স্বার্থপর আমরা

এক সুন্দর বিকেলের মিষ্টি রোদে বাসার লনের বেঞ্ছে বসে আছে এক যুবক এবং তার বুড়ো বাবা। বিকালের রোদে ঘাসের ডগাগুলো চিক চিক করছে।
যুবক টি খুব মনোযোগ দিয়ে পত্রিকা পড়ছে। বুড়ো বাবা চুপচাপ তার পাশে বসে আছেন।হঠাত পাশের গাছে একটি পাখি কিচিরমিচির করে উঠলো।বাবা জিজ্ঞাসা করলেন “ওটা কি পাখি?”
যুবকটি পত্রিকা থেকে চোখ তুলে দেখে উত্তর দিলো “বাবা ওটা চড়ুই পাখি”।
বাবা কি যেনো চিন্তা করলো। তারপর আবার জিজ্ঞাসা করলেন “ওটা কি পাখি?”
যুবক টি বল্লোঃ বাবা এইমাত্র বললাম ওটা চড়ুই পাখি।

এইবার পাখিটি উড়ে আরো কাছে এসে বসলো। বাবা আবার বল্লেনঃ ওটা কি?
এইবার যুবক টি একটু রাগত সুরে বল্লোঃ “বাবা এমন করছো কেনো?কতোবার বলবো ওটা চড়ুই চ-ড়ু-ই পা-খি । পাখি।এতোবার বলার পরও কেনো বুঝতে পারছো না?”
বাবা কিছুটা মন খারাপ করে উঠে বাড়ির ভেতর যেতে লাগলো। ছেলে চীতকার করে বললো”কোথায় যাচ্ছো?”
বাবা কোনো উত্তর না দিয়ে ভেতরে গেলো এবং একটু পর একটি ছোট ডায়েরি নিয়ে ফিরে এলেন।
তারপর ডায়েরির ভেতরের একটি পাতা খুলে দিয়ে ছেলেকে বললেন “জোরে জোরে পড়ো”।
যুবকটি পড়তে লাগলোঃ
“আজকে আমার ছেলে(যার বয়স তিন বছর) আমার সাথে পার্কে বসে ছিলো। হঠাত আমাদের সামনে একটি চড়ুই পাখি এসে বসলো।আমার ছেলে সর্বমোট ২১ বার আমাকে জিজ্ঞাসা করলো ওটা কি।এবং আমি ২১ বার ওকে বললাম যে ওটা একটি চড়ুই পাখি।সে আমাকে যতোবার জিজ্ঞাসা করলো ততবার আমি তাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলাম বিরক্ত না হয়ে। ”

যুবক টি ডায়েরি থেকে চোখ নামিয়ে তার বাবা কে জ়ড়িয়ে ধরলো।

অসাধারন , তাই না? অন্তত আমার কাছে লেগেছে। এক চেইন মেইল এ এই ভিডিও টা পেয়ে দেখার পর অনেক্ষন কিছু চিন্তা করতে পারি নাই। আসলেই আমরা আমাদের পেরেন্টস এর সাথে কতো স্বার্থপর আচরন করি।
লিংকঃ

১,৯৯৫ বার দেখা হয়েছে

২৪ টি মন্তব্য : “স্বার্থপর আমরা”

  1. রকিব (০১-০৭)

    সিসিবিতে ভালো কিছু পাইলেই আম্মুকে দেখাই, আজকেরটা দেখাতে গিয়েও থেমে গেলাম। আমাকেই কি দেখানো হচ্ছে না এখানে?
    রবিন ভাই, হ্যাটস অফ টু ইউ


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  2. রহিমা আফরোজা নূপুর (৯১-৯৭)

    আব্বু আম্মু থাকতে কখনো তাঁদের বুঝাতে পারি নাই যে কতটা ভালোবাসি তাঁদের...আজকের ভিডিও টা দেখে তাই চোখের পানি আটকাতে পারলাম না। ওনারা আজ নাই, মনটা সারাক্ষন তাই কাঁদে। আব্বু আম্মু'র সাথে ভালো ব্যবহার করা খুব কঠিন একটা কাজ, সারাদিনে কয়বার আমরা তাঁদের সাথে হাসিমুখে কথা বলি? আমাদের উচিত তাঁদের প্রতি অনেক বেশী সচেতন হওয়া। একটা বাণী আছে না...'রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানি সাগিরা'..."আমরা যেনো বাবা-মা'র সাথে তেমন যত্নশীল হই, শিশুকালে তাঁরা আমাদের প্রতি যেমন ছিলেন"...
    ভাইয়া আপুরা, যাদের আব্বু-আম্মু এখনো আছেন, প্লিজ প্লিজ তাঁদের সময় দিন, এপ্রিশিএট করেন, তাঁদের হাসিমুখে রাখুন...

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : তানভীর (৯৪-০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।