ইউ এন মিশনঃ কিছু অজানা তথ্য এবং অর্থহীন প্রলাপ

লেখালেখিতে বরাবরই খুব দুর্বল। তবুও খুব ইচ্ছা ছিল বিষয়টি নিয়ে লেখার। কিন্তু দুর্বল লেখকদের যা হয় আর কি, গুছিয়েই উঠতে পারছি না কিভাবে শুরু করবো। সে যাই হোক প্রথমেই বলে নেই বিষয়টি নিয়ে আমার লিখতে শুরু করার কারন। মিশনে ইতিমধ্যেই ৯ মাস পার করেছি এবং প্রায়শই বেশ কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হই। যার বেশির ভাগেরই মূল বক্তব্য হচ্ছে যে , মিশনে আমরা কি আর এমন কাজ করি? মিশনে আমাদের পাঠিয়ে দেশের সরকার আমাদের অনেক বড় উপকার করেছে কিন্তু দেশের তো কোনই লাভ হচ্ছে না ইত্যাদি ইত্যাদি।

আসলে আমরা অনেক সময় ই অনেক মন্তব্য করে ফেলি মূল বিষয় না জেনেই। আমিও তাই কেউ এই ধরনের মন্তব্য করলে কিছু মনে করি না। ধরেই নেই উনি না জেনেই বলেছেন। তাই ইচ্ছা হল যে এই বিষয়ে কিছু তথ্য দিয়ে একটা লেখা দেই যাতে যাদের ব্যাপারগুলো জানা নেই তারা জানুক এবং সমালোচনা করলে গঠনমূলক সমালোচনা করুক।

বর্তমানে বাংলাদেশ পুরো পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেনা প্রেরণকারী দেশ। যে কারনে ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্রতিদ্বন্দ্বী ও আমরা পেয়ে গিয়েছি যাদের প্রধান লক্ষ এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সেনা সংখ্যা কমিয়ে তাদের দেশের সংখ্যা বাড়ানো যার মধ্যে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো অন্যতম। ইতিমধ্যে তারা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সফল ও হয়েছে। এবারে আশা যাক দেশ আমাদের জন্য কি কি উপকার করেছে তার বর্ণনায়। মিশন সম্পর্কে সাধারন অনেকেরই ধারনা যে মিশন করলে খুব সম্ভবত এক জন ৫০-৬০ লাখ টাকা পায়। তাদের জন্য জানাচ্ছি যে বিভিন্ন পদবি ভেদে এই পরিমান পুরো বছরে সর্বমোট ১২ লাখ থেকে ২৮ লাখ(আনুমানিক)। হ্যা অনেকেই বলবেন যে এটা কি কম? অবশ্যই না। এটা অনেক বেশি এবং এটা অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক উপকারি, এটা স্বীকার করতে কোন দ্বিধা নেই। তবে একটা ব্যাপার এখানে বলে রাখি পুরো ইউ এন এর মধ্যে আমাদের সামরিক সদস্যদের ই বেতন সব চেয়ে কম, বেসামরিকরা আরও বেশি বেতন পায়। সে হিসেবে যাব না , তবে অবশ্যই মিশন আমাদের জন্য অনেক উপকারি অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায়।

এখন আসি আদৌ আমাদের পাঠিয়ে দেশের কি কোন লাভ হচ্ছে??? নাকি শুধু আমাদের লাভ দেয়ার জন্য মিশনে সেনা পাঠানো হচ্ছে। উপরের অনুচ্ছেদে যা লিখেছে ওই অংশটুকু সবাই জানে এবং সবার সকল মন্তব্য ওই জায়গায় ই সীমাবদ্ধ। এবারে বলছি এই সেনা প্রেরনের মাধ্যমে দেশ কি পাচ্ছে।  মিশন এলাকায় কোন দেশ সৈনিক প্রেরন করলে তারা কিভাবে থাকবে তার ২ ধরনের নিয়ম আছে। Wet Lease System এবং Dry Lease System।

Dry Lease System অনুযায়ী সৈনিকদের থাকা খাওয়া থেকে শুরু করে সকল সুযোগ সুবিধাদি ইউ এন সরবারহ করবে।কিন্তু Wet Lease System অনুযায়ী ইউ এন শুধু সৈনিকদের থাকা এবং খাওয়ার বাবস্থা করবে আর সংশ্লিষ্ট দেশ বাকি সকল সুযোগ সুবিধাদি সরবারহ করবে যার বিপরীতে ইউ এন ওই দেশকে Re-Imbursement সোজা বাংলায় বললে “ভাড়া” দেবে সকল কিছুর জন্য। উপরোক্ত টাকা পাওয়ার জন্য আমাদের দেশ সকল মিশনে Wet  Lease System নিয়ে থাকে। যার ফলে দেশের সরকার থাকা এবং খাওয়া বাদে বাকি সব কিছুর বাবস্থা করে এবং এর বিনিময়ে টাকা পায়।

এই টাকা মুলত ৩ টি খাতে সরকার পেয়ে থাকে।

১। ব্যাক্তিগতঃ এই খাতে প্রতি জনবলের জন্য নির্দিষ্ট হারে মাসিক অর্থ পায়।

২। Major Equipment: এই খাতে বিভিন্ন Major Equipment  যেমন গাড়ি, এ পি সি , জেনারেটর , Ablution Facility , রায়োট কন্ট্রোল দ্রব্য সামগ্রী ইত্যাদি সচল অবস্থায় থাকার জন্য অর্থ পায়।

৩।Self-Sustainment: এই খাতে একটি ইউনিট সয়ং সম্পূর্ণ থাকার জন্য যা যা দরকার যেমন আসবাবপত্র, বেডিং, ক্যাটারিং সামগ্রী, লন্ড্রি সুবিধা, ফায়ার ফাইটিং সুবিধা , ইন্টারনেট , যোগাযোগ বাবস্থা , পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা , Minor Repair/Minor Engineering ইত্যাদি।

এখন আমি বিভিন্ন খাতে একটি ব্যাটালিয়ন(জনবল=৭৫০) এক বছরে কত টাকা পায় তার একটি হিসাব দিচ্ছি। এরকম ছোট বড় মিলিয়ে বিভিন্ন দেশে বর্তমানে ১৫-১৬ টি ব্যাটালিয়ন কর্মরত রয়েছে। কোন কোন ব্যাটালিয়ন নিম্নোক্ত হিসাবের চেয়েও বেশি টাকা পায়।তবে এখানে একটি Standard হিসাব দেখানো হয়েছে।

ব্যাক্তিগতঃ

এই খাতে ৭৫০ জনের জন্য প্রতিমাসে সরকার পায় = ৮,৪৮,৪৭৫ USD

সে হিসেবে ৭৫০ জনের জন্য ১ বছরে পায় = ১২ X ৮,৪৮,৪৭৫=১,০১,৮১,৭০০ USD

Major Equipment:

এই খাতে বিভিন্ন Major Equipment যেমন গাড়ি,জেনারেটর,অস্ত্র, এ পি সি, রায়ট কন্ট্রোল দ্রব্যাদি ইত্যাদি বিভিন্ন Equipment  মিলে প্রতিমাসে সরকার পায়=৩,১০,০৯৭.৬১ USD

সে হিসেবে বছরে সরকার পায়= ৩৭,২১,১৭১.৩২ USD

Self-Sustainment:

এই খাতে সরকার ৭৫০ জনের ইউনিট কে বিভিন্ন বিষয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকার বিনিময়ে উপরে উল্লেখিত বিভিন্ন খাতে সর্বমোট হিসেবে মাসিক যে পরিমান অর্থ প্রদান করে তার পরিমান = ২,৪০,৫২৬.৩৮ USD

সে হিসেবে বাৎসরিক প্রাপ্তি = ২৮,৮৬,৩১৬.৫৬ USD

(সুত্রঃ Memorandum of Understanding Between United Nations and  Government of Bangladesh এবং COE Manual 2011 Edition)

বি. দ্র.: উপরোক্ত হিসাব সমুহ বিস্তারিত দেয়া হয় নি। ৩ খাতে থেকে প্রাপ্ত সর্বমোট পরিমান দেখানো হয়েছে।বিস্তারিত হিসাব জানার কারো আগ্রহ থাকলে জানানো যেতে পারে।

উপরোক্ত ৩ খাত যোগ করলে ১ বছরে শুধু ১ টি ব্যাটালিয়ন থেকে সরকারের সর্বমোট আয় হচ্ছে = ১,০১,৮১,৭০০.০০+৩৭,২১,১৭১.৩২+২৮,৮৬,৩১৬.৫৬= ১,৬৭,৮৯,১৮৭.৮৮ USD

১ USD = ৮১.০০ টাকা হিসেবে হিসাব করলে সর্বমোট প্রাপ্তি দাড়ায় = ১,৬৭,৮৯,১৮৭.৮৮ X ৮১.০০= ১৩৫,৯৯,২৪,২১৮.২৮ টাকা( একশত পঁয়ত্রিশ কোটি নিরানব্বই লাখ চব্বিশ হাজার দুই শত আঠারো টাকা)

এটি শুধু একটি ব্যাটালিয়ন থেকে সরকারের আয়।আর এই অর্থ পুরটাই জমা হয় বাংলাদেশ ব্যাঙ্কে সরাসরি।এর উপরে সেনাবাহিনীর কোনই হাত নেই। এখন হিসাব করে দেখুন প্রতি বছর এই ১৫-১৬ টি ব্যাটালিয়ন পাঠিয়ে আদৌ সরকারের কি কোন লাভ হচ্ছে???

আর এই অর্থ সমুহের সঠিক প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য ইউ এন পরিদর্শন দল প্রতিমাসে আসে এটা নিশ্চিত করতে যে , তারা আমাদের যে যে খাতে অর্থ দিচ্ছে তা সম্পূর্ণ সচল এবং কার্যকর। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তৃতীয় বিশের একটি দেশ হিসেবে ইউ এন এর সামনে আমরা যা উপস্থাপন করি তা উপযুক্ত প্রমান করতে আমাদের অনেক হিমশিম খেতে হয়। তবুও আপ্রান চেষ্টা করে যাই যাতে কোন ভাবেই তারা কোন খাতে অর্থ কর্তন না করে, কারন তারা তাদের পরিদর্শনে যে জিনিস কে উপযুক্ত মনে না করবেন ওই জিনিস এর বিনিময়ে টাকা পাওয়া যাবে না। আর তারা এ বিষয়ে ১০০% সঠিক এবং নিশ্চিত না হলে ওই জিনিস কে উপযুক্ত ঘোষণা করেন না। তাই আপাত পক্ষে এই পরিদর্শন দলকে সামলানো হয়ে পড়ে এই বিরাট যুদ্ধ। কারন আমরা তাদের যে ভাবেই হোক প্রমান করার চেষ্টা করি যে এই জিনিস ঠিক আছে এবং এটা দিয়ে আমরা ঠিক ভাবে কাজ করতে পারব কোন সমস্যা হবে না(যদিও সমস্যার কোন শেষ নাই)। এ প্রসঙ্গ কিছুদিন আগে এই পরিদর্শন দলের প্রধান COE Chief Mr.Francis Babtunde বললেন, “ I find Bangladesh troops are the most patriotic nation.The way they try to prove the things in front of us to declare those as fully operational I never found it in any other contingent”

(উপরের ছবিটা দিলাম পরিদর্শন দলের পরিদর্শনের নমুনা বোঝানোর জন্ন।তারা এমনকি টয়লেট এর ভিতরে কমোড এবং ফ্ল্যাশ পর্যন্ত চেক করে দ্যাখে যে ঠিক আছে কিনা। এই ছবিটাই একটি টয়লেট এর ভিতরে তোলা যেখানে তিনি কমোড এবং ফ্ল্যাশ চেক করছেন)

(পরিদর্শন দল কোন জিনিস কার্যোপযোগী নয় হিসেবে ঘোষণা করার পর তাকে Motivate করার আপ্রান প্রচেষ্টা)

 

 

 

 

 

 

 

 

(পরিদর্শন দল কর্তৃক গাড়ি এবং জেনারাটর এর কর্মক্ষমতা পরিক্ষা।এতে পাস না করলে ভাড়া বন্ধ!!!)

মিশনে কতটা জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করতে হয় এটা আমার মনে হয় অনেকেই জানেন। তবে উপরের বিষয়টি হয়ত অনেকের ই অজানা ছিল। আমার এ লেখাটি পড়ে অনেকে অনেকে নেতিবাচক ধারনা ও হয়ত নিতে পারেন যে নিজেদের সাফাই গাওয়ার জন্য লিখেছি। আসলে অনেকটা অভিমান থেকেই এই লেখাটা দিলাম। জীবনের ঝুকি নিয়ে পরিবার পরিজন ছেড়ে দূর দেশে আছি , এটা যথেষ্টই মানসিক ব্যাথার  কারন। তবুও দেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখার জন্য ভালো ভাবে কাজ করার পাশাপাশি একই সাথে দেশের জন্য এই অর্থ সংস্থানে যেন কোন সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে প্রতিটি সেনা সদস্য থাকে সদা তৎপর। এতো কিছুর পরে ও  আসলে কোন নেতিবাচক মন্তব্য শুনলে একটু কষ্ট লাগাটা কি স্বাভাবিক না?? আমরা তো এই আপনাদের ই একজন। অন্য দেশের লোকজনের  কাছ থেকে শত প্রশংসা শুনলেও আপন লোকেরা যদি নেতিবাচক মন্তব্য করে তা আরও অনেক বেশি কষ্ট দেয়। প্রশংসা না করুন অন্তত নেতিবাচক মন্তব্যগুলো করে আমাদের কষ্ট দেবেন না প্লিজ।

 

…………রায়হান সোবহান

 

৮,৭৩৫ বার দেখা হয়েছে

৪২ টি মন্তব্য : “ইউ এন মিশনঃ কিছু অজানা তথ্য এবং অর্থহীন প্রলাপ”

  1. সাব্বির (৯৫-০১)

    ভাল হয়েছে।
    সরকারের লাভের পরিমান টা আগে জানা ছিল না।
    মিশনে তোমাদের কি কি করতে হয়, জীবনের ঝুকি কেমন, পিটি-প্যারেড করা লাগে কিনা- এই সব নিয়ে একটা পোষ্ট দিও।
    ইউ এন মিশনঃ সেকেন্ড পার্ট।

    জবাব দিন
    • রায়হান (১৯৯৮-২০০৪)

      ধন্যবাদ ভাই.........
      বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বলে কথা...পিটি গেমস না করলে কি চলে????
      সকল অপারেশনাল কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি এখানে নিয়মিত পিটি এবং গেমস ছাড়াও সকল প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড চলে
      আর জীবনের ঝুঁকি......... এটা আসলে কাম্পের বাইরে গেলেই থাকে,আলাদা ভাবে আসলে বলার কিছুই নেই...... প্রতি মুহূর্তেই এক অজানা আশঙ্কা.........
      দেখি ভাই চেষ্টা করবো ওই সম্পর্কে লেখার.........


      একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার,সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার

      জবাব দিন
  2. মাহমুদ (১৯৯৮-২০০৪)

    দোস্ত,মিশনে ডিফেন্সের একেকজন সদস্য হল সরকারের একেকটা ইনভেস্টমেন্ট কারন একেকজন সদস্যকে যে টাকা দেয়া হয়,সরকার পায় মাথাপিছু তার তিনগুন(প্রায়) ,কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি।সবাই মিশনের একটা দিক দেখে,অপর পিঠটা দেখতে পায় না।যাই হোক,টাকা যতই দিক-কাউকে(যারা ভাবেন মিশন মানেই আরাম আর কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা) যদি অফার করা হয় যে, এক বছরে ১৫-২০ লাখ টাকা দেয়া হবে কিন্তু এমন এক স্থানে থাকতে হবে,যেখানে প্রতি দিন থাকবে মৃত্যুর ঝুঁকি,প্রায়ই আশে পাশে শোনা যাবে বিদ্রোহীদের গুলির আওয়াজ,সব সময় পাওয়া যাবে না খাবার/রেশনের নিশ্চয়তা,সব সময়/ক্যাম্প থেকে বের হলে পড়তে হবে ভারী বুলেট প্রুফ জ্যাকেট আর হেলমেট, সব সময় থাকবে আফ্রিকান ম্যালেরিয়া/ডেংগু ইত্যাদি বিভিন্ন রোগের আশংকা ইত্যাদি ইত্যাদি,তাহলে কত জন যে মিশনের জন্য লাইনে দাঁড়াবে,দেখা যাবে!

    জবাব দিন
    • রায়হান (১৯৯৮-২০০৪)

      বন্ধু
      এই ব্যাপার গুলো তুই বুঝতে পেরেছিস কিন্তু মিশনে এসেই...... সত্যি কথা বলতে মিশনে আসার আগে আমিও এতো কিছু জানতাম না...... সরকারের এই ইনভেস্টমেন্ট সম্পর্কে সবাই আসলে জানেও না...
      আর মিশন সম্পর্কে আসলে লোকজন অনেকেই অনেক কিছু জানে না...... এটাই মূল কারন এসব মন্তব্যের......... জানলে আমার মনে হয় না কেউ বলবে যে মিশনে আরাম.........

      তবে তুই যে পয়েন্ট গুলা বলেছিস...... ব্যাপার সত্য......... এইগুলা সব বললে তুই হাতে গোনা লোক পাবি মিশনে আসার জন্য.........

      তবে এখানে উপরে মন্তব্য করেছে মোবাসসির...... ও JCC র এক্স ক্যাডেট...... ও আমাদের সাথে দোভাষী হিসেবে এসেছে...... কাজেই বুয়েট পাস করে এখানে দোভাষী হিসেবে ক্যামন লাগছে ও বললেই তোর মন্তব্য গুলোর আরও ভালো Explanation পাওয়া যাবে আসলে.........

      তবে এতো কিছুর পরেও কোন কষ্ট থাকতো না, যদি দেশের মানুষ আমাদের আই কষ্ট গুলোকে একটু কষ্ট মনে করত


      একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার,সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার

      জবাব দিন
  3. মাহমুদ (১৯৯৮-২০০৪)

    তোমার তো হালা অনেক মোরাল আছে,আমি তো কংগোতে :-B
    এনি ওয়ে, এক্স জেসিসি'র না হয়ে পিসিসির কাউকে পাইলে আশা করি তোর বাকি সময়টা ভাল যাবে :khekz: :khekz: :khekz:

    জবাব দিন
  4. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    একটা কমেন্ট করলাম টর প্রথম প্যারা পইড়াই। কিন্তু উধাও হয়ে গেলো।

    মিশনে আমরা কি আর এমন কাজ করি? মিশনে আমাদের পাঠিয়ে দেশের সরকার আমাদের অনেক বড় উপকার করেছে কিন্তু দেশের তো কোনই লাভ হচ্ছে না ইত্যাদি ইত্যাদি

    আবার যদি কখনো কেউ তোকে এই প্রশ্ন করে আর যদি সে ক্যাডেট হয় তবে কি করতে হবে বলছি

    বা হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি আর তর্জনী দিয়ে একটা বৃত্ত বানাবি, এরপর ডানহাতের তর্জনী বা হাতের বৃত্তের মধ্যে কয়েকবার আনা নেয়া করবি। এরপর তাকে বলবি ক্যাডেট কলেজে কি চু--তে ভর্তি হইছিলা!

    আমি নিজে প্রফেশন হিসাবে আর্মড ফোর্সকে পছন্দ করি না বা তাদের অনেক সমালোচনা করি। কিন্তু কেউ আর্মড ফোর্স নিয়া আজাইরা প্যাচাল পাড়বে এইটাও মানতে পারি না।
    যাই এখন পুরা লেখা পড়ি।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  5. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    তবে যে জিনিসটা কর্মক্ষম নয় তা চালানোর চেষ্টা কে মেনে নিতে পারলাম না।
    আগেও আহসান ভাই (১১, বিসিসি) এরকম কথা বলেছেন।
    আর যেহেতু বলা হচ্ছে আশেপাশের দেশ আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে সেহেতু এরকম তথ্য প্রকাশ করার দরকার আছে কি!
    এই তথ্যটি বাদ দিয়েও তো আর্মড ফোর্সের অবদানের কথা লেখা যায়।
    আর যেহেতু কখনো-সখনো আমাদের সেনারা সম্মুখ সমরেও জড়িয়ে পড়ছে সেখানে সমস্যাবহুল যন্তরপাতি দিয়ে এদের পাঠানো কি ঠিক হচ্ছে?


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
    • রায়হান (১৯৯৮-২০০৪)

      ভাই
      আশে পাশের দেশের মূল উদ্দেশ্য আসলে আমাদের সেনা সংখ্যা কমিয়ে তাদের সেনা সংখ্যা বাড়ানো
      এখানে অন্য কোন কিছুই নেই

      আর যা কর্মক্ষম নয় তা চালানো...... এটা না করে উপায় নেই
      সরকারের যখন টাকা বন্ধ হয়ে যাবে তখন এর উত্তর কেউ দেবে না যে ক্যানও বন্ধ হল
      সবার তর্জনী তখন এদিকেই বলবে সবাই পারলে তোমরা ক্যানও পারলে না
      যে গাড়ি খানা ২০০৪ সাল থেকে কোন ওভার হলিং ছাড়া ৩ লাখ কি মি র বেশি চলেছে এই গাড়ির সমস্যা এক মাত্র যে গাড়ি তে চলবে সে ছাড়া আর কেউ বুঝবে না

      আর এ ছাড়াও আরও অনেক জিনিস যেটা Comfort এর সাথে জড়িত , ওই বিষয়ে কিছু হলে তো কথাই নেই।
      এই যেমন ধরুন , ইন্টারনেট , বেডিং , Minor Engineering.........

      কিছুদিন আগে ইন্সপেকশন করার সময় ইন্সপেক্টর আমাকে একটা টয়লেট এর ভিতরে কমোডের লিড পাইপে কিছু পানি লিক হচ্ছে দেখালো। আমি বললাম যে আমি এটা থ্রেড টেপ দিয়ে রিপেয়ার করে নেব। সে বলল যে এটা রিপেয়ার এর অবস্থায় আর নেই , এটা এখন চেঞ্জ করতে হবে । কাজেই পুরোটা চেঞ্জ করতে খরচ একটু বেশি ই হবে। সে হেসে একই সাথে আমাকে একটা কথাই বলল......
      "Man your country is getting monthly more than 12000 USD only for this Minor Engineering like Electric and Plumbing repair & replace.At least expend one third out of it."
      ভাই আমার উত্তর দেয়ার কিছুই ছিল না।
      কারন আমিও জানি তিন ভাগের ১ ভাগ ও দারকার নেই। মাসে ৬ ভাগের ১ ভাগ তাকা(২০০০ ডলার) ও যদি আমি এই মাইনর ইঙ্গিনিয়ারিং এর পিছনে খরচ করতে পারতাম আমার কোনই সমস্যা থাকতো না।উপরন্ত সৈনিক রা ভালো থাকতো।
      কিন্তু এখন এই কথাগুলো শুধু শুনেই যেতে হয়......... কারন উত্তর দেয়ার মুখ তো নেই। নিজেরা কষ্ট ও করবো আবার ইন্সপেক্টর এর কাছে কথাও শুনবো......... আর এতো কিছুর পরেও যদি রি এম্বারসেমেন্ট নিয়া ঘাপলা হইছে......তাইলে সারছে......... :bash:

      আর রাজিব ভাই ১১ তম ব্যাচের আহসান আমার ই বড় ভাই(জানেন তো)
      কাজেই থিউরি তো একই লাইনে চলবে তাই না......... 😀


      একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার,সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার

      জবাব দিন
  6. মাহমুদ (১৯৯৮-২০০৪)

    আমি তো অলরেডি ম্যারিড। কিন্তু বন্ধু,তোমারে নিয়া চিন্তায় আছি! :dreamy:
    তোমার তো আর বিয়াশাদী করা লাগতেছে না,যেই হারে তোমার :just: ফ্রেন্ড্ররা তোমারে সার্ভিস দেয়!!!

    জবাব দিন
  7. মোঃ সাদাত কামাল [০১-০৭]

    লেখালেখিতে বরাবরই খুব দুর্বল। তবুও খুব ইচ্ছা ছিল বিষয়টি নিয়ে লেখার। কিন্তু দুর্বল লেখকদের যা হয় আর কি, গুছিয়েই উঠতে পারছি না কিভাবে শুরু করবো।

    কিন্তু স্যার, আপনি চমৎকার লিখেছে...তাই... ::salute::

    প্রশংসা না করুন অন্তত নেতিবাচক মন্তব্যগুলো করে আমাদের কষ্ট দেবেন না প্লিজ।

    কথাটা ভালো লাগলো। জানি না মানুষ কেন অন্যের খারাপ দিকটা আগে দেখতে পাই। আসলে, তারা জানে না যে তারা জানে না। :((

    ভালো থাকবেন ভাই। আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো।


    ভালো থাকা অনেক সহজ।

    জবাব দিন
  8. মাহমুদ (১৯৯৮-২০০৪)

    :teacup: খাড়া চা খাইয়া লই :teacup: :teacup:
    দোস্ত,তোমার ইন্সপেকশন তো লয় সার্গেই মামা, তাই না? কর কর,ভাল করে সব আইটেম শো কর। meticulously কাজ কর। :thumbup: চা খাবি? :teacup: খা।
    আমার এই খানে যে আসবে তার ফুটু আপলোড করা ঠিক হবে না :grr:
    তার নাম মিলিন্ডা আপু(ফিলিপাইনের অধিবাসী)।খুবই আন্তরিক।আমারে কইসে যে আমার অপস এনসিওরে দিয়া এক দিন লিস্ট সহ পাঠাইয়া দিতে,সে বইলা দিবে যে কোনগুলি কোনগুলি শো করলেই চলবে!!! :awesome:
    চিন্তা করতেছি নিজেই যামু কিনা :-B 😛 B-)

    জবাব দিন
  9. একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তার সন্তান হিসেবে আমি খুবই গর্বিত। আমার বাবা দুইবার ইউএন মিশনে গিয়েছিলেন বর্তমানে অবসরে আছেন।

    আমার একটা ব্যাপার মনে হয় - ইউএন মিশন ব্যাপারটা পুরোটাই যেন সামরিক বাহিনী বিশেষত আর্মী কর্তৃক "হাইজ্যাক" করা হয়েছে!!! ব্যাপারটা আমি আমার আব্বাকেও বলেছি। উনিও বলেছেন এটা আসলে পর্জাপ্ত তথ্য প্রচার না হবার জন্য হয়েছে।

    ইউএন মিশনে সেনাবাহিনীর সাথে সাথে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও একই ঝুঁকিতে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন - পুলিশের সংখ্যা সম্ভবত বিমান এবং নৌ বাহিনী থেকেও বেশি। মিলিটারি এবং ল-এনফোর্সমেন্ট ছাড়াও সিভিল সার্ভিসের অনেক সদস্যরাও ইউএন মিশনে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিছুদিন পর সম্ভবত জুডিশিয়াল সার্ভিসের কর্মকর্তারাও যাবেন।

    সেই সঙ্গে আমাদের দেশের অত্যন্ত দক্ষ ফরেন সার্ভিসের কথাটাও ভুলে গেলে চলবেনা। ওয়াশিংটনে কর্মরত ফরেন সার্ভিসের কূটনৈতিকরা খুবই দক্ষতার সাথে অনেক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমাদের দেশের জন্য এই দায়িত্ব পালনের সুযোগ অর্জন করেন।

    জবাব দিন
    • মূল ব্যাপার হচ্ছে বাংলাদেশের নাগরিকগণ খুবই দক্ষতার সাথে ইউএন মিশনে কাজ করেন - এর মধ্যও কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যা খুবই স্বাভাবিক এতগুলো মানুষের মধ্য এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় সংখ্যায় অতি নগণ্য।

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রায়হান (১৯৯৮-২০০৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।