সায়েন্স ফিকশন রিভার্স… (২) [এডিটের পরে]

সায়েন্স ফিকশন রিভার্স… (১)

শওকত হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারছে না। এই গাছের কথায় তার হাসি পাচ্ছে, আবার বাস্তবে সামান্য এই গাছের কাছে এভাবে অপমানিত হয়ে তার কান্নাও পাচ্ছে। কিন্তু তাকে ধৈর্য্য সহকারে সব শুনতে হবে, জানতে হবে সব। আর প্রমাণ করতে হবে যে, সে এই গাছ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। তাই সে আবার জিজ্ঞাসা করলঃ
– তোমরা এখন এই পৃথিবীতে আধিপত্য বিস্তার করছ?
– হ্যাঁ, আমাদেরকে এখন পৃথিবী পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তোমাদের ব্যর্থতার পর আমরা নতুন করে দায়িত্ব পেয়েছি। বিগত এক হাজার বছর ধরে সুন্দর ভাবে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।
– বলতো মানুষের সাথে তোমাদের পার্থক্য কি?
– সব দিক দিয়েই পার্থক্য। মানুষের মধ্যে ইতিবাচক অপেক্ষা নেতিবাচক প্রভাব বেশি ছিল। তোমাদের মধ্যে হিংসা, লোভ, লালসা, বিদ্বেষ, অহমিকা, ক্রোধ এবং নানান পাপাচার ও ত্রুটি অত্যন্ত বেশি ছিল। আমাদের মাঝে এসব ত্রুটি নাই। এটাই সবচেয়ে বড় পার্থক্য।
– কেন?
– হয়তো এসব মানবিকতা থাকলে আমরাও মানুষের মতো ভুল করতে থাকব, তাই
– ‘মানবিকতা’?!!! এর মাধ্যমে কি নেতিবাচক কিছু বোঝাতে চাচ্ছ?
– (হেসে) জানি কষ্ট পাচ্ছ, কিন্তু এটাই বাস্তব। নেতিবাচক এই বৈশিষ্ট্যগুলোকে আমরা এখন ‘মানবিকতা’ ই বলে থাকি। আমাদের ডিকশনারীতে ‘মানুষ’ এবং ‘মানবিকতা’ এই শব্দগুলো এখন নেতিবাচক অর্থেই ব্যবহত হয়।
– আমাকে যে এভাবে অপমান করছ তুমি, এটা কি ইতিবাচক?
– অপমান? এটা তো তোমাদের কর্মফলেরই একটা অংশবিশেষ। এজন্য তোমরা নিজেরাই দায়ী। কষ্ট দেয়ার জন্য আমি দুঃখিত। এজন্যই আমি প্রথমে কিছু জানাতে চাইনি।

শওকতের এবার সত্যি সত্যি কান্না পাচ্ছে। এসব কি শুনছে সে? এও কি সম্ভব? কিভাবে সম্ভব? মিথ্যা, এর সবই মিথ্যা।

– আমি জানি তুমি কি চিন্তা করছ। আমরা এখন তোমাদের চিন্তাধারা বুঝতে পারি, ইংরেজীতে যাকে তোমরা বলতে ‘মাইন্ড রিডিং’। তুমি চিন্তা করছ যে, এখন যা কিছু শুনছ এর সবই মিথ্যা, তাই না?
– হ্যাঁ, তাই। আমি তোমার কথা বিশ্বাস করিনা।
– সেটা তোমার ব্যক্তিগত ব্যাপার, এক্ষেত্রে তোমার স্বাধীনতা রয়েছে। তুমি যা ইচ্ছা ভাবতে পার। আমার কাছ থেকে জানতে চেয়েছ, তাই সত্য ঘটনাটা আমি তোমাকে জানালাম।
– তোমরা আর কি কি পার?
– অনেক কিছু, সব তো তোমাকে বলা যাবেনা।
– কেন?
– কারন সব জানার অধিকার এবং ক্ষমতা কোনটাই এখন তোমার আর নেই।
– তারমানে এখন এই পৃথিবী তোমাদের মতো বোকাদের দখলেই থাকবে?
– (হেসে) অন্যকে বোকা মনে করাই কিন্তু সবচেয়ে বড় বোকামী। মানব সম্প্রদায় নিজেদেরকে খুবই বুদ্ধিমান ভাবত। প্রকৃতপক্ষে তারা অন্য প্রাণীদের চেয়ে বুদ্ধিমানই ছিল। কিন্তু যখন তারা অহংকারী হয়ে উঠল এবং সীমা লংঘন করল তখনই ঘটে যত বিপত্তি। মানুষ পরিনত হয় সবচেয়ে বোকা জাতিতে। আত্ন-অহমিকাই এই পতনের মূল কারন। সুতরাং আমাদের যা বলছ তা একবার ভাল করে ভেবে দেখ।
– কিন্তু আমরা তো তোমাদের চেয়ে অনেক উন্নত ছিলাম, আমাদের সময় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে ছিল। সায়েন্স ফিকশনে আমরা কত এগিয়ে ছিলাম! তোমরা তো তার কিছুই করতে পারনি এই এক হাজার বছরে। পৃথিবীটাকে মরুভুমি বানিয়ে রেখেছ। তাহলে তোমরা কিভাবে তোমাদের শ্রেষ্ঠতা দাবি করছ?
– (অট্টহাসি হেসে) প্রযুক্তি?!!!, বিজ্ঞান?!!!, উন্নতি?!!!, সায়েন্স ফিকশন?!!! খুব হাসালে আমাকে। যে জ্ঞান তোমরা কাজে লাগিয়েছ মানুষ মারার মারনাস্ত্র, ক্ষেপনাস্ত্র আর পরিবেশের ভারসাম্য ধ্বংসকারী রাসায়নিক পদার্থ তৈরীতে তাকে বলছ বিজ্ঞান-প্রযুক্তি? ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠে রোবটের সাথে করেছ যুদ্ধ, একে বলছ উন্নতি? আর সায়েন্স ফিকশন? তোমাদের সায়েন্সকে তোমরা ব্যবহার করেছ ধ্বংসের কাজে। পরিনামে তা বুমেরাং হয়ে অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছিল তোমাদের জীবনে। আমরা একে সায়েন্স ফিকশন বলিনা, বলি – “সায়েন্স ফিকশন রিভার্স”
– আমরা তো নিজেদের সুখ শান্তি আর নিরাপত্তার জন্যই এসব তৈরী করেছিলাম। প্রয়োজন ছিল বলেই তো আমরা এসব আবিস্কার করেছিলাম।
– না, আবারো ভুল করছ তুমি। এসবের কোন প্রয়োজনই ছিলনা। তোমাদের হিংসা, ক্ষমতার লোভ আর লালসার বাস্তবায়নের জন্যই তোমরা এসব করেছিলে, নিজেদের সর্বনাশ তোমরা নিজেরাই ডেকে এনেছিলে। আর সুখ-শান্তির কথা বলছ? মানুষ কখনো নিজেকে সুখী ভাবতে পারেনি, কোনদিন তাই শান্তিও পায়নি তারা এই পৃথিবীতে, কারন তাদের চাহিদার কোন সীমা ছিল না, অফুরন্ত চাহিদা, অফুরন্ত লোভ-লালসাই মানুষের অধঃপতনের মূল কারন ছিল।

শওকত এবার কি করবে বুঝতে পারছিল না। এমনিতেই তার কিছু মনে পড়ছে না। স্মৃতিবিভ্রাট হয়েছে মনে হচ্ছে। তার উপর এই মরুভুমিতে অনেকক্ষন ধরে এই নগ্ন অবস্থায় এই গাছের সাথে তর্ক করতে হচ্ছে। ক্লান্তির পাশাপাশি তার এখন খুব অস্বস্তি লাগতে লাগল।
– আমাকে এভাবে উলঙ্গ অবস্থায় থাকতে হবে?
– মানুষ এখন আর কোন সভ্য জাতি না, সুতরাং লজ্জা পাবার কোন কারন নেই তোমার। অন্যান্য পশুর মতো তুমিও এখন উলঙ্গ অবস্থায় ঘুরতে পার।
– আমাকে অন্যান্য পশুর সাথে তুলনা করলে? আর কত অপমান করবে?
– এস আমার সাথে, এবার তাহলে নিজের চোখে দেখাব তোমাকে, আমার এই ডালে উঠে বস।

শওকত গাছটির একটি ডালে উঠে বসল। গাছটি শওকতকে নিয়ে উড়ে চলল। কিছুক্ষনের মধ্যে গাছটি একটি চিড়িয়াখানায় গিয়ে নামল। সেখানে আছে অনেকগুলো খাঁচা। একেকটি খাঁচায় একেক রকম প্রাণী। সব ধরনের প্রাণীই সেখানে আছে। সর্বশেষ খাঁচার সামনে গিয়ে শওকতের চোখ কপালে উঠল। একি! খাঁচার ভিতরে জলজ্যান্ত এক মানুষ, তারই মতো উলঙ্গ অবস্থায়। কিন্তু আশ্চর্য, এই মানুষটির কোন যৌনাঙ্গ নেই। গাছটি পাশ থেকে শওকতকে বললঃ
– এটি একটি ক্লোন মানব। মানুষেরাই একে তৈরী করেছিল। কৃত্রিম ভাবে জন্মের কারনে এর মাঝে বেশ কিছু প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য অনুপস্থিত। এই মানুষটি কোন কথা বলতে পারেনা কিন্তু সব বুঝতে পারে। এর কোন জৈবিক চাহিদা নেই, বংশবিস্তারের ক্ষমতাও নেই। তাই আমাদের সংগ্রহে শুধু এখন এই একটি মানুষই আছে, এর বংশবিস্তার হচ্ছেনা।

প্রচন্ড কষ্ট ভিতরে চেপে রেখে শওকত ক্লোন মানবটিকে জিজ্ঞাসা করল- “কেমন আছ বন্ধু?” শওকতের প্রশ্ন শুনে খাঁচার মানুষটি হাউমাউ করে কেঁদে উঠল। পরক্ষণেই তাকে আক্রমণ করার জন্য তেড়ে এল খাঁচার গ্রিলের দিকে। ভয় পেয়ে শওকত দূরে সরে এল। শওকত গাছটিকে জিজ্ঞাসা করলঃ
– ও এমন আচরণ করছে কেন?
– ও তোমাকে ঘৃনা করছে। তোমাদের কারনেই ওর আজ এই অবস্থা। তোমরা ওকে সৃষ্টি করেছ কিন্তু পূর্ণতা দিতে পারনি। অন্যায়ভাবে তাকে সৃষ্টি করে এভাবে কষ্ট দেয়ার কারনে সে মানুষের উপরে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তাই তোমাকে আক্রমণ করতে চাচ্ছে। ও এখন অন্য পশুদের মতোই হিংস্র।

শওকত আর সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলনা। চিৎকার দিয়ে খাঁচার সামনে থেকে সরে আসল।
গাছটি শওকতকে স্বান্তনা দিয়ে বললঃ
– আমি জানি তুমি খুব কষ্ট পাচ্ছ, কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। বিলুপ্তপ্রায় সব প্রজাতির প্রানীই সংরক্ষন করা হয়েছে এই চিড়িয়াখানায়। সেজন্যই শেষের খাঁচাটা রাখা হয়েছে মানুষের জন্য।
– আর কত অপমান করবে তোমরা আমাদের?
– এজন্য তো তোমরাই দায়ী। তোমরা সব প্রানীদের উপর অত্যাচার করতে… প্রচন্ড মানবিক অত্যাচার, এসব তারই প্রতিফল।
– মানবিক?? আবার!!! উফ্, চুপ করবে তুমি?
– এ সবই তোমাদের কর্মফল, আমি নিরুপায়, তোমাকে সাহায্য করতে পারছি না। আমি এখন যাই।
– দাঁড়াও, আমি তোমার সাথে যাব
– কোথায়?
– তোমার বাড়ি। আমাকে নিবেনা তোমার বাড়ি?
– আমাদেরতো আলাদা কোন বাড়ি নেই। এই পৃথিবীই আমাদের বাড়ি।
– তোমার কোন স্থায়ী ঠিকানা নেই?
– আছে, কিন্তু সেটা এই পৃথিবীতে না।
– তাহলে কোথায়?
– যেখান থেকে আমার উৎপত্তি হয়েছে, সেখানে।
– মানে?
– মানে আমার স্থায়ী ঠিকানা আমার সৃষ্টিকর্তা। আমাদের প্রত্যেককেই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তণ করতে হবে। কোন সম্প্রদায়ই এর ব্যতিক্রম নয়। তোমরাও নও। কিন্তু তোমরা অমরত্ব লাভ করতে চেয়েছিলে, সীমা লংঘন করেছিলে, তোমরা সীমা লংঘনকারী। এখন তার শাস্তি তোমার ভোগ করতে হবে।

শওকতের মাথায় যেন কিছুই ঢুকছে না। কি বলছে এই বোকা গাছটা? কিন্তু বিশ্বাস না করেই বা কি উপায়। তার এখন আর কোন ক্ষমতা নেই। অক্ষম আক্রোশে ফেটে পড়ছে সে। তার প্রচন্ড ইচ্ছে করছে এই অলুক্ষুনে গাছটাকে এখনি ধ্বংস করে দিতে! তার এই চিন্তাধারাও বোধ হয় গাছটা বুঝে ফেলেছে।
– আমি চললাম এবার। তুমি আমার কোন কথাই বিশ্বাস করছনা, উলটা আমাকে ধ্বংস করার চিন্তা করছ। তোমাদের স্বভাবের কোন পরিবর্তন হবেনা। আমরা বৃথা সময় নষ্ট করি না। তাই আমি এখন চললাম। (গাছটি এবার সত্যিই চলে যাচ্ছে)
– যেওনা, দাঁড়াও। প্লিজ যেওনা… আমাকে এখানে রেখে কোথায় যাচ্ছ?
– মত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এটিই আপাতত তোমার ঠিকানা। আমার কিছু করার নেই। তোমার ভাগ্যই তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। আমার কোন ব্যবহারে কষ্ট পেলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ভাল থেকো…

শওকতকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে গাছটা আকাশে উড়াল দিল। দেখতে দেখতে দূর আকাশে একসময় হারিয়ে গেল। চিড়িয়াখানার এক কোনায় সে একা দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ সে আবিস্কার করল সেও এখন একটা খাঁচার ভিতর আটকে আছে। পাশের ক্লোন মানবটা ভয়ঙ্কর ভাবে একের পর এক হুংকার দিচ্ছে। তার উপস্থিতি একদম সহ্য করতে পারছেনা এই ক্লোন মানব। মনে হচ্ছে বাগে পেলে এখনি তাকে হত্যা করবে। আশেপাশের সমস্ত খাঁচা থেকে এবার একযোগে হুংকার আসতে থাকল। সব খাঁচার সমস্ত প্রানীরা ক্লোন মানবের সাথে গলার স্বর মিলিয়েছে। সবাই একযোগে যেন তার উপস্থিতির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। তাকে আক্রমনের জন্য সবাই যেন প্রস্তুত।

নিজেকে প্রচন্ড অসহায় মনে হতে লাগলো শওকতের। চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করল। প্রচন্ড ভয় তাকে ঘিরে ধরল। তার সমস্ত শরীরে কাঁপুনি অনুভব করল। আবারো প্রচন্ড তেষ্টা পেল তার। কিন্তু আশেপাশে কোথাও পানি নেই। এখানে কে দিবে তাকে পানি? সবাই এখন তার শত্রু, এমনকি যে ক্লোন মানবকে মানুষ সৃষ্টি করেছিল সে নিজেও।

খাচার গ্রিল ধরে কাঁদতে থাকে সে। এভাবেই কি এখানে ধীরে ধীরে মারা যাবে সে? কিন্তু সে তো মরতে চায়না, এই পৃথিবীর মায়া সে ত্যাগ করতে চায়না। সে বাঁচতে চায়, অমর হয়ে থাকতে চায় এই পৃথিবীতে। কবিতার দুটি লাইন তার মনে পড়ল এবারঃ
“মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে
মানবের মাঝে আমি বাচিবারে চাই”
কিন্তু কোথায় সেই মানবেরা? পৃথিবীতো এখন আর মানবের দখলে নেই।
না, তাতে কি? সে মরবে না, আবারো নতুন করে শূন্য থেকে সে সব শুরু করবে, আবারো সভ্যতা গড়ে তুলবে, আবারো মানবজাতি মাথা তুলে দাঁড়াবে। তারপর… তারপর… তারপর…??? আর ভাবতে পারেনা সে।

জরুরী ভিত্তিতে তার পানি চাই এখন, গলা একদম শুকিয়ে গিয়েছে। পানি চাই পানি… একটু খানি পানি। কিন্তু তার গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছেনা কেন?
এবার শরীরের সমস্ত শক্তি একত্র করে চেষ্টা করল সে, একটিবারের জন্য চিৎকার করে উঠলঃ ‘পানি-পানি’

——————————————
পানি হাতে শওকতের মা দৌড়ে এলেন।
– কি হলো বাবা? স্বপ্ন দেখেছিস? খারাপ স্বপ্ন?
– হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ল শওকত, তার চোখেমুখে প্রচন্ড ভয়, জোরে জোরে শ্বাস ফেলছে সে।
– এই নে পানি খা। কিরে তোর চোখে পানি কেন? ঘুমের মধ্যে কেঁদেছিস নাকি?

ঢকঢক করে পানি খেল শওকত। তারপর মাকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকল অনেকক্ষণ। চোখ মুছতে মুছতে ভীত গলায় সে তার মাকে বললঃ
“মাগো, স্বপ্নে আমি যে রিভার্স সায়েন্স ফিকশন দেখলাম, দোয়া করো তা যেন কখনো সত্যি না হয়”

(সমাপ্ত)

২,৭৭১ বার দেখা হয়েছে

৩১ টি মন্তব্য : “সায়েন্স ফিকশন রিভার্স… (২) [এডিটের পরে]”

  1. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    আপনার ধৈর্য্য দেখি আসলেই কম... :-B
    এত জলদি শেষ করে দিলেন!!! :((

    যাই হোক, চমৎকার লেখাটির জন্য আপনাকে... :salute:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
    • রহমান (৯২-৯৮)

      ঠিক বলেছো ভাই। আমার ধৈর্য্য আসলেই কম। এদিকে গত কয়দিন ধরে নেটের লাইনে খুব ডিসটার্ব। বউ এর সাথে চ্যাট করতে পারছিনা ৪/৫ দিন ধরে। মন মেজাজ ও তাই ভাল নাই :no: । আবার লিখতে গেলেও আলসেমি লাগে। 🙁 । তাই জলদি শেষ করে দিলাম

      তারপরও চমৎকার লেগেছে জেনে খুশি হলাম 🙂

      জবাব দিন
  2. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    কুমিল্লা দেখি অনেক আগায়া গেল।
    যাহোক কোয়ালিটি ইমপ্রুভ করছে। ব্যাক্তিগত ভাবে লেকাটা পরে আমার খুব ভালো লেগেছে তা বলবো না তবে আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য রহমান ভাইয়ের ধন্যবাদ প্রাপ্য। 🙂 🙂 🙂 🙂

    জবাব দিন
  3. রকিব (০১-০৭)

    গল্পে ১৫ বার গাছ শব্দটির ব্যাবহার দেখা গিয়েছে :ahem: । তাই এই গল্পটিতে ঝকক এর ট্যাগ লাগানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে :thumbup: :thumbup: ।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আলম (১৯৯৭-২০০৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।