মাইল টেস্ট শব্দটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। অন্তত একবার হলেও শুনেছি। আর বিএমএ ক্যাডেট হলে ত হাজার বার দিয়েছিই। আমি আমার জীবনের প্রথম মাইল টেস্ট এর অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করছি।
ফার্স্ট টার্ম। তৃতীয় সপ্তাহ…করপোরাল হারুনের ( পিটি স্টাফ) মুখে শুনতে পেলাম যে এ সপ্তাহের মঙ্গল বারেই মাইল টেস্ট দিতে হবে। ক্যাডেট কলেজের পোলাপাইন যা করে… ব্যাতিক্রম করলাম না… কলেজ ভাইরে জিজ্ঞাসা করলাম আচ্ছা মাইল টেস্ট কেমন? কি করব?
সুন্দর সাজেশন… আরে মাইল টেস্ট কিসুনা! দৌড়াবি আর দশ পাবি। আমি তো জীবনেও দশ মিস করিনাই। আমিও চিন্তা করলাম…ভাই, কলেজে তো আপনাকে দেখছি…কেমন দৌড়াতেন… জীবনেও মনে হয় দুই চক্কর শেষ করেন নাই। বুঝলাম যে মাইল টেস্ট আসলে কিছু না।
পরের দিন মাইল টেস্ট। সিঃ ওঃ অফিঃ আবুল কালাম আজাদ বল্লো “রেডি গো।”
ওমা!! দেখি সব ভো দৌড়। ভাবিলাম… দৌড়াও দৌড়াও… ইহা ১০০ মিটার না… ১৬০০ মিটার।। তোমায় আমি দেখব আর কিছু খন পর। সালেহিন ভাই(মাইন্ড কইরেন না ভাই) এর মত এক চক্কর গ্যাপ খায়া যাবা। আমি আস্তে ধীরেই দৌড়াই।
মাঝপথে এসে দেখি তাফসির দৌড়াচ্ছে… তাফসির আবার তখন একটু লিডার টাইপ আমাদের। রেলিগেটেড হইসে আগের টার্মে। জিজ্ঞাসা করলাম ‘দোস্ত? দশ পাওয়া কি খুব কঠিন?” তাফসিরের কাষ্ঠ হাসি, “না, দোস্ত!”
আবার জিজ্ঞাসা, “তোর সাথে দৌড়াইলে পারমু তো?” আবারো একই রকম ভাবলেশহীন উত্তর,”ইনশাল্লাহ”
সুইমিং পুলে আসলাম আস্তে আস্তে দৌড়াতে দৌড়াতে। এসে দেখি বোর্ডে ৭।
মন টাই খারাপ হয়ে গেল। নাহ প্রথম মাইল টেস্টে দশ পেলাম না ঃ(… ডিমোরালাইজড হয়ে আস্তে ধীরে আনত মাথায় দৌড়াচ্ছি। মাত্র দশ গজ পার হয়ে মাথা টা তুললাম… ও মাই গড!! বোর্ডে এখন ৫!! আমি ফেল করে ফেলতেছি !!! জান ছুটিয়ে দৌড়াচ্ছি… কি ব্যাপার!! বোর্ড এত তারারারি নামে কেন!! অবশেষে গিয়ে ধরলাম ৩!!
বুঝতে পারলাম এর ই যোগ্য আমি। আরও বুঝলাম, যাকে আদর্শ আর অভিজ্ঞ ভেবে দৌড়ালাম সে তার পায়ের সমস্যার জন্যে মাইল টেস্ট এ ফেল করেই ৬ মাস বেশি কাটাইছে । বোঝাটা সে পর্যন্তই। এরপর যখন প্লাটুন কমান্ডার এসে শেল(সিমেন্ট দিয়ে তৈরী লম্বা গোলার মত ভারী বস্তু যেটি দিয়ে পিটি করানো হয়) দিল কাধে তারপর যে কি হল সেটা আর বলতে চাইনা।। তা আপনারা সবাই ভালোই বুঝেন এবং জানেন। তবে ভাববেন না যে সেদিন থেকেই আমি বানান ভুলে গেসি।
ক্যাডেট কলেজের বাংলা টিচার কিরন কুমার মন্ডল (বাংলা বানানের জনক) আমাকে যা শিখাইছে তা আর কখনই ভুলবনা। যত দোষ নন্দ ঘোষের মত বানান ভুল গুলোর দায়িত্য টাও অভ্র কেই দিয়ে দিলাম। আপনারা ক্ষমা ও সহানুভুতির দৃষ্টি তে দেখলে আমি লেখা চালিয়ে যাবার অনুপ্রেরনা পাব।
লেখা ভাল হয়েছে। আরেকটু বড় হলে ভাল হত। স্বাগতম।
আর সিসিবির প্রথম পোস্টে ১০টা ফ্রন্টরোল দেয়ার নিয়ম। দেরি না করে দিয়ে ফেল।
প্রথম লেখা ছিলো তো ফখরুল ভাই, এই জন্যে দিশা করতে পারিনাই। আর এইটুক লেখতেই তো কীবোর্ডের বাটন ভাইঙ্গা গেছে। আর ফন্ডুল দিয়া ফালাইছি, তাও দিয়া দিলাম কয়েকটা। :frontroll: :frontroll: :frontroll:
লেখার ইষ্টাইলটা ভাল লাগছে। আশাকরি লেখালেখি চালায় যাবা। এইখানে মাইলটেষ্ট-ফেষ্ট নাই, কিন্তু ফন্টুল আছে ... লজ্জা না করে দিয়া ফালাও 🙂
আমার বন্ধুয়া বিহনে
হেহেহে কিরণ স্যারের কথা মনে করাইয়া দিলেন ভাইয়া =)) =)) =))
চলো বহুদুর.........
ভাই প্রথম মেইল টেস্টে কেমনে জানি ৮ পাইসিলাম। তারপর প্লাটুন কমান্ডার ঠেলা দিয়া কয়দিনেই ১০ পাওয়াইছে। 😛
"মরনের বীথিকায় জীবনের উচ্ছ্বাস,
জীবনের যাতনায় মৃত্যুর মাধুরী"
:)) :)) :)) :)) :clap: চরম হইসে রাফায়েত ভাই , কিরন বাবু র কথা মনে পরে গেল। বাংলা বানান শিখাইসে আমাদের !
কিরন বাবু আমাকে যা পছন্দ করতেন। একবার বাংলা রচনায় মাইনাস দুই পাইছিলাম। খাতা দেইখা মনে হইল, না লেখাই ভালো ছিল।
কি আর করা ।। আপনারা এত নিয়ম করে রেখেছেন। ফন্ডুল দশ টা পাচ টা দেই না। বিএমএ ট্রেনিং করে এখন তো শ এর নিচে ভালই লাগেনা!! :boss:
অস্থির হইছে মাইল টেস্টের অভিজ্ঞতা।
প্লাস।
Saleh