অডিও ব্লগ: পাঠ-প্রচেষ্টা “ক্যামেলিয়া”

সাবিনার দশ মিনিটের পিয়ানো শোনার প্রতিক্রিয়ায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রায় দশ মিনিটের এই কবিতা পাঠ… (বেশী বোরিং লাগলে, দুঃখিত!!)

ক্যামেলিয়া
নাম তার কমলা,
দেখেছি তার খাতার উপরে লেখা।
সে চলেছিল ট্রামে, তার ভাইকে নিয়ে কলেজের রাস্তায়।
আমি ছিলেম পিছনের বেঞ্চিতে।
মুখের এক পাশের নিটোল রেখাটি দেখা যায়,
আর ঘাড়ের উপর কোমল চুলগুলি খোঁপার নীচে।
কোলে তার ছিল বই আর খাতা।
যেখানে আমার নামবার সেখানে নামা হল না।

এখন থেকে সময়ের হিসাব করে বেরোই —
সে হিসাব আমার কাজের সঙ্গে ঠিকটি মেলে না,
প্রায় ঠিক মেলে ওদের বেরোবার সময়ের সঙ্গে,
প্রায়ই হয় দেখা।
মনে মনে ভাবি, আর-কোনো সম্বন্ধ না থাক্‌,
ও তো আমার সহযাত্রিণী।

নির্মল বুদ্ধির চেহারা
ঝক্‌ঝক্‌ করছে যেন।
সুকুমার কপাল থেকে চুল উপরে তোলা,
উজ্জ্বল চোখের দৃষ্টি নিঃসংকোচ।
মনে ভাবি একটা কোনো সংকট দেখা দেয় না কেন,
উদ্ধার করে জন্ম সার্থক করি —
রাস্তার মধ্যে একটা কোনো উৎপাত,
কোনো-একজন গুণ্ডার স্পর্ধা।

এমন তো আজকাল ঘটেই থাকে।
কিন্তু আমার ভাগ্যটা যেন ঘোলা জলের ডোবা,
বড়ো রকম ইতিহাস ধরে না তার মধ্যে,
নিরীহ দিনগুলো ব্যাঙের মতো একঘেয়ে ডাকে —
না সেখানে হাঙর-কুমিরের নিমন্ত্রণ, না রাজহাঁসের।

একদিন ছিল ঠেলাঠেলি ভিড়।
কমলার পাশে বসেছে একজন আধা-ইংরেজ।
ইচ্ছে করছিল, অকারণে টুপিটা উড়িয়ে দিই তার মাথা থেকে,
ঘাড়ে ধরে তাকে রাস্তায় দিই নামিয়ে।
কোনো ছুতো পাই নে, হাত নিশ্‌পিশ্‌ করে।
এমন সময়ে সে এক মোটা চুরোট ধরিয়ে
টানতে করলে শুরু।
কাছে এসে বললুম, ‘ ফেলো চুরোট। ‘
যেন পেলেই না শুনতে,
ধোঁওয়া ওড়াতে লাগল বেশ ঘোরালো করে।
মুখ থেকে টেনে ফেলে দিলেম চুরোট রাস্তায়।
হাতে মুঠো পাকিয়ে একবার তাকালো কট্‌মট্‌ ক’রে —
আর কিছু বললে না, এক লাফে নেমে গেল।
বোধ হয় আমাকে চেনে।
আমার নাম আছে ফুটবল খেলায়,
বেশ একটু চওড়া গোছের নাম।
লাল হয়ে উঠল মেয়েটির মুখ,
বই খুলে মাথা নিচু করে ভান করলে পড়বার।
হাত কাঁপতে লাগল,
কটাক্ষেও তাকালে না বীরপুরুষের দিকে।
আপিসের বাবুরা বললে, ‘বেশ করেছেন মশায়। ‘
একটু পরেই মেয়েটি নেমে পড়ল অজায়গায়,
একটা ট্যাক্সি নিয়ে গেল চলে।

পরদিন তাকে দেখলুম না,
তার পরদিনও না,
তৃতীয় দিনে দেখি
একটা ঠেলাগাড়িতে চলেছে কলেজে।
বুঝলুম, ভুল করেছি গোঁয়ারের মতো।
ও মেয়ে নিজের দায় নিজেই পারে নিতে,
আমাকে কোনো দরকারই ছিল না।
আবার বললুম মনে মনে,
ভাগ্যটা ঘোলা জলের ডোবা —
বীরত্বের স্মৃতি মনের মধ্যে কেবলই আজ আওয়াজ করছে
কোলাব্যাঙের ঠাট্টার মতো।
ঠিক করলুম ভুল শোধরাতে হবে।

খবর পেয়েছি গরমের ছুটিতে ওরা যায় দার্জিলিঙে।
সেবার আমারও হাওয়া বদলাবার জরুরি দরকার।
ওদের ছোট্ট বাসা, নাম দিয়েছে মতিয়া —
রাস্তা থেকে একটু নেমে এক কোণে
গাছের আড়ালে,
সামনে বরফের পাহাড়।
শোনা গেল আসবে না এবার।
ফিরব মনে করছি এমন সময়ে আমার এক ভক্তের সঙ্গে দেখা,
মোহনলাল —
রোগা মানুষটি, লম্বা, চোখে চশমা,
দুর্বল পাকযন্ত্র দার্জিলিঙের হাওয়ায় একটু উৎসাহ পায়।
সে বললে, ‘তনুকা আমার বোন,
কিছুতে ছাড়বে না তোমার সঙ্গে দেখা না করে। ‘
মেয়েটি ছায়ার মতো,
দেহ যতটুকু না হলে নয় ততটুকু —
যতটা পড়াশোনায় ঝোঁক, আহারে ততটা নয়।
ফুটবলের সর্দারের ‘পরে তাই এত অদ্ভুত ভক্তি —
মনে করলে আলাপ করতে এসেছি সে আমার দুর্লভ দয়া।
হায় রে ভাগ্যের খেলা!

যেদিন নেমে আসব তার দু দিন আগে তনুকা বললে,
‘একটি জিনিস দেব আপনাকে, যাতে মনে থাকবে আমাদের কথা —
একটি ফুলের গাছ। ‘
এ এক উৎপাত। চুপ করে রইলেম।
তনুকা বললে, ‘দামি দুর্লভ গাছ,
এ দেশের মাটিতে অনেক যত্নে বাঁচে। ‘
জিগেস করলেম, ‘নামটা কী?’
সে বললে ‘ক্যামেলিয়া’।
চমক লাগল —
আর-একটা নাম ঝলক দিয়ে উঠল মনের অন্ধকারে।
হেসে বললেম, ‘ ক্যামেলিয়া,
সহজে বুঝি এর মন মেলে না। ‘
তনুকা কী বুঝলে জানি নে, হঠাৎ লজ্জা পেলে,
খুশিও হল।
চললেম টবসুদ্ধ গাছ নিয়ে।
দেখা গেল পার্শ্ববর্তিনী হিসাবে সহযাত্রিণীটি সহজ নয়।
একটা দো-কামরা গাড়িতে
টবটাকে লুকোলেম নাবার ঘরে।
থাক্‌ এই ভ্রমণবৃত্তান্ত,
বাদ দেওয়া যাক আরো মাস কয়েকের তুচ্ছতা।

পুজোর ছুটিতে প্রহসনের যবনিকা উঠল
সাঁওতাল পরগনায়।
জায়গাটা ছোটো। নাম বলতে চাই নে —
বায়ুবদলের বায়ু-গ্রস্তদল এ জায়গার খবর জানে না।
কমলার মামা ছিলেন রেলের এঞ্জিনিয়র।
এইখানে বাসা বেঁধেছেন
শালবনে ছায়ায়, কাঠবিড়ালিদের পাড়ায়।
সেখানে নীল পাহাড় দেখা যায় দিগন্তে,
অদূরে জলধারা চলেছে বালির মধ্যে দিয়ে,
পলাশবনে তসরের গুটি ধরেছে,
মহিষ চরছে হর্তকি গাছের তলায় —
উলঙ্গ সাঁওতালের ছেলে পিঠের উপরে।
বাসাবাড়ি কোথাও নেই,
তাই তাঁবু পাতলেম নদীর ধারে।
সঙ্গী ছিল না কেউ,
কেবল ছিল টবে সেই ক্যামেলিয়া।
কমলা এসেছে মাকে নিয়ে।
রোদ ওঠবার আগে
হিমে-ছোঁওয়া স্নিগ্ধ হাওয়ায়
শাল-বাগানের ভিতর দিয়ে বেড়াতে যায় ছাতি হাতে।
মেঠো ফুলগুলো পায়ে এসে মাথা কোটে,
কিন্তু সে কি চেয়ে দেখে।
অল্পজল নদী পায়ে হেঁটে
পেরিয়ে যায় ও পারে,
সেখানে সিসুগাছের তলায় বই পড়ে।
আর আমাকে সে যে চিনেছে
তা জানলেম আমাকে লক্ষ্য করে না বলেই।

একদিন দেখি নদীর ধারে বালির উপর চড়িভাতি করছে এরা।
ইচ্ছে হল গিয়ে বলি, আমাকে দরকার কি নেই কিছুতেই।
আমি পারি জল তুলে আনতে নদী থেকে —
পারি বন থেকে কাঠ আনতে কেটে,
আর, তা ছাড়া কাছাকাছি জঙ্গলের মধ্যে
একটা ভদ্রগোছের ভালুকও কি মেলে না।

দেখলেম দলের মধ্যে একজন যুবক —
শর্ট‌্-পরা, গায়ে রেশমের বিলিতি জামা,
কমলার পাশে পা ছড়িয়ে
হাভানা চুরোট খাচ্ছে।
আর, কমলা অন্যমনে টুকরো টুকরো করছে
একটা শ্বেতজবার পাপড়ি,
পাশে পড়ে আছে
বিলিতি মাসিক পত্র।

মুহূর্তে বুঝলেম এই সাঁওতাল পরগনার নির্জন কোণে
আমি অসহ্য অতিরিক্ত, ধরবে না কোথাও।
তখনি চলে যেতেম, কিন্তু বাকি আছে একটি কাজ।
আর দিন-কয়েকেই ক্যামেলিয়া ফুটবে,
পাঠিয়ে দিয়ে তবে ছুটি।
সমস্ত দিন বন্দুক ঘাড়ে শিকারে ফিরি বনে জঙ্গলে,
সন্ধ্যার আগে ফিরে এসে টবে দিই জল
আর দেখি কুঁড়ি এগোল কত দূর।

সময় হয়েছে আজ।
যে আনে আমার রান্নার কাঠ
ডেকেছি সেই সাঁওতাল মেয়েটিকে।
তার হাত দিয়ে পাঠাব
শালপাতার পাত্রে।
তাঁবুর মধ্যে বসে তখন পড়ছি ডিটেকটিভ গল্প।
বাইরে থেকে মিষ্টিসুরে আওয়াজ এল, ‘বাবু, ডেকেছিস কেনে। ‘
বেরিয়ে এসে দেখি ক্যামেলিয়া
সাঁওতাল মেয়ের কানে,
কালো গালের উপর আলো করেছে।
সে আবার জিগেস করলে, ‘ডেকেছিস কেনে। ‘
আমি বললেম, ‘ এইজন্যেই। ‘
তার পরে ফিরে এলেম কলকাতায়।

২,৫৮৮ বার দেখা হয়েছে

১৪ টি মন্তব্য : “অডিও ব্লগ: পাঠ-প্রচেষ্টা “ক্যামেলিয়া””

  1. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    কবিতাটা উনি লিখেন ত্রিশের দশকে।
    তারমানে তাঁর বয়স তখন সত্তরের কাছাকাছি।
    চিকিতসা বিজ্ঞানের উতকর্ষতার জন্য এখনকার হিসাবে শারীরিক বয়স নাকি ৫০ = ৩০, কিন্তু তখন তো আর তা ছিল না, তখন নিশ্চয়ই তা ছিল, ৭০ = ৯৫ ছিল, মানে তাঁর শারীরিক বয়স।
    ভাবা যায় ঐ বয়সেও উনি কি কি ভাবতেন? কোন প্রিজুডিস ছাড়াই।
    আর তা বলতেনও। কোন প্রিজুডিস ছাড়াই।
    কতটা অগ্রগামি ছিলেন তিনি, সে সময়কার মানুষগুলো থেকে?

    অথচ দেখো, এখনো আমরা কতটা পশ্চাৎপদ?
    আমার এই বয়সে আমি যখন কোন প্রেমের কবিতা লিখি বা প্রেমের জয়গান করে কিছু ভাবনা চিন্তা করি, হা-রে-রে-রে করে ছুটে আসা মানুষের কোন অভাব হয় না।
    ভাব খানা এমন, "এই বয়সে আবার প্রেম-ট্রেম কি?
    বসে বসে নামাজ-রোজা আর আল্লা-বিল্লা করো। কবরের আর আখেরাতের চিন্তা করো।
    বড়ই অদ্ভুত! বড়ই অদ্ভুত!!

    আমার মনেহয়, আধুনিকতার চর্চ্চা করতে হলে রবীন্দ্রনাথের সরনাপন্ন হওয়া ছাড়া বাঙ্গালীর এখনো কোন গতি নাই.........


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
    • "এই বয়সে আবার প্রেম-ট্রেম কি?" - আমার তো মনে হয় বয়স যত বাড়ে, ছানিপরা চোখে না হলেও পরিণত মনের প্রিজমে প্রেমের প্রতিটি রঙ রঙধনুর সাতরঙে বিচ্ছুরিত হয়, যৌবনের স্বচ্ছ চোখে আর চনমনা মনে যার সবটা দেখা যায় না।

      জবাব দিন
    • খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

      আবারো ভুলে লগ ইন না করেই মন্তব্য করেছিলামঃ
      "এই বয়সে আবার প্রেম-ট্রেম কি?" - আমার তো মনে হয় বয়স যত বাড়ে, ছানিপরা চোখে না হলেও পরিণত মনের প্রিজমে প্রেমের প্রতিটি রঙ রঙধনুর সাতরঙে বিচ্ছুরিত হয়, যৌবনের স্বচ্ছ চোখে আর চনমনা মনে যার সবটা দেখা যায় না।

      জবাব দিন
      • পারভেজ (৭৮-৮৪)

        "বয়স যত বাড়ে, ছানিপরা চোখে না হলেও পরিণত মনের প্রিজমে প্রেমের প্রতিটি রঙ রঙধনুর সাতরঙে বিচ্ছুরিত হয়, যৌবনের স্বচ্ছ চোখে আর চনমনা মনে যার সবটা দেখা যায় না"
        খায়রুল ভাই, এই কথাটা খুবই মনে ধরেছে!!!
        🙂 :party: :party: :party:


        Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

        জবাব দিন
      • পারভেজ (৭৮-৮৪)

        শুধু যে মনে ধরেছে, তাই-ই না, কিছু কিছু ভাবনারও উদ্রেক করেছে এই কথাগুলো।
        পড়ার পর যা যা ভাবলাম, নীচে সন্নিবেশ করছি:

        "আহ্‌! 'পরিনত বয়সের প্রেম'!!!"
        - সবাই যদি এর মহত্ব একইভাবে বুঝতো, জগতটা না জানি আরও কতই মধুর একটি জায়গায় পরিনত হতো?
        মনের পর্দায় ভেসে উঠলো, আজকাল মাঝেমধ্যে চোখে পড়া কিছু কিছু পরিনত বয়সের প্রেমের কথা ও তা থামাতে প্রেমে-ডুবন্তরা সহ অন্য অনেকেরই নিরলস প্রচেষ্টার কথা।
        কি অদ্ভুত সব খেয়ালই যে মানুষের হয়? হ্যাঁ, একমাত্র মানুষেরই হয়?
        একটাই মাত্র জীবন সেটা নিশ্চিত জেনেও তাকে সহজ না করে কিভাবে আরও কঠিন করা যায়, সেই জন্য কেবলই চলে নিরলস সব প্রচেষ্টা!
        স্বাভাবিক ভাবে ঘটে যাওয়া সেই স্বাভাবিক প্রেমকে অস্বীকার করার, দমিয়ে রাখার জন্য চলে কি নিরলস আর অযৌক্তিক সব প্রচেষ্টা!!

        বড়ই তাজ্জব ব্যাপার!
        বড়ই তাজ্জব সব ব্যাপার!!


        Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

        জবাব দিন
  2. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    আমি বরাবরের অস্থিরচিত্ত মানুষ। এক জায়গায় বেশীক্ষণ বসে থাকতে পারি না। তুমি ক্যামেলিয়া পড়বে আমাদের জন্য সেটি তো শুনতেই হবে মন দিয়ে! এর আগে বার দুয়েক এটেম্পট নিয়েছি ভাইয়া, জানো! দু'বারই ফোন কল পেয়ে স্থগিত রাখতে হলো তোমার পাঠ পর্ব। আজ মনকে শাসন করে অবশেষে কানে হেডফোন চাপিয়ে তোমার পাঠ শুনতে বসলাম আবার।

    শুরুতেই বলি, ক্যামেলিয়া আমার সবিশেষ পছন্দের একটি লেখা। তোমার সাহসের প্রশংসা করতেই হয়, ভাইয়া! ক্যামেলিয়ার অনুভব বুকে ধারণ করা সহজ কথা নয় মোটে! তোমার এই সুদীর্ঘ পাঠ প্রচেস্টার জন্য আমার অভিবাদন গ্রহণ করো!

    ক্যামেলিয়া শুনবার জন্য তোমার শ্রোতারা উদ্বেল হয়েছিল বলাই বাহুল্য। শুনতে শুনতে মনে হলো, আরো যেন প্রস্তুতির দরকার ছিল তোমার। আমি হলে তা'ই করতাম জানো। সিসিবির পাঠক আর শ্রোতাদের প্রত্যাশা বড় বেশী, ভাইয়া! পাঠ করতে গিয়ে দুটো চারটে শব্দ এদিক ওদিক হয়েছে বেশ কয়েকবার। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক আমাদের কন্ঠের ঘাটতিগুলো অনেকটাই ঢেকে দেয়, তুমি মিউজিক জুড়ে দিতে পারতে, ভাইয়া! মাঝেমধ্যে তোমার নিঃশ্বাসের শব্দ এমনকি দীর্ঘশ্বাসও শুনতে পেয়েছে শ্রোতারা।

    সিসিবিতে পাঠ প্রচেষ্টা চলতে থাকুক! 🙂

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      এত্তো বড় কমেন্টের রেসপন্স দিতে এত্তো এত্তো প্রিপারেশন লাগে যে !!!

      সবগুলো অবজারভেশন ঠিক।
      মিউজিক সংযোজনের বিষয়টি সিরিয়াসলি ভাবছি কিন্তু।
      মাউথ পিছটা বেশী কাছে নিয়ে ফেলেছিলাম। তাই শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ এসে গেছে তাই।
      নেক্সটাইম কেয়ারফুল থাকবো।
      কিছু কিছু উচ্চারনের সমস্যা পরে বুঝলাম। কিন্তু ঠিক করা মানেই তো আবার পুরোটা পাঠ।
      ধৈর্য্যে কুলালো না বলে দুঃখিত।

      এটাই ফাইনাল পাঠ না।
      আগ্রহ দেখিয়েছো যখন, আরও ভালভাবে করে আবার দেবে, কথা দিচ্ছি...


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      খায়রুল ভাই, অনেক ধন্যবাদ - শোনার জন্য।
      ক্যামেলিয়া পাঠ, দীর্ঘদিনের ইচ্ছা।
      ঠিক বলেছেন, সাহসটুকুই প্রথম প্রচেষ্টায় অর্জন।
      আগামী প্রচেষ্টায় আরো বেশি কিছু করতে চাই।


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : পারভেজ (৭৮-৮৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।