সবগুলো পর্ব পিডিএফ আকারে পাবার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন।
বিগল যাত্রা থেকে ফিরে আসার প্রায় বাইশ বছর পর, ১৮৫৯ সালে “দ্য অরিজিন অফ স্পেসিজ” বইটি প্রকাশ করেন ডারউইন। দ্যাট বুক রকড দ্য ওয়ার্ল্ড লাইক এ হারিকেন। ৪৯০ পৃষ্ঠার এই বইটিতে ডারউইন মোটা দাগে তিনটি প্রধান দাবির কথা বলেন।
১। জীবনের সৃষ্টি নিকট অতীতে নয়, বরঞ্চ তা এর থেকে অনেক অনেক আগে। (কয়েকশ কোটি বছর)।
২। জীবনের সূচনা হয়েছিলে সরল এককোষী এক বা একাধিক জীব থেকে। সেখান থেকেই বিবর্তনের পথ ধরে আজকের লক্ষ- কোটি প্রজাতির জীবের উৎপত্তি হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের পৃথিবীতে দেখা জীবজগতের মধ্যে উৎপত্তিগতভাবে, বংশধারার উত্তরাধিকারসূত্রে পারষ্পরিক একটা সম্পর্ক রয়েছে।
৩। সরল এককোষী জীব থেকে পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রজাতিতে বিবর্তনের কারণ হিসেবে ডারউইন প্রাকৃতিক এক বলকে দায়ি করেন, যার নাম তিনি দেন, “ন্যাচারাল সিলেকশন” বা “প্রাকৃতিক নির্বাচন”।
“ওয়াজ ডারউইন রাইট?” চলুন দেখা যাক এক এক করে।
জীবনের বয়স কতদিনঃ-
ধর্মগ্রন্থের বর্ণনায় আমরা দেখি খুব নিকট অতীতেই জীবন সৃষ্টি করা হয়েছিল। সকল জীবিত প্রাণীকে ইশ্বর সৃষ্টি করেছেন মাত্র ছয় হাজার বছর আগে। ডারউইন প্রথমেই এই ধারণাকে বিরাট ধাক্কা দেন। তিনি বলেন, না!! জীবনের সূচনা হয়েছে আরও অনেক অনেক বছর আগে। কমপক্ষে কয়েকশ কোটি বছর!!!
কে সঠিক তাহলে? জীবনের সূচনা আসলেই কবে থেকে??
ভূ-তত্ত্ববিদ ডক্টর মার্টিন ভ্যান ক্রেনেনডঙ্ক দক্ষিণ অষ্ট্রেলিয়ায় আবিষ্কার করেন পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন জীবনের ফসিল।
আবিষ্কৃত ফসিলাইজড স্ট্রমেটোলাইটস এর ছবি। সমুদ্রের তলদেশে থাকা ব্যকটিয়ার কলোনী দ্বারা এমন একটি স্ট্রাকচার গঠিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের মতে প্রাণের সৃষ্টি হয়েছে ব্যাকটেরিয়াসদৃশ সরল এককোষী জীব থেকে। প্রথম দুটি ছবি মিলালে বেশ বোঝা যায় প্রাপ্ত ফসিলাইজড স্ট্রমেটোলাইটস ই আমাদের দাদার দাদার দাদার ……… দাদা।
কিন্তু পাথরের উপর এমন দাগ কাটা দেখে অনেকের মনেই সন্দেহ জাগতে পারে, আসলেই কী এগুলো সমুদ্রের তলদেশে থাকা ব্যাকটেরিয়া কলোনী দ্বারা গঠিত? এই প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায়, মাত্র ৬০০ মাইল দূরে শার্ক বে’ তে। সেখানে বিজ্ঞানীরা ফসিল হয়ে যাওয়া স্ট্রমেটোলাইটসদের সাথে সরাসরি সাদৃশ্যপূর্ন্য জীবিত স্ট্রমেটোলাইটস এর সন্ধান পেয়েছেন।
প্রমাণ হলো এগুলো ব্যাকটেরিয়া। কিন্তু আমাদের জানা দরকার পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন এই ফসিলটি কত বছরের পুরানো? এটা কী সৃষ্টি তত্ত্বে বিশ্বাসীদের মতে কয়েক হাজার বছর আগের, নাকি ডারউইনের বলে যাওয়া কয়েকশ’ কোটি বছর?
ফসিলের বয়স নির্ধারণের জন্য বিজ্ঞানীরা যেই পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন তার নাম “রেডিওমেট্রি”। পাথরের মধ্যে অবস্থিত কয়েকটি মৌলিক উপাদানের সময়ের সাথে তেজস্ক্রিয়তা বিকিরণ পরিমাপের মাধ্যমে পাথরটির বয়স নির্ণয় করা হয়ে থাকে।
“রেডিওমেট্রি”র মাধ্যমে প্রাপ্ত ফসিলাইজড স্ট্রমেটোলাইটস পরীক্ষা করে দেখা যায় এদের বয়স প্রায় ৩.৫৬ বিলিয়ন বছর। প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি বছর।
শুধু এই একটি ফসিল নয়, প্রাণের উৎপত্তি যে, কয়েকশ কোটি বছর আগে সেটি প্রমান পাওয়া যায় পরবর্তীতে আবিষ্কৃত আরও অনেক ফসিলের বয়স হিসেব করে।
সুতরাং প্রথম দাবিতে ডারউইনের কাছে হার মানতে হলো ঈশ্বরগ্রন্থ কে।
ঠিক এই জিনিসটা আমার হিজাব পড়া বন্ধুকে ব্যাখ্যা করার পর সে বলল, এতে করেই ঈশ্বরগ্রন্থ ভুল প্রমানিত হয় না। কারণ, হতে পারে ঈশ্বর ধর্মগ্রন্থে ছয় হাজার বছর আগে এককোষী প্রাণী সৃষ্টি কথা উল্লেখ করেন নি, তিনি উল্লেখ করেছেন মানুষ এবং অন্যান্য পশু- পাখি সৃষ্টির কথা। এক কোষী প্রাণী আরও আগে থেকে থাকলেও কী আসে যায়!
আপাতত ওর কথাটা ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না। কথাটা আমরা তখনই ফেলে দিতে পারবো যখন দেখাতে পারবো যে, ডারউইনের দ্বিতীয় দাবিটিও সঠিক। ঈশ্বর স্বর্গে আদমের মতো কাউকে তৈরী করে, তারপর তার পাঁজরের হাড় দিয়ে হাওয়াকে তৈরী করেন নি। কোন রকম স্রষ্টার সহায়তা ছাড়াই ব্যাকটেরিয়া সদৃশ এককোষী জীব থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের উৎপত্তি হয়েছে।
🙂
😀
Dihan vabi tomar ek angul ki refresh button er upor r ek chokh ki monitor er dike fixed thake naki always?? 😛 😛 😛 😛
নেক্সট পার্টের ট্রেইলার? 😀
চলুক, পড়ছি মনোযোগের সাথে।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
উৎসাহ না দিলে চালানো কষ্ট 😀
ঠিকাছে। :thumbup:
লেখার সঙ্গে/শেষে প্রাসঙ্গিক তথ্যগুলির রেফারেন্স আশা করছি।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
রাইট, কাউন্টার পার্টির লজিক গুলোর প্রাসংগিক রেফারেন্স ডিম্যান্ড করছে লেখাটা।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কাউন্টার পার্টির লজিকের রেফারেন্স? মানে প্রাণের সৃষ্টি ছয়হাজার বছর আগে? আদম হাওয়া প্রথম মানুষ? বেহেশত থেকে আদম কে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, সেটা কোন আয়াতে বলা হয়েছে তা?
পরের দুইটা সুরা ইয়াসিনে আছে। আয়াতের জন্য ঘাটতে হবে।
আর ছয়হাজার বছরের ইন্ডিকেশন আছে বাইবেলে। পাদ্রী James Ussher বাইবেল থেকে ক্যালকুলেশন করে দেখান যে, রবিরার- অক্টোবর ২৩, ৪০০৪ বি.সি তে।
৪০০৪ BC - পৃথিবীর জন্ম।
২৩৪৮ BC - নূহ এর প্লাবন।
৪ BC - জেসাস এর জন্ম।
ক্যালকুলেশন কীভাবে করা হয়েছিল সেটি এখনে দেখুন
এবং পৃথিবী সৃষ্টির তারিখ সম্পর্কে কুরানে কিছু নেই। তবে বাইবেলের six day creation এর কথা কুরানও সমর্থন করে।
ঠিকাছে 🙂
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কি দিলি রে ?????
৪০৪ বিভ্রাট দেখায়.....
খেক খেক খেক =)) =)) =))
http://en.wikipedia.org/wiki/Ussher_chronology
6 days কে বাইবেল ২৪ ঘন্টার দিন হিসাবে উল্লেখ করেছে, কোরানে কিন্তু তা না। কোরানে যে শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে তা ৬ টি দীর্ঘ সময়কাল।(যদিও অনেক অনুবাদক এই ভুল টা করেছেন। কিন্তু ইন্টারনেট এ এই সংক্রান্ত অনেক তথ্য আছে। সার্চ দিয়ে পরে দেখবেন আশা করি...)
কামরুল ভাই, লেখা শেষ হোক, একবারে সব রেফারেন্স থাকবে। তবে কোন পর্বে যদি কোন জিনিসের রেফারেন্স জানার ইচ্ছে হয়, বইলেন- মন্তব্যে বলে দিবো।
আর একটু বড় লেখা দাবি করছি। তোর ওপর অতিরিক্ত চাপ না পড়লে একটু বড় করে লেখ। অনেক সহজ করে লেখা, তাই বুঝতে কোন সমস্যা হচ্ছে না। কোনরূপ সমালোচনা বা আলোচনায় অংশগ্রহন করতে পারব না, জ্ঞান বড়ই সীমিত। কিন্তু ভালো লাগছে লেখা পড়ে, জানিয়ে দিলাম।
দোস্ত। নতুন তো। মানে ভালোই কষ্ট হয়। প্রতিটা জিনিস একশ একটা জায়গা থেকে মিলাইতে হয়। ধীরে ধীরে বড় করতে থাকবো। 🙂
আমিও 'ঠিকাছে' দাগাইলাম। হিসাবে ডাইনোসরই তো বহু পুরানা জীব। ছয় কোটি বছর আগে! এইটার দলিলও তো গ্রন্থে কোথাও নাই। 😕
good writing Rayhan....jome uthtese.......
আরিফ
আপনি নিয়মিত ইংরেজিতে মন্তব্য করে যাচ্ছেন। দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন।
বাংলা লেখা সক্রান্ত সাহায্যের জন্যে সিসিবির 'bangla problem' সেকশনটি ঘুরে আসুন।
পরবর্তীতে ইংরেজি মন্তব্য প্রকাশিত না হলে সিসিবি মডারেটর প্যানেল দায়ী নয়।
হুমমমমম চিন্তার বিষয় 😕 😕
আপনি একটা থিওরীকে (http://geowww.geo.tcu.edu/faculty/breyer/HoHIT/HHITDarwin3.pdf) আপনার নিজস্ব যুক্তি দিয়ে তুলে ধরছেন আর বলছেন এই থিওরী মেনে নিতে।দেখুন ডারউইন নিজে এ সম্পর্কে কি লিখেছেন(This selection of Charles Darwin's letters)।
This selection of Charles Darwin's letters includes correspondence with his friends and scientific colleagues around the world; letters by the critics who tried to stamp out his ideas, and by admirers who helped them to spread. It takes up the story of Darwin's life in 1860, in the immediate aftermath of the publication of On the Origin of Species, and carries it through one of the most intense and productive decades of his career, to the eve of publication of Descent of Man in 1871.
The following quotations give an idea of the range of subjects and correspondents included.
‘I am surprised, considering how ignorant we are on very many points, that the weak parts of my book have not been as yet been pointed out to me. No doubt many will be.’ Darwin to Huxley, 1860.
‘I have been greatly disappointed that you have not given judgment & spoken fairly out what you think about the derivation of Species … ’ Darwin to Charles Lyell, 1863.
‘I was astounded at news about FitzRoy; but I ought not to have been, for I remember once thinking it likely; poor fellow his mind was quite out of balance once during our voyage …’ Darwin to Hooker (on hearing of Robert FitzRoy's suicide), 1865.
‘Never, for God's sake, conceal debts from me, & tell me now, whether you owe any more ...’ Darwin to his son Francis, 1870
জনাব 'গেস্ট'
লেখক কোথায় আপনাকে এই থিওরী মেনে নিতে বলছেন একটু দেখাবেন কি?
আমিতো পুরোটা খুঁজে কোথাও এমন কোন লাইন পেলাম না! 🙁
আর আপনার দেয়া অংশে ডারউইনের কথাগুলো কয়েকবার পড়লাম, বুঝাই যাচ্ছে আপনি একটা প্যারার আগে পিছে কিছু অংশ বাদ দিয়ে শুধু আপনার সুবিধামতো অংশ কোট করেছেন তারপরও এর কোনটাই কিন্তু বিবর্তনবাদের বিপক্ষে কিছু বলছে না!
শেষে আরেকটা কথা, আপনি এই অংশটুকু কোথা থেকে নিয়েছেন তা জানার আগ্রহ হচ্ছে, আপনার দেয়া পিডিএফ লিংকটা পড়লাম। সেখানে Arguments Against Darwin শিরোনামে একটা প্রবন্ধ আছে, সুখপাঠ্য। কিন্তু আপনার এই অংশটা নেই।
নিয়মিত সিসিবি পড়ার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
অতিথি ভাই,
ডারউইন বাইশ বছর গবেষণা করেছেন তত্ত্বটা নিয়ে। এর বিপক্ষে বিভিন্ন যুক্তি আসলে তার জবাব কী হতে পারে সেইগুলোই নিয়ে বেশি ভাবছিলেন তিনি। বাইশ বছরের জায়গায় আরও বিশ বছর লাগাতেন কীনা নিশ্চিত নই। ১৮৫৮ তে বইটি প্রকাশ করেন তিনি একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনায়। সেটি হলো, সেই সময়ে আলফ্রেড ওয়ালেস এর মাথাতেও বিবর্তনের আইডিয়াটা এসেচলে ছিল। যদিও তার কাছে প্রমান ছিল অপ্রতুল তাও ডারউইন তার কাজ অন্য কেউ আগেই বলে দেওয়ার আগে বইটি দ্রুত বের করে ফেলেন। আর বইয়ের নাম কী দেন জানেন? An Abstract of an Essay on the Origin of Species and Varieties Through Natural Selection। ডারউইন নিজে তার ৪৯০ পৃষ্ঠার বইটিকে বলেন, just a quick-and-dirty "abstract"।
যাই হোক, ডারউইনের সময় ফসিল ছিল অনেক কম। অনুমানের উপর ভিত্তি করেই তাকে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। পরবর্তী অনেক বছর পরে বিভিন্ন ফসিল আবিষ্কার তার অনুমানগুলোকেই সত্য প্রমান করে। আমি এইখানে যেই ফসিলের কথা লিখলাম সেটাও কয়েকবছর আগেই আবিষ্কার করা। আর আমি যেই সিদ্ধান্ত দিলাম সেইটা কী আমার মতের উপর ভিত্তি করে ভাই?
আর চিঠির কথা বলতেছেন? তাইলে আমিও বলি। বিবর্তনের জন্য অসীম সময়ের প্রয়োজন ছিল। ডারউইন সেটাই জানতেন। কিন্তু তখনকার দিনের সবার ধ্যান ধারণা ছিল বাইবেলেরই মতো। অর্থাৎ আদমের সৃষ্টি হয়েছে খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০৪ এ। অর্থাৎ ডারউইনের তত্ত্বের জন্য প্রয়োজনীয় বয়সের থেকে পৃথিবীর বয়স অনেক কম।
মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে আসলেন, বিখ্যাত পদার্থবিদ উইলিয়াম থমসন (যিনি পরে লর্ড কেলভিন উপাধিতে ভূষিত হন)। ১৮৬৬ সালে তিনি বলেন যে, পৃথিবীর বয়স আসলে ডারউইন যা বলেছেন তার থেকে অনেক কম। থমসন থার্মো-ডাইনামিকসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন, তিনিই প্রথম থার্মো-ডাইনামিকসের দ্বিতীয় সুত্র এবং চরম তাপমাত্রা স্কেল আবিষ্কার করেন। থমসন রাসায়নিক শক্তি এবং মাধ্যাকর্ষণ এই দুইটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আলাদা আলাদাভাবে সূর্যের বয়স নির্ধারণ করে দেখান, মাধ্যাকর্ষণ বল ব্যবহার করলে সূর্যের বয়স সবচেয়ে বেশী পাওয়া যায় এবং সেটাও কিনা হচ্ছে মাত্র কয়েক’শ লক্ষ বছর। থারমো-ডাইনামিকসের সুত্র ব্যবহার করে থমসন এটাও প্রমাণ করেন যে, এমনকি মাত্র কয়েক লক্ষ বছর আগেও পৃথিবীর তাপমাত্রা এতই বেশী ছিল যে সেখানে কোনরকম প্রাণের উৎপত্তি ঘটা ছিল একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। তার এই হিসেব মতে ডারউইনের দেওয়া প্রাকৃতিক নির্বাচনের তত্ত্ব তো দুরের কথা, লায়েলের তত্ত্বও ভুল বলে প্রমাণিত হয়ে যায়। থমসনের হিসেব ঠিক হলে বিবর্তনবাদকে ভুল বলে ধরে নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায়ই থাকে না।
তখন ডারউইন ওয়ালেসকে লেখা এক চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই, পৃথিবীর বয়স সম্পর্কে থমসনের দৃষ্টিভংগী আমার সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।’
যাই হোক অবশেষে থমসনকে ভুল প্রমান করে দিয়ে পৃথিবীর সঠিক বয়স নির্ধারণ করা গিয়েছে। সেটি সাড়ে চারশ কোটি বছর।
সুতরাং ডারউইন অনেক কথাই বলেছেন, কারণ তার হাতে যথাযথ প্রমান ছিল না। এখন ধীরে ধীরে যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে।
তাইলে এইটা শুনেন,
ডারউইন যখন তার এই বিখ্যাত তত্ত্বটি তার বন্ধু হাক্সলিকে বোঝাতে শুরু করেছিলেন, হাক্সলি মাথা চাপড়িয়ে বলেছিলেন - ‘এমনি স্টুপিড আমি যে এই সোজা ব্যাপারটা আপনি বলার আগে কখনোই মাথায় আসেনি।’ =))
অনেক কথাই বলে ফেললাম, এখন আপনারে একটা কথা জিজ্ঞেস করি। আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে আপনি কী বোঝাতে চাইলেন?
তোর লেখা গুলো বায়াসড।। একটা তত্ত্বের বিপরীতে হাজারটা যুক্তি আছে নিশ্চয়। ঐগুলা নিয়ে আলোচনা কর। ঐগুলোকে ভুল প্রমাণ কর। তাহলে একটা গঠণমূলক আলোচনা হবে।
সচলে তোর এরকম কোন ব্লগ খুঁজে পেলাম না, হতাশ হলাম। ফাকা মাঠে গোল দিয়ে লাভ কি? সচলে অনেক বস বস মানুষ আছেন, অনেকের ফিল্ড-ই এটা। ওদের মন্তব্য শুনতে মন চায়, যদি ইচ্ছে হ্য় সচলে দিস। আমরা হচ্ছি মূর্খ আমজনতা। কষ্ট করতে চাই না টাইমও নাই, বিশেষ করে যদি জিনিসটা অর্থহীন লাগে। আমাদের ধারণা যদি এমাইনো এসিড থেইকাও জীবনের শুরু হয় তাহলেও ঐ এমাইনো এসিড বানাইছে কে? বান্দর থেইকা গরু ছাগলও হইতে পারত, হয় নাই কেন? একজন ডিজাইনার না থাকলে এত নিখুত একটা বুদ্ধিমান প্রাণি এমনি এমনি সিরাম বানাইয়া হইয়া গেল। একটা বিন্দু থেকেও যদি জীবের উৎপত্তি হয় ঐ বিন্দু আইছে কোত্থেকে? ভাই মাথাটা গোব্লেট হয়ে যাইতেছে। তয় আসমান থেইকা পড়তে রাজি আছি তাও বানদর হইবার চাই না(আমজনতা)। 😛
যেহেতু গত পর্বে তুই বলেছিলি, মানুষ থেকে বানরের উৎপত্তি হয়েছে বলে তোর ধারণা ছিল। এছাড়া আরও অনেক কারণেই আমি নিশ্চিত বিবর্তন সম্পর্কে তোর তেমন কোন ধারণা নেই। কোন ধরণের বইও পড়ে দেখিস নাই। তারপরও ধুম করে বলে ফেললি, লেখাগুলো বায়াসড। এইটা স্বাভাবিক, কারণ বিবর্তন ধর্মের প্রধান একটা জিনিসকেই বিলুপ্ত করে ফেলে। এবং তুই যেহেতু ধর্ম মানিস, সুতরাং ধরে নিচ্ছি!! নিশ্চয়ই ধর্মের সপক্ষেও কোটি কোটি যুক্তি আছে। ধর্মগ্রন্থ ভুল হতে পারে না। তোকে দোষ দিচ্ছিনা। আজকের দুনিয়ায় অর্ধেকের মতো মানুষ ঠিক এইটাই ভাবে। সরাসরি "বায়াসড" টাইপ কনক্লুশনে চলে যায়।
নিজেকে তুই মূর্খ বলতেই পারিস, কিন্তু সিসিবির সব পাঠককে একসাথে মূর্খ বলে দিলি? তোর সাথে এখানেই আমি আলাদা হয়ে গেলাম। আমার সিসিবির পাঠকদের জন্য লিখতেই ভালো লাগছে।
সেইটাই স্বাভাবিক। বান্দর থেকে আসলে তোর ছোট বেলায় শোনা হুর পরী, বেহেস্ত মিথ্যা হয়ে যায়। বিবর্তন এত সহজে তুই মেনে নিবেনা, এটাই স্বাভাবিক।
ভালো থাকিস।
বিবর্তনবাদ কিন্তু বিতর্কিত। এর পক্ষে যখন তুই বর্নণা দিচ্ছিস, সত্য বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করতেছিস, এর বিপক্ষে যুক্তিগুলো খন্ডন করাও কি তোর দায়িত্বের মধ্যে পরে না?
তা না হলে বায়াসড ছাড়া আর কোন শব্দ আমার জানা নাই।
এতটা সিরিয়াস হয়ে গেলি??? জোকসটাও ধরতে পারলি না। বেকুব হইয়া গেলাম। 😕
আশা করি সিসিবি-র পাঠকরা এখনো এতটা সিরিয়াস হন নাই। যদি হন তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ভবিষ্যতে সিরিয়াস কমেন্ট করব। :-B
গুগলে একবার সার্চ দিয়ে এই লিঙ্কটা পাইলাম, জানিনা কতটা বিশ্বাসযোগ্য। তাও শেয়ার করার জন্য দিলাম,
হায়রে কারেন্ট !!!!!! এই এক জিনিস দুইবার টাইপ করতে হইল। ~x(
এতো ক্ষেপে আছিস কেন? বিবর্তন নিয়ে লিখছি বলে? তা না হলে একটু অপেক্ষা কর, আমি তো সবে মাত্র এক পর্ব লিখলাম। এই পর্বের আওতাধীন কোন যুক্তি থাকলে বল। আলোচনা করি।
সিরিয়াসনেসের ফাঁকে আমি কিন্তু একটা প্রশ্নও করেছিলাম। সেটা এড়িয়ে গেলি যে? বিবর্তন নিয়ে আজ অবদি কিছু পড়ে দেখেছিস জিনিসটা আসলে কী?
লিংক। হ্যাঁ!! বিশাল আর্টিকেল। সামান্য পড়ে দেখলাম। আমার জ্ঞান কম, তারপরও শুরুতে যেই ডাউটগুলো দেওয়া সেগুলোর কারণ আমি জানি।
আর আমি তো কোন ধর্ম প্রচার করছিনা, বিবর্তন বিজ্ঞান নিয়ে লিখছি। তুই এককাজ করিস, যদি কোন প্রপাগন্ডা চালাই ক্যাৎ করে ধরে ফেলিস। খুশি হবো।
ক্ষেপে আছি মনে হচ্ছে নাকি?? আয় তোরে পিটাই। :grr:
আয় হায় তুই-ত আমারে জাত মূর্খ বানানোর চক্করে আসিস।। 😕
যাক তাহলে ভালই হইল।... 🙂
এইখানে আইসসা তুই আমার কুরবানি দিয়া ফেললি। :no:
আমি কি তোর পিছনে লাগছি?? 🙁
এই ব্যাপারটা তে আমি অতি মুর্খ্য...... তাই তোমার লেখা ও মন্তব্যের আলোচনা গুলো পড়ে যে জ্ঞান অর্জন করছি তা ভাল লাগছে... আর তুমি অনেক সহজ করে লিখছো বলে বেশ ভাল লাগছে...
চলুক......
এইটুকু অনুপ্রেরণাতেই চলবে। ধন্যবাদ।
রায়হান ...... একটা মন্তব্য করি, প্লীজ কিছু মনে কোরো না .........
আমার মনে হচ্ছে তুমি তুমি একটু ভুল স্টাইলে লিখছো। তুমি প্রথম থেকেই বিবর্তনবাদ কেন ঠিক, এইটার প্রমান না লিখে, যদি প্রথম কিছু পর্বে বিবর্তনবাদ আসলে কি এইটা যদি লিখতে তাহলে আমার মতন আরো যারা মুর্খ্য-সুর্খ্য এবং অলস মানুষ আছে তারা এই থিওরীটা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারতাম। অর্থাৎ প্রথম কিছু পর্বে তুমি বিবর্তনবাদ বনাম ধর্ম সম্পর্কে না লিখে নিরেট বিবর্তনবাদ সম্পর্কে সহজ করে লিখো। এই যেমন, এককোষী জীবনের শুরু সম্পর্কে ডারউইন এবং তার পরবর্তি বিজ্ঞানীরা কি ধারনা করেছিলেন এবং এই ধারনার বিবর্তনটা কি রকম। বিবর্তনের কারনগুলো কি কি বলে বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের প্রকৃতিতে কি ধরনের বিবর্তন আশা করি বা দেখতে পাই। এই ধরনের প্রশ্নগুলো তুমি তোমার লেখাতে তোমার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অ্যাড্রেস করো। তারপরে তোমার যখন মনে হবে আমরা থিওরীটা ভালো মতন বুঝতে পারছি, তখন ধর্মের সাথে তুলনামুলক আলোচনাগুলো শুরু করো।
আসলে ফরম্যাটিংটা, আমি কী জিনিস লিখবো, এইটা ঠিক করে রেখেছি। আপাতত সেইটাই প্ল্যান। আপনার প্রশ্নগুলো সম্পর্কে বাংলাতেও অনেক ভালো ভালো লেখা আছে। আমি আপাতত ওইদিকে যাচ্ছিনা।
ফিডব্যাকের জন্য ধন্যবাদ।
lekhata valo but bible k basic dhorata thik hoi nai.... quran e ki prithibir time dea ase??? darwin er onek anti logic ase...time pailei ami link gula pathabo....r 1ta matro logic er upor basis kore lekha tai last er para ta add na korleo parti...feeling offended
ইট'স ওকে আদীব। আদম আর ইভ এর কথা বাইবেলেও আছে। ঠিক একই রকমভাবে কোরানেও আছে। আর যেই গ্রন্থেই থাকুক না কেন, ভিত্তিহীন যে সেটা প্রমান করাই আমার উদ্দেশ্য। এইটা ধারাবাহিক লেখা (কমপক্ষে ছয় পর্ব)। সুতরাং শেষে এসে সব মোটামুটি বোঝা যাবে।
ডারউইনের অনেক কাউন্টার লজিক আমি জানি। সেগুলো নিয়েও আলোচনা হবে। তুই লিংক দিতে চাস দিতে পারিস। ঐ একই, সেম সেম। আর হ্যাঁ!! কুরানে পৃথিবী সৃষ্টির বয়স বলা নেই। তবে নূহের প্লাবনের কথা বলা আছে। যার সাথে ফসিল রেকর্ডের কোন মিল নেই। খুব খুশি হব যদি পরের পর্বগুলোও ফলো করিস।
লেখাটা চলুক, জাস্ট জানার আগ্রহ থেকেই বলছি, চলুক। হয়তো লেখার সফল সমাপ্তির চিন্তাধারায় কোন পরিবর্তন হবে না, কিন্তু তারপরো খানিকটা ভাবতে তো দোষ নেই। সবচেয়ে বড় কথা হলো লেখাটা বুঝতে পারছি।
একটা অনুরোধ, তা হলো কিছু টেকনিক্যাল টার্ম কিংবা বিশেষ কিছুর নাম ব্যবহার করলে পাশে ব্রাকেটে ঐটার ইংরেজিতে নাম দিয়ে দিলে ভালো হতো। তাহলে নেটে ঘাটাঘাটি করে আরো খানিকটা জানার সু্যোগ হতো, একান্তই নিজস্ব অভিমত।
অফটপিকঃ মুহাম্মদ ভাইকে ধরে আনা যায় না, উনারে খুইজা পাই না বহুতদিন। 😕
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
দারুণ হচ্ছে লেখা। চলুক।
আবীর, প্রথম পর্বের তুলনায় এবারের লেখা অনেক সাবলীল। যুক্তিগুলো অনেক সুগঠিত। চালিয়ে যাও.......... :clap:
কিছু কইলা মনে হয়!! :grr: :grr: :grr:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
:khekz: :khekz: :thumbup: :thumbup:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ধন্যবাদ ভাইয়া।
দরায়হান আবীর (৯৯-০৫)
আপনার লেখায় Zakir naik বা হিজাব পড়া বন্ধুকে উল্লে্খ করাতে আমি মন্তব্য করেছি।অন্যথায় করতাম না। আপনার নিজস্ব চিন্তায় বাধা দেয়া অমানবিক মনে করি। কেননা, আপনার মতের সাথে অমিল থাকতে পারে, কিন্তু আপনার মত প্রকাশে বাধা দিতে পারিনা।
আমি comparative religion এ Bible, Quran, Vedas, Buddhist Scripture, Shikhs etc. এর মত original source ১২ বছর research করে নাস্তিক আস্তিক হতে বাধ্য হলাম, কারন সব ধর্মগুলোর মূল উৎস পড়ার পর, সৃষ্টিকর্তা সম্পকর্কে পানির মত পরিস্কার বুঝতে পারলাম।
আপনি যদি সব ধর্মগুলোর মূল উৎস পড়ে দ্য অরিজিন অফ স্পেসিজ সম্পর্কে লিখেন, আমার ধারনা, আপনি আরও ভালভাবে লিখতে পারবেন। By the by, Biology আমার আগের ডিগ্রী হওয়ায়, আমার আগের ধারনা আপনার লেখায় ১০০% ফুটে উঠেছে।
ধর্ম নিয়ে বারো বছর গবেষণা করে আপনি জাকির নায়েকের ফ্যান হয়েছেন? আমার সাধুবাদ গ্রহণ করুন।
আর নিজের কিছু বলার থাকলে বলুন, আমি এই করছি আমি সেই করছি, আমার এই ডিগ্রি আছে- এতো ক্রেডেনশিয়াল বর্ণনা করার দরকার নেই।
ধন্যবাদ।
রায়হান, তোমার লেখা ভালো হচ্ছে। তবে একটা কথা বলি, মনোযোগ দিয়ে শোনো। ধর্মকে সরাসরি আঘাত করে কোনোকিছু আপাতত লিখোনা। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে ধর্মের গুরুত্ব কেবল ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক। তারপরেও আমি এজন্যেই কথাটা বললাম যে, মানুষের মনের একটা অংশ যুক্তি মেনে চলে না। সেখানেই ধর্মের বাস। সেই অংশ যখন হুমকির সম্মুখীন হয় তখন সে যুক্তিবাদী অংশের দরজাটিও বন্ধ করে দেয়। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য আগে যুক্তি গ্রহণের দ্বার উন্মুক্ত করতে হবে। নতুবা বিবর্তন সংক্রান্ত আলোচনা সাধারণ মানুষ মেনে নেওয়া তো দূরে থাক, সহ্যই করবে না। এধরণের আলোচনার উদ্দ্যেশ্যও সফল হবে না। অনেক বামপন্থী, মার্কসের একটা কথা কোট করেন - ধর্ম হলো গরীব মানুষের আফিম। কিন্তু যেটা কোট করতে তাঁরা প্রায়শ ভুলে যান সেটা হলো - Religion is common man's philosophy. ধর্মই সাধারণ মানুষের কাছে অস্ত্বিত্বের শামিল। তাই আলোচনা এমন হওয়া উচিত যাতে সে তার অস্ত্বিত্বকে বিপন্ন মনে না করে সেটা গ্রহণ করতে পারে। তবেই সে যৌক্তিক চিন্তা করে একসময় কুসংস্কারের বেড়াজাল ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারবে। ব্যাপারটা বেশ ধীরগতির প্রক্রিয়া, সন্দেহ নেই। তবে এছাড়া অন্য উপায়ও নেই। দ্বান্দিক বস্তুবাদ (Dialectical Materialism) -এ এই পদ্ধতির নাম - The negation of negation. এটা সমাজ পরিবর্তনের তিনটি মার্কসীয় মূলনীতির একটি। পরবর্তী লেখাগুলোতে এই কৌশলগত দিকটি লক্ষ্য রাখবে আশাকরি।
ধন্যবাদ ভাইয়া। এরপরের পর্বই এই ধারা মেনে চলে লেখার ইচ্ছে আছে আমার। তারপরও স্মরণ করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
রায়হান আবীর (৯৯-০৫),
আমি কোথাও লিখিনাই যে ধর্ম নিয়ে বারো বছর গবেষণা করে জাকির নায়েকের ফ্যান হয়েছি।
ক্রেডেনশিয়াল বর্ণনা করিনাই।কি বললাম, আর কি বুঝলেন!!! 🙁
আপনি যেমন আলোচ্য বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন, তেমনি আমিও করছি।আর আলোচ্য বিষয়ে কমেন্ট করেছি কিছুটা জানা আছে বলেই।
পূর্ববর্তী কমেন্টে আপনাকে একটুও হেয় করা হয়নি, অথচ আপনি কি reply করলেন~!
আমি ফ্যান হয়েছি সৃষ্টিকর্তার কোন জাকির ফাকিরের নয়। তাই আপনার নিজস্ব চিন্তাকে সাধুবাদ জানাই। আমি ৪০ এর ঘরে, সে হিসাবে আপনি অনেক young. চালিয়ে যান আপনার গবেষনা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, অন্তরের অন্তঃস্হলের উদ্দেশ্য ঠিক থাকলে সত্যের দেখা পাবেনই একদিন।
ভাল থাকুন।
আমিন।
দ্বিতীয় পর্বও খুব ভাল লাগল।
আসলে বিবর্তন আরও সমৃদ্ধ না হলেও ধর্মগ্রন্থে বর্ণীত ঘটনাকে আক্ষরিক অর্থে মেনে নেয়ার কোন উপায় নেই। কারণ পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রথম মানুষটিই আদম ক্যাটাগরির উন্নত এবং বুদ্ধিমান ছিল এর পক্ষে একটি প্রমাণও কেউ জোগাড় করতে পারেনি। আজ থেকে মাত্র ৩০-৪০ হাজার বছর আগেও মানুষ আদম ক্যাটাগরির প্রজ্ঞা অর্জন করতে পারেনি, এটা সুপ্রমাণিত।
আর মানুষ তো বিবর্তিত হচ্ছে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে।
হঠাত সামনে পেয়ে গেলাম। তাই শেয়ার করলাম। ডার্উইন কে নিয়ে আর একটু ভাবুন। http://www.ancientx.com/nm/anmviewer.asp?a=75&z=1
প্রত্যেকটা নিয়ে আলাদা আলাদা করে একটু গুগল করলেই হয়! নেট নাই। তাই দুইটা সম্পর্কে কই।
১। The Grooved Spheres- প্রি-ক্যাম্বব্রিয়ান যুগের এই পাথর এর ডিজাইন দেখে তুই সভ্যতা ছিল এমন উপসংহারে আসতে পারিস না। সভ্যতা থাকলে আরও অনেক চিহ্ন থাকতো। তাছাড়া কোন বুদ্ধিমান প্রাণী এইটা বানাইছে সেটাও ক্যামনে কস। প্রাকৃতিক ভাবেও এটা হতে পারে। যেমন ধর, জাপানের সাগর সৈকতে একধরণের কাকড়া পাওয়া যায়, যাদের পিঠে সামুরাই এর ছবি আঁকা থাকে। এইটা কিন্তু প্রাকৃতিক ভাবে হইছে। পুংখানুপুংখু কারণ ব্যাখ্যা করা আছে।
২। The Dropa Stones- হেল ইয়া!! এইটা তো বহুত পুরাইন্না ক্যাচাল। তোরে খালি কয়েকটা মজার তথ্য মারি।
ক। পাথরটা পাওয়া যায় ইন্টারনেটেই। বাস্তবে এই পাথরের অস্তিত্ব আছে কিনা কেউ শিউরিটি দিতে পারেনা। বলা হয়, Xi'an এর একটা জাদুঘরে এইটা রাখা আছে। তবে গোপন কক্ষে, কাউকে দেখতে দেওয়া হয় না। (তারমানে নাই, ভুয়া কথা)
খ। যদিও পাথরটা থাকে তাহলে এইটা এলিয়েন দের কোন জিনিস না। সাম পুওরলি ডিকোটেড মিথ অর সামথিং।
গ। যেই প্রসেফরের কথা বলা হইছে- এই নামে পিকিং ইউনিভার্সিটিতে কোন প্রফেসর ছিলনা। অন্তত রেকর্ডবুকে নেই। অবশ্য যেই প্রফেসর এলিয়েনদের রেকর্ড আবিষ্কার করেছেন তিনি নিজেই এলিয়েন হতে পারেন। সেক্ষেত্রে হয়তো নিজ গ্রহে ফিরে যাবার আগে সব রেকর্ড মুছে দিয়েছেন।
তোর দিনকাল কেমন কাটে। প্লেন টেন ঠিকমতো চালাইছ। সিএনজি এর পেছনে গুঁতা দিসনা ঘুমাইতে ঘুমাইতে।
প্রিয় রায়হান আবীর ভাই
আপনি যে তথ্য মানে ডারউইনের প্রধান তিনটি দাবির কথা বলেছেন তার মদ্ধে প্রথম টি ধর্মের সাথে খুব সাদৃশ্য পূর্ণ। কারন আল-কুরআন কখনই পৃথিবী সৃষ্টির সময়কাল নির্ধারন করে দেয়নি। আর বাইবেল এর ব্যাপারে, আমার জানামতে তা বিকৃত অবস্থায় আছে। সুতরাং আমি বাইবেল এর কোন উদ্ধৃতি মেনে নিতে পারিনা। এমনকি আল-কুরআন এও বলছে যে পৃথিবীতে মানুষ আসার আগে এতে আরো অনেক প্রাণির অস্তিত্ত ছিল।
ভাইয়া কোন ব্যাপারে মন্তব্য করতে হলে আগে সে সম্পর্কে ভালো করে জানতে হবে। কারন আপনি আর একটি ভুল করেছেন আর তা হল নুহের (আঃ) এর প্লাবনের কথা বলে। কোরান কোথাও বলেনি যে নুহের (আঃ) এর প্লাবন সারা পৃথিবী জুরে হয়েছে। সুতরাং দয়া করে ভালো ভাবে আগে কোরান পড়ুন তারপর তার ভুল ধরতে আসবেন।
আল্লাহ যদি চান আমি আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দেব ইনশা আল্লাহ।