ভালোবাসার বন্ধুত্ব- ১৪

ভালোবাসার বন্ধুত্ব- [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১১] [১২] [১৩]

(এই সিরিজ টা অনেকদিন ধরে লেখা হচ্ছে না। মাথায় আছে, কিন্তু নানান ব্যস্ততায় লেখা হয়ে উঠতেছিলো না। আর ব্লগের এক বিখ্যাত মনিষী তো বলেছেনই লেখা হলো সে_র মতো। জোর করে হয় না।আর সবাই মনে হয় এটার কথা ভুলেই গেছেন। একজন ছাড়া অবশ্য। স্বপ্নচারী ভাই। ম্যাসেঞ্জারে ওইদিনও বলতেছিলেন এইটার কথা।
যাক, সিরিজটা শেষ তো করতে হবে। তাই আবার শুরু করলাম। জানি পোষ্ট দেয়ার সাথে সাথে কাইয়ূম ভাই কমেন্ট দিবেন নীল জানি কে, নীলিমার চাচা, নাকি অনীতার ভাই। আর অনেক নতুন মেম্বার এসেছেন, তাই মনে হয় আগের কাহিনির একটা ফ্ল্যাশব্যাক দেয়া যেতে পারে।

নীল, হাসান, সোহেল, তমাল ওরা মফস্বলে একসাথে থাকতো। হাসান পছন্দ করতো নীলিমাকে। ঘটনাক্রমে নীলও পছন্দ করে ফেলে নীলিমাকে না জেনে। কিন্তু যখন জানতে পারে হাসানের কথা ও সরে যায়। এই ঘটনা জানতো শুধু সোহেল। এদিকে আবার নীলকে পছন্দ করতো পাশের বাসার অনীতা। কিন্তু নীলের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে হতাশ হয়।ওদিকে হাসান প্রত্যাখাত হয় নীলিমার কাছে। তারপর কয়েক বছর কেটে যায়।ওরা একসাথে ভার্সিটিতে ভর্তি হয়। ওদের নতুন বন্ধু হয় অয়ন। অয়নের গার্ল ফ্রেন্ড ফারিয়ার মাধ্যমে নীলের সাথে আবার পরিচয় হয় নিলীমার। এইবার নীল প্রপোজ করে । নীলিমাও সাড়া দেয়। এই কারনে হাসানের সাথে নীলের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সেই সময় হঠাত একদিন তমালের মেডিকেল কলেজে গিয়ে হঠাত করেই নীলের সাথে দেখা হয়ে যায় সেই পাশের বাসার অনীতার।)
৬০।
আমি ভাবতেই পারি নাই, তোমার সাথে কখনো এভাবে দেখা হবে? অনেকখন পর নীল অনীতাকে বললো।
অনীতাঃ নাকি ভাবেন নাই কখনো দেখা হবে?
নীলঃ আরে তা কেনো হবে? তারপর তুমি কেমন আছো?
অনীতাঃ আমি তো ভালোই আছি। আপনার খবর বলেন? সেই যে হঠাত হাওয়া হয়ে গেলেন আর খবর নাই।
নীলঃ আসলে কলেজ থেকে বের হয়ে ভর্তি ও অন্যান্য ঝামেলাতে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম।
অনীতাঃ নাকি আমার প্রপোজের ভয়ে ??
নীলঃ তাও ছিলো কিছুটা। বাদ দাও। তারপর তোমার খবর বলো?
অনীতাঃ খবর আর কি। মেডিকেলে ভর্তি হলাম এই ইয়ারে। পড়ার খব্র প্রেসার। আর এখনো সিংগেল আছি।
নীলঃ হা হা। ভালো। যাক অনেকদিন পর তোমার সাথে দেখা হয়ে খুব ভালো লাগলো। এখন যাই পরে আবার দেখা হবে।
অনীতাঃ ঠিক আছে, তা দেখা টা হবে কিভাবে শুনি, আপনার নাম্বার টা দিয়ে যান।
কথা শেষ করে তমালের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নীল আর সোহেল বের হয়ে আসলো। অনেকখন পর সোহেল বললোঃ কিরে অনীতা দেখি এখনো তোকে আগের মতোই পছন্দ করে। আর আগের মতই পাগল আছে।
নীলঃ হা হা। ভালো বলেছিস। ভালো। এই ধরনের মেয়েদের মাঝে প্যাচ কম থাকে।
সোহেলঃ জ্বী স্যার। আপনি আমাদের মেয়ে বিষয়ে একটা লেকচার দিলে আমাদের খুব উপকার হতো।
নীলঃ দে আরো খোচা। তোর তো খালি চান্স লাগে খোচা দেয়ার জন্য। আমি যাই নীলিমা কয়েকবার ফোন দিয়েছিলো দেখা করার জন্য। দেখে আসি কি বলে।
সোহেলঃ যা । আমিও বাসায় যাই। কালকে একটা ফাইনাল আছে।

আজকে আবার নীলিমার সাথে কথা কাটাকাটি হলো নীলের। বিষয় তেমন কিছু না। নীলিমার এক ফ্রেন্ডের বিয়ে। নীলিমার চাচ্ছে নীল যেনো ওর সাথে যায়। নীলের আপত্তি।
নীলঃ ওখানে আমি গিয়ে কি করবো?
নীলিমাঃ কি করবা মানে? আমার সাথে শুধু যাবা।
নীলঃ তোমার বডিগার্ডের মতো?
নীলিমাঃ তুমি এইভাবে কথা বলতেছো কেনো? আগে কি কখনো তুমি যাও নাই আমার সাথে?
নীলঃ আগে গিয়েছি যাদের প্রোগ্রাম এ তাদের কে আমি চিনতাম।
নীলিমাঃ গেলেই পরিচয় হবে ।
নীলঃ দেখো আমার ভালো লাগে না এমন পার্টিতে যেতে।
নীলিমাঃ হ্যা এখন তো তোমার কোনো কিছুই ভালো লাগে না আমার। দুই দিন পর আমাকেও ভালো লাগবে না।
নীলঃ কিসের মাঝে কি বলতেছো? ঠিক আছে আমি কালকে চলে আসবো।
নীলিমাঃ থাক মন খারাপ করে আসতে হবে না।
নীলঃ খুশি মনেই আসবো। এইবার তুমি খুশি তো?
নীলিমাঃ হ্যা।
নীলঃ চলো তাহলে খেতে যাই।
৬১।
বাসায় ফিরে নীল অয়নকে আজকের কাহিনি বললো।
অয়নঃ কি বলিস? তোর সেই পুরানো কাহিনি।
নীলঃ আরে কোনো কাহিনি নাই। পাশের বাসায় থাকতো। প্রিয়ার বান্ধবি।
অয়নঃ যাক তোর জন্য তো ভালোই হয়েছে।
নীলঃ মানে? কি বলতে চাস?
অয়নঃ না মানে কিছুদিন থেকেই তো খেয়াল করতেছি নীলিমাকে তোর ভালো লাগতেছে না।
নীলঃ আবার শুরু করলি তোর বাজে কথা বার্তা। থাক তুই আমি গেলাম।

সেদিন রাতেই অনীতা নীলকে ফোন দিলো। অনেকখন কথা বললো। নীলেরও ভালোই লাগলো কথা বলতে। আর এমনিতেই অণিতার সাথে কথা বলতে আগে থেকেই ভালো লাগতো। কারন খুব সোজা সাপ্টা মেয়ে। পছন্দ, অপছন্দ সরাসরি বলে। আর কথাবার্তাও খুব ম্যাচিউরড। অন্যান্য মেয়েদের মতো ন্যাকামি নাই।
অনীতার সাথে যখন কথা বলছিলো সেই মুহুর্তে বেশ কয়েকবার নীলিমা ফোন দিয়েছিলো। কিন্তু নীলের ফোন ব্যস্ত পেয়ে অনেক ভাবনাই মনে আসলো। কিন্তু নাহ, নীল নিশ্চয় ওর সাথে এমন কিছু করবে না। সে শুধু শুধু চিন্তা করছে। কিন্তু আজকে নীলের ব্যবহারে ও খুব অবাক হয়েছে। আগে তো নীল কখনো এমন করতো না।

(চলবে…)

৩,২৪২ বার দেখা হয়েছে

৩০ টি মন্তব্য : “ভালোবাসার বন্ধুত্ব- ১৪”

  1. দিহান আহসান

    নীল কে? নীলিমার ভাই? অয়ন? ফারিয়া টা কিডা ? অনীতা কে, সোহেলের খালা?? নাহ, সব ভুইলা গেছি আবার, যাই আগের পার্টগুলা রিভিশন দিয়া আসি :bash: :bash:

    কি বলেন কাইয়ুম ভাই? :grr: :grr:

    জবাব দিন
  2. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    যথারীতি ডজার রবিন বিশাল গ্যাপ দিলো সিরিজটাতে আবার। এবং ডাল মেমোরি নিয়া আবার সব ভুইলা গেছি ক্যাডা কুনডা আছিলো :bash:
    নীল কে? নীলিমার ভাই? অয়ন? ফারিয়া টা কিডা ? অনীতা কে, সোহেলের খালা?? নাহ, সব ভুইলা গেছি আবার, যাই আগের পার্টগুলা রিভিশন দিয়া আসি :bash: :bash:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  3. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    ফাঁকিবাজী চরম.............চরম। এতোদিন পর, তাও কয়েকটা সংলাপ দিয়া ছাইড়া দিছে!! নাহ্‌ পরের পাঙ্গানিটা ওর ওপর দিয়াই যাইবো!! :grr: :grr: :grr:


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।