দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায়

… দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় …

শুরুর কথাঃ
আমি একজন চুপচাপ-শান্তিপ্রিয় পাঠক। পেশায় আমি একজন শিক্ষক। ব্লগে এটাই আমার প্রথম লেখা। যা খুশি মন্তব্য করুন।

১।
ছোটবেলায় একটা গান আমার খুবই পছন্দের ছিলঃ
“ছোট্টবেলার সেই দিনগুলো হারিয়ে
খারাপ যে লাগেনা মনটা,
সেই লাল-নীল-হলদে রাজা-রাণী পুতুলে
ভরা ছিল জানালার কোনটা”
– গানটা অনেক দিন শোনা হয়নি। আসলে অনেক খুঁজেও এখন আর গানটা কোথাও পাইনা। এই লেখাটা তৈরি করতে গিয়ে গানটার কথা বারবার মনে পড়ছে। ক্লাশে পড়ানোর সময় কখনো নস্টালজিয়ার শিকার হলে মাঝে-মাঝে আমি আমার ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এই গানটা কখনো শুনেছে কিনা জিজ্ঞেস করি। তারা আমাকে নিয়মিতভাবে ‘না’-সুচক জবাব দেয়, আর আমিও নিয়মিত হতাশ হই। সবেচেয়ে বেশি অবাক হই তাদের চেহারার বিস্ময় দেখে। যেন আমি ভিন-গ্রহের অবাস্তব কোন কথা বলে ফেলেছি।

২।
২৪শে মে ১৯৮৮, বাবা-মা আমাকে রংপুর ক্যাডেট কলেজে রেখে আসেন। তখন মাথায় শুধু একটাই চিন্তা, কবে কলেজ থেকে চিরতরে বের হব। তারপর কোনকিছু বুঝে ওঠার আগেই ঝুপ করে ১৯৯৪-এ এসে পৌঁছালাম। কলেজের দিন শেষ। সময় আমায় বুঝিয়ে দিল আমি কি হারালাম।

৩।
১৯৯৬ সালের ২রা সেপ্টেম্বর, ফকির আলমগীর -এর কন্ঠে –
“মায়ের একধার দুধের দাম
কাটিয়া গায়ের চাম
পাপষ বানাইলেও ঋনের শোধ হবেনা”
– গানটা আমাকে নতুন করে কিছু একটা উপলব্ধি করতে শেখাল।

৪।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে পড়েছি। চোখে তখন রঙিন চশমা। হরেক রঙের স্বপ্ন। কবে পড়াশোনা শেষ হবে। কবে চাকরি করব। কবে নিজে উপার্জনক্ষম হব, ইত্যাদি, ইত্যাদি। এক সময় মনের মত সবকিছুই হল। হারালাম শুধু সেই দুরন্ত স্বাধীনতা। এখন আর যখন-তখন রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকানে আড্ডা দেয়া হয়না। হঠাৎ যখন খুশি বন্ধুদের মাঝে গিয়ে বসাও হয়না। কবে যে মন থেকে শেষবারের মত “কোথাও আমার হারিয়ে যাবার নেই মানা” গানটা গুনগুন করেছি, তা এখন আর কিছুতেই মনে করতে পারি না।

৫।
(লেখার এই অংশটা কিছুটা এলোমেলো। কিন্তু Wordsworth-এর ভাষায় এ আমার spontaneous overflow of powerful feelings। তাই এ-অংশটা edit করিনি।)

আমার বাবাও একজন শিক্ষক। তিনি বিভিন্ন সরকারি কলেজে সমাজবিজ্ঞানের একজন নিবেদিতপ্রাণ-আদর্শ-শিক্ষক হিসাবে অধ্যাপনা করেছেন। অবসর নিয়েছেন সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবে। এখন সময় কাটান তাঁর অতিপ্রিয় বাগানটিতে আর সংসারের খুঁটিনাটি-খুনসুটিতে। যদিও বাবার কর্মজীবনের প্রায় অর্ধেকটা কেটেছে প্রেষণে প্রশাসনিক দায়িত্বে, সবার মাঝে সবার সাথে সবসময় আমি তাঁকে দেখেছি একজন friend-philosopher-guide হিসাবে। অর্থাৎ শিক্ষকতার আদর্শই তাঁকে গ্রাস করেছে। আর এসব দেখেশুনে ‘যাহা কিছুই হই না কেন, কখনই শিক্ষক হইব না’ এমন ব্রত নিয়েছিলাম। কেন জানি বাবাও কখনও চাইতেন না যে আমি শিক্ষক হই। শুধু কি তাই, নিজে সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও নিজের ছেলেকে তিনি কিছুতেই সরকারি চাকরি করতে দেবেন না। এতে আমিও বেজায় খুশি।

যাই হোক, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পাট চুকিয়ে বিরাট এক প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্পোরেট এক্সিকিউটিভ হিসাবে আমার কর্মজীবন শুরু করি। কিন্তু কেবলমাত্র ভাল না লাগার কারনে ঠিক দু’মাসের মাথায় সেই চাকরিতে ইস্তফা দিলাম। বলে রাখি, ভাল না লাগার অন্যতম কারন হল চাকরিতে এসেও ছাত্রজীবনটাকে ভীষণভাবে মিস্ করছিলাম।

তারপরে পুরো পরিবারের কটাক্ষ আর বন্ধুদের প্রশ্নবাণ – কি হল? কি হল? কেন এমন হল? এ-ছেলে তো রসাতলে গেল। … আর তো সহ্য করা যায় না। একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষক হিসেবে চাকরির সুযোগ পেয়ে তা লুফে নিলাম। নাহ্! শিক্ষকতা মোটেও খারাপ কিছু না। সবসময় একটা সৃজনশীলতার আনন্দ আমাকে ঘিরে থাকল। আর সেখান থেকেই আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় আগমন। এখন কর্মরত আছি একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ফুলটাইম ফ্যাকাল্টি হিসাবে। ভালই লাগছে। আসলে ভালই আছি। কিন্তু সত্যিকার অর্থেই আমি স্কুলের সেই বাচ্চাগুলোকে খুব মিস্ করি। যদিও তারা এখন আর কেউই বাচ্চা নয়। রাস্তায় দেখা হলে আমি তাদের এখনও ঠিকই চিনতে পারি। কিন্তু মজার ব্যাপার হল এখন তারা অনেকেই হঠাৎ আমাকে দেখে চিনতে পারে না। অবশ্য অনেকে আবার দূর থেকে দেখে আমাকে চেনার চেষ্টা করে, আমি বুঝতে পারি, কিন্তু কেন জানি পরিচয় দেই না। মনে হয়, থাক না। কি দরকার।

৬।
বর্তমান কর্মক্ষেত্রে ১ম কনভকেশনে গ্র্যাজুয়েটদের আনন্দ দেখে আমি মনে-মনে আবার আমার পুরোনো দিনগুলোতে ফিরে গেলাম। আমারও ইচ্ছা হল ওদের আনন্দে শামিল হবার, বিলীন হবার। কিন্তু পারলাম না। কোথায় যেন একটা বাধা, কোথায় যেন একটা সুতো ছিঁড়ে গেছে। সময় আমাকে আবার মনে করিয়ে দিল এখন দিনগুলো ওদের, আমার নয়।

৭।
১৯৮৯-এ কলেজের প্রথম রিইউনিয়নের সময় আমরা ক্লাস এইটে। ১৯৯৭-এর দ্বিতীয়টির সময় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ২০০৩-এর তৃতীয় রিইউনিয়ন (সিলভার জুবলি)-এর সময় আমি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে কর্মরত। সর্বশেষ ২০০৬-এরটার সময় আমি আমার বর্তমান কর্মক্ষেত্রে। প্রত্যেকবারেই এক অনাবিল আনন্দ। একই আনন্দ। একই রকমের উচ্ছ্বাস। কখনই কমবে না। কখনই ভুলব না। বুঝে গেলাম, এই হল আমার হারিয়ে যাওয়া অতীতকে ক্ষণিকের তরে ফিরে পাওয়া, ফিরে দেখা।

৮।
বিয়ে করেছি ২০০৭-এর শুরুর দিকে। বউকে বলে দিয়েছি, আগামীতে রিইউনিয়নগুলোর সময় কোন রকমের ঝামেলা করা যাবে না। পারলে আমার সাথে যাবে, নইলে আমাকে একাই যেতে দিতে হবে। আমার সাথে গেলে আমাকে আমার মত থাকতে দিতে হবে। আর না গেলে যখন-তখন মোবাইল ফোনে ডাকাডাকি করা চলবে না। বউ অবশ্য আমার সব শর্তেই খুশিমনে রাজি। সে বরং আমার সাথে যেতেই বেশি আগ্রহী। এখন সে আমার এক্স-ক্যাডেট সার্কেলেই বেশি মজা পায় বলে আমার ধারণা। কারণ এসব গেট-টুগেদারে সে অন্য ভাবীদের সাথে মজার আড্ডায়, মজার অভিজ্ঞতায় মেতে ওঠে। হাজার হোক, ক্যাডেটের বউ-তো!

৯।
আমি ছিলাম আমাদের ব্যাচের কলেজ কালচারাল প্রিফেক্ট। আমাকে সেসময় কালচারাল ক্লাবের ও,আই,সি, বাংলার অধ্যাপক জয়েনউদ্দিন স্যারের সাথে কাজ করতে হত (বর্তমানে ডঃ জয়েনউদ্দিন, এক্টিং প্রিন্সিপাল, ঝিনাইদাহ্ ক্যাডেট কলেজ)। স্যার একদিন আমাকে আমার কোন এক দুষ্টুমি কিংবা ভুলের কারণে বকা না দিয়ে শিখিয়েছিলেন, একজন প্রিফেক্ট (বিশেষ করে কালচারাল প্রিফেক্ট)-এর কাজ হল ক্যাডেট এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ উভয়ের মাঝে সমন্বয় সাধন করে উভয়ের প্রতিনিধিত্ব করা।

এখন আমি নিজেই একজন শিক্ষক। পেশাগত এবং অবস্থানগত কারণে অবশ্যই আমার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টেছে। এখন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এরকমভাবে কখনও মোটিভেট করার সময় আমার পুরোনো দিনগুলির কথা খুব বেশি মনে পড়ে।

১০।
আমার জীবনের ঈদ-প্রসঙ্গে দু’একটা কথা দিয়ে ইতি টানছিঃ
ক) ঈদে নতুন কিছু নিতেই হবে, এমনটা আমি কখনোই ছিলাম না। তবে কেউ কিছু দিলে ভালই লাগে। কিন্তু বিয়ের পরে দেখি আমার কথা যেন কারও মনেই থাকে না। সবাই আমার বউ-কে উপহার দেয়, আমাকে না। এ’ব্যাপারে একবার বাসায় মৃদু আওয়াজ দিয়েও সুবিধা করতে পারিনি। বরং বাবা আমাকে বুঝিয়ে দিলেন ‘এটাই নিয়ম’।
খ) আগের দিনের মত এখন আর ঈদে আনন্দ করতে পারিনা। কারণ, সময় পাল্টেছে, বয়স বাড়ছে। এখন যেন ঈদের দিনটাতে কিছুই করার নেই। শুধুই শুয়ে-বসে সময় কাটানো।

শেষের কথাঃ
“আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।”

৮,৫১২ বার দেখা হয়েছে

৯৫ টি মন্তব্য : “দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায়”

  1. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    আহমেদ ভাই, ওপেনিং তো সেইরকম করলেন..!!!
    তয় একটু সাবধানে থাইকেন...প্রিন্সু স্যার অনলাইন...রেজিমেন্টেশন করাইতে পারে...
    আশা করি আপনার লেখা আমরা নিয়মিত পাব...
    শুভ লেথালেখি!!!


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  2. জাহিদুল (৯৪-০০)

    আসাধারন লেখা ভাইয়া৷ :hatsoff:

    আগের দিনের মত এখন আর ঈদে আনন্দ করতে পারিনা।

    কলেজের দিনগুলোতে ঈদ দারুন হতো ৷ সবাই মিলে ৩-৪ দিন ধরে আড্ডা, কারো বাসায় পার্টি ... কিভাবে যে ঈদের সময়টা কেটে যেত বুঝতেই পারতাম না ৷

    জবাব দিন
  3. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    অনেকদিন পর নতুন একজনরে পাইলাম। তাও আবার শিক্ষক মানুষ। সমস্যা নাই। জুনা একটু আঁচ দিছে দেখলাম। কিন্তু খুইল্লা কয় নাই।

    স্বাগতম আহমদ। ডেব্যু ব্লগটা দারুণ হয়েছে। :thumbup: আশা করি নিয়মিত লিখবে।

    তবে ভাইয়া, কথা হচ্ছে কি, ব্লগে একটা নিয়ম-কানুন আছে। ক্যাডেট কলেজের মতোই। প্রথম পোস্ট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১০টা :frontroll: দিতে হয়। প্রিন্সিপালের সম্মানে। স্টার্ট........... কুইক......... :grr: :grr: :grr:


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  4. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    সারাদিন ঘুম আর গোটা দুই ইদ সংখ্যা, এই হচ্ছে আমার এখনকার ঈদ। 🙁


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  5. দুর্দান্ত ওপেনিং...
    ভাইজান, আপনাকেই খুঁজছে সিসিবি 😀

    আহারে! এখন কী সুন্দর দিন কাটাইতেছি 🙂

    দেখতে দেখতি সিসিবি নামের মহীরুহ টা কত বড় হয়া গেলো! পিয়াল ভাই এসে আরেকটা শাখা বাড়িয়ে দিলেন......
    :dreamy:

    শুভ ব্লগিং ভাইয়া 🙂

    জবাব দিন
  6. আহমদ (৮৮-৯৪)

    এতক্ষন বাসায় ছিলাম না।
    গেছিলাম হাস্পাতালে।
    আমার cousinএর caesar baby হল।
    এইমাত্র বাসায় ফিরলাম।
    এখন ভাত খাব।
    পরে সবার সাথে গল্প করব।
    আপাতত বিদায়।


    চ্যারিটি বিগিনস এট হোম

    জবাব দিন
  7. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ব্লগে স্বাগতম ভাইয়া, শুরুটা তো দারুন হলো, এবার শুধু লিখতেই থাকেন


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  8. আহমদ (৮৮-৯৪)

    ভাইসকল,
    আমি অতি সামান্য এক মানব সন্তান। 😀
    :dreamy: আমার লিখনি আপনাদের মনে ধরিয়াছে দেখিয়া কিঞ্চিত লাজে অবনত হইলাম। ;;)
    সকলের দোয়া চাহিয়া আপাতত মুখে কুলুপ আঁটিলাম। 😐


    চ্যারিটি বিগিনস এট হোম

    জবাব দিন
  9. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    ইয়ে আহমেদ ভাই,আমি মাস্ফ্যু,এই ব্লগের অফিসিয়াল খাদক-আমি খাইতে আবার খুব পছন্দ করি কিনা।ভাবতেছিলাম আপনের ওপেনিং এই এত্ত সুন্দপ্র লিখা উপলক্ষে একটা "সীল" দিমু নাকি আপনেরে... 😀

    ভাইয়া কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন? আমিও আপনের মতই ইংরেজি ভাষার "টিচিং এসিস্টেন্ট",নামে টিচিং এসিস্টেন্ট হইলেও মূল কাজ পুরিক্ষার খাতার নম্বর যোগ করা, আমার ফ্যাকাল্টি ম্যাডামের জন্য ক্যান্টিন থিকা লাঞ্চ নিয়া আসা,উনার টেবিল চেয়ার মুইছা ঝকঝকে কইরা রাখা...

    ভাবতেছি আপনে আমার ভার্সিটি(নসু) হইলে আপনের টিচিং এসিস্টেন্ট হিসেবে জয়েন করুম 😀 😀

    জবাব দিন
  10. হাসনাইন (৯৯-০৫)

    আহমদ ভাই এসব ঠিকনা, এমনে ভয় দেখাইলে কেমনে কি!! 😛

    বউকে বলে দিয়েছি, আগামীতে রিইউনিয়নগুলোর সময় কোন রকমের ঝামেলা করা যাবে না। পারলে আমার সাথে যাবে, নইলে আমাকে একাই যেতে দিতে হবে। আমার সাথে গেলে আমাকে আমার মত থাকতে দিতে হবে … আর না গেলে যখন-তখন মোবাইল ফোনে ডাকাডাকি করা চলবে না।

    😀
    ব্লগে স্বাগতম ভাই।
    লিখতে থাকেন... পড়তে থাকি।

    জবাব দিন
  11. ওবায়দুল্লাহ (১৯৮৮-১৯৯৪)

    চমৎকার দোস্ত।
    ভাল লাগলো অনেক।
    একেক স্ট্রোকে টান দিয়েছিস একেক ক্ষেত্র ; তথাপি ভিত্তিটা অভিন্ন - এক সুতোয় গাঁথা ।
    ফেলে আসা অতীত - সোনালী ক্যাডেট জীবন।

    নিয়মিত থাকিস।
    শুভেচ্ছা নিরন্তর। :hug:


    সৈয়দ সাফী

    জবাব দিন
  12. আহমদ (৮৮-৯৪)

    হাসান,

    আমার পড়াশোনা & চাকরী -- দুটোই দুই private university-তে। বর্তমানে private university বাংলাদেশের private education sector-এর একটা বড় competitive issue. তাই এই প্রসঙ্গে আমি open platform-এ কথা বলতে চাচ্ছি না, কারন blog-এর কেউ আবার এটাকে আমার professional publicity মনে করতে পারে।

    CCR & ROCA-এর প্রায় সবাই আমার সম্পর্কে জানে। এই blog-এ আমি যেহেতু একেবারেই নতুন, আমি শুরুতেই গ্রহনযোগ্যতা হারাতে চাই না।

    কিছু মনে করনা ভাই। hope you understand. আশাকরি ব্যাক্তিগত আলাপে আমরা একে-অপরের সম্পর্কে আরও জানব।


    চ্যারিটি বিগিনস এট হোম

    জবাব দিন
    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

      ভাইয়া এখানে অনেক বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়েও আমরা স্বাচ্ছন্দে আলাপ করতে পারি কারণ অন্য অনেক ব্লগের চাইতে আমাদের এটা একটু ভিন্ন মেজাজের-এখানে ক্যাডেট কলেজের সিনিয়র/জুনিয়র ভিত্তিতে সবাইকে আমরা সবার প্রাপ্য সম্মান দিয়েই কথাবার্তা বলি-পারস্পরিক এই শ্রদ্ধাবোধ মতাদর্শের সম্পুর্ণ বিপরীত স্রোতে অবস্থানকারীর ক্ষেত্রেও এতটুকু পরিবর্তিত হয়না।কাজেই আপনার যদি এ ধরণের কোন বিষয়ে লেখার ইচ্ছে থাকে তবে তা কেউ "পাবলিসিটি করছেন" এমন ধারণা করবেনা বলেই আমার অভিজ্ঞতা বলে।কোন কিছু শেয়ার করবার ইচ্ছে থাকলে নিশ্চিন্তে করুন-আমরা আমরাই তো!

      জবাব দিন
  13. রাফাত (০২-০৮)

    ''আগের দিনের মত এখন আর ঈদে আনন্দ করতে পারিনা। কারন, সময় পাল্টেছে, বয়স বাড়ছে। এখন যেন ঈদের দিনটাতে কিছুই করার নেই … শুধুই শুয়ে-বসে সময় কাটানো।''

    কেমন মিলে যায় না.............

    জবাব দিন
  14. কয়দিন সিসিবিতে ঢুকা হয় নাই, এইখানে দেখতেছি কমেন্টের বন্যা বইয়া গেছে। 😀

    ভাই, আপনেরে দেইখা ভাল্লাগলো।
    এবার আপনার আরেকটা লেখা পইড়া আসি। B-)

    জবাব দিন
  15. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    আহমদ ভাই,

    সিসিবিতে আপনাকে দেখে কি যে ভালো লাগছে!

    ঈদের আগে একদিন আপনাকে (সম্ভবত ভাবীর সাথে) রিক্সায় দেখেছি শেখেরটেক ১ নম্বরে ঢোকার মুখে।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  16. রাশেদ (৯৯-০৫)

    আহমেদ ভাই, কেম্নে জানি আপনার পুরাতন লেখা গুলো মিস্করে গেছিলাম। তবে এইবার পড়লাম। আশা করি সামনে আর দারুণ দারুণ কিছু ব্লগর ব্লগর আমাদের সামনে আনবেন 🙂


    মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মুহিব (১৯৯৬-২০০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।