গত কয়েকদিনে অনেক কিছুই হয়ে গেল। ১৩ তারিখ আমরা পহেলা বসন্ত উদযাপন করলাম। অনেক মজা। হাজার হোক বসন্তের প্রথম দিন। তার পরের দিন আবার ছিলো ভ্যালেন্টাইন্স ডে। আরো একটা উৎসব। অনেক মজা!! তার পর আসলো ২১ ফেব্রুয়ারি। আমরা অনেকেই দুনিয়া কাপাইলাম। অনেকে দেখলাম শহীদ মিনারে গিয়ে লাফাইতেছে! ভাল! শহীদদের আত্মাও মনে হয় অনেক শান্তি পাবে এতে। নোয়াখালীতে দেখলাম ফুল দেয়া নিয়ে মারামারিতে একজন মারাও গেছে! মাশাল্লাহ! একমাত্র এদেশেই শহীদদের ফুল দিতে গিয়েও শহীদ হয় মানুষ! আমাদের একজন বস মানুষ আবার স্যার উপাধিও পেয়ে আসলেন। আমরা অনেক বস একটা জাতি। একটা নোবেল, এখন একটা নাইট। জোশ! এদিকে দেশের আলো বুয়েটিয়ানরা পরীক্ষা ২ সপ্তাহ পিছায় দিয়ে আসলো! মজায় মজা!!ঘরে বসে বসে ঘাস কাটো পরীক্ষা কেন দিবা??
এদিকে দেশের অন্য দিকে একটা চরম ঘটনা ঘটে গেলো। আমরা কেউ কি দেখছি সেটা?? দেখে থাকলে তো ভালই! না দেখে থাকলে দেখে আসেন….এখানে
“১৯৪৭ সালে যে পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী জনসংখ্যা ছিল শতকরা ৯৭ ভাগ, ’৬১ সালে তা কমে ৮৫ ভাগে দাঁড়ায়। ১৯৯৭-এ শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী জনসংখ্যা ছিল শতকরা ৫২ ভাগ ।” আমার কথা না। এখানে বলা আছে।
আমার কিছু বলার নাই। খালি তাদের এই বলি যারা পাকিদের গালায়। দয়া করে পাকিদের আর গালাবেন না। কততুকু নিচে নামলে আমরা তাদের ধর্ম পালনস্থানে হামলা চালাই??
ওরা যদি একটা মসজিদ জালাতো তখন আমরা কি করতাম??
মুখে অনেক গালি আসতেছে আসলে। আজ একটা জিনিষ ঠিক করলাম। আর পাকি দের গালাবো না। আমরাও ওদের মতই। বাংলা ইংলিশ আরবী সব মিডিয়াম এই আছে আমাদের। খালি ওদের ভাষার কিছু নাই। ওহ ভুলে গেছি। আমরা তো বস জাতি। আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবষ এর জনক!!
নিজেকে গালি দেবার ভাষাও নাই। মাফ করবেন। কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু লিখা হয় নাই। আসলে তখনই খারাপ লাগে যখন দেখি এই খারাপ লাগানো ছাড়া আমার আর কিছুই করার নাই!
তুমি আমার মনের কথাটা বলেছ রাহাত...এক্টু কমই বলেছ...
আমি USA এ তে প্রথম প্রথম উর্দূ কথা বলা মানুষ দেখলে একটু এড়িয়ে চলতাম...এখন আর করি না...কারন...১৯৭১ এর জন্য যদি পাকিস্তানকে ঘৃনা করা আমাদের জন্য ফরয হয়, তবে ২৫/২/২০০৯ এর জন্য বাঙ্গালীদের ঘৃনা করাও ফরয হবে...কিন্তু...২৫/২/২০০৯ এর পর তো আমি বাংলা বলা বন্ধ করি নি...তাই এখন আমি পাকিদের সাথে উর্দু বলতেও দ্বিধা বোধ করি না...
এইটা কি কইলা ভাই!! কোন যুক্তিতেইতো মনে হয় এইটা সমর্থন করা যায়না। কিছু বাঙ্গালী অমানুষ হয়ে গিয়ে পাকিস্তানীদের সাথে নির্দ্বিধায় উর্দু বলা জায়েজ করে দেয়না, স্যরি।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ভাইয়া...ব্যপারটা আমার কাছে double standard মনে হয়...
উর্দু বাদে ইংলিশ, চাইনিজ, জার্মান...যে কোনো ভাষায় আপনি যদি কথা বলেন...আপনাকে বাঙ্গালি কেউ খারাপ ভাব্বে না...কারন?
...১৯৭১ এ তারা যেই আমানুষিকতার পরিচয় দিয়েছে...তার প্রতিশোধ হিসেবেই আমরা উর্দুকে এত ঘৃনা করি...২/২৫ এ আমরা বাঙ্গালীরা যে অমানুষিকতার পরিচয় দিয়েছি...তার কি হবে???
...২/২৫ এর ঘটনাতে আমার এই realization হয়েছে...i should treat urdu as just another foreign language...just like english, german, chinese....
But i should definitely hate the criminals (1971 warlords) and crime (genocide), not the language itself...
আরেকটা জিজ্ঞাসা...ইংরেজরা আমাদের ২০০ বছর অত্যাচার করেছে...ইংরেজী ভাষার প্রতি আমাদের বিন্দুমাত্র ঘৃনা নেই কেন?
আমার এই realization গুলোতে ত্রুটি থাকতে পারে...senior/junior should point it out without hesitation....
ভাইয়া, ছোট্ট একটা পয়েন্ট। ব্রিটিশ শাসকরা কিন্তু আমাদের ভাষার ব্যাপারে কোন হস্তক্ষেপ করেনি। পাকিস্থানি শাসকগোষ্ঠি কিন্তু সেটাই করেছে। আর তা থেকেই ২১/২/১৯৫২ এর সৃষ্টি। এজন্যই বোধহয় উর্দু বলতে গেলে মনে হয় সেই শহীদদের প্রতি অসম্মান জানাচ্ছি।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
রকিব হস্তক্ষেপ বলতে কি তুমি রাষ্ট্রভাষা অন্য ভাষা করা বল?? আমার তো মনে হয় না ইংরেজ আমলে অফিস আদালতে সরকারি অফিসে অফিসিয়াল ভাষা বাংলা ছিলো!!আমি তো সমাজ বইয়ে পড়ছিলাম ইংরেজী না পড়ার কারণে বাংলার মুসলমানেরা পিছায়ে পড়ছিলো হিন্দুদের চেয়ে।
কারণ ফাকি গুলা গরু খাওয়া, আর ইংরেজরা মাথা ঠান্ডা আছিল, তারা চুপে চাপে যে কি পরিমান বাম্বু দিয়া গেসে এইটা এখনো টের পায়তাসস না ? যারা চুপে চাপে বাম্বু দায় তাদের ধরতে টাইম লাগে ,
ভাই আমার একজন চাকমা বন্ধু আছে... সে নিজের ভাষার বর্ণমালা লিখতে পারে না!! বলতে পারে অবশ্য। আমরা কি তাহলে ফাকা বুলিই ছাড়ি?? ওদের ভাষা সংরক্ষনের কয়টা পদক্ষেপ নিছি?? আবার গিয়ে দুনিয়া কাপাই...মেজাজ টা লাগে খারাপ!!
অনেক ধন্যবাদ এই সাহসী লেখার জন্য। একটু আগে আমি নীচের মন্তব্যটি পোস্ট করেছি:
আমাকে ধিক্কার
ধন্যবাদ ভাই...আমিও জানতাম না এভাবে ওদের উপর হামলা হয়েছে!!আমি খবরে শুনলাম বাঙ্গালিদের নাকি বাশ দিছে ওরা! কেবল গতকাল রাতে আমাকে আমার এক বন্ধু এ লিঙ্কটা দিলো!! নিজেকে ধিক্কার , নিজের জাতিকে ধিক্কার দেয়া ছাড়া আমাদের আর কিছুই করবার নাই!!
ভাষা হারিয়ে ফেলেছি ...... ভাই, তোমার লেখাটা ফেসবুকে শেয়ার করলাম ......
ধন্যবাদ ভাই...আমার লিখাটাও তো একপ্রকার শেয়ার ই....
অনেকটা আমার মনে কথাগুলোই লিখেছো, ধন্যবাদ।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে কি কিছু করা যায় না? সিসিবিয়ান ভাই-বোনেরা কি বলেন?
ভাই কিছুই করা যায় না! বিশ্বাস করেন!! আমি দেহেন কি করতেছি??ব্লগে লিখেই শেষ!! এতে কি ই বা এমন হইতেছে যে সবার মনোচক্ষু খুলে যাবে আর সবাই ভালো হয়ে যাবে??আমার খালি এটাই মনে হইলো যে পাকি দের সাথে আমাদের যে তেমন কোন পার্থক্য নাই সেটা জানান দেয়া।we are all the same!!
বুঝি না গত বছর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস কি আমাদের জাতীয় মৃত্যু, অন্যায়ের মাস হয়ে গেছে? গতবার স্বাধীন দেশের মাটিতে একটা ফোর্স আরেকটা ফোর্সের গুণী অফিসারদের মেরে ফেললো। কেউ কিছু করতেও পারলো না, পেছনে কারা কলকাঠি নেড়েছে কাউকে ধরতেও পারলো না। এবারে পাহাড়ে নিজের দেশের মানুষকে মেরে ফেলছে। বাহ!
তবে,
-এই অংশে তীব্র আপত্তি জানাচ্ছি। আমার মনে হয় না আজ চল্লিশ বছর পরে যখন ফাকিস্তানিদের নৃশংসতা একটি মীমাংসিত সত্য, তাদেরকে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন কোনো অন্যায়ের কারণে মাফ করে দেয়া যায়। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম- একজন মানুষ আক্রান্ত হলে আক্রমণকারীর ল'ইয়ার খুঁজে বের করার চেষ্টা করে যে আক্রান্ত লোকটি খারাপ ছিলো কি না। সে খারাপ হলেই আক্রমণকারীর দোষ কমে যায়।
পাহাড়ীদের সাথে যা হচ্ছে, হয়েছে সেটা ফাকিস্তানিদের সাথে তুলনীয়, সেটার জন্যে তো তারা গালি খাচ্ছে, ফাকিস্তানিরা কেন গালি খাবে না?
"পাহাড়ীদের সাথে যা হচ্ছে, হয়েছে সেটা ফাকিস্তানিদের সাথে তুলনীয়, সেটার জন্যে তো তারা গালি খাচ্ছে, ফাকিস্তানিরা কেন গালি খাবে না?"
ভাই কবে কে গালি দিলো??? আমি আমার একটা সিঙ্গেল ফ্রেন্ডকেও(including myself of course) ফেসবুকে এদের দুরঃবস্থা নিয়ে একটা ষ্ট্যাটাস দিতে দেখলাম না!! অথচ ২১ তারিখ তো পাকিদের ভাষার উপর আঘাত হানার জন্য অনেকেই গালাইলো! আমার কথা হল যেহেতু নিজের জাতিকে গালানোর সাহস নাই তাই পাকিদেরো গালাবো না।
পাকিরাও invade করছে আম্রাও করতেছি! ওরাও temple পোড়াইছে আম্রাও পোড়াইছি! ওরাও শোষন করছে আমারাও করতেছি। ওদের দেশের মানুষ ও আমাদের আসল খবর জানত না, আম্রাও পাহাড়ী বাংলাদেশীদের আসল খবর জানি না, জানার চেষ্টাও করি না বোধ হয়...কে জানে!
personally আমি মনে করি পাকিদের এভাবে গালালে অনেকটা নিজের উপরেই পড়বে!!
১. তুমি বা তোমার ফ্রেণ্ডরা দাওনি বলেই সেটা অসচেতনতা হয়ে ওঠে না। এমনকি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াটাও সচেতনতার মাপকাঠি হতে পারে না। তবুও বলি, আমি এই ঘটনা ফেসবুকের মাধ্যমেই আগে জেনেছি, পরে ব্লগে ঢুঁ মারলাম।
২. ফাকিস্তান ও ফাকিস্তান-সম্পর্কিত সবকিছু নিয়ে আমি বড়োই একপেশে। আমাদের জাতির সবাই যদি তেমন হইতো তাহলে স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পরেও জামাত-শিবির-রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীরা বেঁচে থাকতো না! আমার এই মনোভাবকে অন্য যে কোনো থিওরিতে ফেলে "খারাপ" বা "অনুচিত" ভাবা যাইতে পারে। যারা ভাববেন, তারা দয়া করে "আমি বীরাঙ্গনা বলছি" বইটা পড়বেন। আর কিছু লাগবে না। তারপরেও যদি মনে হয় যে, "নাহ, ফাকিস্তানিরা আমাদের থেকে ভালো, নিজেকে না গালি দিলে ফাকিস্তানকেও গালি দিবো না", তাহলে সেই পাকিপ্রেমকে আমি কিছু বলতে চাই না।
৩. নিজেদের ভুল-ত্রুটি, অন্যায় অত্যাচারকে ঘুরে ফিরে ফাকিস্তানিদের সাথে তুলনা করার বদভ্যাস ত্যাগ করা দরকার। আমরা তাদের থেকে আলাদা হয়েছি অনেক অনেক বৃহত্তর ইস্যুর কারণেই। সেগুলো আমাদের মাঝে ছিলো না, নাই, থাকবেও না। রাষ্ট্র হিসেবে অনেক রাষ্ট্র সংখ্যালঘুদের উপরে অনেক অত্যাচার করে, সরকার করে, মানুষ করে, সরকারি বাহিনীরাও করে। এগুলোর বিরুদ্ধে জনমত ও বিরোধ গড়ে তোলা দরকার, পত্রিকায়-মিডিয়ায় প্রচারণা চালানো দরকার। সেটা সচেতন নাগরিকরাই করবেন। এই লজ্জা ও ঘৃণা 'অন্যায়কারী' গ্রুপের দিকে। "আমরা" সবাই-ই যদি খারাপ হতাম তাহলে তো এই মৃত্যু ও অগ্নিকাণ্ডকে সমর্থন দিতাম, তাই না?
ভাই আমি সোজা সাপ্টা ভাষায় আপনার কথার জবাব দেই। আমার বাংলার vocabulary এতো সমৃদ্ধ না। মনের ভাব প্রাঞ্জল ভাষায় লিখাটা অনেক বড় ব্যাপার! আর সে ভাবটা যদি রাগ আর ক্ষোভ হয় সেটাকে গালি ছাড়া ভালো ভাষায় লিখাটা আমার পক্ষে সম্ভব না! তাই আমি গালি দিছি। আর গালিটা হল পাকি বলা।
"নাহ, ফাকিস্তানিরা আমাদের থেকে ভালো, নিজেকে না গালি দিলে ফাকিস্তানকেও গালি দিবো না”, তাহলে সেই পাকিপ্রেমকে আমি কিছু বলতে চাই না"
ভাই আমি নিজেরদের মধ্যে ডাবল ষ্ট্যান্ডার্ড টা কমাতে বলেছি! আমার বেশ মন খারাপ হল এখানে পাকিপ্রেম এর কথাটা আসছে!! একটা মানুষ যখন আরেকটা মানুষকে দেখে পশূর মত আচরন করতে আর তখন যদি সে তাকে গালি দেয় শূয়োর তার মানে কি সে শূয়োরপ্রেমী??
রাহাত, তোমার পোস্টের বাক্যটা এমন যে সেটা নিয়ে মনে হয় একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়ে যাচ্ছে।
"পাহাড়ে আমাদের আচরণ পাকি'দের মতো হয়েছে, তাই আমি আমাদেরকেই গালি দিচ্ছি"-
"পাহাড়ে আমরা পাকিদের মতো আচরণ করি, তাই এখন থেকে পাকিদের আর গালাবো না"-
উপরের দুটার মাঝে একটা পার্থক্য আছে। এখন সেটা ক্লিয়ার হলো, তাই বুঝতে পারলাম। উপরে আগের মন্তব্যের কথাগুলো তোমার উদ্দেশ্যে ছিলো না। ওটুকু ইগনোর করো। 🙂
ভাই আমার মনে হয় রাহাত এই কথাটাকে মেটাফোর হিসেবে ব্যবহার করেছে, আক্ষরিক অর্থে না। পাকিস্তানিদের ক্ষমা করা দূরতম কল্পনায়ও কোন বাংলাদেশির মনে আসতে পারে না। রাহাত অনেক বড় ক্ষোভ থেকে এইকথা বলেছে নিশ্চয়। কিন্তু আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এটা ও কোনভাবেই আক্ষরিক অর্থে বলে নাই।
তাই আসুন এই লেখার প্রধান অংশ নিয়ে আমরা আলোচনা করি।
লজ্জা লাগে যে আমি একজন বাঙ্গালী
লজ্জা পাবার কিছু নাই!! এটাই মনে হয় জগতের রুল। আমরা কয়েকটা মানুষ হয়তো এখনো খাপ খাওয়াতে পারতেছি না! আরো কিছুদিন পর আমরাও সব দেখেও না দেখার ভান করতে পারবো!!
ভাই পরীক্ষা কি সত্যি পিছাইসে?কবে থেকে শুরু?
কবে দেখছ মিছিল হইছে আর এক্সাম পিছায় নাই?? ata least ২ সপ্তাহ তো হবেই।
দোস্ত,তুই এটা কি লিখলি? জানিস না, আমরা মেজরিটি? আর কথায় আছে না,জোর যার মুল্লুক তার? তাই ওদের উপর একটু জোর দেখানো হচ্ছে আর কি।
খুব সাহসী পোস্ট দিসিস। লাইক দিলাম।
জোর খাটাতেও কম যাই না আমরা কি বলিস??
অঃটঃ দোস্ত তোর এতো বড় একটা এক্সিডেন্ট!! তুই কেমনে আছস??আমি হইলে তো পাগল হয়ে যাইতাম!!এতো দামী একটা মোবাইল আর ক্যামেরাটাও!! সাবধানে রাখতে পারিস না এসব? জানিস বিয়েবাড়িতে এসব হয়!!
ভাষা আন্দোলনের কিসু আগে পাকিস্তানিরা একটা ফর্মুলা বের করসিলো যে বাংলা ভাষাকে আরবি না ফার্সি কি যেন মনে নাই , সেই বর্ণ দিয়া লেখবে, এখন যে আমরা সব জায়গায় ইংলিশ দিয়া বাংলা লেখি, সেইটারে কি বলবেন ? গানের এলবাম এ তো কোনো নাম ই বাংলা দিয়া দেখি না, হালার হুদাই ২১ তারিখ আইসা সবার পেরেম উথলায়া উঠে . ওই দিন দুপুরে একুশে দেখসিলাম , এক ছেমরি কয় কি.....২১ তারিখ এ আমাদের দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ কইরা দেশ স্বাধীন করসে ...... :duel:
অনেক সাহসী লেখা দিসস ৫ তারা তর জন্যে :hatsoff:
তর নিক নাম কি ? রাহাত হইলে :hug: :hug:
😮 😮 😡 😡 x-(
x-( ওই ছেমরিরে যদি সামনাসামনি দেখতে পারতাম............বাংলা গালির ভকাবুলারী উজার কইরে দিতাম। x-(
বুঝবে তো বাংলা গাইল ? :grr:
আসলেই আমরা বস জাতি :-B
দেশের মাথাদের এই লেখাটা পড়ানোর একটা ব্যবস্হা করা যায় না !
আমাদের কলেজে প্রতি ব্যাচেই কমপক্ষে একজন করে পাহাড়ি ছেলে ভর্তি হতো, আমার ধারণা সব কলেজেই এই কোটা আছে। কিছুক্ষণ আগে আমার ব্যচের বন্ধুটির সাথে কথা হলো, আমার অনুরোধ প্রত্যেকে নিজের ব্যচের বন্ধুকে ফোন করে জেনে নেই আসলে কি হচ্ছে।
ওর সাথে কথা বলে মন খারাপ হয়ে গেলো, বেচারা ছোট্ট বাচ্চা নিয়ে খাগড়াছড়িতে পুরো অবরুদ্ধ হয়ে আছে...
পোস্টের আবেগের সাথে একমত; যুক্তির সাথে নই। পাহাড়ীদের ওপর নিপীড়নের ঘটনা আজ হঠাত ২০১০ এর ফেব্রুয়ারীতে শুরু হয়েছে এমন কিন্তু না। বহু পুরোনো এক পোস্টের আলোচনায় বেশ কিছু অবশ্য-পাঠ্য লিন্কের উল্লেখ রয়েছে। সবার প্রতি পড়ার অনুরোধ থাকলো। আজ হঠাত করেই যেন পাহাড়ী নির্যাতনের ইস্যুটির সাথে যুদ্ধাপরাধ আর পাকিস্তানীদের নির্যাতনের ইস্যুটিকে এক করে যুক্তি খোঁজার ধূম লেগে গেছে। ভালোই তো! পাহাড়ীরা নির্যাতিত হলো সাম্প্রদায়িক বাঙালীদের হাতে, যাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কথা আর নাই বা বললাম। এটা আমরা খুব ভাল করে জানি - পার্বত্য চট্টগ্রামের মূল সাম্প্রদায়িক শ্রেনীটি কোন্ রাজনৈতিক জোটের অংশ! যারা জানেন না, তারা দয়া করে জেনে নেবেন প্লিজ। এই সব না জানা রীতিমতো অপরাধ। মজার ব্যাপার হল, অপকর্ম করলো একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ঘরানার মনমানসিকতার মানুষ, আর আমরা এখন সবাই নিজেদের ঘাড়ে দোষ তুলে নিয়ে পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যেটুকু নৈতিক বৈধতা অবশিষ্ট আছে, তা নিয়েও টানাটানি শুরু করেছি। তাতে সেই সাম্প্রদায়িক যুদ্ধাপরাধী-লালনকারী জোটেরই লাভ, দুই ভাবেই। পাহাড়ী নির্যাতনও হলো, উর্দু এবং পাকিস্তান প্রেমেরও কিছু নতুন অজুহাত বের করা গেল!! বেশ তো!!
বড়ো ইন্টারেস্টিং জাতি আমরা!!
মজার ব্যাপার হল, পাহাড়ী ইস্যু নিয়ে গত ২০ বছর ধরে যখন পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অঞ্চলগুলোতে বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছিল (সেখানে আমারও সামান্য কিছু কাজ করার সৌভাগ্য/দূর্ভাগ্য হয়েছে একটা দীর্ঘ সময়), তখন পাহাড়ীদের প্রতি এমন গদগদ 'হঠাত-সমর্থন' চোখে পড়েনি। এখন যে সব আগুন ঝরা মন্তব্যকারী আর পোস্টলেখকে ব্লগ ছেয়ে যাচ্ছে, তাদের তখন কোথাও দেখেছি বলে মনে পড়ে না; এই তো বছর দুই আগে সাজেক এর ঘটনার সময়ও তাদেরকে কোথাও লিখতে দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। সবাই যেন আজ হঠাৎ জানছেন পার্বত্য চট্টগ্রামে আসলে কি ঘটছে!! I wonder why, and why now!!
রায়হান ভাই, বিশ বছর ধরে বা দুই বছর আগেও আমরা কেউ কিছু করতে পারিনি দেখে কি এখন আমাদের এই ব্যাপারে কোনো প্রতিবাদ না করে চুপ করে যাওয়া উচিৎ ???
তুমি মনে হয় আমার মূল বক্তব্য বুঝতে পারোনি। চুপ করে যেতে হবে কেন? কিন্তু কোন্ ভাষায় ঠিক কোন্ দৃষ্টিভঙ্গীর প্রচার করা উচিত পাবলিক ফোরামগুলোতে, সেটা নিশ্চয়ই আমাদের ভাবতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের ইস্যুকে পূঁজি করে কারও যেন উর্দু প্রেম আর পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধী প্রেম চাগা দিয়ে না উঠে সে বিষয়েও সচেতন থাকা দরকার। কারন, এই প্রেমিকরা আদৌ কখনো পাহাড়ী ইস্যুর সাথে একাত্ম ছিলেন কি না সে বিষয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
আরেকটা বিষয়, লক্ষ্য করছি - সমস্ত আলোচনায় শুধু কিভাবে অগ্নিসংযোগ হল, কিভাবে খুন হলো পাহাড়ীরা, কেন তা অত্যন্ত জঘন্য-বর্বর - তা নিয়েই মাতামাতি। কিন্তু এই সব কি আকাশ থেকে হঠাত পড়া কোন ঘটনা? নাকি আজকেই সে সব নতুন করে ঘটছে? কোনটা কারণ, আর কোনটা ফলাফল সেটা যেন আমরা চিনতে ভুল না করি। কারণ, সেখানে ভুল করলে আমাদের সব কথাই হবে কিছু তাৎক্ষণিক আবেগ, সাম্প্রতিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে। তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না বলেই আমার ধারণা; শুধু মধ্যখান থেকে পাকিস্তানপ্রেমের কিছু নতুন যুক্তি খুঁজে পাওয়া ছাড়া।
স্মৃতির (এবং প্রতিক্রিয়ার) চৌহদ্দিটা ১৪ দিন থেকেও আরেকটু বাড়াতে হবে ভাই। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার একটা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট রয়েছে, রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিচ্ছিন্ন ভালোমানুষি রামকৃষ্ণ apoliticalness দিয়ে কি এর বিচার/বিশ্লেষণ সম্ভব? না করা উচিত? তাতে কি পাহাড়ীদেরই কোন লাভ হয়? মনে হয় না।
"তাতে সেই সাম্প্রদায়িক যুদ্ধাপরাধী-লালনকারী জোটেরই লাভ, দুই ভাবেই। পাহাড়ী নির্যাতনও হলো, উর্দু এবং পাকিস্তান প্রেমেরও কিছু নতুন অজুহাত বের করা গেল!! বেশ তো!!"
আবেগ নিয়ে লিখছি সত্য কথা কিন্তু এখানে উর্দু আর পাকি প্রেমের কথা কোথা হতে উঠে আস্লো আমি তো বুঝতে পারলাম না! আমি কি পাকিদের ভালো বলছি? আমি বলছি আম্রাও পাকিদের থেকে কম যাই না!! আশ্চর্য!! আর ২ বছর আগে আমি এতো সচেতন ও ছিলাম না! আমি এই পোষ্ট টাও লিখতাম না যদি আমার বন্ধুটি আমাকে ওই লিঙ্কটা পড়তে না দিতো। স্বীকার করি আমি সচেতন নাগরিক না কিন্তু যা জেনেছি তা শেয়ার করতে প্রব্লেম টা কোথায়??
"এখন সবাই নিজেদের ঘাড়ে দোষ তুলে নিয়ে পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যেটুকু নৈতিক বৈধতা অবশিষ্ট আছে, তা নিয়েও টানাটানি শুরু করেছি।"
এটা ভাই কি কারণে বললেন বুঝলাম না!! আমি এখানে কোথায় রাজাকারদের বিচার হবার নৈতিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি বুঝলাম না।
@ রাহাত রফিক,
আমার মন্তব্যে কিছু জরুরী ব্যাকগ্রাউন্ড রিডিং এর জন্য লিন্ক দেয়া ছিল। সেগুলো ভালভাবে পড়লে তুমি এই মন্তব্য করতে না হয়তো, এই পোস্টও হয়তো এই ভাষায় লিখতে না। এটা যদি কমিউনিটি ব্লগ না হয়ে তোমার ব্যক্তিগত ব্লগ হোতো তাহলে আমি মতামত দেয়ার প্রয়োজন মনে করতাম না। কিন্তু কমিউনিটি ব্লগে কোন মতামত বা অনুভূতি প্রচারের সময় কিছু দায় দায়িত্ব নিতে হয় আমাদের সবাইকেই। "অগ্নি সংযোগ" আর "পাহাড়ীদের হত্যার" প্রতিবাদ জানানো এক জিনিস, আর সেটাকে পাকিস্তানীদের systematic অপকর্মের সাথে মিলিয়ে তুলনা করা আরেক জিনিস। এধরণের অতি সরলীকৃত মিল খোঁজা হালের আমলে অনেককেই করতে দেখছি। একজনকে তো দেখলাম (ইন্টারনেটে) পাহাড়ীদের ওপর সাম্প্রতিক অত্যাচারের ইস্যুকে পূঁজি করে বাঙালী জাতি যে কিভাবে (২৫ মার্চের আগে এবং ১৬ ডিসেম্বর এর পর) সর্বদাই এক উশৃঙ্খল জাতি ছিল এবং আছে তেমন উপপাদ্যও টেনেছেন!
"পাকিপ্রেম" শব্দটা কেন নিজের ঘাড়ে তুলে নিয়েছো সেটা স্পষ্ট হল তোমার পরবর্তী মন্তব্যে "ডাবল স্ট্যান্ডার্ড" কথাটির প্রয়োগে। এখানে 'ডাবল স্ট্যান্ডার্ড' কোথায় দেখলে তুমি? আর দু'টো বিষয় তুলনাযোগ্যই বা হয় কিভাবে? হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ কি আর কোথাও কেউ করেনি? কিন্তু তার জন্য "পাকিস্তান" এর দোহাই দিয়েই অতি সরল অন্তঃমিলটি টানতে হবে কেন (এবং এখনি কেন?), ঠিক বুঝলাম না। দয়া করে আগের দেয়া লিন্কগুলো দেখে মন্তব্য কোরো। বাধিত হবো। আর পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুতে সামান্য কিছু কাজে সংশ্লিষ্টতার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল; তাই তোমার "ডাবল স্ট্যান্ডার্ড" মন্তব্যের ব্যাপারে আর আলোচনায় যেতে চাচ্ছি না।
আর কোন্ কথা কোন্ অবস্থান যুদ্ধাপরাধী-বান্ধব, এসব নিয়ে কোয়ালিশনগুলোতেও বহু আলোচনা হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। সে সব এখন ব্যাখ্যা করতে গেলে পোস্ট লিখতে হবে। সময় পেলে হয়তো লিখবোও। শুধু এটুকু বলে রাখি: জামাত শিবিরের বাইরেও যুদ্ধাপরাধীদের বহু ধরণের "বান্ধব" আছে, তথাকথিত এই প্রগতির শিবিরেই। বিষয়বস্তু সম্বন্ধে অজ্ঞতা, অসচেতনতা, আরও খেটেখুটে বিষয়বস্তু ভালভাবে জেনে কাজ করার ব্যাপারে অলসতা, প্রয়োজনের সময় তীক্ষ্ণ অবস্থান গ্রহণে ব্যার্থতা, প্রায়োরিটি নির্ধারণে অনীহা, বৃহত্তর প্রেক্ষাপট সম্বন্ধে অন্ধতা-প্রসূত "রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দসুলভ ভালোমানুষী" - এই সবের মধ্য দিয়ে আমরাই একেকজন (এমনকি নিজেদেরও অজান্তে) আজ নিজামী মুজাহিদ আর পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের এবং তাদের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সুহৃদ হিসেবে আত্মপ্রকাশের পথে!
সিংহভাগ নিরক্ষরের দেশে আমরা (তুমি এবং আমি) সুবিধাপ্রাপ্তদের কাতারে পড়ি। দু'বছর আগেও তোমার পত্রিকায় একসেস ছিল, ইন্টারনেটে একসেস ছিল। দু'বছর আগেও বাংলাদেশের পাবলিক লাইব্রেরীগুলোতে বই ছিল, এই পার্বত্য চট্টগ্রামের ওপরেই। সুতরাং, তুমি কখন কিভাবে "সচেতন" হলে কিংবা হতে পারলে না (কিংবা এখন হয়ে থাকলে ঠিক কি কারণে হলে), সে বিষয়ে সত্যিই ভাববার সময় নেই। শুধু এটুকু জানিয়ে রাখি, সেই সব ছেলেমেয়েদেরও জানার সৌভাগ্য হয়েছে আমার, যারা তোমার চেয়েও অনেক কম বয়সে (ধরে নিচ্ছি তোমার বয়স ২১-২২) পার্বত্য চট্টগ্রামে একেকটি হত্যা, ধর্ষণ, ঢালাও-উচ্ছেদ, অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর সে সব এমনকি পত্রিকাতেও আসার আগে নিজেরা তথ্যানুসন্ধান দল গঠন করে দেশের মহাশক্তিধর সরকার ও সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর (এবং শান্তিবাহিনীর) নজরদারী মাথায় নিয়ে একেকটি ঘটনার সরেজমিন তদন্ত করেছে এবং জনমত গঠন করেছে; ফিরে এসে দেশে বিদেশে আপীল পাঠিয়েছে; সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে, অনেক সময়ই প্রভাবশালী মানবাধিকার সংগঠনগুলোরও আগে। এই সবের পুরোটাই ওরা করেছে মূল স্রোতের বিপরীতে, নিজেদের জীবন এবং স্বাধীনতার ঝুঁকি নিয়ে। এই বিষয়ে আরও জানতে মুক্তাঙ্গন এবং দৃষ্টিপাতের লেখাগুলো পড়তে পারো। সম্প্রতি ফেসবুকে শেয়ার করা বহু পুরোনো এই পোস্টটিও পড়ে দেখতে পারো। এই পোস্টটিতে আমার মন্তব্যের চেয়েও আরও পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করা রয়েছে ঠিক কি কারণে এই সব তাৎক্ষণিক ভালোমানুষীসুলভ অতি সরল-তুলনার বাইরে বেরিয়ে এসে আমাদের এখন নতুন ন্যারেটিভ খোঁজা জরুরী।
তোমার আবেগের জায়গাটুকুর সাথে শুরুতে আমার প্রথম মন্তব্যেই সমর্থন জানিয়েছি, তুমি হয়তো খেয়াল করোনি। আবারও জানাচ্ছি। কারণ, আমি বিশ্বাস করি - এই আবেগ ইতিবাচক, এই আবেগ সম্ভাবনাময়। প্রজন্মগুলো তো এভাবেই জেগে ওঠে! কিন্তু আগের সঞ্চিত অভিজ্ঞতাগুলো ধারণ না করলে জেগে ওঠা প্রজন্মও ভুল করতে পারে। আমরা সবাইই সেই ভুল করেছি, এবং এখনো প্রতিনিয়ত করছি, এবং তা থেকে শিক্ষা নেয়ার চেষ্টা করছি। এই অভিযাত্রা আমাদের সকলের; এখানে কোন কিছু ব্যক্তিগতভাবে নেয়ার প্রয়োজনীয়তা মনে হয় নেই।
ভাল থেকো।
ভাই আমি আপনার দেয়া লিঙ্কটা পড়ি নাই সত্যি।
"এধরণের অতি সরলীকৃত মিল খোঁজা হালের আমলে অনেককেই করতে দেখছি। একজনকে তো দেখলাম (ইন্টারনেটে) পাহাড়ীদের ওপর সাম্প্রতিক অত্যাচারের ইস্যুকে পূঁজি করে বাঙালী জাতি যে কিভাবে (২৫ মার্চের আগে এবং ১৬ ডিসেম্বর এর পর) সর্বদাই এক উশৃঙ্খল জাতি ছিল এবং আছে তেমন উপপাদ্যও টেনেছেন!"
এখন আমি এই বিষয়ে অন্য ব্লগে কে কি লিখেছে সেটাও জানি না। আমি খালি একটা লিঙ্ক পেয়ে সেটা শেয়ার করেছি। আর এটাও বলে রাখি আমি যখন লিঙ্কটা পড়ে আমার বন্ন্ধুকে বললাম ব্লগে এসব নিয়ে কিছু হচ্ছে না কেন? তখন সে আমাকে বলল বেশি চিল্লাইস না তোদের ক্যাডেট কলেজ ব্লগে এ ব্যাপারে সবচেয়ে কম রেস্পন্স!! এখন এই কম রেস্পন্স যদি ২ বছর আগে আমি পাত্তা দেই নাই তাই এখন দিবো না এ কারনে হয় তাহলে আমার কিছু বলার নাই!!২ বছর আগে আমি অনেক কিছুই করতাম না। আমি বারবার বলেছি এ পোষ্টও লিখা হতো না যদি না আমি এখানে লিঙ্কটা না পেতাম! আমি বলেছি আমি এতো সচেতন এখনো নই। এর আগে আমি জানতাম বাঙ্গালিরাই শিকার ওখানে!!
আর ভাই নিজেদের ধিক্কার দিতে আমি একটা নিকৃষ্টতম গালি ব্যবহার করেছি!! সেটা হল পাকি বলা। একটা বাঙ্গালির জন্য পাকিদের সাথে তুলনা করার চেয়ে বাজে গালি আর নাই!! আমি সেটা করেছি! দুঃখের বিষয় আমাকে এখন কোন বিষয় থেকে কি নিয়ে আলোচনা করতে হচ্ছে।
আর ভাই আমার একটা প্রশ্নের জবাব আমি আশা করব। ২ বছর আগে আমার মাথায় এসব আসে নি। সেজন্য আমি প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
আমরা ফেব্রুয়রি মাস আন্তর্জতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করি। আমরা চাই সবাই যাতে তার মাতৃভাষা সংরক্ষন করতে পারে। এখন আমরা নিজের দেশেই কি তা করতে পারছি? আমাদের দেশের সকলের মাতৃভাষা বাংলা না। পাহাড়িদের ভাষার দুরঃবস্থা কেমন সেটা আমি একটা কমেন্টের জবাবেও বলেছি। চাকমাদের বর্ণমালা অনেকটাই হুমকির মুখে। আমার চাকমা বন্ধুটি নিজের ভাষায় লিখতেই পারে না আর সে হল বুয়েটের ছাত্র। তাহলে অন্যদের কি অবস্থা!!তাহলে যারা আরো কম পরিচিত আদিবাসী তাদের ভাষার কি অবস্থা? আমি এটাকেই ডাবল ষ্ট্যান্ডার্ড বলছি।
আমি আগে দেখতাম মেট্রিক ইন্টার এ পালি সংস্কৃত এসব পড়ানো হয়। তাহলে কেন ওদের ভাষাগুলোকে পড়ানো হয় না??পালিতে কোন লোক কথা বলে এদেশে??
ধন্যবাদ ভাইয়া।
স্যরি ভাই, তোমার ঐ কমেন্টটা আগে বুঝতে পারিনি। এখন পরিষ্কার হল। এটা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু। শুধু চাকমাদের না, অবস্থা সামগ্রিকভাবেই এমন। আমার এক বম্ বন্ধু (বান্দরবান এর) জানিয়েছিল, ওরা রোমান হরফ ব্যবহার করে বম্ ভাষায় কিছু লিখতে হলে। অনুমান করছি, মিশনারীদের কল্যাণে! মাঝে মাঝে ভাবি, আজকে যদি পাহাড়ীরা একুশে'র মতো কোনো আন্দোলনে নামে তাদের নিজ নিজ ভাষা এবং বর্ণমালার জন্য, তাহলে আমাদের সমতলের সরকার কিংবা আমরা বাঙালীরাই বা তাকে কিভাবে দেখতাম! খুব বেশী মনে হয় কল্পনা করতে হবে না। সব কিছু দেখে মনে হয়, সেই প্রক্রিয়াটি যেন কখনোই শুরু না হয়, তার সমস্ত নিরোধক ব্যবস্থা সেখানে নিয়ে রাখা হয়েছে। তা নাহলে নিজের দেশের মানুষের সাথে নিজের দেশের সামরিক এসটাবলিশমেন্ট এতো consistently এমন আচরণ করে যায় কিভাবে বছরের পর বছর!
এখানে আরেকটি বিষয়ও কিন্তু আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ীদের মধ্যে চাকমারা সংখ্যাগরিষ্ট হলেও ওখানে অন্য অনেক সম্প্রদায়ও রয়েছে। শিক্ষার সুযোগের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে চাকমারা বাকিদের চেয়ে কিঞ্চিৎ ভাল অবস্থায় আছে; তাই চাকমা সংস্কৃতির মৌলিক ইস্যুগুলো মাঝে মধ্যে একটু আধটু উত্থাপিত হলেও বাকিদের কথা একেবারেই উঠে আসে না। তুমি প্রদত্ত লিন্কে Life Is Not Ours এর খন্ডগুলো পড়ে নিতে পারো। চার দফায় আপডেট করা দলিলটি পড়ার মতো।
রাহাত,আবেগ নিয়ে অনেক কথা লিখে ফেললি।সাহস করার জন্য ধন্যবাদ।
সবার অনুভূতি এবং আবেগ প্রকাশের ধরন এক না।তারপরও আমি কয়েকটা ব্যাপারে তোর সাথে দ্বিমত পোষণ না করে পারছি না।
১।ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেইনি আমরা,কিন্তু বর্তমানে ঘটতে থাকা অরাজকতা নিয়ে খবর ঠিকই রাখছি।লজ্জা আর ঘৃণা আমরাও অনুভব করছি।সচেতন হলেও আমরা কিছু করতে পারব না।শুধু এখানে সেখানে মন্তব্যই লিখতে পারব।
২।আবেগে অন্ধ হয়ে পাকিস্তানিদের সাথে তুলনা করে ফেললি!!এটা একটু বেশিই হয়ে গেল।কারণ,প্রত্যেক জাতির ভিতরেই একটা অনিষ্টকারী চক্র থাকে।সেই চক্রের অনিষ্টের জন্য আমরা পুরো জাতি লজ্জার ভাগীদার হতে পারি না,ঘৃণার ভারও আমরা নিতে রাজি নই।
৩।আমাদের সাথেই তো চাকমা বন্ধু আছে।আমার দেখা অন্যতম ভালো ছেলে।সবসময় একসাথে আছি।কই,তার জন্য কি আমরা রাঙ্গামাটি গিয়ে কিছু করতে পেরেছি?পারিনি,পারবও না।
৪।আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি,সরকারের তথাকথিত ''শান্তি চুক্তি'' আরো অশান্তি তৈরি করেছে,এই অশান্তির হোতা অনিষ্টকারী চক্র সরকারী মদদপুষ্ট হতে পারে।নইলে এদের সহিংসতা এতটা মাত্রা ছাড়ানো হত না।এর আগেও আদিবাসীদের সাথে গণ্ডগোল হয়েছে,কিন্তু এইবার তা মাত্রা ছাড়িয়ে গেল.........।
৫।দেশপ্রেম অনেক কঠিন শব্দ,আমাদের প্রজন্ম কতটুকু দেশপ্রেম দেখাতে পেরেছি,এ ব্যাপারে আমি সন্দিহান।যদিও বাংলা,বাঙ্গালী এবং বাংলাদেশ ভালোবাসি,তারপরও দেশের জন্য এখনও কি কিছু করতে পেরেছি আমরা???
শান্তিপ্রিয় বাঙ্গালী হিসেবে আমি শান্তি চাই,মন থেকে প্রার্থনা করছি,আদিবাসীদের মধ্যে শান্তি ফিরে আসুক।কতগুলো দানবের জন্য পুরো জাতিকে যেন লজ্জা পেতে না হয়!!
১। "শুধু এখানে সেখানে মন্তব্যই লিখতে পারব।"
এই কথা টা আমি জাহিদ ভাইয়ের কমেন্টের জবাবেও আর আমার পোষ্টের শেষেও বলছি দোস্ত। আমার পোষ্টে আমি কাউকে কিছু গিয়ে করতে বলি নাই!আমি খালি বলছি মানুষ যাতে ডাবল ষ্ট্যান্ডার্ড বজায় না রাখে! যে কাজের জন্য পাকিদের গালাই সেটা যদি আবার আমরাই করতে থাকি আর সেটা বলাটা যদি পাকিপ্রেম হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে আমরা আসলেই বস জাতি!!
২। তোর ২ নম্বর টা নিজে পড়ে দেখ কি লিখছিস!! তারপর যদি জবাব না পাস তাহলে আমাকে কল দে!!তোর নিজের প্রশ্নের জবাব নিজেই দিছিস!
৩। এটাও প্রথম পয়েন্টের সাথেই আসে। আমি কিছু করতে বলি নাই।
৪ আর ৫ নিয়ে আমার কিছু বলার নাই!
আছিব, একটু ব্যাখ্যা করবে কেন শান্তিচুক্তিকে তোমার অশান্তির হোতা মনে হচ্ছে? পাহাড়িদের প্রতি সহানুভূতিশীল কেউ এমন কথা এখনো বলেনি। বরং শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন হলে পাহাড়ের সমস্যার ৬০-৭০ শতাংশই সমাধান হতো বলে আমার মনে হয়। যেই চুক্তি সেনাবাহিনী আর শান্তিবাহিনীর মধ্যে দুই দশক ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছে, তাকে এতো সহজে নাকচ করো কি করে?
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ভাই,আমার কথাগুলো নিয়ে আমি নিজেই দ্বিধান্বিত।কেননা,আপনার সাথে আমি একমত।আমিও আপনার মত শান্তিচুক্তির বাস্তবায়নের পক্ষে।
কিন্তু কি করব ভাই বলেন,শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়ার পরপরই টিভি সংবাদে দেখি পাহাড়ী অঞ্চলে যেসব বাঙ্গালী বসবাস করছে,তারা সাক্ষাৎকার দিচ্ছে,যে এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে,তাদের জানমালের উপর হুমকি আসতে পারে,ওই এলাকা থেকে সেনাবাহিনী সরানোটা যে ঠিক হয়নি,এটা এখন পরিস্কার,নইলে এতদিন বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ হলেও এতটা প্রকট হামলা,ভাংচুর হয়নি।
ক্ষুদ্র জ্ঞান নিয়ে মন্তব্য করেছি ভাই,শুধরে দিলে খুশি হব। :boss:
আছিব, যা ঘটছে সেনাবাহিনীর সামনেই ঘটছে। সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বত্র আছে। শান্তিচুক্তির আগে আরো জঘন্য সব অপকর্ম হতো। বাঘাইহাটে যেখানে সংঘর্ষ হলো সেখানে সেনাক্যাম্প বহাল তবিয়তে আছে। কারা বাঘাইহাটে বাঙালিদের নিয়ে বসিয়েছে? তোমার কি মনে হয়? কয়েকজন বাঙালি বা পাহাড়ি কি বললো সেটা শুনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলো না। খাগড়াছড়ি শহরেই তো পুরো সেনানিবাস আছে। মাত্র ৮ বা ১০ লাখ জনসংখ্যার পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনানিবাস আছে ৪/৫টা। সম্ভবত ৫টাই। স্মৃতি থেকে লিখছি তো। সামান্য ভুল হতে পারে। সমস্যা হচ্ছে, সেনাবাহিনী পক্ষ নিয়ে ফেলে। বাঙালিদের পক্ষ নেয়। আমাদের ভাই-বন্ধুরা পাহাড়িদের বন্ধু মনে করা না, মনে করে ওরা শত্রু। সেভাবেই ওদের মানসিকতা তৈরি করা হয়! ওরা দুই পক্ষের মাঝে দাঁড়ালে এসব হতো না। সবাইকে নিজেদের মানুষ মনে করলে সমস্যা অনেক কমে আসতো।
উগ্রপন্থী দুই পক্ষেই আছে। কে কাকে ব্যবহার করছে সেটাই অনুসন্ধানের বিষয়।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
জ্বি ভাই,আপনার সাথে আমি একমত।আপনার মত এত পরিস্কার ব্যাখ্যা দিতে পারিনাতো্,তাই একটু কট্টর হয়ে যাই 🙁
এইটা কি লিখলি ব্যাটা?? ৫২, ৭১ এর কারণে কয়ডা পাকি অনুতপ্ত ক তো আমারে? এহনো তারা ক্ষমা চায়না? তুই কি জানিস ৭১ নিয়ে ৯৯% সিভিল পাকির সাপোর্ট ছিলো এবং এহনো আছে?? আর পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতায় সহিংসতা, ফ্যাসিবাদ, বর্ণবিদ্বেষ সাপোর্ট করে কয়ডা বাঙালি? জাস্ট হাতে গোনা কয়েকডা কুলাঙ্গার, নিজেদের এজে্নডা বাস্তবায়নের লাইগ্যা। আইজ তুই, আমি, সবাই নেটে আগুন ঝরাইতাসি ক্যান? কারণ আমাদের নৈতিকতায় আঘাত লাগসে, আমরা এইডা সাপোর্ট করিনা। তার মানে মেজরিটিই এর বিপক্ষে। মনে রাখ, যারা প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতার স্বার্থে নির্বিচারে পাহাড়ি সিভিলিয়ান মারা সাপোর্ট করে, মন্দির পুড়ায়, তারা বাঙালিও না, বাংলাদেশিও না। এরা হইলো টিপিকাল কুলাঙ্গার যাগোরে কুনো স্পেসিফিক বিন্যাস নাই (সব রসুনের একই উতসের মতন)। আর বাঙালি জাতির কি ভালো গুণের অভাব পড়সে রে! যে তুই শুধু কিছু বরাহশাবকের সাথেই নিজের তুলনা করবি? আমাদের যার যার অবস্থান থাইক্যা এর প্রতিবাদ করতে হবে, যদি এইডা মাথায় রাখতে পারিস যে পাহাড়ি-বাঙালি সবাইই বাংলাদেশি, তাইলে আর কুনো সমস্যা নাই। ফ্যাসিবাদ যদি এক্স অক্ষ হয়, তাইলে তো তুই ওয়াই অক্ষে চইলা গেছিস!!
পাকিদের লগে উর্দু কইবি মানে? থাবড়ায়া চোপার দাত ফালায়া দিমু তাইলে!!! এইহানে আই ইউ টি তে পাকিরা যদি উর্দু কয়, আমরা ইংরেজি কইতে কই, তারপরেও যদি আমাগো লগে উর্দু কয়, তহন আমরাও বাংলা চালাই, ১ মাসের মধ্যেই তারা বাংলা শিখ্যা ফালায়, আর তুই কইবি উর্দু!!!
মনে রাখিস, আমাগো দ্যাশের এই লেজেগোবরে অবস্থার জন্য আমজনতা দায়ী না, দায়ী কিছু জ্ঞানপাপী, কিছু নপুংসক রাজনীতিবিদ, দায়ী দীর্ঘ সামরিক শাসন, দায়ী কর্পোরেট সমাজ, আর তাগো সন্ত্রাসী বাহিনী। সবমিলায়া এরা মোট জনগনের ৫%ও হইবো না। এগো লাইগ্যা তুই বাকি সরল-সুজা কঠিন খাইট্যা খাওয়া ৯৫% মাইনসের মুখের ভাষারে অপমান করতে পারোসনা। এইডা খারাপ না, এইডা শীর ক্রাইম!!
গরীব হোক, কালা হোক এইডাই আমাগো জাতি, আমাগো দ্যাশ, বিশ্বের মধ্যে একটুকরা আমিত্বভূমি, কতিপয় কুলাঙ্গারের জন্য তারে ভুলিস না। আর মনে রাখিস, বাংলাদেশ উঠতেসে, তুই যেহেতু আছিস, তোর মত আরো অনেকেরই যেহেতু এই তীব্র আবেগ এবং অনুভূতি আছে নৈতিকতার, স্বচ্ছতার। কাজেই একদিন আমরাই আগাইয়া যাবো, ঐ বরাহশাবকেরা আস্তাকুড়ে পঁইচা মরবো।
ভালা থাকিস রে। আর মাইন্ডাইলে একটা ফুন দিস, জম্পেশ আড্ডা হবে। 😀
😀 :boss: :salute: শাব্বাশ মানিক।ম্যালা দিন পর কমেণ্টাইলি x-(
"পাকিদের লগে উর্দু কইবি মানে? থাবড়ায়া চোপার দাত ফালায়া দিমু তাইলে!!! এইহানে আই ইউ টি তে পাকিরা যদি উর্দু কয়, আমরা ইংরেজি কইতে কই, তারপরেও যদি আমাগো লগে উর্দু কয়, তহন আমরাও বাংলা চালাই, ১ মাসের মধ্যেই তারা বাংলা শিখ্যা ফালায়, আর তুই কইবি উর্দু"
দোস্ত মাফ চাই আমারে ক আমি কই কইলাম আমি উর্দু শিখবার চাই!!!
এক কাজ কর দোস্ত!! যেখানে যেখানে পাকি লিখছি অইখানে শূয়োর পড়!!!
ভাবতেসিলাম তুই হয়তো মাইন্ডাইবি, এবং তাইই হইলো! আরে ব্যাটা আমিতো নির্বিচারে পাকিগো ঘেন্না করতিসি না, আমি আর যাই হই মনে হয় রেসিস্ট না। আমি ওই উদাহরণডা দিসি শুধু এই কারণে যে, যারা এহনো আমাদের উপরে অত্যাচারের ব্যাপারে সাপোর্ট করে, আমি সেই মানসিকতাডারে ঘেন্না করি, সে পাকি, বাঙ্গালি, আরবী, আজমী যেই হোক না ক্যানো। তার লগে তার ভাষায় আমি ক্যান আলাপ করমু? তার যদি এতো ঠ্যাকা পরে, তাইলে বাংলাই শিখুক! নাইলে ইংরেজি তো আছেই।
এরপরেও যদি মাইন্ড করিস তাইলে মনে রাখিস, আমি যা কইসি, তা তর ওপর ৩৭ ব্যাচের দাবী নিয়াই কইসি। কলেজে আলাপ করার সময়ের রাহাত যা, আমার কাছে এহনকার রাহাত ও সেই। তর এই পোস্টের তীব্র আবেগ আমার খুউউবই ভালা লাগছে, পড়ার সময় মনে হইতেছিলো, আমরা কয়েকজন মিলে সেই আগের মতন তুমুল ঝড়ো আলাও-আলোচনা চালাইতেসি। এরপরেও যদি মাইন্ডাস, তাইলে আগের কমেন্টডা মুইছা দিস, নো অফেন্স।
মাইন্ড করি নাই *ল!! আমি বলছি আমি একটা গালি দিছি আর কিছু না!! আর সে গালিটা সবচেয়ে বাজেতম গালি।
আর পিকনিকে আসস নাই কেলা??????? x-( x-( x-(