মুড়িকথন

তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি,সম্ভবত থার্ড টার্মের কথা।ওইসময়ে ছুটি থেকে আসার সময় শুকনো খাবার আনা আমাদের কলেজে বৈধ ছিলো। আমরা ৪ রুমমেট একদিন লাঞ্চের পরে রুমে বসে বসে মুড়ি-চানাচুর খাচ্ছি।এমন সময় সপ্তম শ্রেণীর ক্যাডেটদের দেখতে আসলেন গণিতের রিয়াজউদ্দিন প্রামাণিক স্যার,সংক্ষেপে রূপলাল স্যার।উঠে দাঁড়ালাম।স্যার খাটের কাছে এসে বিছানায় মুড়ি দেখে নাক কুঁচকে বললেন,”ছিঃ,তোমরা মুড়ি খাও!!!!”স্যারের বলার ভঙ্গী আর কথা শুনে আমরা ভাবছিলাম ক্যাডেট কলেজে মুড়িকে মনে হয় ফকিরী খাবার মনে করা হয়,সবাই ঘেন্না করে। সেই ভুল ভাংতে অবশ্য বেশীদিন সময় লাগেনি।

এখনো মুড়ি খাওয়ার সময় স্যারের ওই নাক কুঁচকানো চেহারা চোখে ভাসে।

৯৬৩ বার দেখা হয়েছে

৫ টি মন্তব্য : “মুড়িকথন”

  1. তাওসীফ হামীম (০২-০৬)

    ব্লগে স্বাগতম প্রতীক। নামটা বাংলায় করে ফেল, আর সিনিয়ররা আসার আগেই ফ্রন্ট্রোল লাগানো শুরু করো।


    চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।

    জবাব দিন
  2. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    প্রথম লেখা তাও আবার ফাকি বাজি/

    পুলাপাইন এতো বদ কেনো?

    স্যারের মতো বলতে ইচ্ছা করতেছে, ব্লগ লিখ্ছো? এত্তো ছোট!
    ফ্রন্ট রোল চলবে কেয়ামত পর্যন্ত....


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।