ভালোবাসার বন্ধুত্ব- ১২

ভালোবাসার বন্ধুত্ব- [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১১]

(সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি এই পর্বটা দিতে এতো দেরি হবার জন্য। এই ক্ষেত্রে আমি একজন বিখ্যাত মনীষীর একটি উক্তি বলতে চাই, লেখা নাকি সেক্সের মতো, জোর করে হয় না। আমি এই কথাটার সাথে দুইশত ভাগ একমত। সেজন্য তাকে ধন্যবাদ দেই। আমাদের সবার প্রিয় ফয়েজ ভাই হলেন সেই মনীষী। অনেকদিন ধরে এই গল্প লিখতে বসেছি কিন্তু কিছু লিখতে পারতেছিলাম না। কেনো জানি মুড আসতেছিলো না।আজকে পোষ্ট করবো বলে ঠিক করে বসেছি। না করা পর্যন্ত আর কিছু করবো না। আরেক জনকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আমাদের স্বপ্নচারী মইনুল ভাই। সবাই এটার কথা ভুলে গেলেও উনি কিছুতেই ভুলেন নাই।ব্লগে, বা ইয়াহু তে। সব জায়গায় উনি আমাকে মনে করিয়ে দিতেন পরের পর্ব কই। ভূমিকা আর বড় করলে সানা ভাই পাংগা দিবে। )
৫৩/
কিরে তোর প্রব্লেম কি? এতো সকালে আমার ঘুম নষ্ট করলি কেনো?
অয়নের বেশ বিরক্তি নিয়ে নীল্ কে ঝাড়ির সুরে বললো।
নীলঃ শালা দরজা কে লাগাবে? আমি বাইরে যাচ্ছি।
অয়নঃ তুই এতো সকালে কই যাস? মর্নিং ওয়াক করতে নাকি?নাকি কলেজের পিটির কথা আবার মনে পড়ে গেলো?
নীলঃ নীলিমার সাথে দেখা করতে।
অয়নঃ বাহ রে দুনিয়া। যেই ছেলে কে আগে সকাল ১১ টায় হাতি দিয়ে টেনেও উঠানো যেতো না, আজ মাত্র এক মাসের প্রেমেই তার এতো চেঞ্জ। ভেরি গুড।আর কয়েকটা দিন যাক পরে বুঝবি।কিন্তু কালকে থেকে তুই আমার ঘুম নষ্ট করলে কিন্তু মাইর খাবি।
নীলঃ ফারিয়া কে কথাটা জানাতে হয় ।আজাইরা পেচাল বন্ধ কর। আমি গেলাম।
৫৪/
আরে রাগ করার কি আছে? মাত্র তো ২০ মিনিট লেট।তাও ঐ অয়নের জন্য।
নীলিমাঃ আর এই ২০ মিনিট যে আমি একা একা দাঁড়িয়ে আছি তার কি?
নীলঃ আচ্ছা, আর হবে না। প্রমিজ।
নীলিমাঃ প্রমিজ নাম্বার ১৬। এই নিয়ে ১৬ বার করলে।
নীলঃ এইবার ফাইনাল।
নীলিমাঃ আচ্ছা, দেখা যাবে। চলো তোমার সাথে করবো বলে আমি ব্রেকফাস্ট করি নাই।
ওরা চলে যায় ব্রেকফাস্ট করতে।
নীলের যেনো জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় যাচ্ছে। যাকে সে এতোদিন ধরে ,দিন না আসলে এতো বছর ধরে চেয়েছিলো তাকে সে এভাবে পাবে চিন্তাও করতে পারে নাই।যদিও তার জন্য সে হাসানের বন্ধুত্ব হারিয়েছে, অনেকের কাছে ভিলেন হয়েছে, বিশেষ করে যারা হাসানের ক্লোজ। কিন্তু এখন তার এইসব চিন্তা করার সময় কোথায়? তার সব কিছুতেই এখন শুধু নীলিমা।
সোহেল আছে কিছুটা অন্যরকম সিচুয়েশনে। হাসান আলাদা বাসা নিয়েছে। সব কিছুর জন্য কিছুটা দায় সে সোহেলের ঘাড়ে চাপিয়েছে।কারন সে কলেজ লাইফ থেকেই নীলের ঘটনা জানার পরেও কেনো তাকে জানায় নাই। কিন্তু সোহেলের তো কিছু করার ছিলো না।
হাসান এখন অন্য রকম জীবন্ ধারা বানিয়ে নিয়েছে। তার এখন অনেক গার্ল ফ্রেন্ড। মেয়েদের সাথে সে এখন শুধুই সময় কাটানোর জন্য সময় কাটায়। সাথে কিছু নেশাও ধরেছে।
তমালের সাথে ওদের দেখা খুব কম হয়। কারন সে মেডিকেলের পড়া নিয়ে খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।ফ্রেন্ডদেরকে খুব বেশি সময় দিতে পারে না। তবুও নীল রা মাঝে মাঝে ওর কলেজে বা হোস্টেলে যায় আড্ডা দিতে।
৫৫।
নীলিমাকে ওর কলেজে দিয়ে বের হবার সময় নীলের সাথে ফারিয়ার দেখা।
ফারিয়াঃ কি ব্যাপার , তোমার তো দেখাই পাওয়া যায় না।
নীলঃ কই আছি তো।
ফারিয়াঃ আছো তো। কিন্তু নীলিমার সাথে। আমরা যে তোমার ফ্রেন্ড ছিলাম তা তো মনে হয় ভুলেই গেছো।
নীলঃ আরে নাহ। এরকম কিছু না।অনেকদিন একসাথে ঘুরতে বের হওয়া হয় না। চলো কালকে সারাদিন আড্ডা দেই।
ফারিয়াঃ নাহ, কালকে না। একটা পরীক্ষা আছে। পরশু যেতে পারি।
নীলঃ ঠিক আছে আমি অয়ন কে নিয়ে চলে আসবো।
ফারিয়াঃ ঠিক আছে, যাই তাহলে। আচ্ছা, অয়ন কে সকাল থেকে ফোন দিচ্ছি। ধরে না। কই সে?
নীলঃ (হেসে) স্যার মনে হয় এখনো ঘুমাচ্ছেন।
ফারিয়াঃ যা আন্দাজ করেছিলাম। ঠিক আছে, বাই।
৫৬।
ভার্সিটি তে ঢুকতেই সোহেলের ঝাড়ি।
কিরে তোর না আরো আগে আসার কথা?
নীলঃ কেনো যেনো?
সোহেলঃ শালা, আজকে আমাদের কুইজ, একসাথে পড়ার কথা। খালি প্রেম করলে তো পাশ হবে না।
নীলঃ একদম ভুলে গেছিলাম। ব্যাপার না, দুই ঘন্টা আছে এখনো। চল , হয়ে যাবে।
সোহেলঃ তোর তো এক ঘন্টাতেই হবে।
নীলঃ কথা বন্ধ করে চল।
(চলবে…)

৩,৬৩৬ বার দেখা হয়েছে

৩৪ টি মন্তব্য : “ভালোবাসার বন্ধুত্ব- ১২”

  1. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    আমিতো সব ভুইলা গেছি 🙁
    নীল কে? নীলিমার ভাই? অয়ন? ফারিয়া টা কিডা ? :bash: :bash:
    যাইহোক, রবিনের ডেইলি ডেইলি বিনা জোরেই হয়ে যাক এই কামনা করি ;;; যাতে আমরা রেগুলার লেখা পাই আর কি ;)) ;))


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  2. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    কিউ কি সাস ভি কভি বহু থি'র মতো কইরা টানতাছো ক্যান? ব্লগডারে স্টার প্লাস পাইছো? প্রেম কাহানি বেশি ঝুলাইয়া রাখলে পানি হইয়া যায়! বুঝছো?? পরেরগুলা তাড়াতাড়ি...............


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  3. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    আবার শুরু হলো... দেখি এইবার কাহিনি কোনদিকে যায়... অপেক্ষায়...


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  4. তানভীর (৯৪-০০)

    লেখা ভাল হইছে। কিন্তু কেন জানি মনে হইছে তুই পুরাপুরি মন থেকে লিখিস নাই, কিছুটা জোর করেই লিখছিস্‌!
    কাহিনী অন্যবারের চেয়ে একটু মন্থর, কথোপকথন একটু বেশী হয়ে গেছে মনে হল।
    বেশী লম্বা করিস না।
    পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। 🙂

    জবাব দিন
  5. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

    দেরী করার জন্যে দুঃখিত ...... একটু দৌড়ের ওপরে আছি ......

    আমি ভেবেছিলাম, এই পর্বে তুমি দেখাবে নীল ঘুম ভেঙ্গে উঠেছে এবং গত পর্বের পুরাটাই আসলে স্বপ্ন। একটু বেশী নাটুকে হয়ে যেত অবশ্য। কিন্তু নীলের সাথে নীলিমাকে মানতে পারছিলাম না।

    আরে রাগ করার কি আছে? মাত্র তো ২০ মিনিট লেট।তাও ঐ অয়নের জন্য।
    নীলিমাঃ আর এই ২০ মিনিট যে আমি একা একা দাঁড়িয়ে আছি তার কি?
    নীলঃ আচ্ছা, আর হবে না। প্রমিজ।
    নীলিমাঃ প্রমিজ নাম্বার ১৬। এই নিয়ে ১৬ বার করলে।
    নীলঃ এইবার ফাইনাল।
    নীলিমাঃ আচ্ছা, দেখা যাবে। চলো তোমার সাথে করবো বলে আমি ব্রেকফাস্ট করি নাই।

    এই লাইনগুলো পড়ে বেশ মজা পেলাম।
    একবার হলের গেস্ট রুমে ওকে বসিয়ে রেখে রুমে কি যেনো একটা কাজের জন্যে এসেছিলাম, ফেরার পথে দেখি ইমরান ভাই (৯১-৯৭) এজ অফ এম্পায়ার খেলছেন। টেরও পেলাম না কখন ওই গেমসের মধ্যে মজে গেসি। আধাঘন্টা পরে হলে ক্যান্টিনের একটা ছেলে এসে জানালো, আফা আম্নেরে খুজে। পুরা গুল্লির ওপরে ছিলাম পরের কয়েকদিন।

    যা হোক, আজকের গল্পটাও ভালো লাগলো। নীলিমার দিকে একটু বেশী মনোযোগ দিয়ো। নায়িকার উপস্থিতি এতো কম থাকলে হবে ???

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : স্বপ্নচারী (১৯৯২-১৯৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।