লারা …

১ …

সেদিন ক্যাফের সামনে বসে বসে আড্ডা পিটাচ্ছি। কথায় কথায় একজন বললো, আমি ইদানিং খুব বই টই পড়তেছি, তারপর কেমন যেন বদলে টদলেও যাচ্ছি, মুখ দিয়ে খ্রাপ কথা বের হয় না তেমন একটা। আমি মিটিমিটি হাসি। সবগুলো সত্য না হলেও প্রথমটা মোটামুটি সত্যি।

কলেজে অনেক বই পড়েছি, কারণ বিনোদনের একমাত্র উৎস ছিল বই। প্রেপে গল্পের বই, একাডেমি টাইমে গল্পের বই, শুক্রুবারের অলস দুপুরে গল্পের বই। তারপর আইইউটিতে এসে পিসি সর্বস্ব জীবন গ্রহণ করার পর বই পড়ার অভ্যাস জলাঞ্জলি গেল তুরাগের জলে। ল্যানে মাল্টিপ্লেয়ার গেমস, ফাঁকে ফাঁকে ভালো কিংবা সামাজিক চলচ্চিত্র, প্রচুর পরিমানে ঘুম এই সব কিছুর মধ্যে আমার বই পড়ার অভ্যেসটা স্রোতের অনুকূলে ভেসে যেতে থাকলো অনেক অনেক দূরে।

দ্বিতীয় বর্ষের শেষদিকে যখন ব্লগ নামক এক জগতের সন্ধান পেলাম তখন বাংলা পড়ার অভ্যাস একেবারেই শেষ। তাই প্রথমদিকে আমার ব্লগ পড়া মানেই মন্তব্য করবো এই উদ্দেশ্যে লেখার উপর দিয়ে হালকা উড়ে যাওয়া। উড়ে যেতে যেতেই অভ্যাসটা ফিরে এলো আবার, বাংলা পড়ার অভ্যাস। কিন্তু তা শুধু ব্লগেই। আমি পুরোদস্তুর ব্লগ পাঠক হয়ে গেলাম, প্রিন্টেড বই হাতের কাছে তেমন একটা পাইনা, পেলেও পড়ার ধৈর্য্য থাকে না, শ’ শ’য়ে পাতা দেখে শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলি, একটা সময় ছিল যখন এক কি দুই দিনে তিন চারশ পাতা পড়ে ফেলতে পারতাম।

আমার খুব প্রিয় একজন ব্লগার আছেন। অসম্ভব সুন্দর গল্প লিখেন। মাঝখানে তিনি লাপাত্তা অনেকদিন। আগে প্রতিদিন একটা করে অসম্ভব ভালো গল্প লিখে ভাসিয়ে দিতেন সব কিছু এখন আর তিনি লিখেন না। ছয় মাস পর তার সাথে দেখা হলো, বললাম, এতোদিন কোথায় ছিলেন? জবাবে তিনি জানালেন, সব বাদ দিয়ে বই পড়েছেন। পৃথিবীতে এতো এতো ভালো বই আছে, এতো এতো ভালো লেখা আছে অথচ জীবনটা বড় ছোট্ট। তিনি এই জীবনটা বই পড়েই কাটিয়ে দিতে চান, যতটা সম্ভব।

গুরু টাইপ মানুষ। আমারও মনে হলো তাই তো। এই লোক কত বই পড়ে এই কথা বললেন, আর আমি তো ছানাপোনা, বলার মতো কিছুই পড়ি নাই। ঠিক করলাম আমিও আবার শুরু করবো। স্বপ্নবাজ মানুষ আমি, স্বপ্ন দেখেই ক্ষ্যামা দেই, স্বপ্নপূরণ কর্মে ঝাঁপাই না পারতপক্ষে। কিন্তু এইবার সিরিয়াস। বই মেলা থেকে কিছু বই কিনলাম। আড়াই হাজার টাকা দিয়ে মাস চালাতে হয়, সুতরাং বাক্সভর্তি বই কেনার সামর্থ্য নেই, তার অল্প কিছুতেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো।

২ …

স্যামের সাথে ঘুটাঘুটি চলছিল অনেক অনেকদিন ধরে। এই বাধা, এই সমস্যা, ব্লা ব্লা অনেক কিছু ফানুসের মতো উড়ে গেলো পঁচিশে ফেব্রুয়ারীর কারণে। দুঃখজনক, অনাকাংখিত তবুও এটাই বাস্তব।

তারপর আমাদের সতেই মার্চ দেখা হলো। মেয়েদের পকেট ভর্তি সবসময়ই টাকা থাকে বোধ হয়। ও আমাকে দুইটা বই কিনে দিলো। শাহাদুজ্জামানের ক্রাচের কর্ণেল, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের খোয়াবনামা। যদিও দুইটা বইই ও কিনেছিল কিন্তু আমি ওকে “খোয়াবনামা” উপহার দেওয়ার অভিনয় করলাম, আর ও আমাকে সত্যি সত্যি দিলো “ক্রাচের কর্নেল”।

আমার বাংলা হাতের লেখা খারাপ ছিল। কিন্তু কলেজে যাবার পর যাদের হাতের লেখা সুন্দর, আমি তাদের বিভিন্ন অক্ষর অনুকরণ করতাম, তারা কীভাবে মাত্রা দেয় দেখতাম। এমন করতে করতে একদিন আমার হাতের লেখা সুন্দর হয়ে গেলো। আমি মানুষের ভালো জিনিস বিনা দ্বিধায় গ্রহণ করতে পারি। স্যামের সাথে থাকার অন্যতম কারণ হলো এইটাই। দুই বছরের বেশি সময় ওর সাথে থেকে আমি দেখেছি আসলে ওর কাছ থেকে শেখার মতো অনেক অনেক কিছুই আছে। আমি খাদযুক্ত মানুষ, ওর সাথে থেকে থেকে ওর ভালো অভ্যাসগুলো রপ্ত করে বিশুদ্ধ হতে চাই।

আমাদের আড্ডার খুব প্রিয় একটা জায়গা বাউনিয়া। মাথার উপর দিয়ে প্লেন চলে যায় আর আমরা নানা বিষয় নিয়ে কথা বলি। ও কোনদিন সামান্যতম ময়লা যেখানে সেখানে ফেলেনি সেকথা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি দেশপ্রেমের কথা বলে মুখে ফেনা তুলেন- অথচ তার বাসায় স্যামরা যাবার পর আপ্যায়ন করা হলো পাকিস্তানি সেজান জুস দিয়ে। আর উপহার পাওয়া একটা জামার কাপড় যেটা পাকিস্তানী অফিসাররা দিয়েছিল বাংলাদেশ ভ্রমণে এসে সেটা ও কখনো পরে না, অনেক মজা তবুও লেয়স চিপস খায়না। এসব কথা কিংবা পারতোপক্ষে অকথার ভীড়ে আমাদের মাথার চুল উড়িয়ে প্লেন যেতে থাকে। এমন সময় ও বলে উঠে- ওর খুব ইচ্ছে লারা হবার।

৩ …

লারা আমার স্মৃতিতে ছিল হাজারটা খবরের ভীড়ে একটা ছোট্ট খবর হয়ে- একজন বাংলাদেশি মহিলা পাইলট, বিমান দূর্ঘটনায় যে মৃত্যুবরণ করেছিল। খবরটা যখন শুনি তখন সবকিছু ছাপিয়ে আমার মনে প্রশ্ন হয়েছিল, আচ্ছা মেয়েটার নাম লারা কেন?

এই প্রশ্নের উত্তর পাই পরের দিন। স্যাম আমাকে লারার মা, সেলিনা হোসেনের লেখা “লারা” বইটা দেবার পর। জানতে পারি ব্রায়ান লারা নয়, লারার নাম রাখা হয়েছে “ডক্টর জিভাগো” উপন্যাসের নায়িকা লারার নামে। উপন্যাসের লারা যেমন পড়াশোনায় রাতদিন খাটতে পারে, তেমন শারীরিক কাজেও ওর জুড়ি নেই। পরিশ্রম ওর কাছে সহজ ব্যাপার। লারার সব কিছুর মধ্যেই সুষমা আছে, নান্দনিক বৈশিষ্ট আছে। এটা লারা’র মতো মেয়ের পক্ষেই সম্ভব।

সেলিনা হোসেনের লারা কিংবা আমাদের সবার লারাও তাই। স্বল্প সময় নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিল সে। পড়াশোনা করেছে, সাংবাদিকতা করেছে, এইডস নিয়ে প্রান্তিক এলাকায় কাজ করেছে, দোভাষি হয়ে টাকা উপার্জন করে সে টাকায় পাইলট প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে।

নানা দেশ ঘুরে, নানা কাজ করে সে জীবনটাকে ভীষণভাবে উপভোগ করেছে। পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ যা করার স্বপ্ন দেখেই দিন কাটিয়ে দেয়, সে সেই স্বপ্নগুলো ধুমধাম বাস্তবায়িত করেছে। তাই এয়ার পারাবতের কর্মকর্তাদের অবহেলায় এই মেয়েটা মরে যাবার পরও আমার তেমন একটা দুঃখ লাগে না, কারণ আমি জানি সে “ডক্টর জিভাগো”র লারার চেয়ে কোন অংশে কম তো নয়ই বরঞ্চ আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য একটা হিংসা, একজন দেবী। আমরা তার তিনগুন সময় পেলেও কোনদিন তারমতো হতে পারবো না।

তাও ভালো উপন্যাসটা পড়া হলো, তা না হলে লারা’র মতো একজন আমার কাছে “কেন তার নাম একজন ক্রিকেট খেলোয়াড়ের নামে?” হয়েই বেঁচে থাকতো আজীবন। এখন আমি লারা কে চিনি, তার স্বপ্নগুলোকে অনুভব করতে পারি … লারা বেঁচে থাকুক, আমাদের কতো অসংখ্য পাঠকের হৃদয়ে। এতোটুকু জায়গা তো আমরা তাকে দিতেই পারি, তাই না …

৮৪ টি মন্তব্য : “লারা …”

  1. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    পাঁচ তারা দাগাইলাম। লেখাটা ভাল্লাগছে। সেই সাথে বইটা পড়ারও তাগিদ বোধ করছি। এই খানেই ব্লগটির সার্থকতা। তবে সেলিনা হোসেনের লারার মত একজন সংগ্রামীকে আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি - তিনি আমার মা। আমি বড়ই ভাগ্যবান।

    জবাব দিন
  2. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    লারা বইটা আমি কলেজ লাইব্রেরিতে পড়েছি।সন্তানের মৃত্যুরে গুম্রে ওঠা কান্না নিয়ে লেখা সেলিনা হোসেনের বই "লারা"।অবাক ব্যাপার,বইটা পড়লে কেন জানি কষ্ট ছাপিয়ে উৎসাহ পাই বারবার।

    সামি,লেখাটা ভাল হইছে। 🙂

    জবাব দিন
  3. আন্দালিব (৯৬-০২)

    "লারা" বইটা সম্ভবত আমার পড়া সেলিনা হোসেনের প্রথম বই। এর পরে একে একে হাঙর নদী গ্রেনেড, দ্বীপান্বিতা, মগ্ন চৈতন্যে শিস, কাঠ কয়লার ছবি ... (আমার মায়ের প্রিয় লেখক হওয়ায় সব বই-ই বাসায় আছে)। তবে "লারা"র মাঝে যে আবেগ এবং আবেগহীন বর্ণনা, নিজের সন্তানের জন্ম, বেড়ে ওঠা নিয়ে একই সাথে মমত্ব আর বিষাদ মিশিয়ে লেখা এমন বই আমি আর পড়িনি।
    আমার পড়তে বারবার চোখ ভিজে উঠেছে, তাঁর লিখতে গিয়ে কী পরিমাণ কষ্ট আর গর্ব হয়েছে কে জানে!!

    অনেকদিন পর বইটার কথা মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ রায়হান! :clap:

    জবাব দিন
  4. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    লেখাটা দারুন লাগল... লারা যে ফারিয়া হোসেনের মেয়ে আর তাকে নিয়ে যে বই লেখা হয়েছে এটা জেনেছিলাম এবিসি রেডিওতে ফারিয়া হোসেনের এক আড্ডায়... ওখানে লারার গল্প শোনার পর থেকেই বইটার প্রতি আগ্রহ জন্মেছে, জোগাড় করতে হবে।

    আমিও জ্ঞাত ভাবে কোন পাকিস্তানি জিনিষ ব্যবহার করিনা, এটা অবশ্য পুরোটাই আমার বাবার কৃতিত্ত্ব... বাসায় কখনো কোন পাকি জিনিষ ঢুকতে দিত না, ছোট বেলা থেকেই আমার মাঝেও জিনিষটা চলে এসেছে।

    অ.ট. বাউনিয়ার বর্ননা আগেও তোমার কোন ব্লগে যেন পড়েছিলাম... কখনো যাওয়া হয় নাই, এইবার ঢাকায় এসেই ......


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  5. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    এহসানের ঝাড়িতে দেখি কাম হইতেছে। পাব্লিক অসাধারন লেখা পোষ্টানো শুরু করছে।

    রায়হান, তোমার লেখার হাত তো দেখি সেইরকম, আউফাউ ("আজাইরা" আইজ ব্যান খাইছে 😀 ) জিনিস লেখ কেন?


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  6. আদনান (১৯৯৪-২০০০)

    সেলিনা হোসেনের লেখা আমার পড়া একমাত্র উপন্যাস । নিজের জীবনের ঘটনা উনি এত অদ্ভুত সুন্দরভাবে তুলে এনেছেন । লারা সম্ভবত ক্লাশ ইলেভেনে পড়েছিলাম । অনেকদিন মনে দাগ ছিল । আমি ভাবলাম রায়হান(সামি) বুঝি লারা বইয়ের রিভিউ লিখেছে, কিন্তু যা লিখল তাতে যারা পড়েননি নিঃসন্দেহে পড়ার উতসাহ পাবেন । সাবাস রায়হান(সামি) :))

    জবাব দিন
  7. জিহাদ (৯৯-০৫)

    আমি আসলে আগের কমেন্টটা করসিলাম শুধু ব্লগটার নাম পড়েই। 😛

    এখন পড়লাম। পড়ে মনে হইতেসে লেখক হিসেবে তোর অনেক প্রমোশন হইসে। 🙂

    তবে বেশ কয়েকটা বানান ভুল চোখে পড়লো। :no:


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  8. রাশেদ (৯৯-০৫)

    কিরে কি খবর 🙂
    স্যামের সাথে কেন ঘুরস এইটা নিয়া এত প্যাচানোর কি আছে 😛 সবাইতো সব জানে 😀

    জীবনে কতকত ভাল বই পড়া হইল না 🙁

    তোকে লেখা নিয়ে একদিন ইয়াহুতে একটা কথা বলছিলাম, মনে আছে :hatsoff:


    মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

    জবাব দিন
  9. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    'লারা' পড়া নাই। তাই বই নিয়ে কিছু বলতে পারছি না।
    তোর লেখায় মুগ্ধ, সেটাও নতুন কিছু নয়।

    খুশি হবো বইটা দু'দিনের জন্যে দিয়ে গেলে, বই কেনার জন্যে নিউমার্কেট বা বাংলাবাজার যাবার আলসেমি কাটছে না। আর ইদানীং সামসুল হক টুকু সাহেবের সু-নজর পড়েছে পান্থপথের উপর তাই লোডশেডিং কমেছে একটু তাই সিনেমাতে মজে আছি।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  10. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    লেখা খুব ভাল লাগছে। আমার বই পড়ার অভ্যাস কলেজে থাকতেই চলে গেসিলো। জীবনে বই পড়ছি মূলত তিন বছর - নাইন, টেন, ইলেভেন। এর আগে কোন বই পড়া হয় নাই। আর টুয়েলভে উঠার পর তেমন কোন বইই পড়া হয় নাই। কত কত বস বাংলা উপন্যাস আছে, কিন্তু পিসির কারণে সব মিস করতেছি। "লারা" পড়তে হবে।

    জবাব দিন
  11. মুসতাকীম (২০০২-২০০৮)

    লারা এর পিডিএফ ভার্সন এর লিঙ্ক দেন 😀 😀 😀 পরতে হবে 😀 😀


    "আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"

    জবাব দিন
  12. দিহান আহসান

    ভাইয়া পড়ে ভাল লেগেছে, কিন্তু বইটা আমার পড়া হইনাই।
    অনলাইনে কি বইটা আছে? মানে পড়া যাবে? আমাদের এইখানে বাংলা বই পাওয়া যায়না,
    এখন একমাত্র ভরসা অনলাইন অথবা কেম ভাইয়া। 🙂

    জবাব দিন
  13. অনেক আগেই পড়েছিলাম, কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি। আজ আবার পড়লাম। লেখাটা আসলেই দুর্দান্ত। চমৎকার লাগল পড়তে, আবারও।

    'লারা' বইটার নাম অনেক আগেই শুনেছি, বইটা সম্পর্কে জেনেছি, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কখনোই পড়া হয়ে ওঠেনি। তবে এইরকম একটা পোস্ট পড়ার পর ইচ্ছাটা এতই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, কে জানে হয়ত কোনো একদিন আবারও এই পোস্ট পড়ার পর বেরিয়ে পড়ব বইটা কেনার উদ্দেশ্যে, এরপর কিনে পড়ে ফেলব (এখন বেরুব না আলসেমির কারণে!)।

    সেলিনা হোসেন আমার প্রিয় লেখকদের একজন। তাঁর কিছু লেখা পড়েছি। পত্রিকায় কলাম পড়েছি। এমনকি লারার মৃত্যুর পর পত্রিকায় তাঁর লেখা পড়েছিলাম, এখনও মনে আছে। একজন মায়ের কাছে তাঁর সন্তানের মৃত্যু যে কতটা বেদনাদায়ক, তা কল্পনাতীত। তাই বইটা লিখতে পারার শক্তি ও মানসিক জোরের কারণে সেলিনা হোসেনকে আমি ভীষণ শ্রদ্ধা করি।

    এমন দারুণ লেখা আরো আসুক। পাঠক হিসেবে এইটুকু দাবি জানিয়ে গেলাম।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাহমুদ ফয়সাল (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।