন- শুধু মাত্র ক্যাডেট ভাইদের উদ্দেশ্যে। আমরা শুনলাম মুগ্ধ শ্রোতার মতো। সবার জীবনেই কম বেশী প্রেরণা হয়ে থাকবে, তার জীবন সংগ্রামের কথা। সানাউল্লাহ ভাইকে ধন্যবাদ।

৬…

হুট করেই আয়োজন করে ফেলা আড্ডায় স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ মারাত্মক মিজা দেওয়ার জন্য সবাইকে স্যালুট।

পাদটিকাঃ-

রবিন ভিঃ- আপনি কি খিদে পিরা গিছিলেন? ইসিন্নি কিন?
ফৌজিয়ান ভাইঃ- জুনি সিসিবিতেই থকেন বস। আমরা আপনারে দেইখা শুইনা রাখপো।
আদনান ভাইঃ- আপনি না, একটা “ইয়ো”
৯৯ এর দশজনঃ- ঊই রকস!!
কামরুল ভাইঃ- পর্যাপ্ত পেইন খাওয়ার জন্য আপনারে ছোট করলাম।
তারেক ভাই, সায়েদ ভাই, তৌফিক ভাই, তাইফুর ভাই, সিরাজ ভাই, রহমান ভাই, সেলিনা আপা, নওরীন আপা, রেজয়ান, মুসতাকিম সহ যারা মিস করেছেনঃ- ঢাকা আসেন, তারপর প্রত্যেকের জন্য আলাদা করে গেট টুগেদার করা হবে। পয়সা যখন আপনারাই দিবেন, আমাদের করতে অসুবিধা কই?
সাইফ ভাইঃ- খাওনের জন্য আপনারেও ছোট করা হলো
জুনায়েদ ভাইঃ- আপনার কথা খালি আন্দালিব ভাইই শুনলো, আমরা শুন্তার্লাম্না। মাইক কিনেন মিয়া।

৬,২৭৬ বার দেখা হয়েছে

৭৮ টি মন্তব্য : “ব্লগাড্ডাঃ- একটু, একটু…”

  1. জিহাদ (৯৯-০৫)

    আর বলিস না। অনেকে তো ফার্স্ট না হয়াও ফার্স্ট বৈলা চিল্লায়। আমি না হয় হয়াই একটু চিল্লাইলাম। B-)

    সব কিছুই লিখাও কি জানি লিখা হৈলোনা। তিনটা টু প্রায় দশটা আড্ডা আসলে লিখে বোঝানো যায়না। :no:

    তবে লিখসিস জোস। আড্ডার স্বাদ আবার পাইলাম যেন। স্পেশালি মাশরুফ ভাইয়ের দুইটুকরা মাংস হেভী টেস্টি হৈসে । :awesome:

    তোরা ভাই, বস ব্লগার ভাই। তোদের রে কি আর স্যালুট না দিলে কিছু হয় নাকি। :salute:


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  2. বাংলাদেশ নেভি'র একমাত্র সাতার না জানা অফিসার মুজিবের গল্পটা বললি না।
    পাব্লিসিটির জন্য মাস্ফুযে জিহাদরে টাকা খাওয়াইয়া ব্লগ লিখাইছে সেই গল্পটা কইয়া দে সবাইরে। 😉 😉 😉

    জবাব দিন
  3. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    আমি ভাই কথাবার্তা কইতে পারি না। কথা কইতে গেলে মুখ আটকায়া যায়, কিন্তু লেখার সময় সেরকম কোন ঝামেলা নাই। হাত সহজে আটকায় না।
    তবে কথা বলতে না পারলেও শুনতে যে মজা পাই না তা না। আবার মজা যে পাইছি সেইটাও ঠিকমত বুঝাইতে পারি না। মুখের জিওগ্রাফি অধিকাংশ সময়ই ঠিক থাকে না। কখন কিমন হয়া যায়, কৈবার পারি না।
    সিসিবি আড্ডায় এই ধরণের সমস্যা খুব কম হইছে। সবাই নিশ্চই স্বীকার করবেন, আমি ব্যাফক স্বতস্ফূর্ত আছিলাম। মজা পাইছি।

    লেখাটাও খুব মজার হইছে। রায়হান আবীরই আমার দেখা একমাত্র ব্লগার যে সবচয়ে কম চিন্তা করে সবচেয়ে ভাল লিখতে পারে। একটু আঁতলামি করি:
    উনবিংশ শতকে চিত্রকলা ও সাহিত্যে ইমপ্রেশনিজ্‌ম নামে একটা আন্দোলনের খুব নামডাক ছিল। লিংকনও তো সুনীলের "ছবির দেশে কবিতার দেশে" বইয়ে বোধহয় এ সম্পর্কে পড়ছস। তো এই ইমপ্রেশনিস্ট সাহিত্যিকদের লেখার স্টাইল ছিল: হাতে কলম, সামনে সাদা কাগজ, মস্তিষ্ককে চিন্তা করার মত যথেষ্ট সময় না দিয়েই চটপট লিখে ফেলা। এতে যেটা হয় চেতনার থেকে অবচেতন মনের ভাবগুলো বেশী উঠে আসে। আর এই অবচেতনেই কিন্তু মানুষের আসল ব্যক্তিত্ব। তোর লেখাগুলো সেদিক দিয়ে পুরা পাংখা। তোরে উপাধি দিলাম যা:
    দি ইমপ্রেশনিম্ট ব্লগার

    জবাব দিন
  4. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    রায়হান ভালো লিখছস।
    লাবলু ভাইরে দেখামু আমাগো জুনিসিসিবির পোলাপাইনও কত দারুন লেখে :hug:
    :thumbup: :thumbup:

    আর পড়ালেখায় ধ্যান দে ব্যাটা, গেমস্ টাইম পরে এমনেই আইবো :guitar:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  5. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)
    ...........ঢাকা আসেন, তারপর প্রত্যেকের জন্য আলাদা করে গেট টুগেদার করা হবে। পয়সা যখন আপনারাই দিবেন, আমাদের করতে অসুবিধা কই?

    মনের কথা জানলা ক্যামনে 😕 😕 ???????
    এই প্ল্যানডাই তো আমি আর সিরাজ মিলা করছি কয়দিন আগে।


    Life is Mad.

    জবাব দিন
  6. সাইফ (৯৪-০০)

    ।জুনায়েদ,কাইয়ুম ভাই এর মত সেইরকম কিঊট হাসির চিকি টাঈপ মানুশটারে তুই চাচাবইল্যা গালি দিলি এইটা কিন্তু চরম অন্যায়,
    আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং সেই সাথে তোর শাস্তি দাবি করছি..।।...।।...।কি বলেন কাইয়ুম ভাই =)) :grr: :tuski: :tuski: :tuski: :tuski: :tuski: :tuski: :tuski: :tuski: :tuski: :tuski: :guitar: 😡 :hatsoff:

    জবাব দিন
  7. সাইফ (৯৪-০০)

    রায়হান,তরে ত দেইখ্যা মনে অয় একদম ভোলা ভালা এক লড়কা...............কিন্তু তুই ত দেখ মহা হারামি.......।।.।।।...।।...
    যাই হউক,তোদের ভাগ্য ভাল যে আমি খাবার আনতে চইল্যা গেসিলাম আর এর মধ্যে লাবলু ভাই চলে আসছে ......।...।নাইলে এমন গল্প দিতাম যে সব কইটা খালি কামরুল এর বাসার টয়লেটে সিরিয়াল দিতি............সেনিটারি সিস্টেম ব্লক হইয়া যাইত............... :guitar: :awesome: :gulti: :khekz:

    জবাব দিন
  8. সাইফ (৯৪-০০)

    অই রায়হান,মস্ফুর যে ডেমো দিলাম হেইডা ত কইলি না............ওর সর্পিল ভঙ্গির নসু স্টাঈলের হাটা চলা আর ন র্তকিদের মত মুভমেণ্ট সেইরকম...।.......।।...।ঝিনাইদহ তে কি সব কলেজ প্রিফেক্ট্রা এইরম হয় নাকি একটু চিকি টাঈপ.............আমাদের সময় ত এইরম ছিলনা ভাই..........।..।।...

    জবাব দিন
  9. মুসতাকীম (২০০২-২০০৮)

    রায়হান ভাই জোস 😀 😀 😀


    "আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"

    জবাব দিন
  10. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    ৪ নম্বরটা তো হেব্বি.........।। তোমাদের দুইজনরেই :salute:

    🙁 নিজের কথা আর কি কমু রে ভাই......। যাইতেও পারি নাই, কেউ মিসও করে নাই। হুন্দাই।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  11. তানভীর (৯৪-০০)

    রায়হান, আমি তোমার লেখার পাংখা কেন, সবাই এই লেখা পইড়াই বুঝব!

    তোমার লেখায় একটা স্বতঃস্ফূর্ততা থাকে, যে কারনে পড়তে খুব ভালো লাগে।

    আমাকে জনসম্মুখে বেইজ্জতি করলা এই নিয়া ঝাড়ি দিব ঠিক করছিলাম, কিন্তু আমারে নিয়া লিখছ এইজন্য মাফ কইরা দিলাম। B-) B-)

    জবাব দিন
  12. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    এই লোকটা দুই টুকরা গরুর মাংস খাওয়ার জন্য পাঁচ ঘণ্টা সময় নষ্ট করতে পারেন।

    কামরুল ভাইয়ের কাছ থিকা বিখ্যাত ব্যক্তিদের মজার ঘটনার একটা বই আনছিলাম।তোর এই কমেন্ট শুইনা সেইখান থিকা একটা ঘটনা উল্লেখ করার লোভ সামলাইতে পারতেছিনা।ঘটনাটা কিঞ্চিত অশ্লীল-নিজ গুনে মাপ কইরা দিবেন।

    এক চাষী তার ফার্মে কাজ করার জন্য লোক ভাড়া করছে।কাজের মাঝামাঝি সময় হঠাত তার ছুড পোলা দৌড়াইয়া আইসা খবর দিল-"আব্বা,আব্বা,জানো কি দেখছি?খড়ের গাদার পাশে আপা স্কার্ট তুলছে আর ওই কামলা লোকটা প্যান্ট নামাইছে।ওরা মনে হয় একসাথে হিসি করবে"।
    চাষী এই ঘটনা শুইনা হাইসা কয়-পিচ্চি,ঘটনা তুই ঠিকই দেখছস কিন্তু তোর সিদ্ধান্ত ভুল।"

    আব্রাহাম লিংকনের প্রতিপক্ষ উকিল এক মামলার বিস্তারিত বর্ণনা দেওনের পর মতামত দিলে জুরিদেরকে এই গল্প শুনাইয়া আব্রাহাম লিংকন তাদের মত পরিবর্তন করাইছিলেন।

    তোর এই ডায়ালগ(বোল্ড আকারে দেখানো) সম্পর্কেও আমি তাই কই-পিচ্চি,ঘটনা তুই ঠিক এ শুনছস কিন্তু তোর সিদ্ধান্ত ভুল 😀 😀 😀

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : তৌফিক (১৯৯৬-২০০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।