বিশ্বকাপ নিয়ে আরেক কিস্তি

অনেকেরই ধারনা, ৮২-তে ২৪ দল অন্তর্ভুক্তির পর থেকে বিশ্বকাপটা বদলে গেছে। কথাটা পুরোপুরি ঠিক না। বিশ্বকাপের প্রতিযোগিতার থিমে সবচেয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে ৮৬ থেকে। ৮২-তে দল বেড়ে কলেবর ও নক আউটের পরিধি (সেমিফাইনাল অন্তর্ভুক্ত হওয়ায়) খানিকটা বাড়লেও প্রতিযোগিতা মূলতঃ রয়ে গিয়েছিল রাউন্ড রবিন লীগ কেন্দ্রিক। প্রথম ও দ্বিতীয় দুইটা রাইন্ডই হতো রাউন্ড রবিন লিগে। ৭৮ পর্যন্ততো সেমিফাইনালও ছিল না। ৮২-তেই প্রথম সেমি ফাইনাল হয়। আর এরপর থেকে শুরু হয় ডু অর ডাই মানে নক-আউটের জয়-জয়কার। যেকোন ভাবে জিতে টিকে থাকো নয়তো বিদেয় হও।

এই পরিবর্তনটা উত্তেজনাকর, আকর্ষনীয়, ও অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাজনক হলেও আমার ধারনা ফুটবলিয় ঐতিহ্যগত দিক দিয়ে এটা ক্ষতিকরও ছিল। কিন্তু কি আর করার? অর্থের কাছে বিশ্বই যেখানে পদানত, ফুটবলিয় দর্শন সেখানে কোন ছার?

৮২-র বিশ্বকাপটা হলো প্রথম, যেটা বাংলাদেশের মানুষ ঘরে বসে সরাসরি দেখেছিল। সবগুলো খেলা অবশ্য সরাসরি দেখানো হয় নাই, তবে যা দেখিয়েছিল তা কোন অংশেই কম না। বিশেষ করে প্রথম প্রয়াস হিসাবেতো অবশ্যই তা ছিল এক বিরাট প্রাপ্তি। ঐ বিশ্বকাপের সময়ে আমি এসএসসির ছুটিতে থাকায় জ্ঞানতঃ কোন খেলা মিস করি নাই সেটা যত রাতেই হোক না কেন, যত অগুরুত্বপূর্নই হোক না কেন?

বিরাশিতে প্রথম সরাসরি বিশ্বকাপ দেখলেও বিশ্বকাপ ফলো করাটা আরও আগে থেকেই শুরু করেছিলাম। তবে ৭৮-এর বিশ্বকাপটা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ফলো করা হয় নাই। ঐসময়ে ক্যাডেট কলেজে যোগদান প্রস্তুতি চলছিল পূর্নোদ্দমে। আর ফলোটা যেহেতু মূলতঃ প্রিন্ট মিডিয়া ও সংবাদ নির্ভর তাই প্রকৃত ঘটনা আর জানাটার মধ্যে সময়ের বিস্তর ফারাক থেকে যাচ্ছিল। ২৫শে জুন সকালে যখন ক্যাডেট কলেজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই, জানতাম আজ রাতে ফাইনাল হবে কিন্তু কে কে খেলছে সেটা নিশ্চিত ছিলাম না। কলেজে প্রথম রাত কাটানোর পর সকালে অবশ্য জানতে পেরেছিলাম যে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। সেটা জানা গিয়েছিল ক্লাশ টুয়েলভের বদান্যতায়। একটা টেবিলের উপরে কাঠের বাক্সবন্দি তালাচাবী দেয়া একমাত্র হাউস রেডিওটা ওনাদের দখলে থাকলেও তা থাকতো দোতালায়। সাতটার খবরে রাস্ট্র হলো নতুন চ্যাম্পিয়ানের নাম। এটা শুনে কারো তেমন কোন প্রতিক্রিয়া হয়েছিল বলে মনে হলো না। তখনো আমাদের জানা ফুটবল দুনিয়ার অখ্যাত একটা দল নিজের দেশে টুর্নামেন্ট হওয়ায় “কি একটা করে” চ্যাম্পিয়ানশীপটা বাগিয়ে নিল – মূলতঃ এটাই ছিল কমন পারসেপশন। “আমাদের এখানে হলে আমরাও ওরকম পারতাম” – জাতীয় কথাবার্তা বলতেও কেউ কেউ ছাড়ে নাই।

আগেই বলেছি, ৮২ পর্যন্ত বিশ্বকাপ যে রবিন লীগ নির্ভর ছিল, তার ভাল দিকটা ছিল এই যে কনসেপচুয়ালি এটা মেনে নেয়া হয়েছিল যে শ্রেষ্ঠত্বের প্রমান হবে মাঠের খেলায়। সমস্যা একটা ছিল এই যে ২য় রাউন্ডের পর শুধু গ্রুপ চ্যাম্পিয়ানের সুযোগ হবে এগিয়ে যাবার। কোন কারনে শ্রেষ্ঠ দুটো দল এক গ্রুপে পড়ে গেলে, তাঁদের একজনকে বাধ্যতামূলক বিদায় নিতে হতো তা তারা যত ভাল পারফর্মই করুক না কেন। এই ব্যাপারটা এবং যেকোন ভাবে টিকে থাকাটা প্রাধান্য পাওয়ায় কালক্রমে খেলা ক্রমান্বয়ে হয়ে পড়ছিল রক্ষনাত্বক।

৮২-র বিশ্বকাপ সরাসরি টিভিতে দেখে আমাদের বিরাট একটা লাভ হয়েছিল এই যে আমরা বুঝতে পারলাম, ফুটবলে কতটা উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে। কত বেশী ট্যাকটিকাল হয়ে গিয়েছে খেলাটা। কিন্তু দেশের ফুটবলের বিরাট একটা স্থায়ি ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল ভিতরে ভিতরে। আমরা যারা দেশি ফুটবলের নিয়মিত দর্শক ও ফলোয়ার ছিলাম, আমরা হঠাৎ করেই বুঝতে পারলাম, কি ভিষণ নিম্নমানের ফুটবল দেখে ও ফলো করে অযথা সময় নষ্ট করছি। ৮২- র বিশ্বকাপ দেশি ফুটবলের জনপ্রিয়তায় সেই যে ধস নামালো, আজও তা কাটেনি।

বিশ্বকাপকে আরও বেশী প্রাণবন্ত করতেই ৮৬-তে লম্বা নকআউট পদ্ধতির আগমন ঘটে। আর সেই থেকে দেখা গেল এক নতুন প্রবনতা শুরু হয়েছে। যেন তেন ভাবে নক আউট পর্বে উঠতে হবে যত কম রিসোর্স কমিট করে। কারন আসল খেলা হবে ঐ নক আউট পর্বে। সেও কি যে সে খেলা? কোন রকমে সময় পার করে টাইব্রেকারে খেলা গড়ানোর চেষ্টা। ৮৬-তে এই প্রবনতার সুচনা হলেও ৯০-তে এটা শিল্পের পর্যায়ে উন্নিত হয়। গ্রুপের তৃতীয় দল হয়েও আর্জেন্টিনা টাইব্রেকারে ভর করে করে ফাইনালেও পৌছে গিয়েছিল।

প্রথম রাউন্ডের স্ট্রাটেজি দাঁড়িয়ে গেল, প্রথম খেলাটা জিতে নিয়ে পরের দুটো খেলা কার্ড না খেয়ে ড্র করা। এতে করে নিশ্চিতভাবে দ্বিতীয় পর্বে উত্থান হবে। এরপরে সেখানে সময় নষ্ট করে করে খেলা টাইব্রেকারে গড়াতে হবে। সেখানে ভাগ্য পরীক্ষায় উত্তির্ন হতে চেষ্টা করা। সময় নষ্টের সবচেয়ে বড় পদ্ধতি হলো গোলকিপারকে ব্যাক পাস দেয়া। আর নিজেরা নিজেরা নিজেদের হাফে খেলে বেড়ানো।

তবে এই হানিমুন বেশিদিন টেকে নাই। সম্ভবতঃ ৯৪-এ ব্যকপাস হাতে ধরা যাবে না আর ৯০-এ পিছন থেকে ট্যাকেল করলে লালকার্ড – এই দুটো পরিবর্তন ফুটবলে আবার প্রাণের সঞ্চার করতে ভূমিকা রাখে। সাথে সাথে খেলোয়ারদের নিরাপত্তাও বাড়ে। এর পর থেকে কষ্ট করে, যুদ্ধ করে বিজয়ি হবার একটা প্রবনতা শুরু হয়। এখনো যা চলছে। ৯৪-এর আগের বিশ্বকাপ যারা দেখে নাই তারা জানতেও পারবে না কতটা নোংড়ামি হতো ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে এবং তা “মরদের খেলা” – এই অজুহাতে।

৭৪ পরবর্তি এবং ৯৪ বিশ্বকাপ পূর্ব বিশ্বকাপ গুলোতে মাঠের বাইরে অনেক ধরনের খেলা চলতো। যার লক্ষ হতো খেলোয়ারকে ইনক্যাপাসিটেট করা। জার্মানের সুমেখার কর্তৃক বাতিস্তার একগাদা দাত ভেঙ্গে ফেলা, আর্জেন্টিনার টিম অফিশিয়ালদের দ্বারা ব্রাজিলের ব্রাঙ্কোকে ট্রাঙ্কুলাইজার মেশানো পানি খাওয়ানো (পড়ে যা ম্যারাডোনা স্বীকারও করেছে), অভিনয় করে পেনাল্টি / ফ্রিকিক আদায় এসবই তার উদাহরন।

ফিফাকে ধন্যবাদ কঠোর হাতে এসব দমন করে ফুটবলকে আরও আকর্ষনীয় করে তোলার জন্য। একটাই সমস্যা রয়ে গেছে, লম্বা নক আউট পর্ব খেলোয়ারদের জন্য বার্ন আউটের সম্ভবনা সৃষ্টি করছে। এটা থেকে উত্তরনের জন্য কিছু একটা ভাবাটাও এখন জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে।

বিশ্বকাপ নিয়ে আরও কিছু লিখা:

আন্তর্জাতিক ফুটবল অনুসরণ: শুরুর স্মৃতি

এইবার কিছু স্মৃতিচারণ: ১৯৭৪ – ১৯৮২

আরো কিছু স্মৃতি চারন: ১৯৮৬-৯৪

দর্শক ক্যাটাগরি নিয়ে একটি অনুব্লগ

৩২ টি মন্তব্য : “বিশ্বকাপ নিয়ে আরেক কিস্তি”

  1. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    '৮৬-র বিশ্বকাপ যতটা পারা যায় মন দিয়ে দেখেছিলাম। '৮২ তে শুধু একটাই ম্যাচ দেখার কথা মনে পড়ে, মনে পড়ে একটাই দৃশ্যের কথা - ব্রাজিলের বাতিস্তার বিরুদ্ধে ম্যারাডনার মারাত্মক ফাউলটা, যেখানে সজোরে লাথি কষিয়ে দিচ্ছে সে বাতিস্তার পেট বা কোমর বরাবর।
    তবে '৮৬-র কাপে ব্রাজিলের হেরে যাওয়াটা --- সক্রেটিস ও জিকোর পেলাল্টি মিস ফ্রান্সের বিরুদ্ধে --- মনে থাকবে।

    জবাব দিন
  2. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    এই ঘটনাগুলো এখন ঘটলে, ম্যারাডোনা লাল কার্ড খেয়ে বের হয়ে যেতো। ম্যারাডোনাবিহিন আর্জেন্টিনা জীবনেও সেমিফাইনাল পার হতে পারতো না।
    একই ভাগ্য বর্তাতো সুমেখারের ও জার্মানের কপালে। লাল কার্ড প্লাস লম্বা সাসপেনশন হতো তার। ফ্রান্স অন্যায় ট্যাকেলে প্লেয়ার হারানোর কারনে ফোর্সড সাবস্টিটিউশনের ঝামেলায় পড়তো না। ১০ জনের জার্মান ফ্রান্সকে হারিয়ে ফাইনালে উঠতে পারতো না।
    এখনকার খেলা অনেক বেশী মানবিক হয়েছে। জনগনের সমর্থন ও ভালবাসাও পাচ্ছে তাই অনেক বেশী।
    ঐসব বাজে দিন পিছনে ফালে আসতে পারাটা ফিফার বড় ধরনের সাফল্য। (সম্পাদিত)


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  3. রকিব (০১-০৭)

    যে বিশ্বকাপগুলোর সাথে পরিচয় কেবল ইউটিউব ভিডিও আর হাইলাইটসের জোরেই- সেগুলোকে বোধহয় এরকম ব্লগগুলো আরো প্রাণবন্ত করে তোলে।

    পারভেজ ভাই, আরেকটু বড় লিখুন। প্রাণের খোরাক এত কম হলে কী চলে!!


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      যে সব তথ্য নেটে আছে, একটু খুজলেই পাওয়া যায়, সেগুলো বলে রিপিট করে লিখাটাকে তথ্য-ভারাক্রান্ত করতে চাই নাই। আমার মনেহয় তাতে পাঠকের সাথে অন্যয় করা হয়।
      আমি চেষ্টা করেছি তথ্যের আগে ও পিছনে সে অনুভূতি যে পারসেপশনগুলো ছিল তা সামনে নিয়ে আসতে।
      সে রকম আরও কিছু থাকলে আবারও লিখা যাবে।
      এটা কিন্তু ঠিক যে ৭৮-এ যখন আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ান হলো, এইদেশে একজন আর্জেন্টাইন সাপোর্টারও ছিল না।
      চল্লিশ বছরেরও বেশী সময় ধরে প্রথম চারে যায়গা না পাওয়া এবং মাত্র ৮ বছর আগেও কোয়ালিফাই করতে না পারা একটা দল, হোস্ট হবার কারনে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে, এটাকে ফুটবলের একধরনের পরাজয় মনে করাটা অন্যয় ছিল না।
      এমন কি ওদের ৭৪-এর পারফর্মেন্সও ছিল যথেষ্ট হতাশা জনক। মাত্র একটা খেলা জিতেছিল। তাও হাইতির সাথে।
      এখনকার হিসাবে বলতে গেলে, হোস্ট হিসাবে সাউথ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ান হলে যে রকম ফিলিংস হতো, বা আগামিতে হোস্ট কাতার চ্যাম্পিয়ান হলে যেমন লাগবে, তার সাথে তুল্য।
      এই পারসেপশনগুলা ফিলিংসগুলা নেটে পাবা না। আমি এইগুলা পেলে জানাবো।


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
      • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

        এটাও কিন্তু হিসাবে আনতে হবে ভাইয়া বিশ্বকাপের চাইতে কোপা বা ইউরো কম মর্যাদার নয়।
        আর্জেন্টিনা কোপায়
        14 বার চ্যাম্পিয়ন (1921*, 1925*, 1927, 1929*, 1937*, 1941, 1945, 1946*, 1947, 1955, 1957, 1959 (Argentina)*, 1991, 1993)
        12 বার রানার্স আপ (1916*, 1917, 1920, 1923, 1924, 1926, 1935, 1942, 1959 (Ecuador), 1967, 2004, 2007)
        4 বার তৃতীয় (1919, 1956, 1963, 1989)
        2 বার চতুর্থ (1922, 1987*) হয়েছে।

        হোষ্ট হবার সুযোগ সবাই নিয়েছে ভাইয়া।
        এবং এটা যে নোংরা এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।


        এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

        জবাব দিন
        • পারভেজ (৭৮-৮৪)

          আর্জেন্টিনাকে এবসলুট টার্মে খারাপ দল বলি নাই। আমি সেই সময়কার দর্শকদের পারসেপশন বলেছি।
          কোপা আমেরিকা নামে যে কিছু একটা ছিল, তখনকার কেউ কি আর সেটা জানতো? মনে হয় না।
          আর্জেন্টিনা অবশ্যই প্রথম সারির দল কিন্তু এখানে আমরা ৭৮-এ সেটা প্রায় জানতামই না।
          বরং উরুগুয়েকে ওদের চেয়ে অনেক শক্তিশালি মনে করা হতো।


          Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

          জবাব দিন
  4. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    দারুন লাগলো পারভেজ ভাই। ৯০ এর জার্মানি নেদারল্যান্ড ম্যাচের নোংরামির কথা মনে আছে, ম্যাচের শুরু থেকে প্রভোক করে শেষ পর্যন্ত রাইকার্ডকে লাল কার্ড খাওয়াতে সক্ষম হয়, যদিও নিজেও পেয়েছিল কিন্তু নেদারল্যান্ড রাইকার্ডকে হারিয়ে আর সুবিধা করতে পারলো না।

    ফিফা আরেকটা ভাল নিয়ম করেছে গ্রুপের শেষ দুটি ম্যাচ একই সময়ে করে, এতে সমঝোতার ম্যাচ বন্ধ হয়েছে।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  5. মাহমুদুল (২০০০-০৬)

    পারভেজ ভাই পুরা কোপাইলেন :duel:

    আমার মত যারা তখনকার বিশ্বকাপ গুলোর সময় জন্মও হয় নাই, তাদের জন্য হলেও লেখা আরেকটু বড় করেন ভাই। প্লিজ।

    পরেরটার জন্য কি ওয়েট করব??? 😀


    মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      আসলেই, লিখারতো আরও অনেক কিছু আছে, ইচ্ছাও করে লিখতে। তবে ৮২ থেকে নব্বুই পর্যন্ত তিনটা বিশ্বকাপে লিখার মত ভাল জিনিষ আসলেই কম। এখনো যে খারাপ প্রাকটিস হয় না, তা না তবে আগের থেকে অনেক কম।
      গতবারের ফাইনালটা ছিল আরেকটা খারাপ ফুটবলের নজির। হল্যান্ডের মত ভদ্র একটা টিম শুরু থেকে যেভাবে বল রেখে প্লেয়ারদের পিছনে ছুটলো, খুবই দৃষ্টিকটু লেগেছে।
      কিন্তু এখনকার ভাল দিক হলো, তা করে সুবিধা হয় না। শেষ মেশ ভালই ধরা খেয়ে যায়। ওরা যেমন, শিরোপাও পায় নাই ঐদিকে সহানুভুতিও হারিয়েছে।
      আগেকার দিনে নোংরামি করে সহানুভুতি না পেলেও শিরোপা পাওয়া, জিতে যাওয়ার ঘটনা অহরহই ঘটতো।
      দেখি মধুর কিছু স্মৃতি লিখতে পারি কিনা।


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
      • মাহমুদুল (২০০০-০৬)

        সত্যি বলতে কি, আমি এতটা গভীর ভাবে কখনো বিশ্লেষণ করিনি। আসলে ফুটবল শুধু দেখার জন্যই দেখি। 😀

        খারাপ জিনিসগুলোই লেখেন। দেখি আগের তুলনায় আমাদের ফুটবল কতটা ভদ্র, সভ্য হয়ে উঠেছে।


        মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য

        জবাব দিন
  6. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    সবাই যেটা বললো আমিও সেটা বলি। আপনার লেখা গুলো চোখের সামনে ধরা দেয়া ইতিহাস। শেখ রাসেলের গল্প থেকে শুরু করে বিশ্বকাপ ফুটবল--শুধু ইতিহাস! অসাধারণ! :hatsoff:


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  7. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    আমাদের প্রজন্মের প্রথম বিশ্বকাপ ছিল ৯০।
    ইটালিতে হয়েছিল বলেই কি না কে জানে, ওটা ছিল সর্বকালের সবচেয়ে ম্যাড়মেড়ে এবং বাজে টুর্নামেন্ট! দলাদলি তেমন না বুঝলেও ম্যারাডোনার কান্না পাঁড় ব্রাজিল সমর্থকদেরও মন নাড়িয়ে দিয়েছিল। আর আমি তো ছিলাম অনেক ছোট, কাঁথা মুড়ি দিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেছিলাম...

    ফাইনালের পর ম্যারাডোনা বাংলাদেশের একটি বিশাল গোষ্ঠীকে আর্জেন্টিনার সমর্থক বানিয়েছিল আর ফাইনালের রেফারি Edgardo Codesal হয়েছিল জাতীয় ভিলেন... ;))


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।