আত্মহত্যা কি শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য?

আত্মহননের কোনো ঘটনা ঘটার কথা শোনার সাথে সাথে আমাদের বেশিরভাগ মানুষেরই প্রবনতা হলো খুজতে চেষ্টা করা যে এর পিছনে কে বা কোন ঘটনা দায়ি।
ব্যাপারটা হয় এমন, যে ঐ ব্যক্তি বা ঐ ঘটনা না হলে যেন আর ঐ আত্মহননের ঘটনাটা ঘটতো না।
আসল সত্য হলো, আত্মহনন সররাচর এত সরল কোনো বিষয় না যা কোনো একটা ঘটনা ঘটা বা না ঘটার কারনে সংঘটিত হয়ে থাকে।
এটা ঠিক যে সেটা ট্রিগারড হতে কোনো না কোনো ঘটনা দায়ি তবে যেহেতু এখানে অন্য অনেক ফ্যাক্টর জড়িত তাই সেই ফ্যাক্টরগুলো এড্রেস না করে, শুধু ঐ ঘটনার পিছনে দৌড়ে আত্মহননটির স্বরূপ বোঝা বা প্রতিরোধক কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব না।
যারা আত্মহত্যা করেন, দেখা গেছে তাদের ৯০%-এরই অন্য কোনো চিহ্নিত এমন কোনো মানসিক সমস্যা থাকে যাতে আত্মহত্যা-প্রবনতা একটি উপসর্গ মাত্র।
এটা যদি উপসর্গ হয়, তাহলে ঐ রোগে আক্রান্ত সবাই আত্মহত্যা করে না কেন?
এটার অনেক কারন থাকলেও একটা কারন হলো আত্মহত্যার সাথে যে পেইনফুল বা অজ্ঞাত অভিজ্ঞতার একটা প্রক্রিয়া জড়িয়ে আছে, সেটা এন্টিসিপেট করে এটেম্প করা থেকে অনেকেই বিরত থাকে।
আর এই জন্যই আত্মহত্যা করার কথা ভাবা মানুষের চেয়ে প্রচেষ্টা করা মানুষের সংখ্যা অনেক কম।
আবার চেষ্টা করাদের চেয়ে সফল হওয়া মানুষদের সংখ্যা আরও অনেক কম।
আমেরিকায় বছরে ৮০-৮৫ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করার কথা ভাবেন কিন্তু পরিকল্পনা করেন মাত্র ২০ থেকে ২২ লাখ মানুষ। অর্থাৎ এক চতুর্থাংশের মত।
আবার যারা পরিকল্পনা করেন, তাদের অর্ধেক বা তারও কম অর্থাৎ ১০ লাখের মত মানুষ কোনো না কোনো একটা এটেম্পট নেন। আর সেই এটেম্পটে সফল হন মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ।
আমরা যারা আত্মহত্যার পিছনে বিভিন্ন কারনকে দায়ি ভাবি তার কিছু না কিছু ঐ ৮০ লাখ, বা ২০ লাখ বা ১০ লাখ মানুষের সবারই কমবেশি আছে, তারপরেও একটা বিরাট অংশ ভাবনার স্টেজ থেকে নিজে নিজেই সরে আসছে। যারা থেকে যাচ্ছে, তাদের অর্ধেকই পরিকল্পনা স্টেজ থেকে সরে আসছে। আর যারা এটেম্পট করছে, তাদের তো বিরাট অংশই ব্যার্থ হচ্ছে।
কখনো কি ভেবে দেখেছি, কেন হচ্ছে তা?
এইক্ষেত্রে আরও তিনটা তথ্য দেই, তারপরে ব্যাখ্যা করি।
১) যারা সফল হয়, তাদের বিরাট একটা অংশ (প্রায় ৯০%) কোনো না কোনো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত।
২) এদের বড় একটা অংশই (সফল হওয়াদের ২৫%) আবার হলো বাইপোলার ডিজঅর্ডার নামের একটি জটিল মানসিক অবস্থার শিকার। (তারমানে, সাবস্ট্যান্স এবিউজ ও স্কিজোফ্রেনিয়াসহ অন্যসব মানসিক রোগের মিলিত কন্ট্রিবিউশন ৬৫%)
৩) এটেম্পট করা নারীদের তুলনায় সফল হওয়া নারীদের হার, পুরুষদের চেয়ে কম হলেও –  যে সকল নারীরা সফল হন, তাদের বিশাল এক অংশ (৯০%) এটা ঘটান তাদের সাইকেলের প্রিমিনুস্ট্রাল অধ্যায়ে।
এই তথ্যগুলি এমন উপসংহার টানার দিক নির্দেশনা দেয় যে আত্মহত্যা প্রচেষ্টায় সফলতার জন্য তা করার ইচ্ছাই শুধু গুরুত্বপুর্ন নয়, তা ঘটানোর জন্য যে পেইনফুল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, সেটার উর্ধে উঠতে পারার একটা ব্যাপারও থাকে। এই দুইটা ফ্যাক্টর যখন যুগপতভাবে ঘটে, কেবলমাত্র তখনই আত্মহত্যার মত একটা মোটামুটি রেয়ার ঘটনা ঘটে যায়।

শুরুতে প্রথম ফ্যাক্টর মানে কি কি কারনে একজন আত্মহত্যার কথা ভাবে, প্ল্যান করে বা এটেম্পট করে, সেগুলা নিয়ে একটু আলোকপাত করি।
যে কারনটি সবচেয়ে বেশি ক্ষেত্রে দেখা যায় তা হলো, একটা অনুমিত সমাধানের অযোগ্য পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার পদ্ধতি হিসাবে আত্মহত্যার ব্যবহার। সুইসাইডাল নোটগুলি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন সব বর্ননা থাকে যেখানে আত্মহত্যাকারী তার সমস্যার কথা বলেছেন এবং জাস্টিজাই করে গেছেন যে কেন, তার চলে যাওয়াটা তার কাছে ঐ সমস্যা উত্তরনের শ্রেষ্ঠ উপায় বলে মনে হয়েছে। এর মধ্যে, “আমি পারলাম না”, “আমার আর পারা সম্ভব না”, “আমি মরে গেলে কারো কিছু আসবে যাবে না”, “বেচে থেকেও কোনো লাভ হচ্ছে না, তাই মরে গেলেও কোনো ক্ষতি নাই” – ইত্যাদি জাতিয় কথাবার্তার উপস্থিতি প্রচুর।
হ্যা, এটা ঠিক যে এগুলোর বেশিরভাগই পরিস্থিতি থেকে উদ্ভব হয়। আর এগুলো অনেকের জন্যই হয়। কিন্তু কৈ তাদের তেমন কেউই তো এগুলোকে সমাধানে আত্মহত্যাকে একটা অপশন হিসাবে ভাবেন না?কিন্তু কেউ কেউ কেন তা ভাবেন? তারাই বেশিরভাগ সময় এমনটা ভাবেন, ১) যাদের এরকম করার ফ্যামিলি হিস্ট্রি আছে, ২) যাদের কোনো না কোনো মানসিক সমস্যা আছে।
এই দুইটাই যেহেতু ডিটেকটেবল, তাই এই দুইটাই এক অর্থে প্রিভেন্টেবলও।
এবার আসি দ্বিতীয় ফ্যাক্টরটা মানে নিজেকে ধ্বংস করার পদ্ধতির যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় অতিক্রম নিয়ে। যারা মানসিক সমস্যায় ভোগে, তারা বেশিরভাগই কাজটা করে ঘোরের (হ্যালুসিনেশনে থাকা কালে) মধ্যে। আর ঘোরের মধ্যে যারা থাকে, তাদের তখন আর কোনো ব্যাথার অনুভুতি কাজ করে না। আলাদা করে বাই পোলার ডিজ অর্ডারের কথা বলা দরকার কারন এদের সফলতা সবচেয়ে বেশি।
এদের যেটা হয়, তা হলো হাই আর লো – এই দুই অবস্থার আকষ্মিক পরিবর্তনের সময় তারা এটা ঘটান। হয়তো এক অধ্যায়ে পরিকল্পনা করেন আর অন্য অধ্যায়ে এক্সিকিউশন। আর তাই তারা অন্য সবাইকে এমন ভাবে বোকা বানিয়ে তা করেন যেন কোনো সফল্য অর্জন করে ফেলেছেন। তারা এটা করেন একটা গুরুত্বপুর্ন কাজ করার মত করে তাই সেসময়ে এটাকে যতটা দায়িত্ব বলে মনেহয়, ততটা পেইনফুল মনে হবার কোনো কারন থাকে না।
যাদের “প্রিমিনুস্ট্রাল সিনড্রম (পিএমএস)” আছে তাদের জন্যও মুড সুইং-এর ব্যাপারগুলো ঘটে বাইপোলারদের মতই। তাছাড়া ঐ সময়ে এমনিতেও নানান যন্ত্রণার ভিতর দিয়ে যেতে থাকেন তারা। সব মিলিয়ে বাইপোলারদের মতই বেদনাদায়ক পরিস্থিতিকে ওভারলুক করাটা তাদের জন্যেও কঠিন কিছু হয় না।
আরেক ক্যাটাগরি আছে যারা জন্মগত বা পরিবেশগত ভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে ভেঙ্গে না পড়ার গুন অর্জনকারি।
এটা যদিও একটা প্রশংসনীয় গুন কারন এরা কঠিন পরিস্থিতিতে অবিচল থাকতে পারেন, তবুও এইগুন থাকার একটা খারাপ দিক হলো, এরা যদি বিগড়ে যায়, অন্য কোনো মানসিক জটিলতা না থাকলেও তাদের জন্য আত্মহত্যা থেকে ভয়ে পিছপা হওয়াটা কঠিন।

এবার বলি, আত্মহত্যা কি প্রতিরোধযোগ্য?
অনেকেই বলেন এটা ১০০% ভাগই প্রতিরোধযোগ্য মানে প্রিভেন্টেবল।
আর এটা বলার পিছনে প্রধান কারনই হলো এই যে যারা আত্মহত্যার কথা ভাবে বা পরিকল্পনা করা, তাদের ৫০%-৭৫% ই সেই পর্যায়গুলোতে ব্যাপারটা নিয়ে কারো না কারো সাথে আলাপ করেন।
সবারই উচিত, এই আলাপগুলি জানার সাথে সাথে তা নিয়ে কোনো না কোনো এক্সপার্টের সাথে কথা বলা ও ঐ ব্যাক্তিকে কথা বলিয়ে দেয়া। এটা ঠিক মতো করতে পারলে, একটা বড় সংখ্যক আত্মহত্যাই প্রতিরোধ করা যায়। বাকি যেগুলো অলোচনায় থাকে না, সেগুলোর মধ্যে অনেকই হলো মানসিক সমস্যা সম্পর্কিত। এদেরকে মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য উৎসাহত ও সহযোগিতা করার মাধ্যমে তাদের আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
সব শেষে আসে পিএমএস জটিলতায় থাকা নারীদের বিষয়টাতে। পিএমএসের কারনে কেউ আত্মহত্যা করে না ঠিক, কিন্তু অন্য কোনো কারনে আত্মহত্যাপ্রবন হলে ঐ সময়টাকে তারা বেশিরভাগ সময়ে আত্মহত্যার জন্য বেছে নেয়। ঘনিষ্টদের উচিত হবে ঐ সময়টা সম্পর্কে জানা ও সেই সময়ে যথাসম্ভব মানসিক সমর্থন দেয়া যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, শতভাগ না হলেও আত্মহত্যা তার কাছাকাছি পরিমানেই প্রতিরোধযোগ্য।

কিছুদিন আগে এক ডিসকাশানে একজনকে দেখলাম তার পিএমএস নিয়ে কথা বলতে। এটা একটা ভাল অগ্রগতি। যাদের পিএমএস আছে তারা যদি ঘনিষ্ট জনদের তা জানিয়ে রাখেন, তাহলে তার নিজের ওপরে থাকা স্ট্রেস কমে যায়। অন্যরাও সাপোর্ট দিয়ে স্ট্রেস আরও কমাতে ভুমিকা রাখতে পারে।
আরেক ডিসকাশানে দেখেছিলাম একজন তার দুইটা ফেইলড এটেম্পটের ঘটনা শেয়ার করেছেন। এটাও একটা ভাল অগ্রগতি। কারন এখন থেকে তার ঘনিষ্টজনেরাও তার হঠাৎ ডুব দেয়ার মত ঘটনাগুলোকে খামখেয়ালির মত হালকা কিছু না ভেবে, সিরিয়াসলি নেবে। তাছাড়া তার যদি আবার পিএমএস থাকে তাহলে তো আরও সিরিয়াসলি নেয়াই উচিত।

আত্মহত্যা প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন হলো একটা ট্যাবু-মুক্ত, জাজমেন্ট-মুক্ত, ওপেন ডিসকাশানের প্ল্যাটফর্ম তৈরী করতে পারা যেখানে অংশ গ্রহনকারিরা চাইলে পরিচয় গোপন করে তাদের সমস্যা গুলো আলোচনায় আনতে পারবে। অন্যরা তাদের মতামত দিয়ে, সিমপ্যাথি দিয়ে তাদের সাথে একাত্বতা জানাতে পারবে।
আছে নাকি এরকম কোনো অনলাইন চ্যাটরুম তৈরী করার পদ্ধতি?

থাকলে কিন্তু বেশ হতো……

বাইপোলার ডিজ অর্ডার নিয়ে একটা লিখা আছে এখানে

আত্মহনন সম্পর্কিত সচেতনতা মূলক আরেকখানা লিখা

৪,৬১৮ বার দেখা হয়েছে

১৩ টি মন্তব্য : “আত্মহত্যা কি শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য?”

    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      পড়া ও মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
      যিনি হোপলেস ফিল করছেন, তার তা বলার আগ্রহ থাকা ও সেটা অন্য কারো শোনার ইচ্ছা থাকাটা হলো এই সমস্যা থেকে উত্তরনের সহজতম উপায়।
      আমার তো মনেহয়, আমাদের সবারই কাছের এমন অনেক মানুষই আছেন, যারা একটুকুও জাজমেন্টাল না হয়ে সব কথা শুনতে চাইবেন ও উপদেশ না দিক, সমব্যাথি হবেন।
      এটুকু করলেও তো আত্মহত্যার মত ইররিভার্সিবল অপশন নিয়ে কখনো কাউকে ভাবতে হয় না।
      তাই না???


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      পড়া ও মন্তব্য করার জন্য তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ।
      আমি সবাইকে কথা বলার জন্য, লিখার জন্য উৎসাহ দেই।
      সেটা যেমন আনন্দের অভিজ্ঞতা হতে পারে, হতে পারে কষ্টের অভিজ্ঞতাও।
      কষ্টের অভিজ্ঞতাগুলো সাধারনত কেউ তেমন একটা বলে বা লিখে না।
      তাই অনেক সময় কষ্টে থাকা মানুষগুলো ভাবে, "আমি একাই বোধহয় এইসব কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি"।
      এই একাকিত্ব বোধ করাটা কষ্ট বাড়িয়ে দেয় বহুগুনে।
      কিন্তু সবাই সেই কষ্টের কথাগুলা লিখলে দেখা যাবে কেউ আসলে একা না।
      তখন সবাই মিলে সেগুলা ফাইটব্যাক করার একটা সুযোগ সৃষ্টি হবে।
      এটা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম যে আমরা একদিন সবাই সবার প্রতি জাজমেন্ট-ফ্রি, ট্যাবু-ফ্রি মনভাব নিয়ে কথা বলতে পারবো......


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      আমার এইসব লিখালিখি দেখে একবার একজন জানিয়েছিলো, "কে মরতে চাচ্ছে না বাচতে চাচ্ছে, তাতে আপনার কি? কেউ যদি মরতে চায়ই, তারে তো মরতে দেয়াই উচিত, তাই না? আপনি কি চাইলেই তারে বাচিয়ে রাখতে পারবেন?" ইত্যাদি...
      আমি বলেছিলাম, "শেষ পর্যন্ত হয়তো বাচানো যাবে না, তবে ঘটনাটা ইররিভার্সিবল তাই একটা চেষ্টা তো করাই উচিত..."
      আফটার অল, ঘটনাটা ঘটে গেলে তখন তো মনে হবে, "ইস্‌ একটা চেষ্টা কেন করলাম না? করলে, শেষ পর্যন্ত জীবন না বাচুক, আরও কিছুদিন তো এই পৃথিবীর রুপ-রস-গন্ধ উপভোগ করার সৌভাগ্য হতো মানুষটার। আর তাতে করে হয়তো ঐ প্রবনতা থেকে বেরিয়ে আসার একটা সুযোগও তৈরী হতে পারতো......"

      "কিছুই বলার নাই" - এটাও ঠিক।
      আবার "অনেক কিছুই বলার আছে, এটাও ঠিক!!!"

      মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ......... (সম্পাদিত)


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
  1. রেজা

    :clap: । আত্মহত্যা তালিকায় ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের নাম না দেখে শান্তি পাই। যদিও ঝিনাইদহ জেলার মানুষের আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। ওরা বেশি আবেগপ্রবণ। তবে ঠাণ্ডা মাথায় খুন/ হত্যার বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।


    বিবেক হলো অ্যানালগ ঘড়ি, খালি টিক টিক করে। জীবন হলো পেন্ডুলাম, খালি দুলতেই থাকে, সময় হলে থেমে যায়।

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      এত শান্তি পাওয়ার কোনো কারন নাই।
      ঘটনাটা কলেজে থাকতে না ঘটালেও কলেজ থেকে বেরুনোর পর কেউ কেউ ঘটিয়েছেন অবশ্য আমার জানামতে তার বেশির ভাগই মানসিক সমস্যা সম্পর্কিত।
      চার থেকে পাঁচটা কেইসই ডায়াগনাইজড বা আনডায়াগনাইজড বাইপোলার ডিজঅর্ডার এর সাথে সম্পর্কিত।
      কমপক্ষে দুইটা স্কিজোফ্রেনিয়া রিলেটেড।
      আরও কিছু এটেম্পটের কথা শুনেছি যেগুলাও ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার রিলেটেড বলেই মনে হয়েছে।

      তাই, চোখ-কান খোলা রাখার কোনোই বিকল্প নাই.........


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
  2. ইশহাদ (১৯৯৯-২০০৫)

    বিষণ্ণ বিষয়ের গুরুগম্ভীর লেখাটা ভাল লাগল, এনিয়ে আলোচনা হওয়াটা খুব জরুরী।

    "কিছুই বলার নাই" - এটাও ঠিক।
    আবার "অনেক কিছুই বলার আছে, এটাও ঠিক!!!"

    :thumbup:



     

    এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...

    জবাব দিন
  3. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    :clap: :clap: :clap: :clap:

    মানসিক স্বাস্থ্য সম্পৃক্ত সামাজিক স্টিগমার অন্ত নাই, ভাইয়া। এ কারণে অপেক্ষাকৃত পশ্চাদপর সমাজে এই নিয়ে কেউ কোন কথা বলতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন না। আমার একজন পরিচিত ভদ্রমহিলা জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাত সইতে না পেরে আজ অনেকটাই মানসিক ভারসাম্যহীন। ভদ্রমহিলার আত্মীয়স্বজন বা শুভানুধ্যায়ীরা যতবারই তাঁর পরিজনদের একজন মানসিক চিকিৎসকের সাহায্য নিতে অনুরোধ করেছেন ততোবারই মহিলার পুত্ররা বলেছেন, আমার মায়েরে আপনেরা পাগল বানাইবার চান?

    চমৎকার লেখা বরাবরের মতই। অনেকদিন দেখা নেই, ভাইয়া। ভাল আছো আশা করি।

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      ভাল প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছো, "সামাজিক স্টিগমা"!!!
      এই সামাজিক স্টিগমার যন্ত্রণার কত কত মানুষের যে জীবন তেজপাতা হয়ে যাচ্ছে......

      কত কত ম্যানেজেবল মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, শারীরিক সমস্যার কথা এই স্টিগমার কারনে চিকিৎসার আওতায় আনা যাচ্ছে না।
      আর সাফার করছে চিকিৎসা সুবিধার অধিকার থাকা মানুষগুলো।

      ক'দিন আগে প্রথম এক আপুকে দেখলাম তার পিএমএস নিয়ে প্রকাশ্য হতে।
      ব্যাপারটা এতটাই উৎসাহ ব্যাঞ্জক মনে হলো, যে তা নিয়ে প্রায় আড়াই হাজার ওয়ার্ডের একটা মটিভেটিং পিছ লিখে ফেললাম।
      বিডিনিউজে পাঠিয়েছি।
      দেখি ওরা ছাপে কি না।
      ওখানে ছাপলে ভাল হয়। কাভারেজটা বড় হয়, বেশি মানূষ জানতে পারে।
      ওরা না ছাপলে এখানে দিয়ে দেবো।
      না লিখে উপায় ছিল না, যখন জানলাম, ৭৫% নারীই নাকি ভ্যারিং মাত্রায় মাসের ৭-১৪ দিন পিএমএস-এ এতটাই কষ্ট পান যা দৈনন্দিন কর্মকান্ডে প্রভাব ফেলে।
      আবার তাদের এক চতুর্থাংশের বেশি সেই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসা সেবা নিতে বাধ্য হন।
      এত বিপুল সংখ্যক নারীর এরকম একটা অবস্থা সামাজিক স্টিগমার কারনে আনট্রিটেড থাকাটা, সাপোর্ট বিহিন থাকাটা, খুবই কি দুঃখজনক নয়?
      এই তো গেল শারীরিক সমস্যার কথা।
      আর মানসিক সমস্যার কথা তো তুমিই বললা, কিভাবে পাগল বলে চিহ্নিত করে সবাই......

      শুধু হাতে পায়ে না, কবে যে সবাই মনে-মননে সত্যি সত্যি মানুষ হবো, ভাবছি!!!


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রেজা (২০০২-২০০৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।