যার যার ধর্ম, তার তার কাছে (রি-এডিটেড)

(কোন এক বিচিত্র কারনে আমার আগের লেখাটি বারবার এডিট করা স্বত্তেও এডিটেড হচ্ছিলনা এবং কেউ নতুন করে কমেন্ট করতে পারছিলনা। তাই বাধ্য হয়েই রিএডিট করে এখানে আবার নতুন ভাবে প্রকাশ করতে হলো। আমার এন্ডের এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য দুঃখিত। ঐ পোষ্টের মন্তব্যগুলোর জবাবও আমি এখানে দেয়ার চেষ্টা করব।)

আলমের “প্রাউড টু বি মুসলিম” পোষ্টটিতে দেখেছিলাম সে তার ঐ লেখাটি আমাকে উৎসর্গ করে লিখেছিল (‘দেখেছিলাম’ এবং ‘লিখেছিল’ এই শব্দ দুটিতে অতীতকাল ব্যবহার করলাম কারন এখন আলমের ঐ লেখাটি আর দেখা যাচ্ছেনা, হয়তো হোমপেজ থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।) আলম তার লেখার শুরুতেই নিজের ঐ পোষ্টটিকে সাম্প্রদায়িক পোষ্ট বলার মাধ্যমে নিজেকে সাম্প্রদায়িক বলার পাশাপাশি আমাকেও একই কাতারে টেনে নেয়ার চেষ্টা করেছিল। শুরুতে একটু টেনশনে ছিলাম যে, আমি আবার কি অপরাধ করে ফেললাম, কিন্তু আগের পোষ্টে আলমের উত্তর পেয়ে অবশেষে স্বস্তি পেলাম। আমাকে উৎসর্গ করে ঐ পোষ্টটি না লিখলে হয়তো এ বিষয়ে আমি সিসিবিতে কখনোই লিখতাম না।

শুরুতেই আমি বলে নিতে চাই, আমি ইসলাম ধর্মকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। আমি যে খুব ধার্মিক তা বলবনা, তবে আমি গোড়া ধার্মিক নই। আমি ইসলাম ধর্ম নিয়মানুযায়ী পুংখানুপুংখ ভাবে পালন করি না, তবে যতটুকু পারি চেষ্টা করি। অবশ্যই স্বীকার করি, পুংখানুপুংখ পালন করতে না পারাটা আমার অপরাধ। আমার এই অপরাধের জন্য আমি নিজে দায়ী, কিন্তু ইসলাম নয়। আমি খারাপ হতে পারি, কিন্তু আমার কারনে ইসলাম খারাপ হতে পারে না। একই সাথে আমি অন্য কোন ধর্মকে অবমাননা করতে চাইনা, সমালোচনাও করতে চাইনা। তাই ধর্ম বিষয়টিকে সবার উপরে স্থান দিয়ে আমি এখানে মুক্ত মনে আলোচনা করতে চাই। যারা মুক্ত মনের আলোচনা পড়তে চান তারা নিচে নামতে পারেন আর না চাইলে আমার এই পোষ্ট না পড়ার জন্যই অনুরোধ করব।

আমি মনে করি ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো খুবই স্পর্শকাতর। এ ধরনের বিষয়গুলো ব্লগের মতো খোলামেলা জায়গাতে আলোচনা করাও খুব বিব্রতকর ও কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় অনেক সময়। নিজের ধর্মের প্রশংসা করতে গিয়ে অন্য ধর্মাবলম্বীর মনে আঘাত লেগে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। আর এ কারনেই হয়তো আলমের ব্লগে ইসলাম ধর্মের অতি প্রশংসা দেখে রায়হান আবীর তার মন্তব্যে ইসলামের কিছু নেতিবাচক দিক সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। আলম এবং আবীরের এই দুটি কাজের কোনটাই আমার পছন্দ হয়নি। আমি আবীরের বিরুদ্ধে কিছু বলবনা কারন ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনো অন্য কোন ধর্ম বা ধর্মাবলম্বীকে আঘাত করার চেষ্টা করিনা। নিজের দেশ, নিজের মা যেমন সবার কাছে প্রিয় এবং শ্রেষ্ঠ, তেমনি নিজের ধর্মও সবার কাছে প্রিয় এবং শ্রেষ্ঠ, এটাই স্বাভাবিক।

আমি মুসলিমের ঘরে জন্মেছি তাই আমি আজ মুসলিম, অন্য কোন ধর্মাবলম্বীর ঘরে জন্মালে আমি মুসলিম হতাম কিনা তা এই মুহূর্তে বলা আসলেই কঠিন। আমি মনে করি প্রত্যেকের জন্যই এটা একটা নির্মম সত্য। অন্য ধর্মাবলম্বী ঘরে জন্মালে আমি হয়তো ইসলাম ধর্ম পালন না করে অন্য ধর্মই পালন করতাম। পরিস্থিতি বা পরিবেশ আমাকে হয়ত বাধ্য করতো সেই ধর্ম পালন করার জন্য। তাই আমার কাছে এটা একটা আপেক্ষিক বিষয়।

ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই পৃথিবীতে অধিকাংশ যুদ্ধই হয়েছে ধর্ম বিদ্বেষের কারনে। ধর্মের বিভেদের কারনে মানুষ মানুষকে হত্যা করেছে, ধ্বংস করেছে সভ্যতা। পরিনামে কোন সমাধান তো আসেই নি বরং বেড়ে চলেছে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ও বৈষম্য। অথচ কোন ধর্মই মানুষকে মানুষ ধ্বংস করতে উপদেশ দেয়না, বিপথে পরিচালিত হতে বলেনা, মানুষকে অসৎ পথে চলতে বা নেতিবাচক কোন কাজ করতে বলেনা। তাহলে কেন আমরা মানব সভ্যতা ধ্বংসের এই লীলা খেলায় মেতে উঠেছি?

ধর্ম আসলে কি? ধর্মের উৎপত্তি কিভাবে, কিভাবে পৃথিবীতে এতগুলো ধর্মের সৃষ্টি হলো, কেন পৃথিবীতে একসাথে একাধিক ধর্মের উপস্থিতি, কেন ধর্মগুলো দিনদিন বিকৃত হচ্ছে, সত্যিকার বা আসল ধর্ম কোনটি, কেন মানুষ আসল ধর্ম বাদে বাকি ধর্মগুলো অনুসরন করছে??? এসব নানা প্রশ্ন ছোটবেলা থেকেই আমার মনে বারবার ঘুরেফিরে চলে আসত। এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে হলে যে পরিমান পড়াশোনা করা বা জ্ঞান থাকা প্রয়োজন তার কোনটিই আমার নেই। তাই এসব প্রশ্নের উত্তর এখন এখানে আর আলোচনা করতে যাবনা।

কিছুদিন আগে আমার এক মুসলিম সিনিয়রকে দেখলাম মিশন এলাকায় অবসর সময়ে বসে বসে বাইবেল পড়ছেন। প্রথমে খুব অবাক হলাম। ভাবলাম, ধমান্তরিত হবার প্ল্যান করছেন নাকি উনি? কিন্তু আবার দেখলাম উনি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছেন এবং ইসলামের সব ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলছেন। কৌতুহল চেপে রাখতে না পেরে জিজ্ঞাসা করে বসলাম, বাইবেল পড়ার কি কারন? উনি জানালেন ভবিষ্যতে তার একটা রিসার্চ সেন্টার তৈরী করার পরিকল্পনা আছে যেখানে তিনি সব ধর্ম নিয়ে রিসার্চ করবেন। সব ধর্ম নিয়ে রিসার্চ করার করার জন্য ওনার অনেক জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন। না জেনে তো উনি অন্য ধর্মকে অবজ্ঞা করতে পারেননা। তাই আগে পড়াশোনা করে নিজেকে রিসার্চ করার যোগ্য করে তুলছেন। উনার হাতের বাইবেলটিতে দেখলাম গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলো সব কাল কালি এবং লাল কালি দিয়ে দাগানো। আমাকে সেখান থেকে অনেকগুলো বিষয় খুব সুন্দর যুক্তি দিয়ে তুলনামূলক আলোচনা দিয়ে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিলেন। সংক্ষিপ্ত ভাবে সব কটি ধর্মের তুলনামূলক আলোচনাও করলেন। সব ধর্ম নিয়ে তার জ্ঞানের পরিধি এবং ধৈর্য্য দেখে খুবই অবাক হলাম। বুঝলাম, ইতিমধ্যেই তিনি অনেক পড়াশোনা করে ফেলেছেন। আমার আসলে এত ধৈর্য্য নেই। কিন্তু সব ধর্ম সমন্ধে উনার জানার এই আগ্রহ এবং চেষ্টাকে আমার বেশ পজেটিভ মনে হলো।

ধর্ম সৃষ্টি হয়েছে মানুষের জন্য, নাকি মানুষ সৃষ্টি হয়েছে ধর্ম পালনের জন্য? এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো অনেকে অনেক ভাবে দিতে পারে। আমি মনে করি মানুষের জীবন সঠিক ভাবে পালনের জন্য ধর্মের প্রয়োজনীয়তা আছে, কিন্তু ধর্ম পালন করার জন্য মানুষ মানুষকে ধ্বংস করে দিবে এটা ঠিক না। আমার কাছে ধর্মের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা সবাই মানুষ। আমাদের কল্যানের জন্য, সুন্দর ভাবে চলা বা জীবন যাপনের জন্য ধর্ম পালন করা উচিত। অর্থাৎ মানুষের জন্য ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ নয়। আমি মনে করি আমার প্রথম ও প্রধান পরিচয়- আমি একজন মানুষ, তারপর বলব আমি মুসলিম। অর্থাৎ মানুষকে ধর্মের উপরে স্থান দিলাম। বলতে পারেন আমার এই নীতি বা এই ধর্মের নাম “মানব ধর্ম” (প্লিজ কেউ আবার ভাববেন না যে, আমি নতুন কোন ধর্ম আবিস্কার করছি, আমি শুধু সকল মানুষকে জাতি, ধর্ম, বর্ণ এই সব ভেদাভেদের উপরে স্থান দেয়ার জন্য এই শব্দটি ব্যবহার করলাম মাত্র, এর মধ্যে অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই)।
ধরুন এই মানব ধর্ম অনুযায়ী মানুষ মানুষকে ভালবাসবে, একে অন্যের কল্যানে নিয়োজিত হবে, মানুষের জন্য ক্ষতিকর বা নেতিবাচক কোন কাজ হবেনা। সব ধর্মের উপরে যদি এই মানব ধর্মকে স্থান দেই তাহলে কেমন হবে? আমার কি পাপ হবে? আমি যদি শুধু মানবের কল্যানে কাজ করে যাই, নেতিবাচক কোন কাজ না করি, মানুষ তথা সমস্ত জীব জগতের প্রাণীকূলের জন্য ভাল কাজ করি তাহলে আমার সব ভাল কাজের জন্য কি কোন পুরস্কার নেই? পক্ষান্তরে আমি যদি ধর্ম নিয়ে হিংসা বিদ্বেষের কারনে মারামারি, কাটাকাটি, হত্যা করে ধ্বংস হয়ে যাই এবং নিজেদের মধ্যে বিভেদ, বৈষম্য বাড়িয়ে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেই তাহলে এই দুটির মধ্যে কোনটি শ্রেয়তর?

আমি ধর্মপালন করার চেষ্টা করি। কারন, আমার বিবেক বলে আমাকে আমার সৃষ্টিকর্তা এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, আমার বাবা মার মাধ্যমে আমার জন্ম হয়েছে এবং একদিন আমার মৃত্যুও হবে। অর্থাৎ আমাকে এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে। এটি এক নির্মম সত্য। আমার মধ্যে মৃত্যুভয় আছে। আমি মনে করি এই পৃথিবী আমাদের জন্য একটি পরীক্ষাকেন্দ্র। যেমন পরীক্ষা দিব তেমন ফল পাব। ভাল কাজ করলে ভাল ফল আর খারাপ কাজ করলে খারাপ ফল। আমার সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই আমার বিচার করবেন, এই পরীক্ষার রেজাল্ট দিবেন। ভাল কাজ করলে পরীক্ষায় পাশ আর মন্দ কাজ করলে ফেল। এসব সহজ ও সাধারণ মানের যুক্তি ছাড়াও আরো অনেক যুক্তি ও বিশ্বাস আমার রয়েছে ইসলাম ধর্ম পালন করার পেছনে যা বলতে গেলে এখানে শেষ করা যাবেনা। প্রত্যেকেরই ধর্ম পালনের পিছনে নিজস্ব কিছু যুক্তি আছে যেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি মনে করি প্রত্যেকেরই এসব স্বাধীন ভাবে চিন্তা ভাবনা করার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রয়েছে। ধর্ম পালনের বা বিশ্বাসের ক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। এই স্বাধীনতায় কারো হস্তক্ষেপ করাটাও অন্যায়। তাই ধর্মের ব্যাপারে কোন জোর জবরদস্তি করা বা কাউকে অপদস্ত করা ঠিক নয়। আমরা নিজ ধর্ম পালন করতে পারলে করি কিন্তু অপরের ধর্মের দোষ-ত্রুটি খুজে বের করার চেষ্টা করা আমার মনে হয় না কোন ভাল কাজ হতে পারে। কিছু শেখা বা জানার জন্যে আলোচনা করা যেতে পারে কিন্তু কোন ব্যক্তি বা ধর্মকে উপহাস বা অবমাননা করা বা করার চেষ্টা করা যাবেনা কারন এটি একটি গর্হিত কাজ। অর্থাৎ মূল কথা হলো, আমরা এখানে গঠনমূলক আলোচনা করতে পারি জ্ঞান আহরনের জন্যে, কিন্তু অন্যকে উপহাস বা উপেক্ষা করার জন্যে নয়।

পরিশেষে আমি বলতে চাই ধর্ম একটি স্পর্শকাতর এবং আপেক্ষিক বিষয়। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করাটা ঠিক নয়, বরং বাড়াবাড়ির কারনেই অনেকসময় ধর্ম সমন্ধে তিক্ততা বা বিতৃষ্ণার সৃষ্টি হয়, যার কারনে মানুষ ধর্ম থেকে আরো দূরে সরে যায়। একে বলতে পারেন হিতে বিপরীত হওয়া। আমার কর্মফল আমাকেই ভোগ করতে হবে, তাই আমার চিন্তা আমাকেই করতে হবে। আমি কোন ধর্ম পালন করব, কোনটা বিশ্বাস আর কোনটা অবিশ্বাস করব এটাও আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমার মতে, যার যার ধর্ম তার তার কাছে, যার যার বিশ্বাস তার তার কাছে। কিন্তু কারো বিশ্বাসে আঘাত হেনে অথবা কাউকে অপদস্ত করে নিজে বা নিজের ধর্মকে বড় মনে করাটা বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়।

অন্যের বিশ্বাসে আঘাত দেয়া বা অন্যের স্বাধীনতা খর্ব করার অধিকার আমার নেই। তাই আমি কারো বিশ্বাস বা ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত না দিয়ে এখানে মানব ধর্মকেই সবার উপরে স্থান দিতে চাই। এতে করে আমাদের সবার মঙ্গল বই ক্ষতি হবেনা আশা করি। বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করে আমি ধর্মের ব্যাপারে সবাইকে আরো সহনশীলতা দেখাতে এবং সকল ধর্মাবলম্বীকেই সম্মান দেখানোর জন্য সবাইকে অনুরোধ করব। আর আমরা যদি তা করতে না পারি তাহলে অন্তঃত অন্যের সমালোচনা করা বা অবমাননা করার চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকি।

পাঠকগন, উপরের সমস্ত আলোচনাই আমার ব্যক্তিগত মতামত বা দর্শন। কেউ আমার সাথে দ্বিমত হলেও আমার কোন আপত্তি নেই। আমার বিশ্বাস আমার কাছে আর আপনার বিশ্বাস আপনার কাছেই থাকুক। তাই ধর্ম নিয়ে আমি কারো সাথে তর্কে জড়াতে অনিচ্ছুক। আমার এই লেখার কোন বিষয়বস্তু বা মতামত যেন আবার কারো মনে কোন কষ্ট, মানসিক দ্বন্দ, বিদ্বেষ বা নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে, আপনাদের নিকট সেই আশাই করব। ধন্যবাদ

৫,১৫০ বার দেখা হয়েছে

৬৪ টি মন্তব্য : “যার যার ধর্ম, তার তার কাছে (রি-এডিটেড)”

  1. রকিব (০১-০৭)
    আমরা গঠোন্মূলক আলোচনা করতে পারি জ্ঞান আহরনের জন্যে, কিন্তু অন্যকে উপহাস বা উপেক্ষা করার জন্যে নয়

    সহমত


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  2. মঞ্জুর (১৯৯৯-২০০৫)

    ভাইয়া আমি অনেকদিন ccb তে আসিনি কিছু আপত্তিকর লেখার জন্য।আলম ভাইএর আগের লেখায় আমার কিছু আপত্তি রয়েছে।আবার রায়হান এর কথা গুলিও আমার ভাল লাগে নি।

    যার যার ধর্ম তার তার কাছে, যার যার বিশ্বাস তার তার কাছে। তাই এক্ষেত্রে আমি কারো বিশ্বাস বা ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত না দিয়ে মানব ধর্মকেই সবার উপরে স্থান দিতে চাই

    আশা করি ভবিষ্যতে আমরা ধর্ম নিয়ে আর কাদা মাখামাখি দেখব না এইখানে।

    জবাব দিন
  3. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    কবি রহমান ভাই,
    আপনাকে আগে থেকেই শ্রদ্ধা করতাম...
    এই লেখাটা পইড়া আপনার প্রতি শ্রদ্ধা কয়েক আলোকবর্ষ গুণ(যদিও পরিমাপের এককটা ঠিক নাই, তবু বিশালতা বুঝাইতে ব্যবহার করলাম 😀 ) বাইড়া গেল... :boss:

    আপনাকে সালাম :salute:


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
  4. আলম (৯৭--০৩)

    ভাইয়া
    আপনার লেখাটা 'সাময়িক' থেকে সরিয়ে নিয়ে পার্মানেন্ট করার অনুরোধ করছি। খুবই ভাল একটা পোস্ট হয়েছে। 🙂

    (আপনাকে উৎসর্গ করার সাথে কোন পূর্বাপর চিন্তাভাবনা ছিলনা, আমার উৎসর্গের সিরিয়ালে আপনার নামটা এসেছে, তাই দিয়েছিলাম। অতএব আপনি নিজেকে 'সাম্প্রদায়িক' মনে করার দরকার নেই। তবে এক্ষেত্রে আমার প্রয়োগটা ভুল হয়েছে মনে হয়, তাই স্যরি।)

    জবাব দিন
    • রহমান (৯২-৯৮)

      আলম,

      তোমার এবং রায়হানের অনুরোধেই লেখাটা পার্মানেন্ট করলাম। আশা করি এখন তোমরা দুজনেই তোমাদের ভুল বুঝতে পেরেছ। কাদা ছোড়াছুড়ি করলে কেউই কিছু পাবেনা বরং হারানোর ভয় আছে। যার যার বিশ্বাস তার তার কাছেই থাকুক। এখানে আমরা সবাই শুধু গঠনমূলক আলোচনা করতে চাই, অন্য কিছু নয়।

      আশা করি বড় ভাই হিসেবে আমার উপদেশগুলো পজেটিভলি নিবে এবং ব্লগে নিয়মিত থাকবে। ধন্যবাদ 🙂

      জবাব দিন
      • আমি কী ভূল করলাম- সেইটা একটু ব্যাখ্যা করেন। আমি তো কোন কাদা ছুড়াছুড়ি করি নাই। একজন একটা কথা বলছে। আমার সেই কথা পছন্দ হয় নাই, আমি দুই তিনটা রেফারেন্স দিসি।

        নাকী ঐ লেখায় মন্তব্য করাটাই ভুল হয়েছে? তাহলে সেই ভুল তো অনেকেই করছে।

        জবাব দিন
        • রহমান (৯২-৯৮)

          নিচে তোমার আরেকটা কমেন্টের উত্তর দেখ। তোমার প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর পাবে।

          আর এখানে বলি, আলম তার ঐ পোষ্টে একতরফা ভাবে ইসলাম এবং মুসলিমদের প্রশংসা করেছিল, কারন সে ইসলামকে হয়তো অন্ধভাবে ভালবাসে (আমার ব্যক্তিগত মতামত)। তার কথাগুলো সাম্প্রদায়িক হলেও সে কিন্তু অন্য কোন ধমের বিরুদ্ধে কোন কথা বলেনি, নিজের ঢোল একটূ বেশি বাজিয়ে ফেলেছিল। তার সাম্প্রদায়িক কথাগুলো তোমার, আমার সহ অনেকেরই পছন্দ হয়নি। পক্ষান্তরে তুমি যখন ইসলামের বিপক্ষে যুক্তি দেয়া শুরু করেছিলে তখন সেটা অনেকেরই ধমীয় অনুভুতিতে আঘাত লেগেছে। আমি এটাকেই কাদা ছোড়াছুড়ি মনে করি। অবশ্যই আলম প্রথমেই তোমাকে এ সুযোগ করে দিয়েছে। এজন্য আলমকে সবাই থামিয়েছে এবং ঐ পোষ্টকে সরানোও হয়েছে। নিজের প্রশংসা কিন্তু সবাই করে। আমরা সবাইতো বলি- আমাদের দেশ সেরা, কারন আমার কাছে আমার দেশই সেরা। সেটা দেশপ্রেম থেকে বলি। আলমের ব্যাপারটাকে তুমি এই দৃষ্টিকোন থেকেও দেখতে পারতে। সরাসরি এ্যাটাকে না গেলেও হয়তো চলত।

          ঐ লেখায় তোমার মন্তব্য করা ভুল হয়নি। কিন্তু তুমি যেভাবে রি-এ্যাক্ট করেছ সেটা আমার পছন্দ হয়নি। আশা করি বুঝাতে পেরেছি।

          জবাব দিন
  5. রেজওয়ান (৯৯-০৫)

    আগের ব্লগটায় কমেন্ট বন্ধ থাকায় এইখানেই দিলাম......

    ভাই একটা কথা বলি, মাইন্ড খাইয়েন না...আমি হইলাম মিশ্র রক্তের লোক ।
    আমার ধমণীতে দুই ধর্মের রক্ত বইছে...আমার একপাশে একজন নামাজ এবং কুরআন পরে এবং আরেকপাশে একজন পুজা করে । তাই দুটো ধর্মের অল্প বিস্তর জানি , আর মিশ্র রক্তের কারনে জানার উৎ সাহ খুব একটা কম ছিল না...
    কিন্তু এইখানে তার কিছুই বলব না...কারন আমি এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা এবং একজনের আরেকজনের পিছনে লাগার ঘোর বিদ্বেষী । আমাদের সিসিবি'র পরিবেশকে আর ৫ টা সাইটের মত করে ফেলার পক্ষপাতি আমি নই । আমি অন্য ব্লগগুলাতে যাই না । কারন সেখাঙ্কার পরিবেশ আমার ভাল লাগে না, সে কারনেই সারাদিন সিসিবি তে থাকি । কিন্তু এভাবে যদি চলে তাহলে আমার ঘর আমাকেই ছাড়তে হবে । ভাই এইসব লেখার জন্য আরও ব্লগ তো আছেই ।
    আমি অন্ততপক্ষে চাই এই ব্লগটাতে আমরা ক্যাডেট শব্দটার মহাত্ম্য বজায় রেখে কেউ কারও পিছনে লাগব না ।
    আমার জ্ঞানের পরিধি সামান্য, তাই ভাব গম্ভির কিছু লিখতে চাই নি, আমি তাই যা মনে আসছে সিধা সাধা ভাষায় তা বললাম, কেউ মাইন্ড খাইলে আমার কিছু করার নাই ।

    জবাব দিন
  6. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)
    ধর্ম আসলে কি? ধর্মের উৎপত্তি কিভাবে, কিভাবে পৃথিবীতে এতগুলো ধর্মের সৃষ্টি হলো, কেন পৃথিবীতে একসাথে একাধিক ধর্মের উপস্থিতি, কেন ধর্মগুলো দিনদিন বিকৃত হচ্ছে, সত্যিকার বা আসল ধর্ম কোনটি, কেন মানুষ আসল ধর্ম বাদে বাকি ধর্মগুলো অনুসরন করছে???

    এই প্রশ্নগুলোর শেষ দুটি বাদে বাকি সবগুলোই "নৃবিজ্ঞান" এর গবেষণার বিষয়। এবং আশার কথা, বর্তমানে এ নিয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে। এছাড়া "ধর্মতত্ত্ব" এবং "তুলনামূলক ধর্ম" নামে আলাদা বিষয় আছে। এই তিনটি বিষয়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের "তুলনামূলক ধর্ম" বিভাগের প্রধান বেশ কটি বইও লিখেছেন এ নিয়ে। তবে এই সবগুলো বিষয়েই ধর্মকে মানুষের একটি উদ্ভাবন হিসেবে দেখা হয়। এই বিষয়গুলোতে যারা পড়ে তাদের অনেকেই ধার্মিক, কিন্তু পড়াশোনা করে ধর্মকে মানব সৃষ্ট মেনে।
    এটা নিয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে এখন। নৃবিজ্ঞানের গবেষণা হচ্ছে সবচেয়ে বেশী। নৃবিজ্ঞানীরা আদিবাসীদের নিয়ে কাজ করছেন। কারণ তাদের ধর্মগুলো হাজার হাজার বছরের পুরনো এবং তাদের জীবনাচার প্রাচীন যুগের মানুষের মত। তারা অন্যের সাথে মিশে না বলে তাদেরকে নিয়ে পৃথক গবেষণা চালানো যায়। এই সব বিষয়ে পড়তে আমি খুব আগ্রহ পাই। ভবিষ্যতে কিছু লিখার ইচ্ছা থাকল।

    আমি অবশ্য এই লেখার অনেক কিছুর সাথেই একমত না। যেমন, আমি মনে করি জ্ঞান আহরণের ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর বলে কিছু থাকতে নেই। কোন কিছুকে স্পর্শকাতর বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা কোনকালেই করিনি। এটা নিয়ে আলোচনাও হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। তবে রহমান ভাই, আপনার ভিউ পয়েন্ট থেকে লেখাটা খুব ভাল লিখেছেন। মানুষের মধ্যে সহনশীলতা বাড়াত এটা অনেক সাহায্য করবে।

    জবাব দিন
    • রহমান (৯২-৯৮)

      মুহাম্মদ, অনেক ধন্যবাদ আমাদের সবাইকে জানার সুযোগ করে দেয়ার জন্যে। সময় এবং সুযোগ পেলে এসব বিষয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা আছে আমার। সেক্ষেত্রে তোমার এই তথ্যগুলো আরো কাজে লাগবে।

      রহমান ভাই, আপনার ভিউ পয়েন্ট থেকে লেখাটা খুব ভাল লিখেছেন। মানুষের মধ্যে সহনশীলতা বাড়াত এটা অনেক সাহায্য করবে।

      আমিও আশা করি আমাদের সবার মধ্যে সহনশীলতা দিনদিন বাড়বে।

      জবাব দিন
  7. টিটো রহমান (৯৪-০০)

    আমিও আগের পোস্টে মন্তব্য বন্ধ থাকায় এখানে বলছি(সারাদিন ব্যস্ত ~x( )...রহমান ভাই প্লিজ মাইন্ড করবেন না
    সবার আগে আপনাকে :hatsoff: দারুণ এই লেখার জন্য

    তবে ধর্ম নিযে আরোচনায় কাদা ছোড়াছুড়ি হলেও এই আলোচনা বন্ধে আমি কোন মতেই আগ্রহী না। এমনকি পোস্টটা কিছু না জানা মোল্লাদের মত হলেও সেটায় মন্তব্য বন্ধ হোক সেটা চাই না।

    কারণ ধর্ম নিযে আলোচনা হলেও এখানে গালাগালি হওয়ার চান্স নাই। বড় জোর কথা কাটাকাটি হতে পারে।
    কিন্তু আর ১০ জনের চেযে ক্যাডেটরা মুক্ত মনা।
    তারপরও যদি দুয়েকজন ান্ধ থেকে থাকে তাদেরও মুক্ত করা উচিত।
    এইখানে বিশেষত রায়হান ,মোহাম্মদ, কামরুল আর মরতুজা ভাইকে তাদের চমৎকার গঠনমূলক অংশগ্রহনের জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি।


    আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

    জবাব দিন
    • আলম (৯৭--০৩)

      হুমমমমম।
      শুধু 'ধর্মান্ধ' না আরো কিছু বলতে পারেন। বড় ভাইরা যা-বলবেন তাই মাথা পেতে নেব। 🙁

      কিন্তু প্রশ্ন হলো, মুহাম্মদের যে-কথার ভিত্তিতে ব্লগটা রচিত হইসিলো, সেই কথাটা আপনারা/মুসলমানেরা কিভাবে মেনে নিচ্ছেন? সে হিন্দু ধর্মের বন্দনা করুক, আমি/আমরা কেউ তাকে বাধা দেইনাই, কিন্তু সে মুসলিম সংস্কৃতিকে 'জঘন্য' বলছে কেন? তখন আপনার মুখ বন্ধ থাকবে ক্যান্‌?
      ক্যাডেট+খোলামনা হিসেবে আমরা নিজের ধারণা/যুক্তি/বিশ্বাস সবই প্রচার/আলোচনা করতে পারি, কিন্তু অন্যের ধারণাকে কোনো বিশেষণ দিয়ে উড়িয়ে দিতে পারিনা। x-(

      জবাব দিন
      • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

        মুহাম্মদের করা কমেন্টের পালটা বক্তব্য হিসেবে আপনি ব্লগ রচনা করিয়াছিলেন ঠিকাছে। সেই ব্লগে আমি আপনার বক্তব্যের কিছু জিনিস (নারীদের প্রতি সহানুভূতির ব্যাপারটা) সম্পর্কে বলেছিলাম। আমার দেখানোর ইচ্ছা ছিল ব্যাপারটা জঘন্য। কই ছয়, সাত ঘন্টা পার হবার পরও আমি তো আমার মন্তব্যের জবাব পাইনি। নাকী জবাব আপনার জানা নেই? নাকী আমার কথা আপনি মেনে নিয়েছেন?

        রহমান ভাইয়ের এই পোস্টটায় আমি আপনার ঐ ব্লগের কন্টেন নিয়ে একদম আলোচনা করতে চাইনা। কিন্তু বাধ্য হলাম দুটো কথা বলতে।

        জবাব দিন
        • আলম (৯৭--০৩)

          ঐ ব্লগের কন্টেন্টস্‌ নিয়ে সেখানে কথা বলা যেতো, কিন্তু সেই সুযোগটা আর থাকেনি। (যদিও ঐ লেখাটা সরিয়ে নেবার পক্ষে আমি নই)
          তুমি চিন্তা করোনা, কে সত্য কে মিথ্যা এটা খুব শিগগিরই বেরিয়ে আসবে। কেবল মরণ দুয়ার পেরিয়ে যাবার অপেক্ষা, এরপরই জানা যাবে আসল সত্য কী ছিলো নাকি আদৌ কিছুই ছিলনা! ভাল থেকো।

          জবাব দিন
        • রহমান (৯২-৯৮)

          আলম এবং রায়হান আবীর,

          আমি তোমাদের দুজনকেই অনুরোধ করব আমার পোষ্টে এসে তোমরা কাদা ছোড়াছুড়ি করবে না অন্তত। আমার এই পোষ্টটা আবার মনযোগ দিয়ে পড়। তোমাদের দুজনেরই আরো সহনশীল হতে হবে।

          আশা করি ভবিষ্যতে তোমরা আর এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবে না। আমার তরফ থেকে তোমাদের দুজনের জন্য লাষ্ট ওয়ানিং 😡

          জবাব দিন
    • রহমান (৯২-৯৮)

      টিটো,

      অনেক ধন্যবাদ তোমার কমেন্টের জন্য।

      ধর্ম নিযে আলোচনা হলেও এখানে গালাগালি হওয়ার চান্স নাই। বড় জোর কথা কাটাকাটি হতে পারে।

      কথা কাটাকাটিও হবে কেন? সুন্দরভাবে কোন বিষয়কে উপস্থাপন করা বা কারো প্রতি সম্মান অক্ষুন্ন রেখেও তো মন্তব্য করা যায়। তাই আমি অনুরোধ করব কথা কাটাকাট না করে সহনশীলতা বাড়িয়ে গঠনমূলক আলোচনা হতে পারে। ব্লগের সুন্দর পরিবেশটা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের

      জবাব দিন
  8. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    বড় ভাইরা আমার কথা বার্তাকে অল্পবিদ্যাভয়ংকরী বলে ফেলেছেন অলরেডি। কমেন্ট করতে তাই লজ্জা লাগে।

    রহমান ভাই,

    আপনার লেখা নিয়ে কিছু বলার অনুমতি চেয়েছিলাম- আপনি দেননি। কারণটা লাস্টেই বলেছেন, এই পোস্ট নিয়ে আপনি তর্ক করতে চান না।

    তারপরও বলবো, আপনার এই লেখা কন্ট্রাডিকশনে পরিপূর্ণ। একাধারে আপনি নিজেকে উদারপন্থি হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, অপরদিকে ধর্মের সাফাই গেয়েছেন। উদারপন্থি হিসেবে আপনার ধ্যান ধারণা হুবুহু আমার মতোই। কিন্তু ধর্মের ব্যাপারটায় আমি উলটা অবস্থানে।

    আপনি উদারপন্থি হয়েছেন, কারণ আপনার বুদ্ধি বিবেচনা আছে, অভিজ্ঞতা আছে। সেই বুদ্ধি বিবেচনা এবং অভিজ্ঞতার আলোকে আপনি সবকিছু বিচার করছেন, আপনি মানব ধর্ম নামে একটা জিনিসের কথা বলেছেন। সেখানে মানুষই সেরা। একজন মানুষ হিসেবে আমার কাজ হবে সবাইকে সমান করে দেখা। সবার উপকারে লাগা। নিঃসন্দেহে আমাদের সবারই ধ্যান ধারনা এমনটাই থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।

    কিন্তু এই ধ্যান ধারণায় আসার আগে, আপনি ধর্ম নামক জিনিসটাকে অতি উচ্চে অবস্থান দিয়ে বসেছেন। কারণ কী? কারণ হলো, আস্তিক হওয়া খুবই সোজা। কারণ আস্তিকতা আমরা জন্মগ্রহণের সাথে সাথে লাভ করি। ছোটবেলা থেকেই আমাদের মনে এই ধর্মের বীজ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের শেখানো হয়, ধর্ম পালনটাই একজন জীবনে সবচে বড় ব্যাপার। তাছাড়া মুক্তি নেই। এতটুকু থাকলেও হতো, কিন্তু ধর্ম আমাদের আরও শিক্ষা দেয় যে, তুমি যে ধর্ম পালন কর সেইটাই সেরা, অন্যান্যরা সবাই ভুল পথে আছে। তাদের জন্য রয়েছে শাস্তি। অর্থাৎ মানবতার কথা বললেও, ধর্ম মূলত মানুষকে বিভিন্ন দলে ভাগ করেছে। একজন ঈশ্বরই যদি আমাদের সব কিছু সৃষ্টি করে থাকেন, সব কিছু যদি তার হাতের ইশারাতেই হয়, সব কিছু যদি তিনি আগে থেকেই জানেন, তাহলে এই ভেদাভেদ কেন তিনি সৃষ্টি করলেন। কেন তিনি একটি ধর্মের লোকদের বেহেস্ত আর অন্য সবাইকে জাহান্নামে নিক্ষেপের হুমকি দিলেন। নিজের পুতুলকে কেউ আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে পারে? নিজের পুতুলকে কেউ এমন শাস্তি দিতে পারে। ইহুদি, খ্রিষ্টান কিংবা বৌদ্ধ হয়ে যে পুতুলটি জন্ম নিল, তার দোষ কি? তাকে কেন মুসলমান না হবার জন্য এমন কঠিন শাস্তি দিতে হবে?

    আমি জানি এই ধরণের প্রশ্ন আপনার মনেও উঁকি দেয়। কিন্তু আপনি সযত্নে তাদের দূরে সরিয়ে রাখেন। কারণ শৈশব থেকে লালিত জিনিস চট করে দূরে সরিয়ে দেওয়াটা বেশ কঠিন। আরও ব্যাপার আছে, কারণ যারা ধর্ম মানেন না- তাদের এই একটাই জীবন। কিন্তু ধর্ম পালনে সুবিধা আছে। হইলেও হতে পারে, একটা বেহেসত আছে। আপনার এই জীবনে আপনি দেখতেছেন, অনেকেই উলটা পালটা করে বেশ সুখে আছে। আর আপনি সৎ থেকে কিছুই পেলেন না। তাই মনকে স্বান্তণা দেন যে, আপনারও সময় আসবে। মূলত এই সাইকোলজি থেকেই ধর্মের উদ্ভব হয়েছে।

    পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত সবচে বেশী মানব হত্যা হয়েছে ধর্মের কারনে। শান্তির ধর্ম ইসলামও এই ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। অমুসলিমদের গলা কাটা ছাড়াও বিভিন্ন সময় খেলাফতের দাবিদাবায় মুসলমানরা নিজেদের মধ্যেও যুদ্ধ করেছে। জামালের যুদ্ধে হযরত আয়েশা, আলীর বিরুদ্ধে পর্যন্ত লড়েছেন। ইতিহাস আপনার জানা আছে কিনা জানি না, তবে আপনি সার কথা জানেন। আপনি জানেন ধর্ম হানাহানি বাড়ায়। কিন্তু তারপরও আপনি ধর্ম খারাপ এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। কারণ তো বললামই।

    অলরেডি অনেক কথা বলে ফেলেছি। আমার অল্প বিদ্যা ভয়ংকর ঠিকাছে। সেই অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী দিয়ে আমি যেই সামান্য যুক্তি দেই, সেইটা জ্ঞানের জাহাজরা খন্ডন না করে, টিপিকাল স্টাইলে ঝারি দেওয়া শুরু করেন। আশাকরি একটা সময় আসবে, যখন সব ধর্মের মৃত্যু ঘটবে। মানুষ, মানুষের জন্য বাঁচবে। উপরে বসে থাকা দলাবাজ, প্রতিহিংসাপরায়ন ঈশ্বরের জন্য না।

    জবাব দিন
    • রহমান (৯২-৯৮)

      রায়হান,

      ব্যস্ততার কারনে সারাদিন ব্লগে ঢুকতে পারিনি। এখন এসে অনেকটা সময় নিয়ে তোমাদের কমেন্টগুলো দেখলাম। তুমি অনেকগুলো বিষয় একসাথে তুলে ধরেছ। তাই এক এক করে আসি।

      ১।

      আপনার লেখা নিয়ে কিছু বলার অনুমতি চেয়েছিলাম- আপনি দেননি। কারণটা লাস্টেই বলেছেন, এই পোস্ট নিয়ে আপনি তর্ক করতে চান না

      আমার লেখা থেকে রকিবের কোট করা এই পোষ্টের প্রথম কমেন্টটার দিকে তোমার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। গঠনমূলক আলোচনা হলে আমার কোন আপত্তি নাই। কিন্তু কোন ধর্ম সেরা, সৃষ্টিকর্তা আছে কি নেই এ জাতীয় তর্ক-বির্তকের ব্যাপারে আমার নিরুৎসাহ প্রকাশ করেছি। এখন আবার বলছি, যদি কারো ধর্মীয় বিশ্বাস বা অনুভুতিতে আঘাত না দিয়ে এবং অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আলোচনা করতে পার তবে সেই আলোচনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি।

      ২।

      আপনার এই লেখা কন্ট্রাডিকশনে পরিপূর্ণ। একাধারে আপনি নিজেকে উদারপন্থি হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, অপরদিকে ধর্মের সাফাই গেয়েছেন

      আমি কখনোই বলিনি আমি উদারপন্থী, বরং বলেছিলামঃ

      শুরুতেই আমি বলে নিতে চাই, আমি ইসলাম ধর্মকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করি

      অর্থাৎ আমিও কিন্তু নিরপেক্ষ নই এটা শুরুতেই স্বীকার করেছি। উদারপন্থী হয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আমি থাকতে চাইনা। কিন্তু, আমি এখানে ধর্মের সাফাই গেয়েছি, তোমার এই মন্তব্যটুকু আমার পছন্দ হয়নি। আমি শুধুমাত্র কেন আমি ধর্ম পালন করি এবং আমার ধর্মকে বিশ্বাস করার পেছনে কি কারন, তাই এখানে প্রকাশ করেছি। সবারই এমন কিছু ব্যক্তিগত অনুভুতি রয়েছে। আমার অনুভুতিটুকু এখানে তুলে ধরেছি মাত্র কিন্তু এর মাধ্যমে তো এটা আমি কারো উপর ধর্মকে চাপিয়ে দিতে চাইনি। আমার মতামত বা দর্শনটা সবার সাথে শেয়ার করলাম মাত্র। এই কারনটুকু বলা যদি ধর্মের সাফাই গাওয়া হয়ে যায় তাহলে বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।

      ৩।

      আমি জানি এই ধরণের প্রশ্ন আপনার মনেও উঁকি দেয়। কিন্তু আপনি সযত্নে তাদের দূরে সরিয়ে রাখেন

      সম্পূর্ণ একমত হতে পারলাম না। আমি এই পোষ্টে সেসব প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছি কারন এসব প্রশ্নের উত্তর একেকজন একেকভাবে দিবে। তোমার আর আমার দৃষ্টিভঙ্গিটা একরকম হবেনা তাই দুজনের ব্যাখ্যা হবে দুরকম, তর্ক-বির্তক হবে, অনেক যুক্তি-পাল্টাযুক্তি আসবে, হবে আলম আর তোমার মতো কাদা ছোড়াছুড়ি বা আক্রমণাত্নক আচরণ। ফলাফলতো কিছুই হবেনা, হবে যেমন ছিলে। মাঝখান দিয়ে আমাদের মধ্যে বিদ্বেষ আর আসন্তোষ বাড়বে আর ব্লগের পরিবেশ নষ্ট হবে। মূলত এজন্যেই এখন এসব প্রসঙ্গ দূরে সরিয়ে রাখতে চাচ্ছি।

      ৪।

      ধর্ম পালনে সুবিধা আছে। হইলেও হতে পারে, একটা বেহেসত আছে।

      যথেষ্ঠ আপত্তিকর কথা বলে ফেলেছ। যাই হোক, তোমার সাথে এ নিয়ে আমি তর্ক করব না। তবে এ প্রসঙ্গে একটা কথা বলে রাখি, আমি কিন্তু কোন ধর্ম নিয়েই নেগেটিভ কিছু এ পর্যন্ত বলিনি। আমি সবার ধর্মকেই সম্মান দেখানোর চেষ্টা করি, না পারলেও অন্তঃত খুত বের করার চেষ্টা করি না। তুমি যেরকম যুক্তি দেখাচ্ছ এরকম অসংখ্য যুক্তি বা পালটা যুক্তি আমিও জানি, কিন্তু এখানে এসব বললে ব্লগের পরিবেশ আরো খারাপ হবে। তাই তোমার ভাষায়, ‘আবারো সযত্নে এড়িয়ে গেলাম’ বলতে পার।

      ৫।

      আপনার এই জীবনে আপনি দেখতেছেন, অনেকেই উলটা পালটা করে বেশ সুখে আছে। আর আপনি সৎ থেকে কিছুই পেলেন না। তাই মনকে স্বান্তণা দেন যে, আপনারও সময় আসবে। মূলত এই সাইকোলজি থেকেই ধর্মের উদ্ভব হয়েছে

      ধর্মের এই সংজ্ঞা বা ইতিহাসটা জানা ছিলনা। মজা পেলাম এই সংজ্ঞাটা জেনে। অনেক ধন্যবাদ

      ৬।

      পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত সবচে বেশী মানব হত্যা হয়েছে ধর্মের কারনে। শান্তির ধর্ম ইসলামও এই ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। অমুসলিমদের গলা কাটা ছাড়াও বিভিন্ন সময় খেলাফতের দাবিদাবায় মুসলমানরা নিজেদের মধ্যেও যুদ্ধ করেছে

      বেশ আক্রমণাত্নক মনে হলো। আমি কিন্তু এভাবে কোন ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলিনি। যাই হোক, আমি সহ্য করে যাচ্ছি।

      ৭।

      আমার অল্প বিদ্যা ভয়ংকর ঠিকাছে। সেই অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী দিয়ে আমি যেই সামান্য যুক্তি দেই, সেইটা জ্ঞানের জাহাজরা খন্ডন না করে, টিপিকাল স্টাইলে ঝারি দেওয়া শুরু করেন

      আমি অন্তঃত তোমার অল্পবিদ্যার কথা বলিনি, অন্য কেউ হয়তো বলেছে। আমি তোমাকে ঝারি হয়তো দিয়েছি। সেটা অল্পবিদ্যার কারনে নয়, বরং তুমি যেভাবে আলমের পোষ্টে এবং পরবর্তীতে আমার এই পোষ্টে যেভাবে রিএ্যাক্ট করেছ এবং করছ সে কারনেই আমি ঝারি দিয়েছি। একই সাথে আমি কিন্তু আলমকেও ঝারি দিয়েছি। বড়ভাই হিসেবে এটুকু ঝারি তো দিতে পারি নাকি?

      ৮।

      আশাকরি একটা সময় আসবে, যখন সব ধর্মের মৃত্যু ঘটবে। মানুষ, মানুষের জন্য বাঁচবে। উপরে বসে থাকা দলাবাজ, প্রতিহিংসাপরায়ন ঈশ্বরের জন্য না।

      এই লাইনের আংশিক (মানুষ মানুষের জন্য বাঁচবে) বক্তব্যটুকু বেশ ভাল লেগেছে। আমিও চাই মানুষ মানুষের জন্য বাঁচুক। আর এজন্য চাই সহনশীলতা, অন্যের প্রতি সম্মান এবং আক্রমনাত্নক আচরণ পরিহার করা।

      এতক্ষন ছিল তোমার মন্তব্যের বিশ্লেষণ। এবার আসি আমার মূল মন্তব্যেঃ

      আমার মনে হয়, যে উদ্দেশ্যে আমি এই পোষ্টটি লিখেছিলাম তা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তার কারন আমার পোষ্টের মূল বিষয় ছিল ধর্ম বা ধর্মীয় বিশ্বাস যে যার মতো করছে করুক, এতে বাধা দেয়া বা কটুক্তি করা অনুচিত। ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগের পাশাপাশি অন্যকে বা অন্যের মতামত ও বিশ্বাসকেও সম্মান দেখানো উচিত এবং একই সাথে আমাদের সবার এক্সেপ্টেন্স পাওয়ার বা গ্রহণ করার ক্ষমতা আরো বাড়ানো উচিত। আমি ভেবেছিলাম এই পোষ্টের মাধ্যমে সবার সহনশীলতা বাড়বে এবং গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে আমাদের জ্ঞান বাড়বে। কিন্তু এখন দেখছি তার কোন লক্ষণই আমাদের মধ্যে নেই বরং অন্য ধর্মের খুত ধরা বা নেতিবাচক দিক বের করা, ধর্ম আছে কি নাই, সৃষ্টিকর্তা আছে কি নাই, এসব প্রমাণ করা বা যুক্তিতর্ক করাই যেন মূল উদ্দেশ্য।

      আসলে আমরা হলাম “বিচার মানি কিন্তু তাল গাছটা আমার” এই নীতিতে বিশ্বাসী। এখানে “আমারা” বলতে আমি আমার নিজেকেও নিয়ে নিলাম (কারন অলরেডি রায়হান অভিযোগ তুলেছে আমি নাকি আমার এই পোষ্টে ধর্মের সাফাই গেয়েছি)। ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছেঃ “No man is impartial” অর্থাৎ কোন মানুষই নিরপেক্ষ নয়। তাই আমার লেখাটাও পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে গিয়েছে মনে হয় এবং হওয়াটাই স্বাভাবিক।

      যাই হোক, আমি বলছিলাম যার যার বিশ্বাস নিয়ে তার তার জীবন চলুক। কারো বিশ্বাস বা ধর্মীয় অনুভুতি অন্যকে চাপানোর প্রয়োজন নেই। তাই আবীর এবং আলম দুজনকেই অনুরোধ করব, তোমরা তোমাদের নিজ নিজ ধর্ম ও বিশ্বাস নিয়ে থাক, আমার কোন আপত্তি নাই কিন্তু ব্লগে দুজনে প্রতিপক্ষ সুলভ বা আক্রমণাত্নক আচরণ করোনা। কারো ধর্মীয় বিশ্বাসে আর আঘাত দেয়ার প্রয়োজন নেই।

      পাঠকগন চাইলে আমি আমার এই পোষ্টটা মুছে ফেলব, কারন এই পোষ্টটা আমি বাধ্য হয়েই লিখেছিলাম আলমের একটি পোষ্টের কারনে, যেটি হয়তো এখনো অনেকে জানেনা। আলমের সেই পোষ্টটি এখন নেই। সেটি না থাকলে আমার এটিও রাখার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা। আমি এই ব্লগে সুন্দর পরিবেশ চাই, মনোমালিন্য বা অসন্তোষ নয়। বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করে আমি এই পোষ্টটি এখন মুছে ফেলাই শ্রেয়তর মনে করি।

      পরিশেষে রায়হান এবং আলমকে বলি, তোমাদের কারো মনে কোন কষ্ট দিয়ে ফেললে আমি দুঃখিত। আমি তোমাদের কাউকে ব্যক্তিগতভাবে বা তোমাদের বিশ্বাসকে আঘাত করতে চাইনা। মানুষ মাত্রেই ভুল হতে পারে। আমরা মানুষ, আমাদের ভুল হবেই। আস এসব অহেতুক তর্ক-বিতর্ক করে সময় নষ্ট না করে সবাই মিলে এই ব্লগে গঠনমূলক কিছু করি।

      জবাব দিন
  9. টিটো রহমান (৯৪-০০)

    রহমান ভাই
    আমি খুব অবাক হলাম যে আমাদের এখানে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক পোস্ট পড়েছিল। এইটা এমন একটা বিষয় যে যেখানেইএর আলোচনা হয় সেখানেই তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি হয়ে ওঠে। আমাদের এখানে হয়নি। অথচ রাজনীতির উদ্দেশ্য খুব একটা মহৎ কিছু কখনই ছিল না।
    কিন্তু ধর্ম নাকি শান্তির জন্য প্রতিষ্ঠিত 😡 তাইলে সেইটা নিয়া এইরকম সাধারণ ব্লগেও এত গ্যান্জাম হইব ক্যান? কি দশা করছে মানুষের এই ধর্ম? ধর্ম শব্দটার সমার্ধক হিসেবে গ্যান্জাম শব্দটা ব্যবহার করা যায়।

    আগের মানুষ বোকা ছিল তাদের আলিফ লায়লা কিসিমের একটা কিছু বোঝাইলেই হইত। এখন সেসব আলিফ লায়লা মানুষ নিজ হাতে তৈরি করে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চরম মুসরিম পরিবারে জন্মেও বরাবরই ৫ টাকা মসজিদে দানের চেয়ে না খাওয়া মানুষকে দেযার চেষ্টা করেছি। কোরবানীতে আমি কোন ত্যাগ খুজে পাইনি নির্দিষ্ট সময়ে প্রানী হত্যা করে বিভৎসতা তৈরী ছাড়া। আর মহান প্রেরীত পৃরুষদের আচরণ মোটেই আধ্যাত্মিক কিছু নয়।

    অখচ বুদ্ধদেব ছাড়া আর কাউকে দেখলাম না তরবারী ছাড়া শুধু শান্তি দিয়ে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে। নিজেদের ইশ্বর প্রদত্ত ক্ষমতার অধিকারী বলে প্রচারের পরও তারা রক্ত দিয়েই নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। আর যাই হোক না কেন কোন খুনী কোন মানবেরই কল্যান বয়ে আনতে পারে না।
    আর আমরাও ধর্মের টানে হেন কাজ নাই যা করি না। যারা ধর্ম পালন করে তাদের এত জানান দেয়ার কি আছে ?? পরকালে সে তো পার পাইয়া যাইব। তারপরও তাদের আর কিসের ক্ষুধা????

    আমি এত কথা বলরাম এ জন্য যে..ধর্ম নিয়ে যতই আলোচনা হবে মনুষত্বের প্রতিষ্ঠা ততই বাড়বে। তাই দু একটি পোষ্টের কারণে আমরা যেন এই বিষয়ক আলোচনাই না সিসিবিতে ব্যন্ড করি। আলমের মত এরকম পোস্ট হয়ত মাসে একটা পড়বে...তাতে বাকি দিনগুলার ক্ষতি হবে না

    শুভ ও মুক্ত বুদ্ধির বিজয় হোক

    আলম
    আমি কথনওই ধর্ম নিয়ে এর আগে খুব একটা মন্তব্য করিনি। কিন্তু তোমার পোস্ট পড়ে মনে হল তুমি একটা কিছু ভালবাস অন্ধভাবে....কিন্তু লোকে বলেছে বা বইয়ে পড়েছ ভালবাসতে হবে তাই ভালবাসছ...কেন ভালবাসছ তা জানো না। কাজেই সিনিয়র হিসেবে বললেই যে মেনে নিতে হবে 'ধর্মান্ধ' আমার তা মনে হয না। কারণ যুক্তিবাদী মন হলে তুমি এর কাউন্টার দিতে যুক্তি দিয়েই। আমার কধা বুঝতে পারছ?
    রায়হান তোমার আগের এক পোস্টে একটা লিঙ্ক দিয়ে একজন নস্তিকের যুক্তি তুলে ধরেচে। ওটা পড় তা হলে তুমি নিজেও ইসলামের পক্ষে অনেক যুক্তি খুজে পাবে। এবং যুক্তি দিয়ে লিখতেও পারবে


    আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

    জবাব দিন
  10. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    আমি একটু ক্লান্ত।

    বাক্তিগত জীবনে আমি ভীষন ভাবে আস্তিক, এবং এটা আমার বাবা-মা মুসলমান এই জন্য নয়। ইন্টার পর্যন্ত আমি কড়া নাস্তিক ছিলাম। এর পর কড়া আস্তিক হয়ে গেছি। অনেকটা মুহাম্মদের উলটা যাত্রা।

    আমি আস্তিক কেন হলাম? এর সহজ উত্তর হচ্ছে, একজন স্রষ্টা থাকলে অনেক কিছুর উত্তর মিলে। আমি কেন আসলাম, এবং কোথায় আসলাম, আর এরপর কোথায় যাব, এইসব প্রশ্নের উত্তর আস্তিকরা যত সহজে দিতে পারে, নাস্তিকরা পারে না। সেক্ষেত্রে আমার ধার্মিক হবার পিছনে মনে হয় দর্শন কাজ করেছে, বিজ্ঞান নয়। তাহলে আমি কি বিজ্ঞানমনা নই?

    সৃষ্টির আদিরুপ বিজ্ঞান পুরোপুরি বের করতে পারেনি। একটা কোষে জীবন বলে একটা ব্যাপার আছে, এটা কি? শুন্য থেকে কি সবকিছুর সৃষ্টি? এটা কি হয়? এবসুল্যুট বলে কি কিছু আছে? কি সেটা? এর পর বিভাজন। ডারউইন বলেছেন বির্বতনের কথা, পক্ষে বিপক্ষে অনেক কথা হচ্ছে, হোক না। প্রমান হোক স্রষ্টা বলে কিছু নেই। আমরা বেচে যাই। কিন্তু যতক্ষন প্রমান হচ্ছে না, কিংবা যদি উলটো কিছু হয়?

    নাস্তিকরা অনেক সাহসী, আমি বুঝি, আমার এত সাহস নেই।

    আমি বরং সৃষ্টির মাঝে স্রষ্টাকে খুজে পাই। একটা গাছের বেড়ে উঠা, মায়ের পেটে সন্তানের বেড়ে উঠা, ক্ষেতের ফসল, ফসলের বেড়ে উঠা, পেকে উঠা, এর পর আকাশ, চাদ, পৃথিবী, এইযে এত গ্রহ, নক্ষত্র, একটা নির্দিষ্ট নিয়মে চলছে, এগুলোর কোন নিয়ন্ত্রন কর্তা কি নেই? প্রকৃতিই সব? আমার কাছে এটা হাস্যকর মনে হয়। প্রকৃতি নিয়ন্ত্রন করতে পারলে তাহলে আমিই স্রষ্টা হয়ে গেলাম। মানুষ। যার আগের অস্তিস্ব ছিল বানরে, তারও আগে এককোষী আমিবায়। আমার উত্তর মিলে না। আমার উত্তর মিলে যদি এর একজন নিয়ন্ত্রন কর্তা থাকে। তাই আমি আস্তিক। এর জন্য আমাকে বেদ, বাইবেল, কিংবা কোরান কোন কিছু পড়তে হয় নি।

    ইসলামের নবী কি করেছেন এটা আসে এর অনেক পরে। এর মাঝে অনেক মিথ থাকতে পারে, অনেক ত্রুটি থাকতে পারে, পক্ষে বিপক্ষে মত থাকতে পারে, আবার তার জন্য কাউন্টার মত থাকতে পারে, কিন্তু এগুলো দিয়ে এটা প্রমান হয় না স্রষ্টা নেই। তাই আমি আস্তিক।

    সব কিছুর একটা সীমারেখা থাকা উচিৎ। আমার বাবা চোর হতে পারেন খুনী হতে পারেন, কিন্তু কেউ যদি আমার সামনে আমার বাবাকে চোর বলেন তাহলে আমি নিশ্চয় কষ্ট পাব। আর যদি আমি বিশ্বাস করি তিনি মহাপুরুষ তাহলে আমি যুদ্ধ ঘোষনা করব। তোমার কাছে হয়ত প্রমান আছে অনেক, কিন্তু তার মুল্য আমি দেই কিনা সেটাও দরকার। একজন মওলানা যখন বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলে, আমি শুনিনা, তেমনি একজন ছাত্র যখন কোরানের উপর রিসার্চ করে ফেলে এবং এটাকে অনেক গুরুত্বপুর্ন ভেবে বসে আমি এটাকে পাত্তা দেই না। কারন হয়ত লেগে থাকলে আমি এটাকে কাউন্টার করে কথা বলতে পারব। তাতে স্রষ্টা আছেন কিনা তা প্রমান হয় না।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
    • কামরুলতপু (৯৬-০২)

      পুরাপুরি সহমত ফয়েজ ভাই। আমি আস্তিক কারণ নাস্তিক হওয়ার চিন্তা কখনো আসে নি । আর সাহস করে কখনোই স্রষ্টার অস্তিত্বে প্রশ্ন তুলতে পারি নি। এ নিয়ে আমার নিজের কোন অনুশোচনাও নেই। আমি হয়ত মুসলমান পরিবারে জন্মেই মুসলিম।

      জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)
      আমি আস্তিক কেন হলাম? এর সহজ উত্তর হচ্ছে, একজন স্রষ্টা থাকলে অনেক কিছুর উত্তর মিলে। আমি কেন আসলাম, এবং কোথায় আসলাম, আর এরপর কোথায় যাব, এইসব প্রশ্নের উত্তর আস্তিকরা যত সহজে দিতে পারে, নাস্তিকরা পারে না। সেক্ষেত্রে আমার ধার্মিক হবার পিছনে মনে হয় দর্শন কাজ করেছে, বিজ্ঞান নয়। তাহলে আমি কি বিজ্ঞানমনা নই?

      ফয়েজ ভাই, আমার কিন্তু এখানে কিচ্ছু করার নাই। আপনার এই কথাগুলো কখনই মেনে নিতে পারব না। কারণ আমি যতদূর পড়েছি তাতে মনে হয়েছে এই কথাগুলো সত্য নয়। একটু ভেঙে বলি।

      আপনি বলেছেন আপনার এরকম হওয়ার পিছনে দর্শন কাজ করেছে। এটা হতে পারে না। কারণ দর্শন এবং ধর্ম সম্পূর্ণ কন্ট্রাডিক্টরি। সকল দার্শনিকেরা এ বিষয়ে একমত যে, মানুষ অনেক আগে থেকেই নিজের অস্তিত্ব ও স্রষ্টা নিয়ে ভাবা শুরু করেছে। যারা শক্তিশালী তারা এই সন্ধান চালিয়ে গেছে এবং এখনও যাচ্ছে। আর যারা দুর্বল তারা থেমে গিয়ে ঈশ্বর নামে একটি স্বত্ত্বাকে ধরে নিয়েছে। যেখানেই কোন ব্যাখ্যা পায়নি সেখানেই এই ঈশ্বরকে ঢুকিয়ে দিয়েছে।

      আর ঈশ্বরের অস্তিত্ব বা আত্মপরিচয়ের সাথে বিজ্ঞানের কোন সম্পর্ক নেই। বিজ্ঞান কখনই ঈশ্বরকে খোঁজার চেষ্টা করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। কেউ আস্তিক না নাস্তিক তার সাথে বিজ্ঞানের কোন সম্পর্ক নেই। এখানে কেউ সন্দহ পোষণ করতে পারেন। কিন্তু আমি ভেঙে বলি:
      বিজ্ঞানমনস্ক মানে নাস্তিক নয়। আবার আস্তিক হলেই যে সে বিজ্ঞানমনস্ক না তা না। যে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষণ পদ্ধতি বুঝে এবং সেই পদ্ধতির বাইরে কোন কিছুকেই বিজ্ঞানের সাথে জুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে না সে-ই বিজ্ঞানমনস্ক।

      তাই আমার মনে হয়, ধার্মিক হওয়ার পেছনে বিজ্ঞান বা দর্শন কোনটিই কাজ করতে পারে না। কেউ যদি বলেন, তিনি দর্শনের কারণে ধার্মিক হয়েছেন তাহলে আমি ধরে নিই তিনি দর্শনের অবমাননা করছেন। কারণ দর্শন হেরে গিয়ে কোন কিছু ধরে নেয় না। আপনি যদি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত প্রশ্নগুলোর সন্ধান করে যেতেন এবং ঈশ্বরের বদলে মুক্ত-জ্ঞান ও প্রজ্ঞাকে ভালবাসতেন তাহলে আপনাকে দর্শনমনস্ক বলা যেত। কারণ Philosophy শব্দের অর্থই প্রজ্ঞার প্রতি ভালবাসা।
      প্রকৃতপক্ষে ধার্মিক হওয়ার পেছনে কেবল এবং কেবলই ধর্ম কাজ করে, অন্যকিছু না। এটাই আমার rebuttal

      তাই আমার মনে হয় দর্শনের সাথে ধর্মকে মেলানো উচিত না। দর্শন একটা আলাদা শাস্ত্র। আমি আমিনুল ইসলামের "পাশ্চাত্য দর্শন" এর উপর লেখা বই দুটো ঘেটে এমন একজনকেও পাইনি যিনি ধর্মকে দর্শনের সাথে মিলিয়েছেন। আর আধুনিক দর্শনে ঈশ্বরের সন্ধানও করা হয় না। কিয়ের্কেগর এর পড় থেকে অস্তিত্ববাদী তথা মানবতাবাদী দর্শনের জোয়াড় বইছে। বর্তমানে দর্শনের বিষয়বস্তু মানুষ, ঈশ্বর না। পৃথিবীর অধিকাংশ দার্শনিকই প্রথাগত ধর্মকে অস্বীকার করেছেন এবং যারা প্রথাগত ধর্ম পালন করতেন তারাও দর্শনের সাথে ধর্মকে মেলাতেন না।
      মধ্যযুগীয় মুসলিম দর্শনেও এরিস্টটল, প্লেটো ও সক্রেটিসের প্রভাব দেখা যায়। কিন্তু এগুলোকে তারা কেবল আরবিতে অনুবাদই করেছেন, কুরআন বা গাজ্জালি শাস্ত্রের সাথে মিলিয়ে দেখেননি। অন্যদিকে গাজ্জালির মত ধর্মতাত্ত্বিকেরা দর্শনের কোন ধারই ধারতেন না, তারা ছিলেন বিশুদ্ধ ধর্মতত্ত্ববিদ।

      জবাব দিন
  11. টিটো রহমান (৯৪-০০)
    আমার বাবা চোর হতে পারেন খুনী হতে পারেন, কিন্তু কেউ যদি আমার সামনে আমার বাবাকে চোর বলেন তাহলে আমি নিশ্চয় কষ্ট পাব।

    হ্যা ভাইয়া অভ্যাসের কারণে আমরা কষ্ট পাব। ভালবাসাটাও এক ধরণের অভ্যাস। তবে চোর কে চোর হিসেবে মানতে পারাটাই মুক্তবুদ্ধির লক্ষন 🙂


    আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

    জবাব দিন
        • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

          হতে পারে টিটো।

          তুমি কি আমার মুল কথাটা বুঝতে পেরেছ? আমার মুল কথা কিন্তু এটা ছিলনা। এটা পুরো কথার একটা অংশ মাত্র। যদি শুধু এইটুকু কোট কর তাহলে কিন্তু পুরা ব্যাপারটা আসে না।

          ধর্মের পক্ষে আর বিপক্ষে এই হয়ে আসছে। যে কারনে আমি রায়হানের সংখ্যা তাত্তিক পোষ্টকে এপ্রিসিয়েট করি, সেই একই কারনে রায়হান আর মুহাম্মদের মন্তব্য পড়ে বিরক্তবোধ করি, আলমের পোষ্ট আমাকে বিব্রত করে।


          পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

          জবাব দিন
  12. টিটো রহমান (৯৪-০০)

    হ্যা বস বুঝতে পারছি এবং আলমকেও বলছিলাম রায়হানের দেয়া লিংকটা গিয়ে পড়ে আসতে। তাতে ওর লেখাটা আপনার কমেন্টের মতই যুক্তিপূর্ণ এবং শক্তিশালী হবে। কেউ আস্তিক সেটাও অন্যায় না আবার কেউ নাস্তিক সেটাও অন্যায় না। তবে আমরা যেই যেটা বিশ্বাস করি না কেন সেটা যেন ঠুনকো আলগা পাত্তির চা না হয়
    এইটাই বলতে গেছি আর এইরকম বিব্রতকর পোস্টের কারণে ধর্মীয় বা ধর্মের বিপক্ষের সকল পোস্ট যেন বণ্ধ না হয়


    আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

    জবাব দিন
    • ফয়েজ (৮৭-৯৩)
      এইটাই বলতে গেছি আর এইরকম বিব্রতকর পোস্টের কারণে ধর্মীয় বা ধর্মের বিপক্ষের সকল পোস্ট যেন বণ্ধ না হয়

      তোমার এই কমেন্টা দারুন পছন্দ হইছে। :thumbup:


      পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

      জবাব দিন
    • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

      টিপু,

      ধর্ম আর যুদ্ধের বিচারে ইতিহাসে দখল আরেকটু লাগবে মনে হয়। বুদ্ধদেবের ধর্ম বিস্তার পেয়েছিল সেই সময়কার মহা-পরাক্রমশালী সম্রাট অশোকের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায়।

      তবে ধর্মের জন্য সব থেকে বেশি যুদ্ধ হয়েছে, এই ধারণাটা তথ্য সমর্থিত নয়, আবেগে বলা।


      There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

      জবাব দিন
  13. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    মন মেজাজ ভাল না ইদানিং। একটু ঝামেলাতেও আছি। আলমের পোস্ট টা মোবাইলে দেখি। তার পর এই পোস্ট টা। মেজাজ খারাপ হইছে আর কিছু বলতে চাইতেসি না। মাথায় অনেক বেফাস প্রশ্নও চইলা আসছিল। সেটা থেকে দূরে থাকলাম সিসিবির পরিবেশ নষ্ট না করতে।

    কাউরেই কিছু কই না আমি। শুধু মেজাজ খারাপ হয়।

    জবাব দিন
  14. আদনান (১৯৯৪-২০০০)

    @আমিন মাথা ঠান্ডা করে লিখে ফেল । আলোচনার দরকার আছে । একটা জিনিস খেয়াল করলাম অনেকেই বিভিন্ন লেখক, দার্শনিক দের কোট করছেন । কোট না করে নিজেদের উপলব্ধি শেয়ার করলে আলোচনা আরো প্রাণবন্ত হতো বলে আমার ধারনা । আস্তিক ঠিক নাকি নাস্তিক ঠিক প্রমান করা মনে হয় না সম্ভব । দুটো ধারনাই শুরু হয়েছে একটা বিশ্বাসের কেন্দ্র থেকে । একজন শুরু করেছে স্রষ্টা আছেন আরেকজন বলছেন নেই । তবে আপাতঃ বিপরীতধর্মী এ আলোচনা আমাদের দুদলকেই নিজের নিজের বিশ্বাসকে আরো ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে বলে আমার বিশ্বাস । আর সব প্রশ্নের উত্তর যে আজই পাব এমন তো কোন কথা নেই । জরুরী হচ্ছে প্রশ্ন হচ্ছে এবং এসব প্রশ্নই একদিন আমাদের সত্যের অনেক কাছাকাছি নিয়ে যাবে । তাই বলি আলোচনা চলুক নিজেদের ব্যক্তিগত উপলব্ধির উপর ভিত্তি করে । সবাই ভাল থাকুন ।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ফয়েজ (৮৭-৯৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।