পিসিসি’র লিজেন্ডগণঃপর্ব ২

জনৈক ভাই,নাম বললে মাইন্ড খাইতে পারেনঃ

এই ভাইয়ের নাকি একটা বালতি ছিলো,রোজ গেমসের পরে লুঙ্গি পরে,হাতে  বালতি নিয়ে পুরো হাউজ রাউন্ড দিতেন,আর জুনিয়ররা নাকি মসজিদের দান-বাক্সের মত সেইখানে কুপন ফেলত।এই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের সুযোগ হয়নি,কিন্তু কালে কালে উনার খ্যাতি ডালপালা গজাতে গজাতে ছড়িয়ে পড়েছে সবগুলো ব্যাচের মধ্যে।

পরের কাহিনীও একজন সিনিয়র ভাইকে নিয়ে,কাহিনীর সত্যতা মোটামুটি ভেরিফাইডঃ

পিসিসি’র একটা ঐতিহ্য আছে,এখানে কোন ব্যাচ দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে যারা টেবিল লীডার হতে যাচ্ছে,তারা স্বচ্ছ ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক হাউজ প্রিফেক্টের তত্ত্বাবধানে নিলামের মাধ্যমে তার টেবিলে কোন কোন জুনিয়র বসবে,তা ঠিক করে নেয়।জমাকৃত সকল অর্থ দিয়ে পরবর্তীতে ব্যাচের পক্ষ থেকে হাউজকে উপহার কিনে দেওয়া হয়।সুন্দর ট্রেডিশান।তো আমাদের কাহিনীর নায়ক ভাইয়া,দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে পিতার কাছে টাকা চাহিয়া পত্র লিখলেন,”বাবা,ক্লাস টুয়েল্ভকে টেবিল কিনতে হয়,তাই বেশি করে টাকা পাঠায়ে দিয়ো।”উনার পিতা অতশত বুঝিতেন না,উনি পত্রের উত্তর পাঠালেন,

“বাবা,৫০০০/- পাঠাইলাম,ভালো দেখে টেবিল কিনিও।পারলে সেগুন কাঠের কিনিও”

(চলবে)

১,৩৬১ বার দেখা হয়েছে

১৭ টি মন্তব্য : “পিসিসি’র লিজেন্ডগণঃপর্ব ২”

  1. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
    “বাবা,৫০০০/- পাঠাইলাম,ভালো দেখে টেবিল কিনিও।পারলে সেগুন কাঠের কিনিও”

    :boss: :boss: :boss: বাবা


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  2. রাফায়েত (২০০২-২০০৮)

    আমাদের সেনাবাহিনী তে ক্ষুদ্রাস্ত্র পরিষ্কার করতে বাঁশের কঞ্চি বিশেষ ব্যবহার করা হয় যাকে আমরা বলি, "চ্যাম্বার স্টিক। "

    এক বিএমএ ক্যাডেট তার গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে ঘুরতে যাবার টাকা ম্যানেজের জন্য পিতাশ্রীকে বললো, "আব্বা, চ্যাম্বারস্টিক কিনতে হইবে। মূল্য মাত্র ১৫ হাজার টাকা। "

    জবাব দিন
  3. নাফিস (২০০৪-১০)

    "আব্বা, চ্যাম্বারস্টিক কিনতে হইবে। মূল্য মাত্র ১৫ হাজার টাকা।
    :brick: :khekz:
    “বাবা,৫০০০/- পাঠাইলাম,ভালো দেখে টেবিল কিনিও।পারলে সেগুন কাঠের কিনিও”
    :pira2: :khekz:

    জবাব দিন
  4. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    দূর্দান্ত :khekz: :khekz: :khekz:

    তবে একটু মনে হয় ছোট হয়ে গিয়েছে, বেশ কয়েকটা জমিয়ে একসাথে দিলে ভাল।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  5. ইমরান (১৯৯৯-২০০৫)

    তিতুমীর হাউসে ছিলেন এমনি এক বড়ভাই। নিরীহ গোবেচারা এবং সাধাসিধা মাউষ। উনার তেমন কোন চাহিদা ছিলোনা, শুধু একটা জিনিস ছাড়া। সেটা হল, ডাইজেস্টিভ বিস্কিট। প্রায়ই সেভেন এইটের রুমে হানা দিতেন ডাইজেস্টিভের জন্য... :))


    রঞ্জনা আমি আর আসবো না...

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : প্রতীক(২০০৫-২০১১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।