কবিতা। বাহাদুর শাহ জাফর

এই লুণ্ঠিত ভূমিতে আমার হৃদয়ের আর বিশ্বাস নেই,
কে-ই বা পূর্ণতার অনুভূতি পেয়েছে এই অর্থহীন পৃথিবীতে।

বসন্তের মোহময় সময়ে
বুলবুল তার অভিমানী কন্ঠে বলেছে
প্রহরী কিংবা শিকারী নিয়তির রায়ে
আমি শৃঙ্খলিত নই।

এই তীব্র অপেক্ষার আকুতিকে বল
অন্য কোথাও বসতির,
এই বিবর্ণ হৃদয়ে
তার সুযোগ্য স্থান নেই।

ফুলের ডালে বসা বসন্তের মৃদু সমীরনে
আন্দোলিত বুলবুল
আর আমার হৃদয়ের বাগানে
কন্টক ছড়ানো।

দীর্ঘ জীবন চেয়ে
আমি পেয়েছি চারদিন সময়
দুদিন কেটে গেল আকাঙ্খায়
আর দুদিন অপেক্ষায়।

জীবন আজ অতিক্রান্ত,
সন্ধ্যা নেমেছে জীবনে,
আমাকে ঘুমাতে হবে,
সমাধির দিকে প্রসারিত আমার পা।

কী দুর্ভাগা জাফর!
তার কবরের জন্য
দুগজ জমিও ছিল না সেখানে
যেখানে ঘুমিয়েছিল
তার প্রিয় স্বজনেরা।

[ নিজের করা অনুবাদ ]

৯৪৩ বার দেখা হয়েছে

১৬ টি মন্তব্য : “কবিতা। বাহাদুর শাহ জাফর”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ব্লগে স্বাগতম রহমান, কবিতা বুঝি কম, যত টুকু বুঝলাম তাতে বেশ লেগেছে 🙂

    আশা করি আরো লেখা পাবো, হ্যাপি ব্লগিং :thumbup:

    (প্রোফাইলে নামের শেষে কলেজে অবস্থানকালটা জুড়ে দিও)


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  2. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ভালো হইছে।
    আর বিষয়টা আরো ভালো।
    বাহাদুর শাহ জাফরের সময়টা কঠিন ছিলো।
    কিন্তু কবিতা, শায়ের বা গজলের জন্য ঐ সময়টাই সবচেয়ে মহিমান্বিত হয়ে থাকবে ইতিহাসের পাতায়।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  3. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    প্রথম ব্লগের জন্যে শুভেচ্ছা।
    উঁচুমানের অনুবাদ। আমার খুবই ভালো লেগেছে।
    কিছু শব্দচয়ন অসাধারণ এবং যথোপযুক্ত মনে হয়েছে, যেমনঃ কাঁটার বদলে কন্টক; হাওয়া না লিখে সমীরণ।
    বাহাদুর শাহ জাফরের কবিতা আমার বরাবরই পছন্দের।

    প্রথম লাইনটা বুঝতে পারছিনা। একটু সাহায্য করবে?

    আমার হৃদয়ের আর বিশ্বাস নেই

    হৃদয়ের, না হৃদয়ে বিশ্বাস? মানেটা কি এমনঃ হৃদয়ে আর কোন কিছুর জন্যে বিশ্বাস অবশিষ্ট নেই?

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।