সারাহার ভিন্নমাত্রাঃ “আঁই অন কিত্তাম”

ফেসবুকের সারাহা নিয়ে আমার আগের ব্লগটা লেখার পরে বেশ মজার কিছু অভিজ্ঞতা হলো। সোশাল মিডিয়ায় অধিকাংশ মন্তব্য এলো পুরোনো ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে, যাদের অন্তত হারানোর কোন ভয় নেই, অর্থাৎ পেনালাইজড হবার প্যানিক নেই। একজন তো পরামর্শ দিয়েই দিল, যাতে আমিও একটা সারাহা একাউণ্ট খুলে ফেলি; এটাও গ্যারাণ্টি দিল যে আমি নাকি পাঞ্চাশোর্ধ মন্তব্য পাব, যার মধ্যে কুড়িটার মত থাকবে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনের জমে থাকা আক্ষেপের ঢালাও বাক্যবাণ, আর তিরিশেরও বেশি পাব ক্রাশ টাইপের ম্যাসেজ।

যাহোক, যতই প্রলোভন থাকুক, সে পথে আর পা বাড়াইনি। এই মধ্যবয়সে এসে “আয় গরু, ঢিশ দে” টাইপের আহবান আর নাই বা জানালাম। তবে অন্য একটা কাজ করেছি। এটাই প্রথম বারের মতন করেছি, তা নয়; এটা ছিল নিজের সমালোচনা শোনার দ্বিতীয়বারের মতন একটা প্রচেষ্টা। যদিও খুব একটা লাভ হয়নি; কারন শর্ত জুড়ে দেয়া ছিল যে, এপ্রোচ যতটা সম্ভব নমনীয় হতে হবে।

ঘটনা এমন, গত সেমিস্টারে ডিপার্টমেণ্টের আণ্ডারগ্র্যাজুয়েটদের বিজনেস ইংলিংশ কোর্সটা পড়িয়েছি। ফাইনাল পরীক্ষার আগে আমারই করা পুরোনো কয়েক বছরের কিছু প্রশ্ন ঘাঁটছিলাম। হঠাৎ নিচের এই প্রশ্নটাতে চোখ পড়ে গেল, এবং সেটাই হুবহু তুলে দিলাম; ভাবলাম দেখিই না সবাই কি করেঃ

Imagine, you are in the middle of Summer Semester 2017, and you are not academically satisfied with your Business English course teacher. You have tried several times to adjust with him/her, and also you have tried to communicate with him/her orally to let him/her understand your problems, but every effort has failed. Now you are planning to make a formal and polite request to the Head of the department to make your course teacher understand your problems and, even if required, to replace him/her with another teacher of the department. Accordingly, prepare a formal letter with politeness as much as possible to the concerned Head of the department.

মজার বিষয় হলো, অতিরিক্ত দুইটা অপশনাল প্রশ্ন থাকা সত্বেও প্রায় সব ছেলে-মেয়েই এই প্রশ্নটার উত্তর লিখেছে। সবারই কমবেশি একই সমস্যা …

“স্যারটা ভাল, কিন্তু কেমন জানি, উনাকে চেঞ্জ করে আমাদের উদ্ধার করেন”

… মোটামোটি এই টাইপেরই বক্তব্য প্রায় সব লেখাতেই।

… আমি কিন্তু এখন আসলেই বেশ চিন্তায় আছি … কারন, ওই “চেঞ্জ” করার কথাটা বাদে আমার সম্পর্কে বাকি অংশটা তো আমি বিয়ের পর থেকে বৌয়ের কাছে প্রায় প্রতিদিনই শুনে আসছি!!!

… দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটা কথা ইদানিং বেশ মনে ধরে … “আঁই অন কিত্তাম?”

৬,৪৪৭ বার দেখা হয়েছে

৪ টি মন্তব্য : “সারাহার ভিন্নমাত্রাঃ “আঁই অন কিত্তাম””

মওন্তব্য করুন : আহমদ (৮৮-৯৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।