স্বাধীনতার মাসে স্বাধীনতা নিয়ে কিছু কথা

গতকাল দেখলাম আমার ভাই মুরশেদ (জেসিসি, ৭৯-৮৫) ফেসবুকে কয়েকখানা স্ট্যাটাস দিয়েছে স্বাধীনতা সম্পর্কিত।
প্রথমটাই গান্ধিজিীর সেই ভুল করার স্বাধীনতা সম্পর্কিত উক্তিটি নিয়ে।
উনি বলেছিলেন “Freedom is not worth having if it does not connote freedom to err.”
ভেবে দেখলাম, আসলেই তো তাই। স্বাধীনতার মানে তো মূলত চিন্তা, চেতনার ও মননের স্বাধীনতা। অন্যভাবে বললে, সিদ্ধান্ত গ্রহনের স্বাধীনতা। আর সেজন্য যেটা দরকার তা হলো কিছু বলা বা করার জন্য অন্যের মুখপেক্ষি হয়ে না থাকা।
তারমানে, কারো মুখপেক্ষি না হয়ে নিজের মত সিদ্ধান্তটা নেয়া।
তা যখন নেয়া হবে, সবগুলই যে ঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে – তা তো আর না, ভুল ভ্রান্তি তো কিছু হবেই।
তাই গান্ধিজী যে বললেন, “ভুল করার স্বাধীনতা ছাড়া স্বাধীনতার কোনো মূল্য নাই” – আসলেই দারুন একটা কথা সেটা।

মুরশেদের এরপরের স্ট্যাটাসটা ছিল, “Robert A. Heinlein” এর স্বাধীনতা ও শান্তির মধ্যে যে সংঘর্ষ, সে সম্পর্কিত বানীটি নিয়ে।
উনি বলেছেন “You can have peace. Or you can have freedom. Don’t ever count on having both at once.”
এটা পড়ে ওর সিঙ্গাপুরের কথা মনে পড়েছে।
সিঙ্গাপুর কেন?
কারন মেরিটোক্র্যাসি দিয়ে পরিচালিত এই নগর-রাস্ট্রে শান্তির কোনো অভাব নাই সত্য কিন্তু তা স্বাধীনতার মূল্যে।
এমনিতেও স্বাধীনতার জন্য কিছু না কিছু মূল্য সবাইকে দিতেই হয়। এই যেমন Elbert Hubbard এর মতে “Responsibility is the price of freedom”.
হ্যা এই কথাটা আরও অনেকেই বলেছেন যে স্বাধীনতার সাথে যেটা আসে তা হলো দায়িত্ব। আর যারা দায়িত্ব নিতে অপারগ বা অনিচ্ছুক, তারা স্বাধীনতা পাবার যোগ্য না।
এটা নিয়েও মুরশেদের আরেকটা স্ট্যাটাস ছিল।
স্বাধীনতা পাবার সুযোগ পেয়েও তা নিতে অস্বীকৃতি জানানোদের মধ্যে আছে স্কটিশরা, কাতালানরা এবং কুইবেকের জনগন। এরা গনভোটে অংশ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যথাক্রমে ব্রিটিশ, স্প্যানিশ এবং কানাডিয় অধিনতায় থেকে যাওয়ার। স্বাধীন না হবার। অনেকের চোখেই এটা দায়িত্ব নেবার অনিহা বলে বোধ হলেও এর ভিন্ন ব্যাখ্যাও থাকতে পারে।
এটা কি তাহলে কোনো ভুল? ভুল যদি হয়ও, এই ভুল করার অধিকারও কিন্তু এক ধরনের স্বাধীনতা। তবে এটা যদি দায়িত্ব এড়ানোর কৌশল হয়ে থাকে তবে তো তা ভাবনারই কথা।
এই প্রসঙ্গে Robert A. Heinlein-এর আরেকটা বানী স্মরন করা যায়। উনি বলেছিলেন:
“I am free because I know that I alone am morally responsible for everything I do.
I am free, no matter what rules surround me.
If I find them tolerable, I tolerate them; if I find them too obnoxious, I break them.
I am free because I know that I alone am morally responsible for everything I do.”
স্কটিশ, কাতালান, বা কুইবেক জনগন যদি তাদের অবস্থা নিজেদের সহ্যসীমার মধ্যে বলে গন্য করে থাকে, সেক্ষেত্রে তাদের স্বাধীন না হতে চাওয়াটাও তো তাহলে এক ধরনের স্বাধীনতাই, তাই না?
এই একই কথা আবার সিকিমের ক্ষেত্রেও খাটে।
দেশ ভাগাভাগির নিয়মের চক্করে পরে তাদের জন্য সুযোগ ছিল, স্বাধীন দেশ হিসাবে টিকে থাকার অথবা ভারতের সাথে যোগ দেয়ার। সেসময়, ত্রিপুরাসহ আরও অনেকেরই সেরকম সুযোগ ছিল।
কেউ কেউ সে সুযোগ তাতক্ষনিক ভাবে ব্যবহার করে, কেউ কেউ তা করে পরে।
সিকিম দীর্ঘদিন সেটা ঝুলিয়ে রেখে, এক গনভোটের মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্তটা নিয়েছিল। এখানেও তাদের সিদ্ধান্তটাকে ঐ সহ্যসীমার মধ্যে বলে গন্য করার সুযোগ আছে বলেই আমার মনে হয়।
তাই লেন্দুপ দর্জি অদুরদর্শিতাকে বা ভারতের সম্প্রসারনবাদকে দোষারোপ করাটা একমাত্র উপলক্ষ হিসাবে গন্য করায় আমার আপত্তি আছে।
কি ঘটেছিল আমাদের এখানে?
আবুল মনসুর আহমেদের মতামত হল, ২৫শে মার্চ রাতের ঘটনার আগ পর্যন্তও যা যা ঘটেছিল, ছয় দফা ভিত্তিক স্বাধীকার হলেও আমাদের চলে যেতো। কিন্তু ঐ রাতের ঘটনা এতটাই অবনক্সাস ছিল যে, কাম হোয়াট মে, পাকিস্তানের সাথে আর কোনো শর্তেই তারপর থাকার কোনো প্রশ্নই থাকে না।
ব্যাপারটা অনেকটা দুই রুমমেটের ভাল মন্দে সহ অবস্থানের মত। ছোটখাটো মতের অমিল, ঝগড়া ঝাটি হয়তো সহ্য করে নেয়া যায়। কিন্তু যখন একজন অন্যজনের জানমালের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় তখন পৃথক হওয়াটা আর কোনো শর্তাধীনে মেনে নেয়ার পর্যায়ে থাকে না।
স্বাধীনতা নিয়ে পোপ দ্বিতীয় জনপলের একটি উক্তিও দারুন লেগেছে।
উনি বলেছেন, “স্বাধীনতা মানে যা খুশি তাই করা নয়। তবে যা যা করা দরকার, সেগুলো নির্বিঘ্নে করতে পারার অধিকারই হলো স্বাধীনতা।” এই বানীটা ভাল লাগার কারন, এখানে স্বাধীনতার নামে যথেচ্ছাচার করাটা নিরুতসাহিত করা হয়েছে। তবে প্রয়োজনিয় পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার স্বীকার করে নেয়া হয়েছে।
যথেচ্ছাচারিতা যে স্বাধীনতা নয়, সেটা তো এমনিতেও বোঝা যায়। কারন যথেচ্ছাচারে কোনো দোষ না করেও তৃতীয় পক্ষকে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়। নিজের স্বাধীনতা পালন করতে গিয়ে অন্যের ক্ষতি করাটা কখনো স্বাধীনতা হতে পারে না।
স্বাধীনতার সাথে এই যে দায়ত্ববোধটা আশাকরা হয়, এটাকে অনেকে শৃংখলা ভেবে ভুল করে।
স্বাধীনতা মানেই যেহেতু শৃংখল মুক্ত হওয়া, তাই সেখানে শৃংখলার সাথে কিছু কমপ্রোমাইজ কিন্তু করতেই হয়।
সেটা এক অর্থে গ্রহনযোগ্যও কারন Martin Luther King, Jr.-ই তো বলে গেছেন “Freedom is never voluntarily given by the oppressor; it must be demanded by the oppressed.” তারমানে স্বাধীনতা অর্জনে সাথে নিপীড়নকারী ও নিপীড়িতের একটা সংঘাতের ব্যাপার জড়িত থাকেই। আর এই দুই পক্ষ যখন সংঘাতে জড়ায়, সেখানে শৃংখলা কিছুটা হলেও ভেঙ্গে পড়েই।এটা ঘটে, কারন “সুশৃংখল সংঘাত” বলে কিছু নাই।

শেষ করি তাহলে নরম-গরম দু’ধরনের দু’টো বানী দিয়ে।
প্রথমে বব ডিলোনের সেই নরম বানীটা যা দিয়ে তিনি স্বাধীনতার সাথে দায়িত্ববোধ দেখতে চেয়েছেন। তার ভাষায়, “A hero is someone who understands the responsibility that comes with his freedom.”
শুধু নরমটা শুনলেই হবে? গরমটাও শোনা যাক তাহলে। এটা বলেছেন আলবেয়ার কামু। তিনি আবার সবাইকে বিদ্রোহি হতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। কারন তিনি দেখেছেন, স্বাধীনতা দময়ে রাখা বা অস্বীকার করা এই দুনিয়াটা আসলেই বড়ই নিষ্ঠুর। তাই সেখানে বিদ্রোহী হওয়া ছাড়া আর গতি কি?
তার ভাষায় তাই, “The only way to deal with an unfree world is to become so absolutely free that your very existence is an act of rebellion.”

কার জন্য কোনটা প্রযোজ্য, সেটা পাঠকের হাতেই ছেড়ে দিলাম।
পাঠকেকেই ঠিক করে নিতে হবে, কতটা বঞ্চিত থাকাকে তারা সহনিয় ভাববেন আর কখন তা থেকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেবেন?
আবার যখন সেই মুক্তির সিদ্ধান্ত নেবেন তখন কতটা দায়িত্ববোধ তারা দেখাবেন অথবা কতটা বিদ্রোহ তাতে থাকবে?
মনে রাখতে হবে,  “Man is free at the moment s/he wishes to be.” – Voltaire

৪,৬৫৭ বার দেখা হয়েছে

১০ টি মন্তব্য : “স্বাধীনতার মাসে স্বাধীনতা নিয়ে কিছু কথা”

  1. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    গান্ধীর কথা টা একটা Vague কথা।
    এমন না যে আমরা পরাধীন অবস্থায় ভুল করি না। ভুল সব অবস্থায় হয় সেটা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে হোক বা ব্যক্তিগত পর্যায়ে।
    তাই উক্তিটি নিচ্ছি না।
    বাকিগুলো ঠিক আছে।
    গণভোট একটা চমৎকার ব্যবস্থা। কিন্তু স্কটিশদের ক্ষেত্রে বলতে পারি ওটা ছিলো ভয়। কারণ এটা চোখের সামনে দেখেছি। তবে এখানে একটা বিষয় রয়েছে। ভোট কিন্তু শুধু স্কটিশ রা নয় বরং সব স্কটল্যান্ড বাসী দিয়েছে।
    ইন্টারেষ্টিং হলে ও সত্য এখানে এমনকি আমার ও ভোটাধিকার রয়েছে যদিও আমি স্থায়ী নই। এই যেমন সামনেই ই ইউ নিয়ে রেফারেন্ডাম আছে। আমি ইউ ইউ তে থাকার পক্ষে ভোট দিবো। মনে হয় হিসাবটা বুঝতে পারছেন।
    তবে আবুল মনসুর আহমদের উক্তিটিও সর্বাংশে সত্য নয়।
    ৪৭ এ সোহরাওয়ার্দি ও তাদের সমমনাদের লাইনে চললে এই দুর্গতি হতো না।
    কিন্তু বাঙলাদেশের স্বাধীনতা যদি আরেকটু গভীরভাবে দেখেন তবে বুঝবেন যে স্বাধীনতা অনিবার্য ছিলো। কারণ পাকিস্থানি রা বিশেষ করে পাঞ্জাবি রা আমাদের বিশ্বাস করতে পারছিলো না। আবার আমরাও ওদের কে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তবে এই স্বাধীনতাটা আলোচনার টেবিলেও হতে পারতো। কিন্তু পাকিরা আর যাই হোক আলোচনার ভাষা বোঝে না।
    পরে আমি তোফায়েল আহমেদের একটা সাক্ষাৎকার এড করে দিবো। সেখানে কিছু বিষয় আরো খোলাসা হবে।

    তবে আরেকটা বিষয় আছে ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ যতোই ১৬৭ আর ২৯১/২৯৩ টা সিট পাক ভোটের হিসাবে তারা হয়তো এই অংশের ৪০ থেকে ৫০% ভোট পেয়েছিলো।
    সেই বিবেচনায় আমরা জাতি হিসাবে শতভাগ স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত ছিলাম কিনা সেটা ধর্তব্যের বিষয়।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      "এমন না যে আমরা পরাধীন অবস্থায় ভুল করি না" - পরাধিন অবস্থার করা কৃতিত্বের দাবীদার যেমন মনিবের, ভুলের দায়ও নিজের না, মনিবের - গান্ধীজী সম্ভবতঃ সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন।
      আর এই উক্তিটা হয়তো দেশবিভাগের কনটেক্সটে করা যখন বৃটিশরা অনেক কিছুই নিজেদের হাতে ধরে রাখতে চেয়েছিল, স্বাধীনতার পরে।
      মজার ব্যাপার হলো, ইন্ডিয়া অনেক কিছু ওদের দিয়ে করিয়ে নিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে, কিন্তু তা নিজেদের নিয়ন্ত্রনে।
      গান্ধীজী হয়তো এটার কথাই বুঝিয়েছেন - ভুল করার স্বাধীনতা হিসাবে। স্বাধীনতা মানে সিদ্ধান্ত গ্রহনের স্বাধীনতা অর্থে...
      আবুল মনসুর আহমেদের সম্পর্কে যত অভিযোগই থাক, তাঁর কথা বার্তার বিরাট একটা ঐতিহাসিক মূল্য এজন্য আছে যে তিনি সবকিছু বলেছেন বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায়। আর তাঁর লিখা বঙ্গবন্ধু আগ্রহ নিয়ে পড়তেন।
      তাঁর লিখায় বঙ্গবন্ধুর প্রশংসার অংশগুলো তাই সম্পুর্নভাবে চাটুকারিতা মুক্ত। নির্ভেজাল।
      বঙ্গবন্ধুর আনবায়াসড সমালোচনাও একমাত্র তাঁর লিখায়ই পাওয়া যায়।
      ভোটের শতকরা হারটা আসলেই ধর্তব্যে নেয়ার মত একটা ব্যাপার!!!


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
      • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

        আবুল মনসুর আহমদ এর লেখার ঐতিহাসিক মূল্য অস্বীকার করছি না।
        আমার রাজনীতির ৫০ বছর চমৎকার একটি বই।

        গান্ধীর কথাবার্তায় আমি যথেষ্ট সন্দেহ করি।


        এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

        জবাব দিন
  2. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    দারুন, ভাবনা-জাগানিয়া লেখা। :boss:

    অনেককিছুই কোট করতে ইচ্ছে হচ্ছিল। তবে সেগুলোর মধ্যে দুইটা কোট করছি।

    সম্পূর্ণ সহমতটা আগেঃ

    যথেচ্ছাচারিতা যে স্বাধীনতা নয়, সেটা তো এমনিতেও বোঝা যায়। কারন যথেচ্ছাচারে কোনো দোষ না করেও তৃতীয় পক্ষকে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়। নিজের স্বাধীনতা পালন করতে গিয়ে অন্যের ক্ষতি করাটা কখনো স্বাধীনতা হতে পারে না।
    স্বাধীনতার সাথে এই যে দায়ত্ববোধটা আশাকরা হয়, এটাকে অনেকে শৃংখলা ভেবে ভুল করে।
    স্বাধীনতা মানেই যেহেতু শৃংখল মুক্ত হওয়া, তাই সেখানে শৃংখলার সাথে কিছু কমপ্রোমাইজ কিন্তু করতেই হয়।

    আর খানিকটা নিজের মত আছে যেটায়ঃ

    প্রথমে বব ডিলোনের সেই নরম বানীটা যা দিয়ে তিনি স্বাধীনতার সাথে দায়িত্ববোধ দেখতে চেয়েছেন। তার ভাষায়, “A hero is someone who understands the responsibility that comes with his freedom.”
    শুধু নরমটা শুনলেই হবে? গরমটাও শোনা যাক তাহলে। এটা বলেছেন আলবেয়ার কামু। তিনি আবার সবাইকে বিদ্রোহি হতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। কারন তিনি দেখেছেন, স্বাধীনতা দময়ে রাখা বা অস্বীকার করা এই দুনিয়াটা আসলেই বড়ই নিষ্ঠুর। তাই সেখানে বিদ্রোহী হওয়া ছাড়া আর গতি কি?
    তার ভাষায় তাই, “The only way to deal with an unfree world is to become so absolutely free that your very existence is an act of rebellion.”

    আমার মতে, দুইটা আসলে একটা আরেকটার বিপরীত নয়, বরং দুইজনের কনটেক্স ছিল বিপরীত। বব ডিলান একটা স্বাধীন দেশে ছিলেন, কিন্তু কাম্যু ছিলেন পরাধীন, কলোনিতে। কাজেই, ডিলানের জন্য স্বাধীনতা অর্জন নয়, বরং তা' দায়িত্বজ্ঞানের সাথে চর্চা করার তাগিদ ছিল, আর কাম্যুর কাছে মূখ্য ছিল স্বাধীনতা অর্জন করা।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      বিশাল কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
      "আমার মতে, দুইটা আসলে একটা আরেকটার বিপরীত নয়, বরং দুইজনের কনটেক্স ছিল বিপরীত। বব ডিলান একটা স্বাধীন দেশে ছিলেন, কিন্তু কাম্যু ছিলেন পরাধীন, কলোনিতে। কাজেই, ডিলানের জন্য স্বাধীনতা অর্জন নয়, বরং তা' দায়িত্বজ্ঞানের সাথে চর্চা করার তাগিদ ছিল, আর কাম্যুর কাছে মূখ্য ছিল স্বাধীনতা অর্জন করা" - সহমত। খুবই যুক্তিসঙ্গত কথা।


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
  3. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    থট প্রোভোকিং পোস্ট। এ গুড এক্সারসাইজ।
    আবুল মনসুর আহমেদের সম্পর্কে যত অভিযোগই থাক, তাঁর কথা বার্তার বিরাট একটা ঐতিহাসিক মূল্য এজন্য আছে যে তিনি সবকিছু বলেছেন বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায়। আর তাঁর লিখা বঙ্গবন্ধু আগ্রহ নিয়ে পড়তেন।
    তাঁর লিখায় বঙ্গবন্ধুর প্রশংসার অংশগুলো তাই সম্পুর্নভাবে চাটুকারিতা মুক্ত। নির্ভেজাল।
    বঙ্গবন্ধুর আনবায়াসড সমালোচনাও একমাত্র তাঁর লিখায়ই পাওয়া যায়।
    -- :thumbup:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : পারভেজ (৭৮-৮৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।