“বেদনার রং নীল আর আর্জেন্টিনার জার্সির রং ও নীল”– তাই মাঝে মাঝে কাঁদায়

যে কোন দল সমর্থন করার পিছনে উপযুক্ত কারন থাকে,আমি তাই মাঝে মাঝেই মনে করার চেস্টা করতাম আসলে কি কারনে আমি আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করি।সবুজ হাউজের ক্যাডেট হয়ে নীল রঙের প্রতি আমার এই তীব্র দুর্বলতা সম্ভবত নিজে্রও মেনে নিতে কষ্ট হয়,তাই হয়ত। 😛 (কলেজে থাকা অবস্থায় ক্রিকেটে ইন্ডিয়া ও সাপোর্ট করছি – খামু গালি এখনই, যাই হোক এখন করি না)।
যাই হোক মুল বক্তব্যতে ফিরে আসি। ফুটবল বিশ্বকাপের সাথে আমার প্রথম পরিচয় ১৯৯৪ সালে। এর আগের ২ টি বিশ্বকাপ অর্থাৎ ১৯৮৬ তে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন আর ১৯৯০ এ রানার-আপ , এই কারনেই কিনা আশে পাশে যাই দেখতাম সব আর্জেন্টিনা সমর্থক। যতদূর মনে পরে আমাদের এলাকায় ওই বছর হাতে গোনা কয়েকটা ব্রাজিলের পতাকা উড়েছিল। তখনও আমাদের বাসায় টিভি ছিল না,পাশের বাসায় জেতাম টিভি দেখতে। আশে পাশের লোকজনের প্রভাবেই হোক আর যে বাসায় টিভি দেখতে জেতাম ওই বাসার প্রভাবেই হোক,৮ বছর বয়সি আমার মনে আর্জেন্টনা নামটি সিল্ড হয়ে গিয়েছিল আর ওই আকাশী নীলের প্রতি দুর্বলতাও, যা এখনো পর্জাপ্ত বিরাজমান।
তখনও খেলার এতো কিছু বুঝিনা,খালি নিজের টিম জিতলেই খুশি। গ্রুপে সেবারের প্রতিপক্ষ গ্রিস,নাইজেরিয়া আর বুলগেরিয়া,গোনার মধ্যে ধরছিল না কোন টিমকেই কেউই।কিন্তু মুসলিম দেশের প্রতি সহানুভূতির অংশ হিসেবে অনেকেই দেখলাম ডাক তুলেছে নাইজেরিয়ার পক্ষে। প্রথম ২ ম্যাচ ভালই গেল,গ্রিসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে আর নাইজেরিয়াকে ২-১ এ হারিয়ে। বাতিস্তুতা আর ক্যানিজিয়া নামে সবাই তখন পাগল আর ম্যারাডোনা তো উপরি পাওনা। এর মধ্যেই ঘটে গেল সেই ড্র্যাগ কাহিনী,শুনলাম গ্রুপের শেষ ম্যাচে খেলতে পারবে না ম্যারাডোনা। তাতে কি? যেই নাইজেরিয়াকে আমরা হারিয়েছি তারা তো এদের উড়িয়েই দিয়েছে ৩-০ গোলে। কাজেই ভয়ের কিছু নেই।কিন্তু ঘটনা ঘটে গেল, সেই প্রথম ২ ম্যাচের আর্জেন্টিনা যেন ম্যারাডোনার সাথে নিজেরাও বাড়ি গেল। বুলগেরিয়ার কাছে ২-০ গোলে পরাজয় আর্জেন্টিনাকে গ্রুপের ১ নাম্বার স্থান থেকে নামিয়ে নিলো গ্রুপের ৩ নাম্বারে।গ্রুপের ৩ নাম্বারে থাকা দলগুলোর মধ্যে সেরা ৪ টি দলের একটি হয়ে কোন রকমে ঠাই হয় শেষ ১৬ তে,কিন্তু রুমানিয়া’র কাছে ৩-২ গোলে পরাজয়ে খ্যান্ত হয় সেবারের বিশ্বকাপ।কিছুটা হলেও আবেগ ছুয়ে গিয়েছিল ওই ম্যাচে তবে সব চেয়ে বেশি খারাপ লেগেছিল বুলগেরিয়া ম্যাচের দিনে।ঠিক আগের দিনের ম্যারাডোনা খেলতে না পারার খবর আর পরের দিন বুলগেরিয়ার নিকট আত্মসমর্পণ। যাই হোক,সেই শুরু আমার আর্জেন্টিনা প্রীতি।বাতিস্তুতা,ক্যানিজিয়া,সিমিওনি তখনই মাথায় ঢুকে গেল আর ঢুকল ওই আকাশী নীল।
১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ ঠিক মত মনে করতে পারছি না,১৭ জুন ছিল কলেজে জয়েনিং। শুধু প্রথম ম্যাচ দেখেছিলাম আর্জেন্টিনার, জাপানের বিরুদ্ধে বাতিস্তুতার গোলে জয়। প্রচন্ড আশাবাদী ছিলাম ওইবার ও। কিন্তু কলেজে জয়েনের পরে আর কোন খবর মনে পরছে না,যা স্মৃতি আছে ওই বিশ্বকাপের তা সবই পরে জানা। ইংল্যান্ডের সাথে শেষ ১৬ এর সেই ঐতিহাসিক ম্যাচ এবং আবারো কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়া এর কোন কিছুই দেখার সৌভাগ্য হয়নি, শুধু শুনেছি আর মনে মনে আক্ষেপ করেছি পরবর্তি বিশ্বকাপের আশায়।
সব চেয়ে আয়োজন করে আর আশা নিয়ে বিশ্বকাপ দেখেছিলাম সম্ভবত ২০০২ এর টা। বিশ্বকাপ ছিল আমাদের এস এস সি ভ্যাকেশনের মধ্যে। বাছাই পর্বে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করে আর্জেন্টিনা সেবার বাছাইপর্ব পেরুলো।পুরো বাছাই পর্বে ১ টি মাত্র ম্যাচে পরাজয় সর্বমোট ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা, যেখানে ব্রাজিল কোন রকমে প্লে অফের চক্কর এড়িয়েছে ৩০ পয়েন্ট পেয়ে। স্বাভাবিক ভাবেই গলার জোড় গেল বেড়ে,এবার ঠ্যাকায় কে। ফর্মের তুঙ্গে তখন সব প্লেয়ার।বিয়েলসার অধিনে যেন হারতেই ভুলে গেছে, বাতিস্তুতা,ভেরন,ওর্তেগা,ক্রেসপো,সিমিওনি,আয়ালা আর উঠতি তারকা আইমার। কাকে রেখে কাকে আটকাবে।আশায় বুক বাঁধলাম, পরিক্ষা শেষে কলেজ থেকে ছুটিতে আসার আগের রাতে ক্লাসমেট সব আর্জেন্টাইন সাপোর্টার মিলে এক খানা পতাকা বানালাম আর ঝুলালাম জুনিয়র ব্লকের দিকে যাতে কমন রুম থেকে ডাইরেক্ট দেখা যায়।কলেজের বাকি ক্যাডেট তখন ছুটিতে। এতো আশা টিমকে নিয়ে, তাই আক্ষেপ লাগছিল যে কলেজে থেকে খেলা দেখতে পারলে কতই না ভালো হত?কিন্তু ওইবারই হলাম সব চাইতে বড় আশাহত আর মনে মনে ধন্যবাদ দিলাম যে কলেজে নাই,থাকলে আর বাচা লাগতো না।প্রথম ম্যাচ নাইজেরিয়ার সাথে জিতলেও ইংল্যান্ডের আগের বিশ্বকাপের প্রতিশোধমূলক জয় বেকহ্যামের পেনাল্টিতে,তাই সমীকরণ দাড়ালো শেষ ম্যাচে জিততেই হবে সুইডেন এর বিপক্ষে। নাইজেরিয়া ইংল্যান্ডের সাথে ড্র করলো আর সুইডেন ও ড্র করলো আর্জেন্টিনার সাথে।ফলাফল ১৯৩৪ সালের পর এই প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় আর্জেন্টিনার।এই দুঃখ রাখি কই?
২০০৬ বিশ্বকাপের সময় আছিলাম বিএমএ তে। অর্ধেক অর্ধেক টাইপ খেলা দেখা যাকে বলে।বাছাইপর্বে গোল গড়ে ব্রাজিলের পিছনে থেকে শেষ করলো আর্জেন্টিনা।গ্রুপে এবারে দেখা হচ্ছে ১৯৯৮ সালে বিদায় করিয়ে দেয়া নেদারল্যান্ড।কিন্তু বরাবরের মতই স্কোয়াড ভরসা জোগালো।নতুন তারকা সেভিওলা,মেসি,তেভেজ আর সাথে পরিক্ষিত মুখ রড্রিগেজ,ক্রেসপো, মিলিতো,রিকুয়েলমে,ক্যাম্বিয়াসো,মাসচারানো — আশায় বুক বাধা আরেকবার।হতাশ করেনি এবার অন্তত গ্রুপ পর্বে। আইভরি কোস্টকে ২-১ এ হারানোর পরে সার্বিয়াকে উড়িয়ে দিলো ৬-০ তে। বিশেষ করে এই ম্যাচের খেলা আশা জাগিয়েছিল অনেক। এখনো মনে আছে ওইদিন ছিল শুক্রবার, সিটি পাসে শহরে গিয়েছিলাম,হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল সন্ধ্যায়। এর মধ্যে চিটাগং এর জিইসি মোড়ে দাঁড়িয়ে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখছিলাম।মন ভাল করেই ফিরেছিলাম বিএমএ তে। এরপরে গ্রুপের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডের সাথে ড্র করে নিশ্চিন্তে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শেষ ১৬তে। প্রতিপক্ষ এবার মেক্সিকো। এই প্রথম মনে হল যে কিছুটা প্রতিরোধের মুখে পরলো আর্জেন্টিনা।কিন্তু রাফায়েল মারকুয়েজের করা সেই গোল আগে হজম করলেও ঠিকই শেষ পর্জন্ত ম্যাচ জিতে যায় ২-১ গোলে এবং কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখে এবার প্রতিপক্ষ জার্মানী।আগে গোল করেও ৮০ মিনিটে গোল হজম এবং পুরো ম্যাচ ভালো খেলেও পেনাল্টি শুট আউটে গিয়ে আবারো আর্জেন্টাইন সমর্থকদের কান্নার উপলক্ষ করে দিলেন তারা ২ টি শট মিস করে।
প্রতিবার বাছাই পর্বে আশার আলো ছুটালেও ২০১০ ছিল ব্যাতিক্রম।এক পর্জায়ে আদৌ বাছাই পর্ব উৎরাতে পারবে কিনা এই শঙ্কা নিয়ে কোন মতে বিশ্বকাপের টিকিট পায় এবার।১৮ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৮ টি জয় কাজেই এবার আশা বোধহয় একটু কমই ছিল। গ্রুপিং টাও ভাল হয়ে গেল যেন কিভাবে।আর্জেন্টিনার বেশিরভাগ সময়ের গ্রুপ সঙ্গী নাইজেরিয়া এবারো পড়লো একই গ্রুপে সাথে দক্ষিন কোরিয়া আর গ্রিস।পরিস্কার ব্যাবধানেই ৩ ম্যাচ জিতে শেষ ১৬তে যখন নাম লিখালো আর্জেন্টিনা তখন আবার আশায় বুক বাধা শুরু হল।সব প্লেয়ারদের ছন্দে দেখে আশা করা অমুলক ও ছিল না যার প্রতিদান হিসেবে ২০০৬ সালের মত এবারো শেষ ১৬ এর প্রতিপক্ষ হিসেবে পাওয়া মেক্সিকোকে এম রকম দাড়াতেই দিলো না আর্জেন্টিনা। ৩-১ গোলের পরিস্কার ব্যাবধানের জয় নিয়ে লক্ষ্য কোয়ার্টার ফাইনাল যেখানে আর্জেন্টিনার জন্য অপেক্ষা করছে আবারো সেই ২০০৬ সালের মত জার্মানী।গত বিশ্বকাপের স্বপ্নভঙ্গ করে দেয়া জার্মানী কে সামনে পেয়ে ছন্দে থাকা আর্জেন্টিনার সমর্থক সবাই তখন আশায় এক প্রতিশোধের , কিন্তু আর্জেন্টিনা এবারো হতাশ করে দিলো সবাইকে। কিন্তু এবার শুধু হতাশ নয় ভেঙ্গে চুড়ে দিলো সবাইকে, জার্মানীর কাছে ৪-০ গোলের লজ্জাজনক এক বিদায়।মনের দুঃখে ১ দিন রুম থেকেই বের হইনি ম্যাচের পরে।
সময়ের পরিক্রমায় আরেকটি বিশ্বকাপ সামনে।আবারো আশায় বুক বাধা কারন এবারো বাছাই পর্বে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করেছে দল। দলে রয়েছে দারুন কিছু খেলোয়ার। আশা করতে দোষ কোথায়।কিন্তু বরাবরের মত এবারো হতাশ করলে আসলেই মোটেই অবাক হব না।
বেদনার রঙ নীল আর আর্জেন্টিনার জার্সির রঙ ও নীল।তাই বোধহয় সাপোর্টারদের হালকা বেদনা দিতে মজা পায় তারা,ব্যাপার না।
তবে মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি বোধহয় আর্জেন্টিনা দলের এক কুফা সমর্থক। যেই থেকে সাপোর্ট করা শুরু করছি সেই থেকে দুর্দশা শুরু। আসলেই কি তাই????
যাহ্‌, এবার আমি বসনিয়া’র সাপোর্টার। দেখি এবার কাপ নিতে পারে কিনা!!!!
নইলে ওই যুক্তি তো আছেই, বেদনার রঙ নীল আর আর্জেন্টিনার জার্সির রঙ ও নীল!

২৩ টি মন্তব্য : ““বেদনার রং নীল আর আর্জেন্টিনার জার্সির রং ও নীল”– তাই মাঝে মাঝে কাঁদায়”

  1. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    :clap: :clap: :clap:
    একজন একনিষ্ঠ সমর্থকের স্মৃতিচারণ পড়তে বেশ লাগলো।
    '৯০ এর দ্বিতীয় পর্বে ব্রাজিলের সঙ্গে খেলায় ক্যানিজিয়ার উদ্দেশ্যে করা কিলার পাসটা আমার হৃদয় ভেঙে খানখান করে দিয়েছিলো। ব্রাজিলের দুর্ভেদ্য প্রতিরক্ষা চুরমার করে দিয়ে কি একটা গোলই না বানিয়েছিলো ম্যারাডোনা! ভোলা সম্ভব না।

    জবাব দিন
    • রায়হান (১৯৯৮-২০০৪)

      ৯০ দেখি নাই ভাই
      এর পর থাইকা প্রতিরক্ষা চুরমার না হলেও আমার মন খানা চুরমার করেই যাচ্ছে তারা


      একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার,সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার

      জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      ইট ওয়াজ সিমপ্লি আ ক্লাস এক্ট।
      আমি এখনো মনে করি ম্যারাডোনা ঐসব বিতর্কিত স্ট্রাটেজি না নিয়ে যদি তার স্কিল বেইজড স্ট্রেটেজি নিত, ফুটবলার হিসাবে সবসময়ের জন্য সবার ধরা ছোয়ার বাইরে থাকা একজনে পরিনত হতে পারতো।
      এখনো অনেক ক্ষেত্রেই আছে, কিন্তু তারপরেও তো তাঁকে যে মাঝে মাঝে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়, এটা হতো না।
      ব্রাডম্যান যেমন সকল তুলনা, আলোচনার উর্ধে ওঠা একজন খেলোয়ার, ম্যারাডোনাও সেরকম হতে পারতো।


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
      • রায়হান (১৯৯৮-২০০৪)

        ভাই,আমাদের সমস্যা হল আমরা আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করলে ব্রাজিল দেখতে পারি না,আবার ব্রাজিল সাপোর্ট করলে আর্জেন্টিনা দেখতে পারি না
        পেলে,ম্যারাডোনা বিতর্ক যেমন থামে, একই সাথে এদের নামে গালিও থামে না
        তবে অবশ্যই ম্যারাডোনা ব্যাক্তিগত জীবনের ওই ছোটখাটো ভুলগুলো থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারলে আসলেই একজন লিভিং লিজেন্ড হয়ে থাকত সন্দেহ ছাড়া


        একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার,সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার

        জবাব দিন
    • জিহাদ (৯৯-০৫)

      আহ নুপুর দা, কী লিংকটাই না দিলেন! ৯০ এ আমার বয়স ছিলো চারবছর। খেলার কোন স্মৃতিই মনে নাই। আবছা আবছা শুধু মনে আছে কোন কিছু না বুঝেই আব্বার সাথে রাত জেগে খেলা দেখতাম। অনেকদিন পর সেই কথা মনে পড়ে গেল। 🙂


      সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

      জবাব দিন
  2. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    আমার পরিচিত সবাইকে এবার বসনিয়ার ব্যাপারে বলেছি। কেন জানি মনে হচ্ছে ওরা অঘটন ঘটাবে। আমার হোয়াট হর্স ব্রাজিল আর ডার্ক হর্স বসনিয়া... 😀


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  3. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    দারুন লিখেছো রায়হান :thumbup:

    তবে আর্জেন্টিনার সাথে আমার সম্পর্কটা একটু ভিন্ন। ওরা আমার বিনোদনের জোগানদার, সেই 90 এর ফাইনাল থেকে শুরু :grr:

    তবে এবার মেসি সাফল্য পেলে খারাপ লাগবে না।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • রায়হান (১৯৯৮-২০০৪)

      আর্জেন্টিনা পুরাই ফুটবলের সাউথ আফ্রিকা
      চোকিংকে আসলেই এরা বিনোদনের পর্জায়ে নিয়ে গ্যাছে
      তবে আমার কেন যেন মনে হয় এবার মেসি ততটা সফল হয়ত হবে না যতটা সবাই আশা করছে
      ডি মারিয়া বাজিমাৎ করবে বলে মনে হয়
      এবার যে এটাকিং ফোর্স খালি ডিফেন্সটা একটু সামলাতে পারলে ভাল রেজাল্ট করার কথা,এবং এখন পর্জন্ত ওয়ার্ম আপ ম্যাচ গুলোতে ডিফেন্স ভালই সার্ভিস দিসে,বাকিটা দেখা যাক
      কিন্তু সমস্যা হইলো এরা হটাত কইরা জাস্ট টাইলে ফ্ল্যাপ্স করে ------- আবারো চোকিং করলেও অবাক হব না


      একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার,সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার

      জবাব দিন
  4. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    লীগের খেলা দেখা হয় নাই। সেদিন বার্সেলোনার রোনালদিনহো আর মেসির গোলগুলার একটা সামারি ভিডিও দেখলাম। অনভিজ্ঞ ফুটবল দর্শক হিসাবে‍ যেটা মনে হইলো মেসির খেলা অনেকটা কদর্য (হয়তো তাকে চার্জ করা হয় বেশী দেখে বা আরো হাজারটা কারণ থাকতে পারে। তারচেয়ে বড় কথা কোনটা কদর্য আর কোনটা নান্দনিক এটা একটা এ্যাসথেটিক প্রশ্ন) কিন্তু মেসির খেলা দেখে একটা বিষয় পরিষ্কার ছিল, জায়গা থাকুক আর না থাকুক মেসি গোলপোস্ট বরাবর বলে কিক নিবেই এবং সেটা বেশীর ভাগ সময়ই জালে জড়াবে এবং জালে জড়ানোর আগ পর্যন্ত কোন ক্যামেরা এ্যাঙ্গেল থেকে দেখে বোঝার উপায় নাই যে এটা জালে জড়ানো সম্ভব। আজব এক স্ট্রাইকার।


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মোকাব্বির (১৯৯৮-২০০৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।