বিজয়ের গল্প শোনো

আজ বিজয়ের গল্প শোনো,
তুমুল উল্লাসে জেগে ওঠা একটি বিজয়ের গল্প।
একদিন এই মাটি ঘাসে ক্রমাগত অত্যাচারের
কঠিন শিঁকলে ছিল বন্দী একটি পতাকা,
একটি মানচিত্র অতঃপর মুক্তির আনন্দে জেগে উঠলো বিশ্বের পবিত্র বুকে।
এক আকাশ নীলের ফাঁকে জেগে উঠল একটি সূর্য স্বাধীনতার।
উচ্ছাসে ফেটে পরা বাংলার বুকে বয়ে চলল যে খুশির স্রোতস্বিনী
তুমি তার গল্প কখনো শোনোনি।

এখানে আনন্দ এসে বেদনার সাথে মিশে যায়
এখানে রাত নামে সন্ধ্যার আবেশে বিমোহিত ভীরু পায়
এখানে পতাকার মিছিলে বিজয়ের ঘ্রান পাবে তুমি ষোড়শীর মুক্ত চুলে
এখানে বিজয়ের গল্প শোনো শুনে যাও হে তরুন প্রান খুলে।

আজ বিজয়ের গল্প শোনো,
একটি দেশ ছিনিয়ে আনার গল্প
একটি ভুখন্ড হৃদপিন্ডের গভীরে নেয়ার গল্প
সহস্র বেদনার অজস্র হাহাকারে নিশীথিনীর দ্বি প্রহরের গল্প।
যেখানে সংগ্রামী চেতনার প্রতিটি কবিতায় থাকে বিজয়ের সুর
থাকে ভালোবাসার অবিমিশ্র সুখ।
রুদ্ধ দুয়ার খুলে উদ্ভাসিত আগামীকে যে বিজয় জানায় আমন্ত্রন।
আকাশে বাতাসে বাজে যে ধ্বনি
তুমি সে গল্পের কিছুই শোনোনি।

ত্রিশ লক্ষ বক্ষের হাড় স্মৃতির ডাস্টবিন থেকে তুলে এনে
যে ভাস্কর্য তৈরি হয়েছে এই বাংলায়।
যে বন্ধন গড়ে উঠেছে মুক্তির উন্মাদনায়
তুমি তার বিমোহিত সুখে কখনো ভাসোনি।
তুমি সেই স্মৃতি স্তম্ভে কখনো আসোনি
তুমি তার কিছুই শোনোনি। কিছুই দেখনি।
আজ বিজয়ের গল্প শোনো,
ষোল কোটি জনতার ভীড়ে একটি অপেক্ষমান চোখ
আজো ভিজে যায় আনন্দের অশ্রুতে।
এমনি অনেক প্রাণ মুহূর্তে জেগে ওঠে
প্রয়োজনে বুক পেতে দেয় কামানের গোলায়।
কোন গান নয়,নয় অভিমান ব্যক্তিগত লালসা কিংবা লোভ
নিতান্তই একটি বিজয় দিবসের জন্য এখনো রাজপথ ভরে যায়
লাল সবুজের বিমুগ্ধ চেতনায়।
এখনো বিজয়ে উল্লাসে কেঁপে ওঠে কন্ঠ
অবরুদ্ধের কন্ঠস্বরে বেজে ওঠে সুর,
এই পবিত্র বাংলার নামে শপথ খেয়ে
এখনো স্বপ্নের ক্যানভাস পূর্ন হয় শান্তির আল্পনায়
তুমি সে আল্পনায় দু চোখ রাখোনি
তুমি সে গল্পের কিছুই শোনোনি।
আজ বিজয়ের গল্প শোনো, একটি দিবসের গল্প।
প্রতিশ্রুতি বদ্ধ স্বপ্নেরা আজ ভেসে যাক দিগন্তে,
রক্তাক্ত প্রান্তর হয়ে যাক এ হৃদয়
তুমি সে গল্পের নির্ভর যোগ্য শ্রোতা
আজ বিজয়ের গল্প শোনো। বিজয়ীর গল্প।

একটি পিতার গল্প শোনাই
তোমাদের ত্রিশ লক্ষ সন্তানের রক্তের সমুদ্রে
সাঁতার কাটা একটি পিতার গল্প।
দু লক্ষ মা বোনের আর্ত চিত্কানরের মত ভয়াবহ বিষাদী গান,
বিশ্বের সবচেয়ে বিষন্ন সংগীত যে পিতার কানে বাজে
যে পিতার একটি স্লোগান মুখর ডাকে কেঁপে কেঁপে ওঠে
বাংলার আকাশ মাথা নত করে হিমালয়,সুউচ্চ পর্বতা,
আর পাহাড়ী নদি ,তুমি সে পিতার গল্প শুনতে যদি
কোন রূপকথা নয়
নয় কোন কবির কল্পনা গল্পকারের মন গড়া কোন কাহিনী।
একটি দীপ্ত চোখের চাহুনী,
একটি মুজিব অবিনশ্বর হয় রেসকোর্স থেকে ফয়সালাবাদ
টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া
পূর্ব পাকিস্তান থেকে বিশ্বের সমস্ত ময়দানে।
তুমি সে মুজিবের কিছুই জানোনি
তুমি সে গল্পের কিছুই শোনোনি।

৮৪১ বার দেখা হয়েছে

৪ টি মন্তব্য : “বিজয়ের গল্প শোনো”

  1. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    বিশ্বের পবিত্র বুকে।

    পাকিস্থান বা ইজরায়েল বা আম্রিকা কি পবিত্র দেশ?


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  2. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    কিছু টাইপো রয়ে গেছে। কবিতায় টাইপো চোখে কট কট করে। মনে হয় চোখে বালি গেছে।
    ঠিক করো।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    না, টাইপো ঠিক করো। পড়ার সুর কেটে যাচ্ছে। পরে এসে আবার পড়বো।
    আর কিছু শব্দ আরোপিত/ অপ্রয়োজনীয় বা কঠিন মনে হইছে।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।