চিন্তা খেলা করে ২

ট্রেনে যেতে যেতে

ট্রেনে যেতে যেতে অনেক কিছুই মনে পড়ে যায়। সবকিছুই ট্রেন কেন্দ্রিক। ভাবি, রবী বাবুর ‘হঠাত দেখা’ কবিতার মতো দেখা হয়ে যাবে কোন ডুরে শাড়ি পড়া নারীর সাথে। যেতে যেতে কতো যে গল্প হবে আমাদের। তারপর কোন অচেনা স্টেশনে সে নেমে গেলে মনে হবে, ফেসবুক আইডিটা সাহস করে চাইতে পারতাম।

আবার, পথের পাচালির অপু আর দুর্গাকে মনে পড়ে। স্টেশনের পাশে ধুলো মাখা কোন শিশু দেখলে মনে হয় অপু যেন হাত বাড়িয়ে ডাকছে। চলে যাই শৈশবে। সন্ধ্যার পর মায়ের সাথে সুর করে পড়তাম,
ঝক ঝক ঝক ট্রেন চলেছে
রাত দুপুরে অই।
ট্রেন চলেছে, ট্রেন চলেছে
ট্রেনের বাড়ি কই?

মাকে যখন জিজ্ঞেস করতাম ট্রেনের বাড়ি কই, তিনি বিহ্বল তাকিয়ে থাকতেন মুখের দিকে। পাড়াগায়ে বড় হওয়া আমার মা কোনদিন ট্রেন দেখেননি।

হুট করে কল্পনার নোংগর ফেলি নায়ক সিনেমায়। উত্তম কুমারের সাথে শর্মিলা ঠাকুরের দেখাতো ট্রেনেই হয়েছিলো। সেই যে ট্রেনে যেতে যেতে কতো কথোপকথন। আবার অনুপম রায়ের গানের সেই যুবককেও মনে পড়ে। যে নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়ে নিজের মতো থাকতে চেয়েছিল। আর শেষ ট্রেনে বাড়ি ফিরবো না বলে এক আত্মঘাতী অভিমান বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলো স্টেশনে।

অর্থহীনের ‘রাতের ট্রেন’ গানটি মাথার ভেতর খেলা করে। এরপর ট্রেন ছুটে ছুটে চললে কোন মেঠোপথ পেড়িয়ে গেলে মনে পড়ে, এক মধ্যবয়সী নারী এখনো অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে, তার যুদ্ধে যাওয়া সন্তানের জন্য। খোকা ফিরবে কি ফিরবে না এই দ্বিধা বুকে নিয়ে যে আজো আশায় খেলাঘর বেধে আছে।

মনে পড়ে প্রথম ট্রেন যাত্রার কথা। নরসিংদী যেতে যেতে পাশে বসেছিলো এক মধ্যবয়স্ক মহিলা। যিনি বলেছিলো, ট্রেনে চইড়া একদিন নরসিংদী বেড়াতে আইসো। গার্লসস্কুলের পাশে আইসা মারিয়ার মা বললেই আমার বাসা দেখাইয়া দেবে। আমি খুব ভালো রান্ধি। তোমাগো খাওয়ামু।

মারিয়ার মা নামে সুপরিচিত সেই মহিলার দাওয়াত রক্ষা করা হয়নি। সুনীলের ‘কেউ কথা রাখেনি’ বড় বেশি প্রাসংগিক আমাদের এই ক্ষুদ্র জীবনে। টেলিভিশনের সুন্দরী উপস্থাপিকা বিজ্ঞাপন বিরতি নেয়ার আগে খুব করুণ কন্ঠে বলে, আমাদের সাথেই থাকুন। ফিরছি বিরতির পর। আমরা মূহুর্তে চ্যানেল ঘুরিয়ে ফেলি অথচ আমরা ছিলাম না জেনেও উপস্থাপিকা মেকি ধন্যবাদ জানিয়ে বলে, আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

ট্রেন নিয়ে আরো কতো কি যে ভাবি। আচ্ছা পানকৌড়ি , তোমাকে তো স্মরণ করাই যায় অনেক কাল পরে। তুমি তো এই লেখা দেখবে না, তবুও মনে আছে? আমার প্রথম ট্রেন যাত্রার সংগী হবার খুব ইচ্ছে ছিলো তোমার। আমি কিন্তু কিছুই ভুলিনি। দ্যাখো, এই রাতের আধার কেটে কেটে ট্রেন মিলিয়ে যাচ্ছে দূরে। আর আমার মনে পড়লো আজন্মকাল এই বহমান রেললাইনের মতো সমান্তরালে বয়ে চললাম আমরা। মিললাম না। জীবন নামের রেলগাড়িটা সত্যিই বুঝি স্টেশন খুঁজে পায় না। তবুও, এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে ছুটে যাচ্ছি আমরা। কোথায় আমাদের গন্তব্য জানি না।

বিরহ চর্চা ছেড়ে রোমান্টিক কবিতায় আসি। নারীর সিঁথির সাথে রেললাইনের কি অপূর্ব মিল কেউ কি তা জানে?

‘ তোমার সিঁথিকে মনে হয় গন্তব্যহীন কোন রেলপথ,
আমি যেন দূরপাল্লার কোন ট্রেন ছুটে যাচ্ছি জীবনের বেগে’

এরচেয়ে বরং যাত্রা উপভোগ করা যাক। কি হবে এতো কিছু ভেবে। বন্ধু সাব্বির বলেছিল, দোস্ত, লাইফ লইয়া এতো ভাবোস ক্যারে। জীবন একটা গোল্ডলীফ সিগারেট….

আমার মনে হয় জীবন এরচেয়ে আরো বেশি কিছু। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই ভয়াবহ দিনগুলোর কথা মনে করলে জীবনকে এতো তুচ্ছ মনে হয় না। পিয়ানিস্ট বা শিল্ডার লিস্ট সিনেমার কথাওতো ভাবতে পারি। ট্রেন ভর্তি অগুনতি মানুষ, এদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অচেনা কোন স্টেশনে। তীব্র গরমে, ভিড়ে গাদাগাদি করে একেকজন উঠে পড়ছে ট্রেনে। এদের নিয়তি গ্যাস চেম্বার, কিন্তু তারা তা জানে না। আশংকাগ্রস্ত মানুষ বিদায় নিচ্ছে প্রিয় মানুষের কাছ থেকে। পিপড়ার মতো সারিবেধে ঘেটো থেকে বের হচ্ছে মানুষ। মানুষ নয় মূলত ওরা ইহুদী। এই তাদের অপরাধ। ছয় মিলিয়ন মানুষ শুধু এই অপবাদ বুকে নিয়ে মরে গেল, জীবন কি এতোই তুচ্ছ???

ছুটে চলা রাতের ট্রেনের জানালায় বসে সেই জীবনকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করছি…

জীবনের ধারাপাত

বন্ধুলিস্টের সবচেয়ে প্রবীণ মানুষটির বয়স ৮৬ বছর। জীবনের না না দায়িত্ব সফল ভাবে পার করে যিনি আজ বয়সের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছেন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বিচিত্র অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ মানুষটি উপভোগ করছেন বয়সে নবীনদের বিচিত্র কার্যকলাপ। হয়তো তরুণদের ফেসবুক একটিভিটিস দেখে অহরহ ফিরে যান হারানো অতীতে। তারুণ্যের সাথে নিজেকে মিলিয়ে নিতে তার ফেসবুক আইডি খুলে দিয়েছেন তার পুত্র। আমি প্রায়ই তার প্রোফাইলে গিয়ে জীবন নিয়ে বিচিত্র ভাবনাগুলো পড়ি। এই বয়সেও তিনি সবুজ, চির তরুণ।

অন্যদিকে বয়সে সবচেয়ে নবীন যে বন্ধু তার বয়স ৮৬ দিনও হয়নি। এইতো সেদিন পৃথিবীতে এসেছে সে। এক অনাবিল আনন্দে ভরপুর দম্পতির ভালোবাসাসির প্রথম ফসল সে। তাই, তার জন্মের প্রথম দিন থেকেই পিতা মাতা তার ফেসবুক আইডি খুলে বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা লিখে রাখছে তার প্রোফাইলে। আইডি অপারেট করছে তার মা এবং বাবা। কখনো সে হিশু করে মায়ের কোল ভিজিয়ে দিচ্ছে, কখনো কান্না করর সারারাত কাউকে ঘুমাতে দেয় নি। বাবা মা তাতে মোটেও বিচলিত নয়। বরং সেসব কথা ওর হয়ে লিখে রাখছে ফেসবুকে। যেমন, ‘আজ আমি কাউকে ঘুমাতে দেই নি। আজ নানা নানু এলো আমাকে দেখতে। আজ আম্মু আর আমাকে রেখে বাবাটা শহরের বাইরে যাচ্ছে। আম্মুটার চেয়ে আব্বুটা বেশি ভালো। আমাকে বকে না।’

এই শিশু একদিন বড় হবে। অন্যসব মানুষের মতোই সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় সোস্যাল হিউমান বিইং হবে। পৃথিবীর না না ঘাত প্রতিঘাত দায়িত্ব সফল ভাবে শেষ করে পৌছে যাবে জীবনের শেষ প্রান্তে। তারপর তাকে ঘিরে যে বর্নীল জন্মোতসব হয়েছিল পৃথিবীতে তা জানতে পারবে।

ততদিনে আমি, আপনি, আমরা সবাই কেউই হয়তো থাকবো না পৃথিবীতে। প্রবীণ আর নবীনের মাঝে অর্ধজীবনের দিকে পৌছে যাওয়া আমি স্থির হয়ে রবো একটি ফটোগ্রাফের মতো। ভাষাহীন, নির্বাক কোন ফেসবুক প্রোফাইল হয়ে পড়ে রবো হয়তো।

তবুও, এই প্রজাতি টিকিয়ে রাখার আয়োজন চলবে পৃথিবী জুড়ে। মানুষ আসবে, মানুষ যাবে। রেখে যাবে তার স্মৃতিচিহ্ন। তারাশংকরের কবি উপন্যাসের কথা মনে পড়ে যায়,

এই খেদ আমার মনে
ভালোবেসে মিটলো না সাধ
ফুরালো না এ জীবনে,
হায়, জীবন এতো ছোট ক্যানে
এ ভুবনে…

৩,১১০ বার দেখা হয়েছে

২৩ টি মন্তব্য : “চিন্তা খেলা করে ২”

  1. ওমর আনোয়ার (৮২-৮৮)

    রাব্বী, সব সময় ব্লগে সবার লেখা পড়বার সময় পাই না। তোমার এই লেখাটা পড়তে গিয়ে আগ্রহ নিয়ে অন্য গুলোতেও চোখ বুলিয়ে নিলাম। তুমি তো দূর্ধষ্য লেখো হে! এখন যখন লেখালেখিই করছ, তখন আরো অনেক লিখতে থাকো। অনেক ভাল লেখা বেরোবে তোমার হাত ফস্কে...অনেক শুভকামনা।


    Pride kills a man...

    জবাব দিন
  2. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    আমার শহরে ট্রেনে চড়েছি কম। এটি পাবলিক ট্রান্সপোর্টবান্ধব শহর নয়। যতগুলো মাথা আছে ঠিক ততগুলো গাড়ি এখানে। শেষবার ট্রেনে চড়েছিলাম ছিয়ানব্বই এর অলিম্পিক দেখতে যাবার জন্য; কী যে উৎসবমুখর দিন ছিল তখন! অলিম্পিককে কেন্দ্র করে রূপসুধায় ভরা ছিল নগর।

    ট্রেনে যেতে যেতে আমার ট্রেনে কথা মনে পড়েনি কখনো। যাত্রাপথে আমি মানুষ দেখি; হাজার বর্ণের মানুষ। এদেশে সবার হাতে হাতে বই থাকে; বাসে বা ট্রেনে অথবা যেকোন ওয়েটিং প্লেসে মুখের সমুখে একখানা বই ধরে থাকে সবাই।

    জবাব দিন
    • রাব্বী আহমেদ (২০০৫-২০১১)

      বাহ। অনেক কিছুই জানা হলো। তবে আপা, ওইদেশের ট্রেনের চিত্র আর আমাদের দেশের ট্রেনের চিত্র আলাদা। এই লেখাটা আমার দ্বিতীয় ট্রেন যাত্রার সময়ে লেখা। দক্ষিণ বঙ্গের মানুষ আমি, ট্রেনে চড়ার সুযোগ মেলেনি। ঢাকা থেকে রাতের ট্রেনে সিলেট যেতে যেতে ভাবনাগুলো এলো।

      জবাব দিন
    • খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

      কিন্তু ময়মনসিংহ তো ট্রেনের শহর। রেলওয়ে জংশন। দেশে থাকাকালিন ট্রেন ভ্রমণের কোন অভিজ্ঞতা থাকলে এ নিয়েও কিছু লিখে ফেলতে পারো, সাবিনা। ট্রেনের সীটে বসে কিন্তু অনেক কালজয়ী সিনেমা ও সাহিত্যের জন্ম হয়েছে।

      জবাব দিন
  3. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    অনেক ভাবনার গ্রন্থি এসে মিলেছে লেখাটার পরতে পরতে ...
    অনেক দ্যোতনা। মাঝে মাঝেই চমকে দিয়ে গ্যাছে, গ্যাছে দুলিয়ে, জলে ভাসিয়ে ...
    ঝিকঝিক ট্রেনের মতোন চন্দ্রালুতায় টের পাই তুলির আঁচড়ে জীবনের আঁকা জীবনের ক্যানভাস জুড়ে রঙ্গন ...
    :clap: :clap:

    জবাব দিন
  4. ইশহাদ (১৯৯৯-২০০৫)

    পূর্ণিমা রাতে হেডফোনে অর্থহীনের রাতের ট্রেন চালিয়ে যমুনার এপার-ওপার রেলভ্রমণের ভাবালু স্মৃতি মনে পড়ে গেল...



     

    এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...

    জবাব দিন
  5. মাহবুব (৭৮-৮৪)

    আমার রেলপ্রীতির নমুনা দিচ্ছি আগের একটা লেখা থেকেঃ
    "ঝমাঝম- এই ব্যাঞ্জনাময় শব্দজুটির বহুল ব্যাবহার দুটি প্রসঙ্গে। বৃষ্টি আর রেলগাড়ী। দুইই আমার অতি প্রিয়। রেলের সাথে আজন্ম মিতালী, সেই শৈশবকালে, দেশের যোগাযোগ ব্যাবস্থারও শৈশবকাল তখন, বছরে বার দুই পিতামহ-মাতামহ সন্দর্শনে যাওয়া হত। পূরাকালে যেমন পূন্যাত্মাদের মাঝেমধ্যে স্বর্গ দর্শনের রেওয়াজ ছিল। আর কে না জানে, শৈশব-কৈশরে অন্তত আমার প্রজন্ম  অবধি ওই দুটি স্থানই ছিল স্বর্গের সবচেয়ে কাছাকাছি। সেখানে যাবার একমাত্র উপায় যখন রেলগাড়ী- তাকে ভাল না বেসে পারা যায়!

    এদিকে যাবার দিনক্ষন স্থির- আর আমরা দুই সহোদর হলাম চরম অস্থির। ঘরের মেঝেময় চকখড়িতে চর্চিত রেলপথের নকশা, ব্রিটিশ রাজের প্রধান প্রকৌশলীও অমন সুচারু ভাবে পারতেন কিনা সন্দেহ। তার উপরে দেশলাই বাক্সের রেলগাড়ী। এসব কিন্তু নিছক অপরিনতবুদ্ধি বালকের মুগ্ধতা নয়- বাংলা সাহিত্যে নৌকার পরই রেলগাড়ির আসন। চলচিত্রকারদের বেলায় তো আরো এক কাঠি উপরে। সমান্তরাল ইস্পাত, এঞ্জিনের কালো ধোয়া, মর্মভেদী হুইশেল- এসব যোগ করেছে তাদের চিত্রভাষায় ভিন্ন অর্থ, দিয়েছে নূতন মাত্রা। রেলগাড়ি দেখবার আশায় কাশবনে অপু-দূর্গার ব্যাকুল ছুট- সত্যজিত রায়ের যাদুক্যামেরায় যা অমর হয়ে আছে। যন্ত্রসভ্যতা এগিয়ে যায় সগর্জনে, সদম্ভে, পিছিয়ে পড়া মানুষের প্রতীক অপু-দূর্গারা প্রানপন ছুটেও তার নাগাল পায় না।

    তাই, রেলপথের নিশানা দেখলে আজো আমি উতলা হই।"

    নিজের পুরোনো লেখা হাইলাইট করার জন্য নয়, তোমার রেল ভাবনায় আমিও দুলেছি, তাই বোঝাতে চাইলাম।

    জবাব দিন
  6. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    খুব সুন্দর লিখেছো তুমি। বেশ পরিপক্ব লেখা। কবিগুরুর ‘হঠাত দেখা’ কবিতার মতই আমার একটা কবিতায় উল্টো সিনারিও ছিল। সেখানে কবি আগে নেমে যান, সহযাত্রীনি রয়ে যান ট্রেনে। এই কবিতাটা লেখার আগে আমার ‘হঠাত দেখা’ পড়া ছিলনা। আমার কবিতাটা পড়ে এক পাঠক খুব সুন্দর করে দুটো কবিতার তুলনা করে আমায় জানিয়েছিলেন। তখন পড়েছি। সেটারই লিঙ্ক উপরে দিয়েছি। কবিতাটার নাম আগে ছিল 'জানিনা'। পাঠকের অনুরোধে পরে নাম পাল্টে দিয়েছি।
    তোমার 'ট্রেনে যেতে যেতে' আমাকে নাড়িয়ে গেছে। আমাদের সময় কয়লার কালো স্টীম ইঞ্জিন ছিল। রবার্ট লুই স্টিভেনসনের সেই "ফ্রম এ রেলওয়ে ক্যারেজ" কবিতার মত। এখনো বেশ মনে পড়ে "কুউউউউউউউউউউউ ঝিক ঝিক! পরে কানাডা থেকে ডিজেল ইঞ্জিন আসার পর সে শব্দটা কুউউউ থেকে ভোঁওওওওও হয়ে গেছে।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।