যাতনা কাহারে বলে! ভালবাসা কারে কয়!

যাতনা কাহারে বলে! ভালবাসা কারে কয়!

বেশ কয়েক বছর আগে একজন সাহিত্যের শিক্ষক আমাদের ক্লাশে বলেছিলেন, একজন কবির কাছে কবিতা জন্ম দেয়া নাকি অনেকটা সন্তান প্রসবের মতই একটা ব্যাপার। যতক্ষন কবিতাটা বের না হয়, একটা যন্ত্রনা হতেই থাকে। আর বের হবার সাথে সাথেই এক অনাবিল প্রশান্তি। এ বিষয়ে আমার উপলব্ধি হল, মনের কথা বলে ফেলার মধ্যেই একটা বিরাট রিলিফ কাজ করে। তা সে সুখের হোক, বা কষ্টেরই হোক।

গত কয়েকদিন থেকেই মনের মধ্যে একটা চাপ অনুভব করছি। যাকে পাচ্ছি তাকেই ধরে আমার গল্প শুনাচ্ছি। অনেকটা স্যামুয়েল টেলর কোলরিজের রাইম অব দ্যা এনশেন্ট মেরিনারের সেই বুড়ো নাবিকের মত। কিন্তু আমার অবস্থা মনে হয় আরেকটু বেশিই অস্থির। আমি শেষ পর্যন্ত ব্লগে লেখার সিদ্ধান্ত নিলাম। আর জীবনে যা দুয়েকটা ছাইপাশ ব্লগ লিখেছি তা এই সিসিবিতেই। তাই আবারো এখানেই এলাম।

২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১২ (বৄহস্পতিবার), দুপুরের বাসে চাপলাম। গন্তব্য দিনাজপুর, শ্বশুরালয়। উদ্দেশ্য, ছোট সম্বন্ধির বিয়ে। বলা যায় বড় কটুমের লাড্ডু উৎযাপন। পাশের সিটের ভদ্রলোকের সাথে গল্পে মেতে গেলাম। বেশির ভাগ গল্পই হচ্ছিল তার ছোট্ট বাচ্চাটাকে নিয়ে। বাচ্চা তার মা সহ নানাবাড়িতে, দিনাজপুরে। বেশ জমে গেল গল্প। দুজনেরই শ্বশুরবাড়ি দিনাজপুরে। আর পায় কে। ভদ্রলোকের গল্প শুনতে বেশ মজা পাচ্ছিলাম। কারন মনি (আমার স্ত্রী) অন্তঃস্বত্বা। প্রায় শেষের দিকে। যে কোন দিন আমরা বাব-মা হতে যাচ্ছি, এমন একটা অবস্থা। আর একারনেই মনিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। সে ঢাকাতেই থাকছে আমার বাব-মা আর ছোট বোনের সাথে। কিন্তু যাবার ঠিক আগ দিয়ে মনি আমার মনের কথাটা বলে দিল, “তুমি ফিরে আসার আগেই যদি আমাদের বাবু হয়ে যায়!” এমন কথায় তো আর কিছু বলার থাকে না। কিছুটা মন খারাপ, কিছুটা দুশ্চিন্তা নিয়েই রওনা দিলাম। যা থাকে কপালে, আল্লাহ ভরসা।

দিনাজপুরে পৌছালাম রাত দশটার দিকে। বাস থেকে নেমেই কি যে শান্তি। কোলাহল নেই, জ্যাম নেই, কি সুন্দর ফাকা-ফাকা একটা ভাল লাগা। কি যে মাথায় চাপল, বাস থেকে নেমেই রিক্সা না নিয়ে একটা টং-এ গেলাম, আগে চা খেতে হবে, তারপরে অন্য কথা। চা খেলাম, রিক্সা নিলাম, সোজা শ্বশুরবাড়ি। সেখানে শুধু শ্বশুর-শ্বাশুরী। দুই সম্বন্ধি তখনো ঢাকা থেকে আসেননি। তারা রওনা দিচ্ছেন রাতে, সকালে পৌছাবেন। দুপুরে বিয়ে। যা হোক, গোসল সারলাম, খাওয়া দাওয়া হল। তারপরে গল্পের মাঝে ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেল। ফিরল রাত বারটায়। শুতে গেলাম। বউয়ের সাথে মুঠোফোনে কিছু খুচরো আলাপ হল। তারপর দিলাম ঘুম।

একঘুমে রাত পার। ইতিমধ্যে দুই ব্রাদার-ইন-ল চলে এসেছেন। নাস্তা সারা হল। চলল গেস্টদের আগমন। শান্ত বাড়িটা বিয়েবাড়ির রূপ নিল। দুপুরে জুম্মার নামাজের পর সবাই মিলে মেয়ের বাসার উদ্দেশ্যে গমন। দিনাজপুর শহরেই মেয়ের বাসা। ছোট-খাট আয়োজন। বিদায় অনুষ্ঠান পরে হবে। এখন শুধু আকদ-কাবিন হবে। মেয়ের বাড়িতে তাদের নতুন জামাইয়ের সাথে জামাইয়ের বাড়ির একমাত্র জামাই হিসেবে আমিও ভালই আদর-যত্ন পেলাম। বিয়ে সারা হল। বিকালের দিকে আমাদের ফেরার পালা। কথা শুরু হল বরের রাত্রিযাপন নিয়ে। কনে পক্ষের আবেদন, বিদায় যেহেতু পরেই হবে, তাহলে বর আজ বউয়ের সাথে এ’বাড়িতেই থেকে যাক। সবাই সায় দিলেন। কিন্তু বর বেচারা তো মাত্র এক-কাপড়ে চলে এসেছে, টুথব্রাশটাও সাথে নেই, এখন কি করা যায়। শেষ পর্যন্ত ঠিক হল, বর এখন সবার সাথে তার নিজ বাড়িতে যাবে, সন্ধ্যার দিকে বরের একমাত্র ভগ্নিপতি (এই অধম) বরকে মেয়ের বাড়িতে এস্কর্ট করে নিয়ে আসবে। হায়রে ফর্মালিটিজ! আমার বেশ অকওয়ার্ড লাগছিল। সবার চাপের মুখে আমাকে বলির পাঠা হতেই হল। তবে পরে বেশ ভালই লাগছিল। বিবাহত্তোর কনে-বাড়িতে সন্ধ্যার পরে এসে নতুন আত্মিয়দের সাথে গল্পে-গল্পে সময়টা ভালই কাটল। রাত দশটার দিকে নিজের শ্বশুরালয়ে ফিরলাম।

পরদিন, অর্থাৎ শনিবার সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে আমার যাত্রা। সহযাত্রী আমার বড় সম্বন্ধি। সমবয়সি দুজন মিলে গল্পে-গল্পে জার্নি শেষ করে ঢাকায় ফিরলাম। বাস থেকে নেমে যে যার বাসায় গেলাম।

বাসায় পৌছালাম সন্ধ্যা ছ’টার দিকে। কদিন আগে গাইনোকলোজিস্ট (আমার মেজো চাচি) মনির কিছু টেস্ট করাতে বলেছেন। সারাদিন জার্নির পরে খুব টায়ার্ড লাগছিল। তারপরেও মনিকে নিয়ে টেস্টগুলো করাতে যেতে চাইলাম। মনি অবশ্য আমি টায়ার্ড বলে যেতে চাইছিল না, বলছিল দুয়েকদিন পরে না হয় যাওয়া যাবে। আমার ইচ্ছায় শেষ পর্যন্ত যেতে চাইল। দু’জনে মিলে গেলাম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। আল্ট্রাসনোগ্রাম করার সময় ডাক্তারের মুখের হাসি যেন একটু কমে গেল। তিনি বেশ কিছু সময় নিয়ে বললেন বাচ্চার হার্টবিট অনেক কম পাওয়া যাচ্ছে। আমরা যেন খুব দ্রুত গাইনোকলোজিস্টের সাথে কন্সাল্ট করি। সাথে সাথে চাচিকে ফোন দিলাম। শুনেই চাচি আমাকে দিলেন ধমক। তিনি আমাকে তখনই আরেকজন সিনিয়র গাইনোকলোজিস্টের ঠিকানা দিয়ে সেখানে যেতে বললেন। ফোন রাখতে না রাখতেই মেজো চাচার ফোন (মেজো চাচা অনকলোজিস্ট)। চাচা ইতিমধ্যে চাচির কাছে খবর পেয়ে গেছেন। তিনিও খুব গুরুত্ব দিলেন বিষয়টাতে। বুঝলাম ব্যাপারটা আসলেই সিরিয়াস। চাচু কিছু ইন্সট্রাক্সন দিলেন যেন আমি সেই সিনিয়র গাইনোকলোজিস্টেরর কাছে গিয়ে চাচু-চাচির নামে একটা স্লিপ দিয়ে ভেতরে পাঠাই যাতে বিষয়টা গুরুত্ব পায়।

ডাক্তারের চেম্বারে কোন ঝামেলা হল না। রূগীকে একা ভেতরে ডাকা হল। কিছুক্ষন পরে আমাকেও ডাকা হল। সেই সিনিয়র গাইনোকলোজিস্ট ভদ্রমহিলা আমাদেরকে খুব সুন্দর ভাবে বিষয়টা বুঝিয়ে বললেন এবং তৎক্ষণাৎ একটা সিটিজি টেস্ট করে কিছুক্ষনের মধ্যেই তাঁকে দেখাতে বললেন। আমি এই প্রথম এধরনের টেস্ট সম্পর্কে জানলাম যে এটা হচ্ছে মায়ের পেটের ভেতরে থাকা বাচ্চার ইসিজি টেস্ট। মনিকে সেখানেই গাইনি ওটিতে নেয়া হল। প্রায় আধা ঘন্টা সময় ধরে পরীক্ষা হল। ইতিমধ্যে বাসায় আব্বাকে খবর দিলাম, তিনি যেন যে কোন ইন্সট্যান্ট ডিসিশনের জন্য প্রস্তুত থাকে। আমার শ্বশুর বাড়িতেও খবর দেয়া হল। এদিকে মনির কান্না, ওদিকে টেলিফোনে আমার শ্বাশুরির কান্না। সব মিলে কি যে এক অবস্থার মধ্যে পড়ে গেলাম। যতটুকু সময় পারলাম মনির হাত ধরে থাকার চেষ্টা করলাম। আমার আর কিই বা করার থাকতে পারে এই রকম একটা মুহূর্তে!

রিপোর্ট নিয়ে গেলাম সেই সিনিয়র গাইনোকলোজিস্টের কাছে। তিনি মনিকে অবসার্ভেশনে নিতে চাইলেন। সেই রাতেই এক কাপড়ে হাসপাতালে রূম নিয়ে থেকে গেলাম স্বামী-স্ত্রী দু’জনে। ইতিমধ্যে রাত সাড়ে এগারটা পেরিয়ে গেছে। হাসপাতালের ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে গেছে। অনুরোধ করে কেবলমাত্র পেশেন্টের জন্য ক্যান্টিন থেকে রূম সার্ভিসে খাবারের ব্যাবস্থা করা হল। আর আমি নিচে গিয়ে দোকান থেকে বিস্কুট পানি এসব নিয়ে আসলাম। হাস্পাতালে রূগীর পাশে আমার জন্য আলাদা ভাবে থাকার ব্যবস্থা থাকলেও দুজনে মিলে এক বিছানাতেই শুলাম। সারাদিনের লম্বা জার্নি, তারপরে সন্ধ্যা থেকে এত ধকলের পরে আমার শরীর যেন আর চলছিল না। কিন্তু মনি দেখি টেনশনে কিছুতেই ঘুমাতে পারছে না। এভাবেই ঘুমিয়ে-না ঘুমিয়ে রাতটা পার হল।

পরদিন সকালে আব্বা চলে আসলেন। হাসপাতাল থেকেই মনির নাস্তা দেয়া হল। আমি ক্যান্টিনে গিয়ে খেয়ে নিলাম। এদিকে আমার ইউনিভার্সিটি যাওয়া খুবই জরুরী। আগের দিন ছুটিতে ছিলাম। আজা আবার সাড়ে এগারটায় একটা কোর্সের পরীক্ষা নেয়ার কথা, তারপরে একটা ক্লাশ। আব্বাকে মনির সাথে রেখে আমি বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ইউনিভার্সিটিতে গেলাম। এদিকে মনির এবং মনির পেটে আমাদের বাচ্চাটার অবসার্ভেশন চলছে।

আমি ইউভার্সিটিতে। পরীক্ষা চলছে। ক্লাশের ছেলে-মেয়েরা আমার চেহারায় কি পেল জানিনা, তারা আমার কাছে সব শুনে বলল, “স্যার ক্লাশের দরকার নাই, আপনি বরং আজকে ব্রেক নেন”। পরীক্ষা চলার মাঝেই আব্বার ফোন পেলাম। ডাক্তার দুপুর সাড়ে তিনটায় সিজারীয়ান অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যত দ্রুত পারলাম অফিসের কাজ গুটিয়ে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেবার প্রস্তুতি নিলাম। বের হবার আগ মুহূর্তে কি মনে করে যেন রেজিষ্ট্রার সাহেবের রূমে গেলাম। তিনি আবার একসময় রংপুর এবং বরিশাল ক্যাডেট কলেজের ফ্যাকাল্টি ছিলেন। তিনি আমার কাছে সবকিছু শুনে প্রথম যে কথাটা বললেন তা হল, “আমার গাড়িটা নিয়ে যাও”। হাঁফ ছেড়ে বাচলাম।

আমার ইউনিভার্সিটির কাছে মনির বড় ভাবীর অফিস। ফোনে যোগাযোগ করে তাকেও সাথে নিলাম। গেলাম হাসপাতালে। হাসপাতালের ক্যান্টিনে কোনরকমে নাকে মুখে কিছু খাবার গুজে দিচ্ছি, এই সময় ফোন, মনিকে ওটিতে নেয়া হবে। দিলাম দৌড়, সোজা কেবিনে। এর মধ্যে আমার বড় সম্বন্ধি এসে পড়েছেন। মনিকে ওটিতে নেয়া হল। আমি রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্যে, আম্মাকে আর আমার ছোট বোনটাকে নিয়ে আসার জন্য। রাস্তায় বেশ জ্যামে পড়তে হল। ফেরার পথে ফোন, আমার বড় সম্বন্ধি ফোন করেছেন, “ভাইয়া আপনাদের একটা মেয়ে হয়েছে”। আলহামদুলিল্লাহ। পাশে বসা আম্মা এবং ছোট বোনটাকে খবরটা দিলাম। এদিকে রাস্তায় জ্যাম। কিছুই ভাল লাগছে না। ভীষণ অস্থির লাগছে। আবার ফোন, এবারে মনির বড় ভাবী, “ভাইয়া আপনার মেয়েটা যে কি সুন্দর হয়েছে!” আমি কিছুই বলতে পারছিলাম না। কেন যেন খুব কান্না পাচ্ছিল। হাসপাতালে এসে অফিসের গাড়িটা ছেড়ে দিয়ে এক ছুটে গেলাম কেবিনে। বাচ্চাকে নাকি একবার দেখিয়েই আবার ওটিতে কিংবা পোস্ট অপারিটিভ রূমে নেয়া হয়েছে। আমার কিছুই ভাল লাগছে না। মনি কোথায়! আমাদের মেয়েটা কোথায়! একটু পরে আমার ডাক পড়ল। মেয়েটাকে আমার কোলে দেয়া হল। কারো দিকে তাকাতে পারছিলাম না। গলা দিয়ে কোন আওয়াজ যেন বের হতে চায় না। মেয়েটা আমার কোলে। অদ্ভুত! অদ্ভুত অনুভুতি! আমি ঝর-ঝর করে কেঁদে ফেললাম। মনিকে ট্রলি-বেডে করে আমার সামনে আনা হল। মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম। সে ঘুমের ঘোরেই আমার দিকে তাকিয়ে একটা মায়াভরা হাসি দিল। মা-মায়েকে আবার পোস্ট অপারিটিভ রূমের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হল। আমি এক দৄষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম। আমার ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যানের একটা কথা মনে পড়ল, “ভালাবাসা সবসময় নিম্নগামি। সন্তানের জন্য যে ভালবাসা, তা বাবা-মা না হলে বোঝা যায় না।”

আমাদের মেয়েটার এখনো নাম রাখা হয়নি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন আমাদের বাচ্চাটা ভাল থাকে, সুস্থ থাকে, জীবনে যেন অনেক বড় মাপের মানুষ হতে পারে।

২৭ টি মন্তব্য : “যাতনা কাহারে বলে! ভালবাসা কারে কয়!”

  1. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    শুইনা খুব ভালো লাগলো নতুনের আগমন বার্তা শুনে।
    বিয়ের রাতে আমারও আপনার শালার মতো অবস্থা হইছিলো। আমারে আগে আমার মা জিজ্ঞাসা করছিলো আমি ওদের বাসায় রাতে থাকবো কিনা?
    আমি বলেছি না।

    আমার বাসার সবাই আমারে রাইখা আগেই খাইয়া নিছে। আমি যখন খাইতেছি তখন আমার আত্মীয় রা বলে তারা চলে যাচ্ছে। আমি কইলাম ওয়েট করো। আমি খাইয়া নেই। আমিও তো যামু তোমাগো লগে। হেরা কয়, জামাইয়ের এতো কথা কইতে হয় না, তুই থাকবি। আমি কই, আমার তো থাকার কথা না। হেরা কয়, চুপ থাক।
    পরে তো বউএর ভাবীরা আমার সাথে জুক্স শুরু কইরা দিলো।
    বউ শুরু করলো রাগারাগি, আমারে কয়, তুই থাকলি ক্যা? আমি কই, আমি কি করমু? আমারে রাইখা তো চইলা গেলো!

    বাংলাদেশের ডাক্তাররা কাঁটা ছেড়ায় ওস্তাদ। তাই তারা পেট কাইটা মহানন্দ পায়।
    মায়েরে বেশি বেশি আর এমন সব খাবার খাইতে কয় যাতে বাচ্চা বড় হয়ে যায়। আরো কতো ফন্দি যে আছে!
    যাই হোক ভালোয় ভালোয় সব হইছে এইটাই কথা। ভারচ্যুয়াল মিষ্টিমুখ করলাম।
    আযান কি দিছিলেন? আমি তো ডিজিটাল আযান দিছি; মোবাইলে মক্কার আযান শুনাইছি দুই কানে

    আমার ভাতিজি যেনো থাকে দুধে-ভাতে।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আহমদ (৮৮-৯৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।