বিডিআর বিদ্রোহঃ লাইভ ব্লগিং-২

আগের পোস্টে অনেক কমেন্ট পড়ে যাওয়ায় লোড হতে সময় লাগছে। তাই এই ব্লগটা পোস্ট করা হল। আপনারা সবাই এটাতে নির্ভরযোগ্য সংবাদ, সংবাদ বিশ্লেষণ ও মতামত দিন।

১৬,৮৯৩ বার দেখা হয়েছে

২২০ টি মন্তব্য : “বিডিআর বিদ্রোহঃ লাইভ ব্লগিং-২”

  1. কনক রায়হান (৯৮-০৪)

    আর্মি অফেন্সিভ হচ্ছে কিন্তু ভেতর থেকেতো এখনও সবাই বের হয়নি...এমনকি অনেক মন্ত্রী এম.পি রা ও তো ওইখানে আছে।আরেকটু পরে হতে পারতো..সরকারের কমান্ড কি ফেইল করেছে??

    জবাব দিন
  2. তৌফিক (৯৬-০২)

    এন টি ভির বুলেটিনে বলছে বিডিআর সাদা পতাকা উড়িয়ে অফিসারদের পরিবারদের ছেড়ে দিচ্ছে। কিন্তু তারা ভয়ে বের হতে চাচ্ছেন না, সংসদ সদস্যরা গিয়ে তাদের নিয়ে বেরিয়ে আসছেন।

    আমি আর্মিদের জায়গায় থাকলে কি করতাম জানি না, তবে দূর থেকে উপদেশ দেওয়া অনেক সহজ। তাই বলছি, বিডিআরদের মতো বিনা বিচারে হত্যা আর্মি যেন না করে।

    আমাদের ফৌজি ভাইয়েরা নাই ব্লগে প্রায় দশ বারো ঘন্টা ধরে। এটাও ভাবাচ্ছে। তারা ভালো থাকুন।

    জবাব দিন
  3. তারেক (৯৪ - ০০)

    নিউমার্কেট এলাকায় সেনাবাহিনী দূরপাল্লার কামান স্থাপন করা হয়েছে। যেটি পিলখানার ভেতর পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। বি ডি আর সব জিম্মীদের ইতিমধ্যে মুক্তি দিয়েছে এবং নিজেরা সেনাবাহিনীর আক্রমণ প্রতিরোধে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তারা মাঝে মাঝে গুলি বর্ষণ করছে। তার জবাবে সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি ছুড়ছে।

    খবর: রেডিও আমার


    www.tareqnurulhasan.com

    জবাব দিন
  4. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    লে ক। সৈয়দ কামরুজ্জামান, মেজর রিয়াজ, মেজর শাহ আলম, মেজর ইয়াহিয়া, মেজর মাহফুজ, মেজর আলমগীর, মেজর জাহীদি, মেজর জামান, মেজর মোখলেস, মেজর জাহিদ এরা ছাড়া পেয়েছেন।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  5. জুলহাস (৮৮-৯৪)

    ফয়েজ ভাই, নো অফেন্স, লে কঃ সৈয়দ কামরুজ্জামান স্যারের লাশ কিন্তু এর আগে এক চ্যানেল কনফার্ম করেছে।
    আপনি সঠিক হবেন, এটাই আমার মনের প্রত্যাশা।


    Proud to be an ex-cadet..... once a cadet, always a cadet

    জবাব দিন
    • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

      NTV যে ট্রেলার দিচ্ছে তাতে লেঃ কঃ সৈয়দ কামরুজ্জামানের নাম আছে মুক্তি প্রাপ্ত তালিকায়,

      ঊপরের নাম গুলি ছাড়াও আরও আছেন লেঃ কঃ রউফ, লেঃ কঃ শামস, লেঃ কঃ সালাম, কঃ সাইদ, মেজর আলমাস, মেজর আলী আশরাফ, মেজর আকরাম, মেজর মাহাবুব,

      এখন ১৬ জনের কথা বলছে।


      পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

      জবাব দিন
  6. তৌফিক (৯৬-০২)

    মাথায় রক্ত উঠে যাচ্ছে আনকনফার্মড কিছু নিউজ শুনে। বিডিআর তো পাগলা কুত্তা হয়ে গিয়েছিল দেখি। ওদের ছাপানো লিফলেট দেখে বোঝা যায় বেশ কিছুদিন ধরে প্রস্তুতি চলেছে।

    জবাব দিন
  7. রবিন (৯৪-০০/ককক)

    msg from Nafiz(92-98) bhai in ACOC group mail:
    msg from ACOC:
    Dear all,

    Assalamualaikum. Our beloved friend Capt Mazhar/T-663 (ADC to DG BDR) is dead (InnaLillahe oaInna Ilaihe Rajiun). Haider bhai(9th intake/Mazhar' s own brother) has seen the dead body & identified that in Mid Ford hospital. The dead body will be brought back to CMH, Dhaka very soon. His dead body was identified today morning along with other 4 X Offrs.

    Please attend thr first Janaza after Magrib prayer in Rajarbag police line.

    জবাব দিন
  8. তৌফিক (৯৬-০২)
    ঢাকা, ফেব্র"য়ারি ২৬ (বিডিনিউজ ২৪ ডটকম)--বিডিআর সদর দফতরের খুব কাছেই অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক। বিকেল সোয়া চারটার দিকে ১১টি ট্যাংককে ধানমন্ডি এলাকা অতিক্রম করতে দেখেছেন বিডিনিউজ ২৪ ডটকমের কর্মীরা।

    ঘটনাস্থল থেকে আমাদের সংবাদদাতা রোহান জিহাদ জানান, ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে ট্যাঙ্কগুলো অবস্থান নিয়েছে।

    এদিকে ট্যাঙ্ক আসার খবর ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি দু'টি গুলির শব্দ পাওয়ায় সমবেত হওয়া উৎসুক লোকজন হুড়োহুড়ি করে পালিয়ে যেতে থাকে। তবে এসময় কেউ আহত হয়নি।

    এর আগে আমাদের সংবাদদাতা সাভার সেনানিবাস থেকে ঢাকার দিকে বেশ কয়েকটি ট্যাঙ্ককে এগিয়ে আসতে দেখার কথা জানান।

    সাভার বাসস্ট্যান্ড থেকে তিনি বলেন, কমপক্ষে ১১টি ট্যাঙ্ক ওই এলাকা অতিক্রম করে ঢাকার দিকে এগুচ্ছে। প্রতিটি ট্যাঙ্কে কালো পোশাক পড়া পাঁচজন করে সৈনিক রয়েছে।

    এছাড়া ২০ বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্য এবং ৬ ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের জওয়ানরাও প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তখন তিনি জানান।

    বিডিনিউজ ২৪ ডটকম এসইউএম/আরজে/টিআর/এসকে/১৬৩৮ঘ.

    জবাব দিন
  9. তৌফিক (৯৬-০২)
    ঢাকা, ফেব্র"য়ারি ২৬ (বিডিনিউজ২৪ডটকম)- পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে আটক সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১২ জন মুক্তি পেয়েছেন। সর্বশেষ বিকেল ৫টার দিকে সাত সেনা কর্মকর্তাকে মুক্ত করে বের করে আনা হয়।

    এর আগে দুপুর চারটা ২০ মিনিটের দিকে প্রথম দফায় র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা সদর দপ্তরের ভেতর থেকে ৫ সেনা কর্মকর্তাকে ভেতর থেকে বের করে আনেন।

    বুধবার পিলখানায় বিডিআর জওয়ানদের বিদ্রোহের পর থেকে তারা সেখানে আটক ছিলেন।

    এই ১২ সেনা কর্মকর্তা হলেন- মেজর রিয়াজ, মেজর ইশতিয়াক, মেজর জাহিদী (৪০ রাইফেল ব্যাটালিয়নের টুআইসি), মেজর জামান ও লে. কর্নেল সৈয়দ কামরুজ্জামান, মেজর মাসুদ, মেজর আলমগীর, মেজর ইয়াহিয়া, মেজর শাহালম, মেজর আলী আশরাফ, মেজর মোকাররম, মেজর মোকলেস।

    মুক্তি পেয়ে মেজর জাহিদী বিডিনিউজ২৪ডটকমকে বলেন, "গত দুদিনে হতাহতের সংখ্যা শতাধিক।"

    তাকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে দাবি করেন জাহিদী।

    দরবার হলে অনুষ্ঠানের পর থেকে ডিজি শাকিল আহমেদকে আর তিনি দেখেননি বলেও মেজর জাহিদী জানান।

    বিডিনিউজ২৪ডটকম/আরবি/এএম/এএল/এসকে/১৭১০ঘ.

    জবাব দিন
  10. রবিন (৯৪-০০/ককক)
    ঢাকা, ফেব্র"য়ারি ২৬ (বিডিনিউজ২৪ডটকম)- পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে আটক সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১২ জন মুক্তি পেয়েছেন। সর্বশেষ বিকেল ৫টার দিকে সাত সেনা কর্মকর্তাকে মুক্ত করে বের করে আনা হয়।

    এর আগে দুপুর চারটা ২০ মিনিটের দিকে প্রথম দফায় র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা সদর দপ্তরের ভেতর থেকে ৫ সেনা কর্মকর্তাকে ভেতর থেকে বের করে আনেন।

    বুধবার পিলখানায় বিডিআর জওয়ানদের বিদ্রোহের পর থেকে তারা সেখানে আটক ছিলেন।

    এই ১২ সেনা কর্মকর্তা হলেন- মেজর রিয়াজ, মেজর ইশতিয়াক, মেজর জাহিদী (৪০ রাইফেল ব্যাটালিয়নের টুআইসি), মেজর জামান ও লে. কর্নেল সৈয়দ কামরুজ্জামান, মেজর মাসুদ, মেজর আলমগীর, মেজর ইয়াহিয়া, মেজর শাহালম, মেজর আলী আশরাফ, মেজর মোকাররম, মেজর মোকলেস।

    মুক্তি পেয়ে মেজর জাহিদী বিডিনিউজ২৪ডটকমকে বলেন, "গত দুদিনে হতাহতের সংখ্যা শতাধিক।"

    তাকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে দাবি করেন জাহিদী।

    দরবার হলে অনুষ্ঠানের পর থেকে ডিজি শাকিল আহমেদকে আর তিনি দেখেননি বলেও মেজর জাহিদী জানান।

    বিডিনিউজ২৪ডটকম/আরবি/এএম/এএল/এসকে/১৭১০ঘ.

    জবাব দিন
  11. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    আর্মিরা কি একশনে নেমেছে? আর্মি কি সরকারের নিয়ন্ত্রনে আছে?
    মোবাইল নিয়ন্ত্রন করে যদি টিভিতে সব প্রচার করে তাহলে কোন লাভ হবে না সহিংসতা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমি খালি চিন্তা করছি যা হয়েছে তাই অনেক এখন আল্লাহ মাফ করুক যেন আর কিছু না হয় তাহলে গৃহযুদ্ধ লাগবে।

    জবাব দিন
  12. তৌফিক (৯৬-০২)
    শাহান বলেছেনঃ
    ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০০৯ @ ৫:৩৬ অপরাহ্ন edit

    মুক্তিপ্রাপ্ত আরও কয়েকজনের নাম, NTV স্ক্রল থেকে:

    লে. ক. রউফ
    লে. ক. সালাম
    লে. ক. শামস
    ক. সাইদ
    মে. আলমাস
    মে. আলী আশরাফ
    মে. আকরাম
    মে. মাসুদ

    জবাব দিন
  13. আশিক (১৯৯৬-২০০২)
    এদিকে ট্যাঙ্ক আসার খবর ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি দু’টি গুলির শব্দ পাওয়ায় সমবেত হওয়া উৎসুক লোকজন হুড়োহুড়ি করে পালিয়ে যেতে থাকে। তবে এসময় কেউ আহত হয়নি।

    এইসব উৎসুক লোকজনরা যদি ভিতরের মানুষজনের আত্মীয় বা সাংবাদিক না হয়...এদেরকে জুতাপেটা করে ঢাকা থেকে বের করা দরকার!!!!

    জবাব দিন
  14. জিহাদ (৯৯-০৫)

    আচ্ছা ঢাকার বাইরের কোন খবর কেউ জানেন?

    খাগড়াছড়ি বিডিআর ক্যাম্পে আমার এক পরিচিত জনের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা। সেল বন্ধ। লাস্ট কালকে কথা হইসে। আজকে কোন খোঁজ নাই। সেকেন্ড লে: মেজবাহ 🙁


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  15. তৌফিক (৯৬-০২)
    ঢাকা, ২৬ ফেব্র"য়ারি (বিডিনিউজ ২৪ ডটকম)--টানা দুদিন অবরুদ্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পিলখানা সদর দপ্তর থেকে নারী ও শিশুসহ বিশজন বের হয়ে আসে।

    এদের মধ্যে ছিলেন মেজর মাকসুদের স্ত্রী কামরুন্নাহার, ক্যাপ্টেন শামীমের শিশুপুত্র রাকিব, মেজর ফারজানা কালামের মা মিসেস কালাম এবং বেশ কয়েকজন শিশু ও নারী। এরা সবাই নিজেদের বাসায় বন্দি ছিলেন।

    মেজর মাকসুদের স্ত্রী কামরুন্নাহার কান্নারুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, "আমি দুদিন না খেয়ে আছি। আমার স্বামীর খবর আমি জানি না।"

    মুক্তি পাওয়ার পর পিলখানা সদর দপ্তরের গেট দিয়ে বের হয়ে আসার পরই মুক্তির আনন্দে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন অনেকে। শিশুদের দেখা যায় ভীত-সন্ত্রস্থ।

    বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে বিডিআর সদর দপ্তরের বিদ্রোহী জওয়ানরা আবার গোলাগুলি শুরু করলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল, ফজলুল করিম সেলিম ও ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল জওয়ানদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আম্বালা ইন-এ বৈঠক করেন। প্রায় দুই ঘন্টা বৈঠকের পর জওয়ানদের প্রতিনিধিদল সদর দপ্তরে ফিরে যাওয়ার পর ওই আটকে পড়া নারী ও শিশুদের মুক্তি দেওয়া হয়।

    ক্যাপ্টেন শামীমের শিশুপুত্র রাকিব মুক্তি পেয়ে কেঁদে উঠে বলে, "আমার বাবা কই?"

    মেজর ফারজানা কালাম বলেন, মেয়ের খোঁজ তিনি জানেন না। বাসায় বন্দি ছিলেন। এ অবস্থায় চারবার বিডিআর সদস্যরা তার বাসায় এসে ব্যাপক ভাংচুর করেছে।

    বাসা থেকে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়েছে বলেও ফারজানা কালাম অভিযোগ করেন।

    বিডিনিউজ ২৪ ডটকম/এমআরএফ/এসআইটি/এসকে/১৫৪০ঘ.

    জবাব দিন
  16. এত অফিসারকে মেরে ফেলল ? মনে করি এরা সবাই কোন ইউনিভার্সিটি র ছাত্র...। তাহলে আপনি কি বলতেন? আপনার মনের অনুভুতি কি হত? আর্মি অফিসার কি এতই অপরাধ করল যে জন্য তাকে এমন ভাবে জীবন দিতে হল ?

    জবাব দিন
    • কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

      না, গোলাগুলির কোন খবর এখোনো নাই।
      পিলখানার ভেতর কয়েকজন রাজনীতিবিদ এখোনো আছেন
      সেনাপ্রধাণ এখন প্রধানমন্ত্রীর সাথে মিটিং এ বসেছেন, হয়তো ফাইন্যাল ডিসিশন টা এখানেই হবে। হোপ ফর দ্য বেস্ট। আরো খারাপ কিছু, কিংবা একেবারে মাস কিলিং এর দিকে না গেলেই হয়।


      সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

      জবাব দিন
  17. je jai korok... ami chor hote pari amar sohokormi chor nao hote pare.... amar bhuler saja amar sohokormi ken pailo?? jawanra kharap kaj korse... Govt. ekhane kono role play korle hoyto army tei ekta chaos lagte pare... then it wil become army vs bdr..... r sob cheye boro kotha who gave them the rights to kill?? yes amar baba sena officer... ami ei jonne eto pechal partesi nah... amar mama Lt. COL Inshad BDR, ami janina tar kibostha.... ami ei jonneo eto pechal partesi na... amar ektai kotha and seita holo churir saja mritto hote pare nah.... misbehave er sajao mritto hoite pare na... amar Last ekta opinion... innocent blood spill korar jonne, "khuner bodole khun" kuttar moto jawan gulare marle ami shanti pabo...

    জবাব দিন
      • বাহ!!! সাধু!!!! সাধু!!!!! আপনারা কেউ কি জানেন...চীনে দূর্ণীতির শাস্তি মৃত্যুদন্ড? নাহ, ভাব্বেন না, আমি বি ডি আর এর কাজ কে সমর্থন করছি...তবে প্রায় অশিক্ষিত-কুশিক্ষিত জওয়ান-দের সংঘটিত হত্যাকান্ডের থেকে, সুশিক্ষিত(!) সেনাবাহিনী যদি হত্যাকান্ড ঘটায় সেটা নিঃসন্দেহে খুব বুদ্ধিমানের কাজ হবে...নয় কি?!!

        জবাব দিন
        • তৌফিক (৯৬-০২)

          ভাই বাঙ্গাল, চীনে দুর্নীতির শাস্তি মৃত্যুদন্ড দিয়ে আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন? বিডিআরের বিদ্রোহী জোওয়ানদের হত্যাকান্ড জায়েজ? সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত হত্যাকান্ড ঘটায়নি। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা ছিল বিডিআরকে একেবারে মুছে ফেলার, কিন্তু তারা তা করেনি এখন পর্যন্ত। আপনার পয়েন্টটা কি?

          জবাব দিন
          • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

            ভাই বাঙ্গাল, আপনার পয়েন্ট কী? চীনের দূর্নিতির শাস্তি মৃত্যুদন্ড বলে আপনি কী ইংগিত করলেন?

            কতগুলা সৎ অফিসার সেখানে মারা গিয়েছে আপনার ধারণা আছে। বুঝে শুনে কথা বলবেন আশা করি।

            জবাব দিন
          • আরেকবার পড়ে আবার উত্তর করুন...আপনার একটা কথাকেও oppose করে না আমার কমেন্টটি...আমি শুধু জনৈক পাপিষ্ট খান-কে বোঝাতে চেয়েছি ছ্যাঁচড়া চুরি আর পুকুর চুরির পার্থক্য কী? ক্লিয়ার?

            জবাব দিন
            • আশিক (১৯৯৬-২০০২)

              অনেকবার করে পড়লাম...তৌফিক আর রায়হান আবীর দুইজনের কথাই যৌক্তিক মনে হল...
              বরং আপনার ছ্যাঁচড়া চুরি আর পুকুর চুরির পার্থক্য বোঝাতে চাওয়াটাই অনর্থক মনে হল...আপনি একাই বোঝেন, আর আমরা বুঝি না - নিজেকে যতটুকু প্রাপ্য তারচেয়ে অনেক বেশি ক্রেডিট দিয়ে ফেলছেন......

              জবাব দিন
              • papisto khan বলেছেনঃ …. ami ei jonneo eto pechal partesi na… amar ektai kotha and seita holo churir saja mritto hote pare nah…. misbehave er sajao mritto hoite pare na… amar Last ekta opinion… innocent blood spill korar jonne, “khuner bodole khun” kuttar moto jawan gulare marle ami shanti pabo…

                এটা পড়ুন... তারপর বলুন পুকুর-চুরি আর ছ্যাঁচড়া চুরি-র উদাহরণ আনাটা একেবারেই অযৌক্তিক ছিলো...
                অবশ্য হ্যাঁ নিজেকে জ্ঞানী ভাবতে কে না চায়? দেখাই তো যাচ্ছে...

                জবাব দিন
                • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

                  ঠিকাছে। উত্তেজনায় পাপিস্ট খান এই মন্তব্য করেছেন। সেটা এইভাবে কোট না করলেও চলতো। বিডিয়ার মরুক আর্মি মরুক সবাই আমাদের ভাই, আমরা রক্তপাত চাইনা...

                  আর বিডিয়ারে কেন এই বিদ্রোহ সেটা নিয়ে আমরা পরে আরো ডিটেইল আলোচনা করি? সেখানে পুকুর চুরি হয়েছে ঠিকাছে, কিন্তু তাই বলে এতোজনকে মেরে ফেলতে হবে?

                  শান্ত হন ভাই।

                  জবাব দিন
            • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

              বাঙ্গাল আপনি কী বুঝাতে চাইলেন ক্লিয়ার হলো না। দুর্নীতির শাস্তি মৃত্যু দণ্ড? হলোৈ বা। তাহলে সেটা সবার জন্য হোক। ধরেন না আরো অনেক চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ আছেন তো এখনো বহাল তবিয়তে?
              আর কিছু বলার নাই। মুখ কারাপ করতে ইচ্ছা হইতেসে না।

              জবাব দিন
  18. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    আর্মি তাদের কর্ডন আরো ছোট করে এনেছে।
    কয়েকজন মন্ত্রী এখোনো আছেন ওখানে।
    বিডিআর এর কয়েকটা গেইট থেকে জওয়ানরা কর্তৃত্ব ছেড়ে চলে গেছে।


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  19. রবিন (৯৪-০০/ককক)
    ঢাকা, ফেব্র"য়ারি ২৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বিডিআর সদরদপ্তরের এক নম্বর ফটকের কাছে আরও আট জওয়ানকে আটক করেছে র‌্যাব।

    প্রাচীর টপকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়। এদের একজন সাংবাদিকদের জানান, দরবার হলে বুধবার সকাল ৯টার দিকে মহাপরিচালক এবং উপ-মহাপরিচালকের সঙ্গে সিহাহীদের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সিপাহীরা দুইজনকেই গুলি করে। অন্য কর্মকর্তাদের তাদের দপ্তরে গিয়ে গুলি করে মারা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মেজর কামাল হোসেনের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল প্রথম দফায় আট জন এবং পরে সাড়ে পাঁচটার দিকে আরও আট জনকে আটক করে।

    র‌্যাব-১০ এর সহকারী কমান্ডিং অফিসার মেজর কামাল জানান, প্রাচীরের বাইরে তারা পাহারা দিচ্ছেন।

    তিনি বলেন, "সম্ভাব্য অভিযানের আগে সদরদপ্তরের ভেতর থেকে কেউ বের হচ্ছে কি না- তা আমরা নজর রাখছি। গ্রেপ্তারকৃতদের আবাহনী মাঠে অস্থায়ী সেনাক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।"

    নতুন আটকরা হলেন- সুবেদার দেলোয়ার, সিপাহী নাজির হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, নির্মল সেন, ইমরান, আনোয়ার হোসেন ও রাকিবুল হাসান।

    আটকের পর রাকিবুল হাসান বলেন, "সদরদপ্তরের দরবার হলে ঘটনার দিন বুধবার সকাল ৯টার দিকে মহাপরিচালক এবং উপ-মহাপরিচালকের সঙ্গে সিহাহীদের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সিপাহীরা দুইজনকেই গুলি করে। অন্যান্য কর্মকর্তাদের তাদের দপ্তরে গিয়ে গুলি করে মারা হয়েছে। এরপর সিপাহীরা কোয়ার্টার গার্ড রুম ভেঙে অস্ত্র নিয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।"

    সাংবাদিকদের কাছে রাকিবুল দাবি করেন, তিনি বিদ্রোহের সঙ্গে যুক্ত হননি বলে তাকে তিন নম্বর ফটকের কাছে একটি বাড়িতে অন্য আরো কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে আটক করে রাখা হয়। দুপুরের পর বিদ্রোহীরা ওই স্থান ছেড়ে গেলে তারা মুক্ত হয়ে পালিয়ে আসেন।

    এর আগে আটক আট সদস্য হলেন- সিপাহী খালেকুজ্জামান তরফদার, সিপাহী তৌহিদ ও হাবিলদার মোতাহার, সিপাহী ওসমান, ল্যান্সনায়েক আর কে কামারুজ্জামান, নায়েক সুবেদার নাসির, মজিবুর রহমান ও মোরশেদ আলী ।

    র‌্যাব কর্মকর্তা মেজর কামাল আরও জানান, আটকের সময় তারা সাদা পোশাকে ছিল।

    বিডিনিউজ২৪ডটকম/এসএম/এএল/এসকে/এমএইচবি/১৭৪৩ ঘ.

    জবাব দিন
  20. আদনান (১৯৯৭-২০০৩)

    খুলনাতে যশোর রোড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন কি অবস্থা জানা নাই। আমি পরীক্ষা দিতে যেতে পারিনি।

    সামিয়ার বাবা'র কোন খবর আছে কি? আমি টেন্সড্‌।

    জবাব দিন
  21. ami chaina BDR HQ te kono jawan thakok... ami chaina oder atok kora hok... ami chai AIR strike.... carpet bombing.... HQ thanda hole baki camp emnei thanda hobe... ami ei kotha gula personal kono sotrotar karone boltesi na... ekta sadharon manush hisebe boltesi... noroposoder sathe emon ee kora uchit.... eder kaj dekhe to past er kiso president, pakistan army oo lojja pabe....

    জবাব দিন
  22. তৌফিক (৯৬-০২)
    Dhaka, Feb 26 (bdnews24.com)—Tanks and other military vehicles were seen moving out of Road 12A onto Satmasjid Road towards the main entrance of the Bangladesh Rifles Headquarters from 5.30pm, while thousands of spectators crowded the streets.

    The armoured vehicles and army trucks had earlier taken position at Abahani Sports field in the capital's Dhanmondi residential area.

    At least eight armoured vehicles were seen moving up Road 27, around 4pm, closing in on the Bangladesh Rifles Headquarters in the heart of the city where hundreds of armed rebels were holding on.

    The tanks took position in and around the field at Road 12A in Dhanmondi, where convoys of army soldiers were also deploying a temporary camp, less than a kilometre from the main gate of the BDR Headquarters.

    Army troops had been asking people by loudspeaker to move out of the areas around the sprawling BDR complex from early afternoon.

    bdnews24.com/rhn/mhc/rah/1614h

    জবাব দিন
  23. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    প্রাচীর টপকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৮ বিডিআর আটক

    ঢাকা, ফেব্র"য়ারি ২৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বিডিআর সদরদপ্তরের এক নম্বর ফটকের কাছে আরও আট জওয়ানকে আটক করেছে র‌্যাব।

    প্রাচীর টপকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়। এদের একজন সাংবাদিকদের জানান, দরবার হলে বুধবার সকাল ৯টার দিকে মহাপরিচালক এবং উপ-মহাপরিচালকের সঙ্গে সিহাহীদের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সিপাহীরা দুইজনকেই গুলি করে। অন্য কর্মকর্তাদের তাদের দপ্তরে গিয়ে গুলি করে মারা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মেজর কামাল হোসেনের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল প্রথম দফায় আট জন এবং পরে সাড়ে পাঁচটার দিকে আরও আট জনকে আটক করে।

    র‌্যাব-১০ এর সহকারী কমান্ডিং অফিসার মেজর কামাল জানান, প্রাচীরের বাইরে তারা পাহারা দিচ্ছেন।

    তিনি বলেন, "সম্ভাব্য অভিযানের আগে সদরদপ্তরের ভেতর থেকে কেউ বের হচ্ছে কি না- তা আমরা নজর রাখছি। গ্রেপ্তারকৃতদের আবাহনী মাঠে অস্থায়ী সেনাক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।"

    নতুন আটকরা হলেন- সুবেদার দেলোয়ার, সিপাহী নাজির হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, নির্মল সেন, ইমরান, আনোয়ার হোসেন ও রাকিবুল হাসান।

    আটকের পর রাকিবুল হাসান বলেন, "সদরদপ্তরের দরবার হলে ঘটনার দিন বুধবার সকাল ৯টার দিকে মহাপরিচালক এবং উপ-মহাপরিচালকের সঙ্গে সিহাহীদের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সিপাহীরা দুইজনকেই গুলি করে। অন্যান্য কর্মকর্তাদের তাদের দপ্তরে গিয়ে গুলি করে মারা হয়েছে। এরপর সিপাহীরা কোয়ার্টার গার্ড রুম ভেঙে অস্ত্র নিয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।"

    সাংবাদিকদের কাছে রাকিবুল দাবি করেন, তিনি বিদ্রোহের সঙ্গে যুক্ত হননি বলে তাকে তিন নম্বর ফটকের কাছে একটি বাড়িতে অন্য আরো কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে আটক করে রাখা হয়। দুপুরের পর বিদ্রোহীরা ওই স্থান ছেড়ে গেলে তারা মুক্ত হয়ে পালিয়ে আসেন।

    এর আগে আটক আট সদস্য হলেন- সিপাহী খালেকুজ্জামান তরফদার, সিপাহী তৌহিদ ও হাবিলদার মোতাহার, সিপাহী ওসমান, ল্যান্সনায়েক আর কে কামারুজ্জামান, নায়েক সুবেদার নাসির, মজিবুর রহমান ও মোরশেদ আলী।

    র‌্যাব কর্মকর্তা মেজর কামাল আরও জানান, আটকের সময় তারা সাদা পোশাকে ছিল।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  24. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    আমাদের ব্লগের সিও আহসান ভাইয়ের সাথে কথা হইল এই মাত্র।উনার একটা অপারেশনে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু যাওয়া লাগেনাই কারণ যাদের আটকাইয় রাখা হইসিল তাদের ছেড়ে দেওয়া হইসে।কথা বলার সময় উনি কাঁদছিলেন আর বলছিলেন-ভাই যারা মারা গেছে তারা আমার আত্মীয়ের মত ছিল-আমিও কান্না সামলাইতে পারি নাই উনার কান্না দেখে।হয়ত বিচার হবে,দোষীরা ফাঁসিতেও ঝুলবে-কিন্তু যাঁরা মারা গেলেন তাদের পরিবারের এই অপূরণীয় ক্ষতি কোনদিন পূরণ হবে না।

    আল্লাহ আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরার শক্তি দিন...

    জবাব দিন
  25. রবিন (৯৪-০০/ককক)

    ঢাকা, ফেব্র"য়ারি ২৬ (বিডিনিউজ ২৪ ডটকম)--বিদ্রোহ-কবলিত বিডিআর সদর দপ্তরের খুব কাছেই অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনীর ট্যাংক ও বিভিন্ন ধরণের যান।

    বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আবাহনী মাঠের ভেতর ও পাশের ১২/এ সড়কের অবস্থান থেকে কয়েকটি ট্যাংক স্থান বদল করে। এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা হয়েছিল যে সেগুলো পিলখানার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

    বিকেল সোয়া চারটার দিকে প্রথমবারের মতো ১১টি ট্যাংককে ধানমণ্ডি এলাকা অতিক্রম করতে দেখেন বিডিনিউজ ২৪ ডটকমের কর্মীরা। (সংশোধনীসহ)

    কয়েকটি ট্যাংক ধানমণ্ডির শংকর থেকে স্টার কাবারের কাছ পর্যন্ত মূল সড়কে অবস্থান নেয়। আবাহনী মাঠের পাশ্ববর্তী ১২/এ সড়কেও মোতায়েন ছিল কয়েকটি ট্যাংকসহ সামরিক যান। এ ছাড়া ধানমণ্ডি মাঠে সামরিক যান, পানিবাহী গাড়িসহ সেনাবাহিনীর আরও গাড়ি ছিল। আবাহনী মাঠ সেনা ক্যাম্পের রূপ নিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

    এদিকে ট্যাঙ্ক আসার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাজপথের আশেপাশে সমবেত হওয়া উৎসুক লোকজন হুড়োহুড়ি করে পালিয়ে যেতে থাকে।

    এর কিছুক্ষণ আগে আমাদের সংবাদদাতা সাভার সেনানিবাস থেকে ঢাকার দিকে বেশ কয়েকটি ট্যাঙ্ককে এগিয়ে আসতে দেখার কথা জানান।

    সাভার বাসস্ট্যান্ড থেকে তিনি বলেন, কমপক্ষে ১১টি ট্যাঙ্ক ওই এলাকা অতিক্রম করে ঢাকার দিকে এগুচ্ছে। প্রতিটি ট্যাঙ্কে কালো পোশাক পড়া পাঁচজন করে সৈনিক রয়েছে।

    এছাড়া ২০ বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্য এবং ৬ ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের জওয়ানরাও প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তখন তিনি জানান।

    বিডিনিউজ ২৪ ডটকম এসইউএম/আরজে/টিআর/এসকে/১৮০৬ঘ.

    বিডিনিউজ ২৪ ডটকম/এসইউএম/টিআর/এসকে/১৬১৩ঘ.

    জবাব দিন
  26. জিহাদ (৯৯-০৫)

    খাগড়াছড়ি তে নাজমুল (৯৯-০৫/ এম সি সি) কে ফোন দিলাম। ওদের ক্যাম্প সহ অন্যান্য ক্যাম্পে কোন সমস্যা হয়নি। সবাই ভালো আছে। আমার পরিচিত জনের খোঁজ ও পেয়ে গেলাম নাজমুলের সাথে কথা বলে। ওরা সবাইই ভালো আছে।


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  27. বলতে চাইছিলাম না … না বলেও পারছিনা … বিডিআর জওয়ানদের দাবীগুলোর যৌক্তিকতা নিয়ে যাদের আবেগ উথলে উঠেছিল তাদের জন্য বলি …
    মাজহারের একটা চোখ বেওনেট দিয়ে খুব্লে তুলে নেয়া হয়েছিল
    বাকী ডেডবডি গুলোকেও দাবীদার'রা খুব একটা রেহাই দেয় নি ...

    জবাব দিন
  28. কনক রায়হান (৯৮-০৪)

    ঢাকা ইউনিভার্সিটির একজন ছেলেকে নাকি আর্মিরা চড় মেরেছিলো তার কি ভয়ঙ্কর পরিণতি আমরা দেখেছি...
    আর্মির এতজন অফিসারদেরকে নির্বিচারে মেরে লাশটা পর্যন্ত ড্রেনে ফেলে দিলো তাদের এখন কি করা উচিত?? আর্মিরাতো অনেক পেসেন্স দেখালো......

    জবাব দিন
    • সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

      কুল! কুল!
      নির্বিচারে মেরে ফেলার বদলা নির্বিচারে মেরে ফেলা হতে পারেনা...
      প্রতিশোধের নেশা আরো রক্ত বয়ে আনবে শুধু...পিলখানা ক্র্যাকডাউনের প্রতিশোধ হিসেবে বেকুব বিডিআররা যদি সারাদেশের ক্যাম্পগুলাতে আবার গন্ডগোল শুরু করে?

      (এত বড় বড় কথা বলতেসি, তবে আমি আজকে নিহত আর্মি অফিসারদের সহকর্মী হইলে কি করতাম জানিনা...আসলেই খুব অস্থির লাগতেসে)


      "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
      আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

      জবাব দিন
  29. শওকত (৭৯-৮৫)

    আগেই বলেছি সেনাবাহিনীর প্রতি আমার মনোভাব যাই থাকুক, বিডিআরের প্রতি আমার সামান্যতম সহানুভুতি নাই।
    তারা মানুষ হয়ে উঠতে পারলো না শেষ পর্যন্ত।
    আমার কাছে কোনো ক্ষমা নাই।
    আমি এতো উদার হতে পারি নাই।

    জবাব দিন
    • তৌফিক (৯৬-০২)

      বাংলাদেশ আর্মি আসলেই অনেক ধৈর্য্য দেখাইছে। উনাদের জন্য আবারো সালাম। আমি দূর থেকে হয়তো বলতেছি ধৈর্য্য রাখতে, ম্যাসাকার যাতে না হয় সেটা দেখতে। ফিল্ডে রাইফেল হাতে থাকলে কতটুকু মাথা ঠান্ডা রাখতে পারতাম জানি না যখন নিজের ভ্রাতৃসম সহকর্মীদের এভাবে মরে যেতে দেখতাম।

      জবাব দিন
      • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

        আমাদের সেনাবাহিনী কিন্তু ধৈর্যের একটা দারুণ নিদর্শন দেখাল।এই পরিস্থিতিতে আমাদের মত উন্নয়নশীল বিশ্বের অন্য যে কোন সেনাবাহিনী হলে তারা হয়ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অগ্রাহ্য হলেও অফেন্সিভে যেত-যাতে আরো বেশি রক্তক্ষয় হত।আর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে কোন একশনে গেলে তার পরিণতি দেশের জন্য কি হত সেটা আমরা সবাই জানি।সেনাবাহিনীর সমালোচনা করতে আমি বা আমাদের মত মানুষজন হয়ত পেছপা হবনা কখনো কিন্তু তাদের এই সংযমের স্বীকৃতি যদি না দেই তাহলে ধরে নিতে হবে বিবেক বলে আমাদের আর কিছু অবশিষ্ট নেই।ইউ এন মিশনে অন্য দেশগুলো ছাপিয়ে কেন আমাদের মত গরীব দেশের সেনাবাহিনী প্রথম সারিতে স্থান করে নেয় তার কিছুটা এই ঘটনা থেকে বুঝতে পারছি।

        জবাব দিন
        • সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

          সহমত...
          এত ক্ষোভ থাকলে অস্ত্র নিয়া পালায়া গিয়া সর্বহারা পার্টিতে যোগ দিলেই পারতো...
          শুধু খুন-খারাবির কথা ধরলেও ক্ষমা করার প্রশ্নই উঠেনা...আর দেশের দুইটা প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে চিরস্থায়ী ফাটল সৃষ্টি করার দায়ে এদের জন্য কোন শাস্তিই যথেষ্ট হবেনা...


          "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
          আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

          জবাব দিন
  30. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    সামিয়া এখনো ওর বোন-দুলাভাইকে নিয়ে বিডিআর গেইটে অপেক্ষা করছে বাবার একটা খবরের জন্য। কিছুই পাচ্ছে না। ও বারবারই বলছে "ভাইয়া আমি শক্ত আছি"। এটা শুনলে কেমন লাগে? ছোট্ট একটা মেয়ে বুড়োর মতো বলছে। যেন আমাকেই সান্ত্বনা দিচ্ছে!

    সামিয়া জানালো, একজন ছাড়া পাওয়া সেনা কর্মকর্তা ওর প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, প্রথমেই জওয়ানরা ব্রাশ ফায়ার করে ৫০/৬০ জন কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে।

    কি বলবো তোকে? ভালো থাকিস বোনটি। তোর আব্বুর জন্য আমাদের সবার শুভকামনা আর ভালোবাসা। হয়তো দেখবি, হঠাৎ সামনে এসে তোকে চমকে দিয়ে বলবে, "কি রে মা, ভয় পেয়েছিলি?" আমরা সে রকম একটা চমকের জন্য ভীষণভাবে অপেক্ষা করছি। সত্যি।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  31. আশিক (১৯৯৬-২০০২)

    আর্মি ঢোকার কথা শুনছি...বিডিআর পালানোর কথা শুনছি...আত্মসমর্পণের কথা শুনছি...সাদা পতাকার কথা শুনছি...

    কেউ কি বলতে পারে বিডিআর এখন বিডিআর মুক্ত কিনা?

    জবাব দিন
  32. তৌফিক (৯৬-০২)

    সন্ধ্যা ৬ টা ৩৩ মিনিটের আপডেটঃ

    ঢাকা, ফেব্র"য়ারি ২৬ (বিডিনিউজ ২৪ ডটকম)- পরিস্থিতি সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ ।

    প্রেস সচিব বলেন, বিডিআর সদস্যরা অস্ত্রসমর্পণ সম্পন্ন করেছেন।

    বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে আবুল কালাম আজাদ বলেন, "পরিস্থিতি সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিডিআর সদস্যরা অস্ত্রসমর্পণ সম্পন্ন করেছেন।"

    বিডিনিউজ ২৪ ডটকম/এসইউএম/এজে/এসকে/১৮৩৩ঘ.

    জবাব দিন
  33. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    BDR হাসপাতালে বন্দী ছয় জন ডাক্তার মুক্তি পেয়েছেন। ইনশাআল্লাহ এর মাঝে সামিয়া বাবা আছেন।

    ২৭ জন মুক্তি পেয়েছেন বলছে NTV.


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  34. ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের শুধু মেরেই ক্ষান্ত হয়েছিল না আর্মি-রা, প্রতিবাদকারীদের ধরে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছিল-যা অকল্পনীয়। নিজের-টা খুব গায়ে লাগে দেখছি। অন্যের টা ও নিজের মতো করে ভাবা শিখুন। তাহলে আর সমস্যা হবে না পরবর্তীতে।মনে রাখবেন, ক্ষোভ বলপ্রয়োগ করে বেশিদিন দাবিয়ে রাখা যায় না। এক সময় না এক সময় তা বিক্ষোভে ফেটে পড়বেই।আর তার পরিণাম হয় ভয়াবহ-যা আজ ঘটতে চলেছে। যে কোন ধরনের অপরাধ-কে নিন্দা জানাই।

    জবাব দিন
    • সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)
      ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের শুধু মেরেই ক্ষান্ত হয়েছিল না আর্মি-রা, প্রতিবাদকারীদের ধরে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছিল-যা অকল্পনীয়।

      আর নির্বিচারে এক মুহুর্তে মেরে ফেলাটা খুব সহজেই কল্পনীয়, তাইনা?


      "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
      আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

      জবাব দিন
    • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

      হ্যা সে ঘটনারও প্রতিবাদ করেছিলাম তখন। সে সময় সেনা সদস্যরা বাড়াবাড়ি করেছিল। পরে ছাত্ররাও কম বাড়াবাড়ি করেনি।

      ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় আশির দশকে এরকম বাড়াবাড়ি সেনারাও করেছে, আমরাও করেছি। এই সত্য মানতে সমস্যা কোথায়?

      মি. রোজ : এদেশে সুযোগ পেলে কে বলপ্রয়োগ করে না? শ্রমিক, ছাত্র, শিক্ষক, সেনা, বিডিআর, সাংবাদিক, ডাক্তার? সব সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে। গায়ে সবারই লাগে। এটাই বাস্তব।

      তবে সত্য হলো, সেনা নিয়ে যতো ক্ষোভ আমাদের বেসামরিকদের মধ্যে আছে, চোর-চোট্টা ছাত্রনেতা, রাজনীতিবিদ, আমলা, দলবাজ বুদ্ধিজীবীদের জন্য তার সামান্যও নাই। বলপ্রয়োগ করে ছাত্রনামধারী নেতারা যখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাকে খত দেওয়ায়, কান ধরে ওঠবস করায়, জুনিয়র মাস্তান সিনিয়র বড় ভাইকে চড় মারে তখন কতোটা প্রতিরোধ করি আমরা। কতো পরিকল্পিত প্রচার চালাই এদের বিরুদ্ধে?

      এই সেনা-বিডিআর এরা আমাদের ভাই, বাবা, ছেলে, স্বজন। এরাও দোষে-গুনে মানুষ। এদের মধ্যে মানুষ আছে, অমানুষও আছে।


      "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

      জবাব দিন
    • সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

      তাও ভালো...
      আর্মি আর একটু ধৈর্য্য ধরুক...
      তারপর এই জানোয়ারগুলার চৌদ্দপুরুষ মনে রাখার মত শাস্তি দিতে হবে...তবে অবশ্যই বিচারের পর...


      "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
      আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

      জবাব দিন
      • You can't call someone 'Janwar'. Think yourself in their foot, then you can feel their situation. Telling from nowhere is not always a wise thing. Jhore Shob Shomoy bok morena......
        Try to think from a neutral point of view.......educated people must do that. I have friends there, but I am still trying to think out of box.

        Shahin
        School of International Politics and Affairs (SIPA)
        Columbia University, Newyork.

        জবাব দিন
        • সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

          শাহীন,
          'আউট অফ বক্স' চিন্তা করতেসি বললেই সেইটা 'আউট অফ বক্স' হয়ে যায়না...
          সিচুয়েশন যাইহোক না কেন, নির্বিচারে বাছ-বিচার ছাড়া কষ্ট দিয়ে মানুষ মারার কোন জাস্টিফিকেশন হয়না...আর এই পোস্টের কমেন্টগুলার মূল সুর খেয়াল করার চেষ্টা করেন...আমরা বিডিআর এর হিতাহিতজ্ঞানশূন্য উচ্ছৃঙ্খলতার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি আর্মির ধৈর্য্য প্রদর্শনের প্রার্থনা করতেসি...এখন আর্মি যদি আত্মসমর্পণ করা বিডিআর সদস্যদের পাখির মত গুলি করে মারে, তাহলে তাদেরকে 'জানোয়ার' বলতেও আমি পিছপা হবোনা...


          "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
          আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

          জবাব দিন
          • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

            যত প্রকার অন্যায় অবিচারই বিডিয়ার সদস্যদের প্রতি করা হোক না কেন নির্বিচারে অফিসারদের হত্যা করাকে তাদের হাত, পা ,মাথা অথবা রিপ্রোডাকটিভ অর্গান যেখানেই নিজেকে বসাই না কেন ন্যায়সঙ্গত করে ভাবতে পারছিনা।নিহত সেনাসদস্যদের মাঝে আমাদের ভাই,কলিগ অথবা ক্যাডেট কলেজ পরিবারের মানুষেরা ছিলেন যাঁদের সাথে আমরা বড় হয়েছি অথবা স্নেহধন্য হয়েছি।টিভিতে এখনো যখন শুনতে পাচ্ছি নিহত সেনাদের পরিবারের আর্তনাদ-এই দুঃসময়ে আপনার "টেলিং ফ্রম নোহয়্যার ইজ নট এ ওয়াইজ থিং","এডুকেটেড পিপল মাস্ট ডু দ্যাট" মার্কা মাস্টারিসুলভ কথাবার্তা একেবারেই ভাল লাগলনা। আপনার "সিপা"র জন্য এগুলো রেখে দিলে বাধিত হব।ধন্যবাদ।

            জবাব দিন
            • জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

              মাসরুফ, আমার যতদূর মনে হচ্ছে তুমি বোধহয় শাহিন ভাইএর সাথে কথা বলছ...
              আর যার সাথেই বল না কেন, কথায় আবেগের চেয়ে যুক্তি এবং অন্য জনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে সবসময় মনে রেখ...


              ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

              জবাব দিন
              • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

                কবীর ভাই আমি দুঃখিত।উনার নামের পাশে সাল,কলেজ না দেখে এবং নির্বিচারে অফিসার হত্যার জানোয়ারসুলভ আচরণকে যাস্টিফাই করার কিঞ্চিত ইঙ্গিত দেখে ক্ষোভ সামলাতে পারিনি।আমার বক্তব্যে আবেগ হয়তো আছে, কিন্তু যুক্তি যে অনুপস্থিত এটাও মেনে নিতে পারছিনা।কোন যুক্তি দিয়েই বিডিয়ারের এই অফিসার-হত্যাকে ন্যায়সঙ্গত করা যাবেনা।আমার প্রকাশভঙ্গিতে উনি কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দুঃখিত কিন্তু আমার বক্তব্যে আমি অটল।

                জবাব দিন
                • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

                  শাহীন ভাই,আসলে উত্তেজনার বশে আমার প্রকাশভঙ্গিটা একটু নয়, খুব বেশি উগ্র হয়ে গিয়েছে।তাছাড়া আমি আপনাকে ক্যাডেট ও সেনাবিদ্বেষী তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের সাথে মিলিয়ে ফেলেছিলাম-যারা কিনা ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়াই পান থেকে চুন খসলে আমাদের চৌদ্দপুরুষ উদ্ধার করে ছাড়ে।সাথে মোছার অপশন থাকলে মন্তব্যটি মুছে দিতাম।কিন্তু ভাইয়া,বিডিয়ারের এই হত্যাকান্ড কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত বলে ভেবে নিতে পারছিনা।আশা করি আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।মডারেটরকে অনুরোধ করছি আমার মন্তব্যটি মুছে দিতে।

                  জবাব দিন
  35. তৌফিক (৯৬-০২)

    ৬ টা ৪০ -এর আপডেটঃ

    Dhaka, Feb 26 (bdnews24.com)—Police officers have entered the BDR compound and taken control of the main entrance, apparently ending a 33-hour mutiny.

    bdnews24.com correspondents at the BDR main gate say they saw police vehicles enter the compound, known as Peelkhana, at 6:31pm.

    Earlier, a top aide to the prime minister said late Thursday afternoon all the rebellious BDR personnel surrendered and that the situation was under control.

    "The situation is under complete control of the government," the prime minister's press secretary Abul Kalam Azad told reporters. "BDR members have completed arms surrender."

    Tanks and other military vehicles moved further up Satmasjid Road towards the main entrance to the BDR headquarters at 5:30pm as the standoff over rebel paramilitary troops lingered on to the second day.

    Home minister Sahara Khatun entered the compound at around 4:45pm, for a second time, to negotiate a full surrender with BDR rebels who were still holding out as several deadlines for laying down arms had passed.

    bdnews24.com correspondents said the armoured vehicles, which moved up from Dhanmondi Road 12A onto Satmasjid Road to the intersection of Road 15A, were each carrying five army personnel in black uniform.

    Tanks and army trucks had earlier taken position at Abahani sports field at Road 12A in the capital's Dhanmondi residential area.

    The tanks took position in and around the sports field, where convoys of army soldiers were also setting up a temporary camp, less than a kilometre from the main gate of the BDR Headquarters.

    At least eight armoured vehicles were seen moving up Road 27, around 4pm, closing in on the Bangladesh Rifles Headquarters in the heart of the city where hundreds of armed rebels were holding on.

    Army troops had been asking people by loudspeaker to move out of the areas around the sprawling BDR complex from early afternoon.

    bdnews24.com/rah/bd/1840h

    জবাব দিন
  36. রবিন (৯৪-০০/ককক)

    ঢাকা, ফেব্র"য়ারি ২৬ (বিডিনিউজ ২৪ ডটকম)- বাংলাদেশ রাইফেলস্ (বিডিআর) এর জওয়ানদের বিদ্রোহে জামায়াতে ইসলামী জড়িত বলে বৃহস্পতিবার সিএনএন-আইবিএন টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

    নাম উল্লেখ না করা কয়েকটি ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে টিভি প্রতিবেদনে একথা বলা হয়।
    বুধবার রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে জওয়ানদের বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামী দেশব্যাপী এই বিডিআর বিদ্রোহীদের প্ররোচনা দিচ্ছে ও অর্থায়ন করছে।

    প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের অর্থায়নের পেছনের 'মূল নায়ক' বিএনপি নেতা সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।

    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী তার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।

    জামায়াতে ইসলামীর এ ঘটনার পেছনে জড়িত থাকার কারণ সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত না দেওয়া হলেও ধর্মভিত্তিক এ দলটি আদর্শগতভাবে আওয়ামী লীগের ঘোর বিরোধী। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যে উদ্যোগের কথা বলেছে তা দলটিকে উদ্বিগ্ন করেছে বলে মনে করা হয়। জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম 'যুদ্ধাপরাধী' বলে অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে।

    বিডিনিউজ ২৪ ডটকম/এজে/এসকে/১৮৪৭ঘ.

    জবাব দিন
  37. বিডিআরের অস্ত্রাগার এখন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের নিয়ন্ত্রনে ।এইমাত্র ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ তিনটি ট্রাকে করে বিডিআর পিলখানায় অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে ।

    জবাব দিন
  38. তারেক (৯৪ - ০০)

    7:30 PM:
    Some BDR jawans are trying to escape in civilian dress. They are brought in at Abahoni field camp. ATN interviewing live some of the officers who were captured. Shocking tales of brutality on them.
    Police IGP has excused himself from duty today to deal with personal tragedy of losing his son in Law. His daughter was married to him in January.


    www.tareqnurulhasan.com

    জবাব দিন
  39. তৌফিক (৯৬-০২)

    সামিয়ার বাবার কোন খোঁজ পাওয়া গেছে? বেঁচে যাওয়া এক্স ক্যাডেট অফিসারদের তালিকা দিন কেউ, এখানে অনেকেই ক্লাসমেট, সিনিয়ার, জুনিয়ার দুঃশ্চিন্তায় আছেন।

    জবাব দিন
  40. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    আংকেল (সামিয়ার বাবা) এর নাম কি? কি অবস্থা? ডাক্তার সবাই তো দেখলাম মুক্ত হয়ে গেছেন। ১১ জনের কথা বলছেন ওনারা।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  41. আমার কাছে বিডিয়ার আমি সমান। তারা আমাদের দেশের মানুষ আমাদের দেশের সন্তান, তারা যুদ্ধ করে আমাদের এই মাতৃভূমির জন্য। আমি যতদুর জানি, শুনাছি বিডিয়ারে আমি আফিসাররা অনেক খারাপ ব্যবহার করতো। বিডিয়ার জাওয়ানরা এইজন্য খুব্ধ ছিল। কিন্তু প্রতিবাদের এইরকম ভাষা আমাদের কারোর কাম্য নয়। সত্যি বলতে আমি চাই না আর কোন যোদ্ধার লাশ পরুক আমদের এই প্রিয় মাতৃভুমিতে। কিন্তু সরকার এই ঘটনার জন্য যেন দৃষ্টান্তমূল্ক ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সেটা উভয়পক্ষের জন্য।

    জবাব দিন
  42. i got this email from one of my friend in army:

    "I'm in such pain........ ......... ........such pain........ ......... ......... ......... ......... ......... ... SOME HORRYFYING STORIES heard from one of the major who came out in the afternoon: DARBAR HALL er DARBAR Parade State e Officer chilo= 168. Er modhdhe alive palate ba ber hote perechee = 32 +/- 2 (incl those came out in the afternoon today) Deadbody ber hoechee drain diee = 8 Till NOW Missing and they are not at all found inside = 128 +/- (jaderke dore fela hoechilo and darbar hall e prothome atok kora hoechilo) Ei 128 er modhdee jodi dhori je aro 8 ekhono jongolee lukie acheee...... total BRUTALLY KILLED. NOW, IMPORTANT TO NOTE THAT, JEHETU OFFICERS DER FAMILY MEMBERS DER KONO PARADE STATE NEAR SYSTEM NEI AR OFFICERS RAO SHOB DEAD.... WE ARE NOT AT ALL AWARE OF THE DAETH TOLL OF THE OFFICERS FAMILIES. I'm in such pain hearing how they were killed...... ......... ......... ......... ......... ......... ......... .... a. At the biginning burst fire kore or buke thekie guli kora hoechee ..... tader modhdhee senior most rai beshi. Eder ke drain e fele dea hoecheeeee.. ......... ... b. Drain e deadbody veshe ber hoar news er por theke bakider ke mere chapati diee kupiee kupiee tukro tukro kore olpo olpo kore drain e fela hoecheee.... ......... ......... ......... c. (not confirm) koekjonke (probably one officer's family members ke agun dhoriee janto purieeee mara hoechee. ............ ...... d. Captain Majhar er deadbody dekhte giechilo ek officer MITFORD hospital e..........or ek chokh upre fela hoechee bole janieche NO ONE, NOT THE ARMY, NOT THE MEDIA ARE ASKING OR SHEDDING LIGHT O THIS MATTER THAT HUGE NUMBER OF PERSONNEL ARE MISSING.. WHERE ARE THEIR DEADBODY???? ????????? ????????? ????????? ????????? ????? WHY THEY ARE HIDING IT.? WHY? THERE IS NOTHING MORE TO HIDE........ ......... .....FEARING THAT SENTIMENT OF THE PEOPLE OF BANGLADESH MAY GO AGAINST THE BDR!!?? EVEN I'M NOT SURE WHAT OUR "MOTHER" GOVERNMENT IS THINKING.... ......... ........ NOW, IT IS TO HUMANITY AND THOSE OF U WHO ARE READING THIS MAIL, JUST THINK ON THIS!!"....

    জবাব দিন
  43. পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ যেমন ভারি, আমার কাছে আমার কোর্সমেট, আমার সিনিয়ারের লাশ সমান ভারি।আর্মি আমাকে আর কিছু শিখাক বা না শিখাক, সিনিয়রকে প্রানের চেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করতে আমি শিখেছি। সহযোদ্ধাকে নিজের ভাইয়ের চেয়ে বেশি ভালবাসতে শিখেছি। আজ আমার সব চেয়ে বড় কষ্টের দিন। আজ আর কিছু লিখতে পারছি না, আমার আবেগ কষ্ট সব ভেঙ্গে চূরে আসছে। এত দূর থেকে অসহায় এর মত শিউরানো, হৃদয় বিদারক, মর্মান্তিক যে খবর গুলা পাচ্ছি, মনে হছে কেন নিজে মরে গেলাম না তার আগে? এসব কেন শুনতে হচ্ছে আমাকে? ক্যাপ্টেন মাজহার - এডিসি টু ডিজ়ি বিডিআর, কুমিল্রা ক্যাডেট কলেজের এক্স-ক্যাডেট।
    মিলিটারী একাডেমীতে কত কত স্মৃতি। আমাকে পানিশমেণ্ট দেওয়ার নাম করে গান শুনতেন। কত দিন স্যার এর রুমের সামনে দাঁড়িয়ে রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনিয়েছি। মাত্র ডিসেম্বরে হল স্যার বিয়ে করেছেন, তার বয়স মাত্র ২৮/২৯। টগবগে, প্রানবন্ত তরুন অফিসার। এই গরিব দেশের কত কষ্টের টাকায় আমরা ট্রেনিং নেই, অফিসার হই, দেশের জন্য প্রাণ দেব বলে হাসি মুখে রাস্ট্রপতির কাছে শপথ নেই, মরে যাব কিন্তু দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব। আর আজ লাশ হয়ে বের হয়ে এল এই তাজা প্রাণ সুয়ারেজের লাইন দিয়ে। এই দুঃখ, এই কষ্ট আমি কোথায় রাখি? তাঁর পরিবার, ভাবিকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা আমার নেই, আমার নেই, কারোরই নেই। ঢাকা সিএমএইচ এ আজ লাশের পর লাশ আসছে। শুধু অফিসার কেন, আমার এক সৈনিকের ভাইকে নাকি মেরে ফেলেছে জোয়ানরা তাদের সাথে যোগ না দেওয়ায়। অফিসার, সৈনিক, জোয়ান সবাই এই দেশের সন্তান। কেন এই নিশংসতা? এই প্রশ্নের জবাব আজ কারো কাছে নেই।
    স্রষ্টা আমাদের সবাইকে, আমাদের দেশকে এই মহা বিপদ থেকে উদ্ধার করুন। গরিব দেশটার জন্য বড় মায়া লাগে, বার বার উঠে দাঁড়াতে গিয়ে কে যেন ভেঙ্গে ফেলে কোমড়টা। হোঁচট খেতে খেতে আমরা কি আর দাঁড়াতে পারবনা কখনো?

    জবাব দিন
    • আমার জানামতে আনফিসিয়ালি আর্মড পুলিশের ছদ্মবেশে কমান্ডো ঢুকেছে ... কমান্ডো খুব নিঃশব্দে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সবাইকে নিরস্ত্র করা হয়েছে, ডাইরেক্ট কিলিং-এ জড়িতদের চোখ বেধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ক্যাম্পে ... তদন্ত হবে, হচ্ছে ...
      নির্দোষ কেউ সাজা পাবে না বলেই মনে হচ্ছে। তিনটি দল ছিল। ডাইরেক্ট কিলিং যারা প্ল্যান ও এক্সিকিউট করেছে, ঘটনা ঘটে যাবার পর যারা শরীক হয়েছে, এবং সম্পূর্ণ নিরোপ্রাধ যারা কিছু জান্তও না , কিছু করেওনি।

      জবাব দিন
  44. তৌফিক (৯৬-০২)

    ঢাকা ফেব্র"য়ারি ২৬ (বিডিনিউজ ২৪ ডটকম)- বৃহস্পতিবার সকালে কামরাঙ্গীর চরে আরও ছয় সেনা কর্মকর্তার লাশ পাওয়া গেছে।

    নিহতরা হচ্ছেন� ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল বারী, কর্নেল জাহিদ হোসেন, কর্নেল আনিসুজ্জামান, লে. কর্নেল আবু মূসা আইয়ুব কায়সার আহমেদ, ক্যাপ্টেন মাজহারুল হায়দার ও অজ্ঞাত পরিচয় এক কর্মকর্তা।

    এদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার বারীর লাশ শনাক্ত করেন তার শ্যালক নিরো ও বন্ধু ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাবের আহমেদ, কর্নেল জাহিদেও লাশ শনাক্ত করেন তার ভাগ্নে বখতিয়ার, কর্নেল আনিসুজ্জামানের লাশ শনাক্ত করেন তার আত্মীয় ডা. আতিউর রহমান, লে. কর্নেল আবু মূসার লাশ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী নুসরাত জাহান ও শ্যালক জিয়া এবং ক্যাপ্টেন হায়দারের লাশ শনাক্ত করেন তার ভাই মাহাবুবুল হায়দার।

    নিহতদের আত্মীয়-স্বজনরা নবাববগঞ্জ পার্কে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।

    এদের মধ্যে ক্যাপ্টেন হায়দার পুলিশের আইজি নূর মোহাম্মদের জামাতা। মাত্র কয়েকমাস আগেই তাদের বিয়ে হয়। কর্নেল আনিসুজ্জামান সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব মাহাবুবুজ্জামানের পুত্র।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজারবাগ পুলিশলাইনে ক্যাপ্টেন হায়দারের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পে সাংসদ আব্দুর রহমান, ইকবালুর রহিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম জানাযায় অংশ নেন। এরপর তারা আইজিপির বাসায় গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানান।

    কর্নেল আনিসুজ্জামানের মৃতদেহ তার স্বজনরা নিয়ে গেছে। বাকী চারটি মৃতদেহ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    কামরাঙ্গীর চর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইনুদ্দিন খান বিডিনিউজ ২৪ ডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে কামরাঙ্গীরচরে আরো ছয়টি লাশ পাওয়া গেছে। মৃতদেহগুলো কামরাঙ্গীর চর থানার তত্ত্বাবধানে ছিল। পওে মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে তাদেও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

    এদিকে প্রিয়জনের খোঁজ পেতে নবাবগঞ্জ এলাকায় জড়ো হয় নিখোঁজ কর্মকর্তাদেও স্বজনরা।

    এনিয়ে বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় অন্তত আটজন সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেল।

    বুধবার এ এলাকায়ই দুই সেনা কর্মকর্তার লাশ পাওয়া যায়। নিহত ওই দুই সেনা কর্মকর্তার একজন হলেন এবার বিডিআর সপ্তাহের প্যারেড কমান্ডার ও অপারেশন ডালভাত টাস্কফোর্স কমান্ডার। অন্যজন হলেন ৩৬ ব্যাটালিয়নের কমাণ্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এনায়েত।

    কামরাঙ্গীরচর থানার সহ-পরিদর্শক আতাউর রহমান বিডিনিউজ ২৪ ডটকমকে জানান, বুধবার দুপুরে নবাবগঞ্জ কাঁচাবাজারের ড্রেন থেকে কর্নেল মুজিবুল হক ও লেঃ কর্নেল এনায়েতের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গুলি করে হত্যার পরে তাদের লাশ পিলখানার ড্রেনে ফেলে দিলে তা ভেসে এখানে চলে আসে।

    সহ-পরিদর্শক আতাউর রহমান জানান, লাশ উদ্ধারের পরে তারা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

    বুধবার সকালে পিলখানায় বিডিআর জওয়ানদের বিদ্রোহের প্রথমভাগে এই দুই উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    বিডিনিউজ ২৪ ডটকম/প্রতিনিধি/জিএমএ/এমএইচসি/এইচএ/১১৫৩ঘ.

    জবাব দিন
  45. রবিন (৯৪-০০/ককক)

    ঢাকা, ২৬ ফেব্র"য়ারি (বিডিনিউজ ২৪ ডটকম)- পিলখানার বিডিআর সদরদপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ আটকে পড়া দেড় শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে কমপে ২০ জন সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন।

    দুপুর আড়াউটার দিকে বের হয়ে আসেন মেজর মাকসুদের স্ত্রী কামরুন্নাহার, ক্যাপ্টেন শামীমের শিশুপুত্র রাকিব, মেজর ফারজানা কালামের মা মিসেস কালাম এবং বেশ কয়েকজন শিশু ও নারী। বিস্তারিত প্রতিবেদক রিয়াজুল বাশারের কলমে।

    বুধবার সকালে বিডিআর বিদ্রোহের পর থেকেই তারা নিজেদের বাসায় বন্দি ছিলেন।

    মুক্তি পেয়ে মেজর মাকসুদের স্ত্রী কামরুন্নাহার বাস্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, "আমি দু'দিন না খেয়ে আছি। স্বামী কোথায় আছে তা জানি না।"

    সদর দপ্তরের মূল ফটক দিয়ে বের হয়ে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। কেউ স্বজন হারিয়ে আবার কেউ মুক্তির আনন্দে। শিশুরা ছিল ভীত সন্ত্রস্ত।

    এর আগে দুপুর একটার দিকে বিডিআর সদর দপ্তরের বিদ্রোহী জওয়ানরা আবার গোলাগুলি শুরু করলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ আব্দুল জলিল, ফজলুল করিম সেলিম ও ওয়ার্কার্স পাটির রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল জওয়ানদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে হোটেল আম্বালা ইন-এ বৈঠক করেন। প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে জওয়ানদের প্রতিনিধিদল সদরদপ্তরে ফিরে যায়। এর কিছুণের মধ্যেই ওই আটকে পড়া নারী ও শিশুদের মুক্তি দেওয়া হয়।

    ক্যাপ্টেন শামীমের শিশুপুত্র রাকিব মুক্তি পেয়ে কেঁদে উঠে বলে, "আমার বাবা কই?" এরপর আর কোন কথাই বলতে পারেনি এই শিশু।

    মেজর ফারজানা কালাম জানান, তার মেয়ের খোঁজ তিনি জানেন না। বাসায় বন্দি ছিলেন। এ অবস্থায় চারবার বিডিআর সদস্যরা তার বাসায় এসে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে।

    "ওরা আমার বাসা থেকে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে", অভিযোগ করেন তিনি।

    এরপর এক এক করে বের হয়ে আসেন মেজর মাহবুবের স্ত্রী, ক্যাপ্টেন রেজার স্ত্রী, মেজর রিয়াজের স্ত্রী, ক্যাপ্টেন তানভীরের এর পরিবার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসিফ ও আরও অনেকে।

    বিডিআর সদরদপ্তর থেকে মুক্তি পাওয়া সামরিক কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের র‌্যাবের গাড়িতে করে মিরপুর স্টাফ কোয়ার্টারে পাঠানো হয়।

    বিকেল ৫টার দিকে সদরদপ্তর থেকে দুই জন বিদেশি নারীকে বের হয়ে আসতে দেখা গেছে। তবে তারা কিছু বলতে রাজি হননি।

    তাদের ট্রাভেল ট্যাগ থেকে জানা গেছে, গত ৪ ফেব্র"য়ারি তারা বাংলাদেশে আসেন। এতে তাদের নাম লিখা রয়েছে- ত্যাং ইয়ুন ও ঝ্যাং।

    এরপর পৌনে ৬টার দিকে বেরিয়ে আসেন সিগন্যাল ব্যাটালিয়ান কামান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তসলিম ও ২৬ রাইফেলস ব্যাটালিয়ানের মেজর মুনির।

    মেজর মুনির জানান, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরই তিনি একটি ড্রেনের ভিতর গিয়ে আশ্রয় নেন। দীর্ঘ সময় নাক উচু করে পুরো শরীর ড্রেনের পানিতে ডুবিয়ে রেখে আত্মরা করেন তিনি। পরে গভীর রাতে একটি ভবনের কার্নিশে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকে তিনি মোবাইলে এসএমএম করে তাকে উদ্ধারের জন্য জানান।

    বিকালে তার নাম ধরে ডাকা হলে তিনি নেমে আসেন।

    মেজর মুনির জানান, এ দু'দিন তিনি না খেয়ে ছিলেন।

    এছাড়া এদিন মুক্তি পান- মেজর রিয়াজ, মেজর ইশতিয়াক, মেজর জাহিদী (৪০ রাইফেল ব্যাটালিয়নের টুআইসি), মেজর জামান ও লে. কর্নেল সৈয়দ কামরুজ্জামান, মেজর মাসুদ, মেজর আলমগীর, মেজর ইয়াহিয়া, মেজর শাহ আলম, মেজর আলী আশরাফ, মেজর মোকাররম, মেজর মোকলেস, মেজর মাহবুবসহ আরও বেশ কিছু সেনা কর্মকর্তা।

    বিডিনিউজ২৪ডটকম/এলএইচ/এমআরএফ/এসআইটি/আরবি/এএল/এইচএ/১৯৪৬ঘ.

    জবাব দিন
  46. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    একজন সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জিম্মি পরিস্থিতির অবসানের পর তারা পিলখানায় ৯ জনের লাশ পেয়েছেন। এদের একজন মেজর পদমর্যাদার, ১জন কিশোরী ও বাকিরা বিডিআর সদস্য।

    জাতীয় পার্টির এক সাংসদ সেলিম রেজা পিলখানা ঘুরে এসে জানিয়েছেন, তিনি আরো ২৫-২৬ জন সেনা কর্মকর্তার হদিস পেয়েছেন। এরা বিভিন্নস্থানে লুকিয়ে ছিলেন।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  47. রকিব (০১-০৭)

    বিডিআর ঘটনায় চক্রান্ত রয়েছে কি না খুঁজে বের করুন: খালেদা
    ঢাকা, ফেব্র"য়ারি ২৬ (বিডিনিউজ ২৪ ডটকম)- বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় কোনো গভীর চক্রান্ত রয়েছে কি না তা খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পাশাপাশি এ ঘটনায় সরকারকে সহযোগিতা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা।

    বৃহস্পতিবার গুলশানে দলের কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

    বুধবার পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে জওয়ান বিদ্রোহের পর খালেদা এই প্রথম সাংবাদিকদের সামনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন। এর আগে বুধবার দলের পক্ষ থেকে গভীর উৎকণ্ঠা জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

    লিখিত বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, "এ ঘটনায় আমাদের দেশ, জাতি এবং প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এই অনাকাঙিক্ষত ঘটনার পেছনে বাংলাদেশকে দুর্বল এবং আমাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে
    ক্ষতিগ্রস্ত করার কোনো সুগভীর চক্রান্ত রয়েছে কি না তা খুঁজে বের করার দাবি জানাচ্ছি।"

    সংকট উত্তরণে দেশবাসী ও সব শৃঙ্খলা বাহিনীকে শান্ত, ঐক্যবদ্ধ ও সজাগ থাকার আহ্বানও জানান তিনি।

    খালেদা জিয়া বলেন, "বাংলাদেশের ইতিহাসে শৃঙ্খলা বাহিনীর এতো অফিসার ও সদস্য একসঙ্গে নিহত হওয়ার ঘটনা ইতোপূর্বে কখনো ঘটেনি। এ দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় আমি গভীর ভাবে মর্মাহত।"

    তিনি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসাও দাবি করেন খালেদা।

    বিরোধী দলীয় নেতা সরকারকে সহযোগিতা দিতে নিজের দলের আগ্রহের কথা তুলে ধরে বলেন, "সরকারের প্রতি আমার আহ্বান, সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা দেশের স্বার্থে সব রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছি।"

    সংবাদ ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য এম সাইফুর রহমান, ড. খোন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমেদ, চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, এম শামসুল ইসলাম, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, এম কে আনোয়ার, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    বিডিনিউজ ২৪ ডটকম/এসএম/এএল/এইচএ/২২০৫ঘ.


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  48. আশিক (১৯৯৬-২০০২)
    জাতীয় পার্টির এক সাংসদ সেলিম রেজা পিলখানা ঘুরে এসে জানিয়েছেন, তিনি আরো ২৫-২৬ জন সেনা কর্মকর্তার হদিস পেয়েছেন। এরা বিভিন্নস্থানে লুকিয়ে ছিলেন।

    এত মানুষ বাদ দিয়ে ইনি গিয়ে কিভাবে পাইলেন! কি আজব!
    এই ২৫-২৬ জনের খবর আর কোথাও পাচ্ছি না কেন! ইনাদের নাম কি কোথাও পাওয়া গেছে?

    জবাব দিন
  49. মৃত হাসানের প্রেতাত্মা

    দুঃখিত আমরা এক অকৃতজ্ঞ জাতি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মূল্যায়ন করতে পারিনি।

    নিহত সেনা সদস্যদের জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা প্রকাশ করছি। তাদেঁর পরিবার পরিজনকে আল্লাহ হেফাযত করুন। আমিন।

    জবাব দিন
  50. ত্রিমিতা (৯৬-০০)

    একটু আগে একটা interesting খবর পড়লাম।

    The preliminary interrogation of some of the rebels has thrown up the name of Salauddin Qadeer Chowdhury, a well-known shipping magnate and reportedly very close to the Pakistan military-intelligence complex and the opposition BNP.
    Sources are also pointing to the scale of the brutality of the murders, the mutilations, etc, which they say are tell-tale signs of the Islamist ideologies that have infiltrated the lower cadres of the BDR, thanks to their extensive Jamaat-e-Islami and Jamaat-ul-Mujahideen Bangladesh (JMB) connections.

    Behind the mutiny is the war crimes tribunal that Sheikh Hasina promised to set up for the trial of Pakistani collaborators or razakars from the independence war. This had created trouble inside Bangladesh and Pakistan as well.
    In fact, Pakistan president Asif Ali Zardari sent an emissary to Sheikh Hasina, Pervez Ispahani, to persuade her to put off this trial as it could embarrass the Pak army considerably.

    Source: http://timesofindia.indiatimes.com/Pak-footprint-behind-Bangladesh-mutiny/articleshow/4205848.cms

    আরেকটা কথা - আমি দেখলাম ইন্ডিয়ার news agency গুলো সবার আগে ঠিক খবর দিয়েছে, উদাহরণ-স্বরূপঃ NDTV সবার আগে DG মারা যাওয়ার কথা বলে।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাফি (০২-০৭)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।