গণজাগরণ মঞ্চ ও কিছু অপপ্রচার

এই লিখাটা বিডি নিউজ ২৪-এর জন্য লিখলাম গতরাতে। আজ সকালেই পোস্ট করে দিল? সাধারনতঃ পোস্ট করার আগে ২-৪ দিন কিউ-এ থাকে। ঐসময়ে কিছু ইম্প্রুভ করা যায়। এটার ক্ষেত্রে সেই সুযোগ পাই নাই। এখানেই তাই কিছুটা ইম্প্রুভ করে রি-পোস্ট করছি। কি আর করা…

———————————–

চাঁদাবাজি আর চাঁদাসংগ্রহ সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটো কাজ। একটিতে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও বলপ্রয়োগের ব্যাপার জড়িত থাকে। তাই একে ‘এক্সটরশন’ বলে। অন্যটিতে পারসুয়েশন, আবেগ, প্রয়োজন ইত্যাদির সংমিশ্রণ করা হয়। দাতা একটি ভালো কাজে সংশ্লিষ্ট হবার জন্য, অংশ নেবার জন্য স্বেচ্ছায় অর্থ দেন। এটার অন্য নাম তাই ‘ফান্ড-রেইজিং’।

গণজাগরণ মঞ্চের উত্থানের সময় কেউ কেউ তাদের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির চেষ্টা করেছিল বলে জানা যায়। এই সময় মঞ্চ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সতর্ক করা এবং এই রকম চেষ্টার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ব্যাপারে পুলিশের সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছিল। শুরুতেই এই ভূমিকাটা দিয়ে রাখলাম, কারণ মূল আলোচনায় এটা লাগবে।

বেশ কয়েকদিন ধরে শুনতে পাচ্ছি, গণজাগরণ মঞ্চ নাকি তাদের উত্তাল সময়টাতে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত ছিল। তাদের এই চাঁদাবাজির শিকার ছিল বৃহৎ, অতিবৃহৎ কিছু ব্যবসাযী গোষ্ঠী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংসদ, এমনকি মন্ত্রীগণও। এই অবস্থায় তাদের কী করণীয় ছিল? তাদের কি উচিৎ ছিল না বিষয়টা আইনশৃংখলা বাহিনীর নজরে আনা?

কিন্তু তারা তা করলেন না। কেন করলেন না? হতে পারে তারা এতটাই আতঙ্কগ্রস্ত ছিলেন যে, আইনশৃংখলা বাহিনীর নজরে এনে জীবনের ঝুঁকি নিতে চাননি। বলা তো যায় না, চাঁদাবাজি করা গণজাগরণ মঞ্চে কত যে না কত বড় বড় সন্ত্রাসী আছে? হয়তো পুলিশ বাহিনীও ওদের কাছে নস্যি!

এই যদি হত প্রকৃত অবস্থা, তাহলে তো তাদের মানে ওইসব চাঁদাবাজির ভিকটিমদের মুখে আঙুল দিতে চুপটি করে বসে থাকার কথা ছিল যেন কাকপক্ষীটিও তা টের না পায়। কিন্তু তা না করে তারা সবাই একযোগে কেন যেন যুক্তরাজ্য-প্রবাসী এক ব্লগারকে তাদের এই চাঁদাবাজির শিকার হবার কাহিনি বলে পাঠালেন। উনি কোনো সুপারম্যান-ট্যান হবেন হয়তো। গোটা পুলিশবাহিনী-র‌্যাব যা পারে না, সম্ভবতঃ উনি একাই তা পারেন!

আর এই সুপার-ব্লগার কী করলেন এইসব ভিকটিমদের বাঁচাতে? প্রথমে তিনি মাসের পর মাস চুপচাপ বসে বসে সময় কাটালেন। এরপরে একসময় তিনি একটা এক্সেস কন্ট্রোল সম্বলিত ব্লগিং সাইটে ব্লগ লিখলেন, তাও সব ভিকটিমদের নাম-পরিচয় প্রদানকৃত টাকার অংকসহ। তাই পেয়ে এবং তা কোট করে ন্যূনতম এক্সপোজার পাওয়া বেশকিছু নিউজ সাইট এবং কিছু প্রতিক্রিয়াশীল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তা ‘‘গণজাগরণ মঞ্চের কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি” ইত্যাদি শিরোনামে সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ করা শুরু করে দিল।

পুরো গল্পটাকে কি বেশ গোঁজামিলে ভরপুর বলে মনে হচ্ছে না? কিন্তু মনে হলেও আমার কী করার আছে? এভাবেই তো অসঙ্গতিতে ভরপুর এই গল্পটা সাজানো হয়েছে।

আসুন অসঙ্গতিগুলোর দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নিই–

১) অর্থের যে হিসাব তা কিঞ্চিতাধিক দুই কোটি। এই টাকাকে ‘কোটি কোটি’ বলাটা কি অতিরঞ্জন নয়?

২) যে সব অখ্যাত নিউজ সাইটগুলো ওই ব্লগনির্ভর সংবাদটি করেছে, তারা কেবল ওই ব্লগের হোস্ট সাইটকেই সূত্র হিসেবে উল্লেখ করেছে। কথিত চাঁদাবাজির শিকার হওয়া কারও সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজন তারা কেউ বোধ করেনি। অদ্ভুত!

৩) ভিকটিমের নাম প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে এবং এমন ভিকটিম যারা পুলিশের কাছে যাবার সাহস পাচ্ছে না কিন্তু সেজন্য তাদের কনসেন্টও নেওয়া হয়নি।

৪) এতদিন গোপন রাখা ভিকটিমদের পরিচয় যখন প্রকাশ হয়ে গেছে, কোথায় তারা আতঙ্কিত হবেন, নিরাপত্তা সহায়তা চাইবেন, তা না করে তারা এই নাম আসা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা, তামাশা শুরু করে দিলেন!

এসব অসঙ্গতি দেখে ঘুণাক্ষরেও তো পুরো ব্যাপারটাকে এক্সটরশনের সংজ্ঞায় ফেলা যাচ্ছে না। আর তা যদি না-ই হয় তাহলে প্রথমেই শিরোনামে “চাঁদাবাজি”-র কথা বলে যে অসততাটা করা হয়েছে তা যে আসলে কী, সেটা নিজ থেকেই প্রমাণ হয়ে যায়।

দেখা যাচ্ছে, শাহবাগে গণজাগরণের সময়ে যে অর্থসংগ্রহের ব্যাপারটা ঘটেছে, তাকে চাঁদাবাজি বলার কোনো সুযোগ নেই। তা যদি না-ই থাকে, এই হলুদ সাংবাদিকরা তা বললেন কেন? সস্তা সেন্সেটাইজেশন সৃষ্টি করে অখ্যাত সাইটে হিট বাড়ানোর মতলবে? তাছাড়া আর কোনো ব্যাখ্যা তো পাচ্ছি না।

এত বড় একটা আন্দোলন হয়ে গেল, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এল। বিশেষ বিশেষ উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ জনসমাগম হল, এর কিছু রুটিন লজিস্টিক্সের তো প্রয়োজন আছে, নাকি? ধরে নিই, কিছুই না, তাদের শুধু পানির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাতে হাজার পাঁচেক লোকের ৪ থেকে ৫ মাসের শুধু পানিরই দাম পড়বে ওই হিসাবে দেখানো ২ কোটি টাকা বা তার চেয়েও বেশি।

বুঝলাম, তারা কেউ খাবার খাননি। তাই টয়লেটেও যাওয়া লাগেনি। দিনরাত হাওয়া আর পানি খেয়েছেন। আর তাই খেয়েই ওখানে ছিলেন তাতে করেই জুন-জুলাই পর্যন্ত যেতে না যেতেই তাদের সংগৃহীত যাবতীয় অনুদান ফুরিয়ে যাবার কথা। তাই যদি হয়, তাহলে চুরিটা মানে অর্থআত্মসাৎ করল কে? আর তা কোন টাকাটা? অনুদানের যে টাকা খরচ হয়ে গেছে তা আত্মসাৎ হল কীভাবে? নাসিরুদ্দিন হোজ্জার গল্পটা মনে পড়ছে না? “এটা যদি বিড়াল হয়, তাহলে গোসতো কৈ? আর এটা যদি গোসতো হয়, তবে বিড়াল কৈ?” – এর মত ব্যাপার আর কি।

এ রকম একটা মুভমেন্টে খরচ যেমন থাকে, সে খরচের যোগান দেওয়ার জন্য সমব্যথী মানুষেরও অভাব হয় না। আর তা না হলে এই আন্দোলন মাসের পর মাস চলতে পারত না। একটা কথা সত্যি যে, নানা সময়ে গণজাগরণ নানা উত্থান-পতন, বিশ্বাস-সন্দেহ এসবের মধ্য দিয়ে গিয়েছে, কিন্তু লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ ওদের কর্মকাণ্ড ঘিরে স্বপ্ন দেখা কখনও বন্ধ করেনি।

আর এটা ছিল বলেই ফান্ড রেইজিং-এর দৃশ্যমান বিরাট কোনো কর্মকাণ্ড না থাকার পরেও কেবল ফান্ড ক্রাইসিসের জন্য এই দীর্ঘ আন্দোলন তার ক্ষিপ্রতা হারায়নি। সময় সময়ে যে ঝুলে-পড়া পরিস্থিতি এসেছিল, তা হয় প্রাকৃতিক নিয়মে নয়তো সাফল্যোত্তর স্বাভাবিক নিয়মে।
মিথ্যা অপপ্রচারের ঘেরাটোপে পড়ে সময় সময় শাহবাগ আন্দোলনটি হয়ত ঝাঁকি খেয়েছে, কিন্তু কক্ষচ্যুত হয়নি।

এবারের অর্থ-কেলেঙ্কারির এই অপপ্রচারও যে তারা সামলে উঠবেন, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। কিন্তু এবারের অপপ্রচার ঘিরে তাদের মিত্রদের মধ্যে যে বিভেদের রেখা দেখলাম, তা তারা কীভাবে কাটাবেন, বুঝতে পারছি না। আর এটা ঘিরে প্রতিপক্ষ যদি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে, তা কীভাবে মোকাবেলা করা হবে, সেটাও ভাবা দরকার। আবার পক্ষগুলির মধ্যে নতুন করে কোন সমীকরণ আসে কিনা, সেটাও একটা ভেবে দেখার মতো বিষয়।

এত কিছুর পরেও, সাধারণ মানুষের বড় একটা স্নেহময় প্রশ্রয় যে এই শাহবাগের গণজাগরণ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আছে, সেটাই তাদের সব প্রতিকূলতা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রধান অনুষঙ্গ।

আশা করছি, তারা সকল মিথ্যাচার ছিন্ন করে সেটা করতে পারবেন। তারুন্যের জন্য সেটা খুব গুরুত্বপুর্নও। ছাত্র রাজনীতির যে হাল চলছে তা থেকে রাজনীতি বিমুখ তরুনদের রাজনীতি সচেতন করতে, নেতৃত্ব অনুশীলনের সুযোগ দিতে এই গণজাগরণ যে ভূমিকা রাখছে সেটা এই মুহুর্তে অন্য কোথাও সহজে পাওয়া সম্ভব বলে আমার মনে হয় না।

১,৫৩৭ বার দেখা হয়েছে

১৪ টি মন্তব্য : “গণজাগরণ মঞ্চ ও কিছু অপপ্রচার”

  1. গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

    ভাইয়া আমার দুইটা পয়েন্ট মাথায় আসল-

    ১) এই বিষয়টা নিয়ে মঞ্চ সংশ্লিষ্টরাই কথা বলছেন। এজন্যই অভিযোগ হিসেবে কথাগুলো গুরুত্ব পাচ্ছে। নয়ত মঞ্চবিরোধী অপপ্রচার তো সব সময়ই ছিল। কিন্তু কেউ গুরুত্ব দেয়নি সেগুলোকে।

    ২) পুলিশের সহায়তার ব্যাপারে বলতে চাই, বাংলাদেশের অনিয়মের নিয়ম এটা যে, পুলিশ সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করতে পারে না। এজন্য সরকারী দলের লোক অনেক বড় অপরাধ করেও ছাড়া পেয়ে যায়। চাঁদা তো অনেক ছোট ব্যাপার। আর সরকার গণজাগরণ মঞ্চের সাপোর্টেই ছিল কিছুদিন আগ পর্যন্ত, নিজের স্বার্থেই। যদি এই সরকারী দলের সাপোর্টকে চাঁদার জন্য ব্যবহার করা হয়, তাতে আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা খুব কম মানুষই চিন্তা করবে। এখন সরকার/আওয়ামী লীগের স্বার্থ উদ্ধার হয়ে গেছে, গণজাগরণ মঞ্চের থেকে সাপোর্টও সরায়ে নিয়েছে তারা। সুতরাং, এখন এই অভিযোগগুলো নতুন করে উঠলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

    সবশেষে বলব, সঠিক ছাত্র-রাজনীতির অভাবে রাজনীতির বর্তমান ও ভবিষ্যত খারাপ। বড় দলগুলো আদর্শ নিয়ে কোন চিন্তা-ভাবনা করছে না। ভাল নেতা তৈরি হচ্ছে না। যোগ্যদের রাজনীতিতে আসার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এখনকার জাতীয় পর্যায়ের মোটামুটি গ্রহণযোগ্য নেতারা সবাই ছাত্র-রাজনীতি করে এসেছেন। ভবিষ্যতে কী হবে এদেশের? সবচেয়ে অযোগ্য অংশটা দেশ চালাবে?

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      আসল ঘটনা ওটা না। মানে চাদাবাজি হওয়া নিয়ে যেটা বলেছি সেটা না।
      ঐভাবে ড্রামাটাইজ করার উদ্দেশ্য ছিল ক্লেইমের অসঙ্গতি দেখানো।
      আর প্রবাসি যেই ব্লগারের কথা বলেছি, সে আসলে একজন প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতা। বর্তমানের অনেক নেতার স্পন্সর।
      আমার ধারনা আসল ঘটনা যা, তা হলো, ঐসব কোম্পানী বা ব্যাক্তিবর্গ, কেউই চাঁদাবাজির শিকার না। সম্ভবত তাঁরা যা করেছেন তা হলো সিএসআর-এর কিছু টাকা শাহবাগ আন্দোলনের সময় কন্ট্রিবিউট করেছেন। ঐসময়ে ছাত্রলীগ মঞ্চের প্রধান নিয়ন্ত্রক ছিল। তাই তাঁরা সব জানে।
      এখন যখন ছাত্রলীগ প্রকাশ্যে সমর্থন প্রত্যাহার করলো এবং গণজাগরনের টার্মিনেশনই তাঁদের কাম্য, এটা হাসিলের জন্য টাকাপয়সার অপবাদ দেয়াটাকে উদ্দেশ্য হাসিলের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হিসাবে মনে করেছে।
      যদি সত্যিই চাদাবাজি হয়ে থাকে, ঐসব প্রতিষ্ঠানের জন্য এখনো কিন্তু সময় আছে কেইস করার। সরকার ও ছাত্রলীগের সাপোর্ট তো এখন নাই। তাহলে এখন কেইস করছে না কেন তাঁরা? কারন কেইস করলে এক্সটরশান প্রমান দিতে যেসব প্রমান লাগে তাঁদের সেসব একদমই নাই।
      একটু উদাহরন দেই। প্রথমতঃ রেকর্ডেড কনভার্সেশনের যেখানে চাদার দাবী করা হয়েছে। তা না থাকলে নুন্যতম রিপিটেড ইনকামিং কল রেকর্ড গণজাগরন টু প্রতিষ্ঠান। ভিজিট রেকর্ড থাকলেও হতো।
      এখানে হয়তো দেখা যাবে এর উল্টোটাই হয়েছে। প্রতিষ্ঠানই উলটো বার বার ফোন করে টাকা দেয়ার আগ্রহ জানাচ্ছে। কন্ট্রিবিউট করতে চাচ্ছে ফর আ গ্রেট কজ।
      এটাকে চাদাবাজি হিসাবে সাজাবে কিভাবে?
      বুঝাতে পারলাম?


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
  2. মাহমুদুল (২০০০-০৬)

    এ দেশের মানুষের একটা বৈশিষ্ট্য আছে। অভিযোগ করেই মুক্ত হয়ে যান। অভিযোগ প্রমানের দায়বদ্বতা তারা অনুভব করেন না।

    যদি 'চাদাবাজি' করেই থাকে তা প্রমান করার দায়িত্ব অভিযোগকারীর।


    মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      সমস্যা আরও আছে। অন্যরা এসে বলা শুরু করবে, উনিতো অভিযুক্ত, পদত্যাগ করছেন না কেন? কে কোথায় কি অভিযোগ করেছেন তার কোন হদিস নাই, প্রমানের নাম-গন্ধ নাই, বাকিরা চেয়ার ধরে আজাইরা টানাটানি শুরু করে দেয়...


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
  3. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    বিরানি ও গাঁজার পরে চাঁদার সুবাস কবে থেকে বের হওয়া শুরু হইলো। না পাইলাম প্যাকেট, না পাইলাম পুড়িয়া আর না পাইলাম ভাগ! :brick:


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      রাজীব: এই বিষয়টা নিয়ে আমার নিজের ব্যাখ্যা সম্বলিত একটা ব্লগ লিখার ইচ্ছা বেশ কিছু দিনের। সেখানে ডিটেইল ব্যাখ্যা দেয়ার ইচ্ছা রইল।
      এখন শুধু এইটুকুই বলি যে, তুমি যদি মিন করে থাকো, "শাহবাগ আন্দোলন" আর "গণজাগরণ মঞ্চ" এক নয়, তাহলে বলবো, এক্সজাক্টলি সেটা দেখানোই হবে ঐ লিখাটার উদ্দেশ্য।
      আবার গণজাগরণ মঞ্চ যে শাহবাগ আন্দোলনের সবচেয়ে লজিকাল আফটারম্যাথ, সেটা তুলে ধরার চেষ্টাও করবো।


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
  4. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    অফটপিক একটা গুড নিউজ দেই। আমার বন্ধু মাহবুব (বুয়েটের শিক্ষক), যার বরিশাল ভ্রমনের লিখাটা আমার একটা ব্লগে পেস্ট করেছিলাম, তাঁকে সিসিবি-তে ঢুকতে প্রায় রাজী করে ফেলেছি।
    শিঘ্রই ও মালোয়েশিয়ায় যাচ্ছে দুবছরের জন্য। তাই ওর যোগদানের ব্যাপারে আমি খুবই আশাবাদি।
    ওকে এইখানে পেলে ব্যাপারটা জব্বর হবে।
    ওয়েটিং ফিঙ্গারস ক্রসড...


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : পারভেজ (৭৮-৮৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।