একটি মূলধারার রাজনৈতিক দল হিসাবে গড়ে উঠার প্রক্রিয়া ও গণজাগরণ মঞ্চের অবস্থান

কাছাকাছি শিরোনামে সম্প্রতি আমার লিখা একটি অপ-এড প্রকাশিত হইয়েছে বিডি নিউজ ২৪-এ। গত ২৪ ঘন্টায় ওটার উপর বেশ আগ্রহ দেখলাম পাঠকগনের।

ভাবলাম লিখার প্রেক্ষাপটসহ এটা CCB-র পাঠকদের জন্য রাখা যেতে পারে। রেকর্ড হিসাবেও থাকলো, যারা আগ্রহী তাঁদের পড়াও হলো।

————————————————————————–

বিরাট জনগোষ্ঠির সমৃদ্ধ একটি দেশে মূলধারার একটি রাজনৈতিক দল সৃষ্ট করা যে কঠিন সেটা সবাই স্বীকার করবে। মার্কিন যুক্তরাস্ট্র এর সবচেয়ে বড় উদাহরন। তারপরেও ভারতে কিন্তু গত চার দশকে ২-৩ টি নতুন দল মূলধারায় এসেছে, বিচরন করেছে।

এটা দেখে, বাংলাদেশে তা কতটা সম্ভব, সেই প্রশ্ন জাগতেই পারে। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির ও ব্যক্তিবর্গের প্রচেষ্টা স্বত্বেও সেরকম কিছু ঘটতে না দেখায় এরকম একটা ধারনা হতেই পারে যে, “মূলধারায় নতুন কোন রাজনৈতিক দলের অন্তর্ভুক্তি তবে কি অসম্ভব?”

ভারতের সাথে আমাদের পার্থক্য হলো, সেখানে যে দলগুলো মূল ধারায় এসেছে, তারা কেউ তৃণমূল থেকে গড়ে ওঠা দল না। তাঁরা ক্ষুদ্র দলের জোট যা ফ্লোর ক্রসিং-এর মাধ্যমে বড় অবয়ব পেয়েছে। আমাদের এখানে সংবিধান অনুযায়ী ফ্লোর ক্রসিং হারাম। তাই ওটা সম্ভব না।

আবার জনগনের বৈশিষ্টের বিচারে ভারত বেশ জটিল রকমের হেটেরোজেনিয়াস একটি দেশ। ওখানে মানুষে মানুষে ভাষা, ধর্ম, বর্ন, গোত্র, সংস্কৃতি ইত্যাদি ভেদে বিভেদ সৃষ্টি করে পপুলেশনকে দল-উপদলে ভাগ করে ফেলাটা খুব অসম্ভব না। আমাদের এখানে পপুলেশনে এত বেশী ভাগ নেই। ভারতের মত দল-উপদলে ভাগ করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার তাই অত সহজ না।

প্রশ্ন হলো, মূলধারায় নতুন দলের আগমন জরুরী কিনা? এটা জরুরী এই জন্য যে তা নাহলে গনতন্ত্রটি তাঁর বহু দলীয় চরিত্র হারিয়ে দ্বি-দলিয় গনতন্ত্রের রূপ নেয়। এতে একটা সময়ে তা জনকল্যানের চেয়ে অন্য কিছু কে অগ্রগন্য করে তোলে।

ডাইকটমির যে ইনহ্যারেন্ট সমস্যা, সেটা দ্বি-দলিয় গনতন্ত্রেও দেখা যায়। ক-কে প্রত্যাখান করার মানে দাঁড়ায় খ-কে স্বয়ংক্রিয় ভাবে গ্রহন, সেটা তাঁর যোগ্যতা থাকুক বা না থাকুক। আবার ক ও খ এর লাগাম ঠিক মত ধরে রাখার জন্য, তাঁদের মধ্যে  চেক এন্ড ব্যালান্স বজিয়ে রাখার জন্য, কোন সুযোগও আর থাকে না। এর সাথে সাথে, “চ্যালেঞ্জ জানাবার জন্য নতুন কোন শক্তির উত্থান সম্ভব না,” – এই দৃষ্টিভঙ্গি  প্রতিযোগী দল দুটির মধ্যে এক ধরনের অলসতা, নির্লিপ্ততা এনে দেয় নিজেদের উন্নত করনে পদক্ষেপ নিতে।

ব্যাপারটা দাঁড়ায় এরকম, আমি কতটা ভাল হবো, তা না ভেবে – আমার কত কম খারাপ হলে চলবে সেটাই সামনে এসে পরে প্রায়োরিটি হিসাবে। আর এই অচলবস্থার ভুক্তভোগী হন জনগন।

বিগত কয়েক বছর ধরে মূলধারার দলগুলির মধ্যে কম খারাপের এই প্রতিযোগিতা দেখে এবং তা থেকে উত্তরনে নতুন কারো আসাটা অসম্ভব জ্ঞান করে দিন দিন হতাশ হয়ে পরছিলাম। এই রকম একটা সময়ে ঘটলো গণজাগরণ মঞ্চের উত্থান। তাঁদের এই উত্তান প্রক্রিয়াটা নিয়ে ভাবতে বসে, বিশ্লেষন করে নতুন একটা আশার আলো উকি দিতে দেখলাম। আমার এই অপ-এডটা সেই আশার আলো নিয়েই লিখা…

————————————————————————————————

গণজাগরণ মঞ্চ কি রাজনৈতিক দল হয়ে উঠছে (?)

একটি মূলধারার রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে ওঠার উপকরণ কী কী?
প্রশ্নটা মাথায় এসেছিল কিছুদিন আগে, যখন অন্তর্জালকেন্দ্রিক একটি গোষ্ঠীকে দেখলাম গণজাগরণ মঞ্চের নেপথ্যের মানুষদের সম্পর্কে বিষোদগার করতে, তাদের যাবতীয় কৃতিত্ব অস্বীকার করতে, শাহবাগকেন্দ্রিক যাবতীয় অর্জন নিয়ে সন্দেহ পোষণ করতে।

খুবই অবাক হয়ে জানতে চাইলাম, “আন্তর্জাতিক ও মানবতাবিরোধী অপরাধ আইনের আপিল সংক্রান্ত ধারাটি যে কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় শেষ পর্যন্ত সংশোধন করা হল, সেটা শুরু করা, টেনে নিয়ে যাওয়া তাহলে কার কৃতিত্ব?”

উত্তর পেলাম, “ওটা ওই দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানানো লাখ লাখ কোটি কোটি জনতার কৃতিত্ব, একক কোনো মঞ্চ-ফঞ্চের, ব্লগার-অ্যাকটিভিস্টের কৃতিত্ব নয়।”

মূল প্রসঙ্গে ফিরে যাই। যে কোনো রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের জন্য প্রথমত কিছু নেতা থাকা জরুরি। নেতা না থাকলে আবার দল হয় নাকি? এরপরে তো অবশ্যই থাকতে হয় কিছু নিবেদিতপ্রাণ কর্মী যারা ওই নেতাদের চেতনা ও আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন।

যদিও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ও কর্মী থাকা একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে ওঠার সন্দেহাতীত পূর্বশর্ত, তবে তা মূলধারার রাজনৈতিক দল সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট নয়। তা যদি হতই, তাহলে অনেক আগেই এদেশে সমাজবাদী বা ধর্মভিত্তিক মূলধারার দল সৃষ্টি হয়ে যেত।

একদল নিবেদিতপ্রাণ সার্বক্ষণিক নেতা ও কর্মীবাহিনীসমৃদ্ধ হয়েও, এই দলগুলো যে আজও কেন মূলধারায় আসতে পারেনি, তা বুঝতে কাউকে বিরাট গবেষক হতে হয় না। সাধারণ বিচার-বুদ্ধি দিয়েও যে কেউ বুঝতে পারবেন, মূলধারার রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে ওঠার যে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ওইসব দলে অনুপস্থিত তা হল, জনসমর্থন। সে ধরনের জনসমর্থন যা গণমনে ওই দলের গ্রহণযোগ্যতা নির্দেশ করে।

এখন প্রশ্ন হল, এই গ্রহণযোগ্যতা-সূচক জনসমর্থন কি ওইসব নেতা-কর্মীরা তাদের কর্মকাণ্ড দিয়ে সৃষ্টি করতে পারেন? হয়তো ক্ষুদ্র পরিসরে, আঞ্চলিকভাবে পারেন, কিন্তু দেশজুড়ে জাতীয়ভাবে তা কেবলই নেতা-কর্মীরা তৈরি করেছেন, এমনটা ভাবার সপক্ষে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ আমি পাইনি।

যা পেয়েছি, তা থেকে বরং মনে হয়েছে, জনমনে কাউকে সমর্থন দেবার জন্য এক ধরনের শূন্যতা যে কোনো কারণে স্বতঃস্ফুর্তভাবে তৈরি হলেই কেবল ওই জাতীয় জনসমর্থন পাওয়া যায় যা একটি দলকে মূলধারার অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। কী সেই শূন্যতার স্বরূপ, আর কেনই-বা এই উপলব্ধি, একটু উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করছি।

বর্তমান সময়ে মূলধারার যে দুটি দল আছে তার একটি “বিএনপির জন্ম সেনানিবাসে গোয়েন্দাদের হাতে”– এটা বলে যারা বিএনপির মূলধারাভূক্তিকে অবজ্ঞা করতে চান তাদের কাছে প্রশ্ন– “সেনানিবাসে গোয়েন্দাদের হাতে একই প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট আরেকটা দল, জাতীয় পার্টি তাহলে কেন আজও মূলধারায় আসতে পারল না?” কেন তাঁরা “মূলত একটা আঞ্চলিক দল হিসেবেই তারা কোনোমতে তাদের অস্তিত্ব ধরে রেখেছে?”

এই প্রশ্নের উত্তর খুব জটিল নয়। পঁচাত্তর-পরবর্তী নানা উত্থান-পতন, প্রচারণা-রটনার কারণে জনগণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ যে আওয়ামী লীগবিরোধী হিসেবে নিজেদেরকে গণ্য করা শুরু করেছিল, তাদের কাছে ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগের বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিএনপির উত্থান ও আগমন ছিল তাৎক্ষণিকভাবে স্বাগত জানানোর মতো একটি বিশাল ঘটনা। ওই সময়কার শাসকদের আওয়ামী লীগবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তাতে প্রভাব রেখেছিল, এটাও সত্যি।

তবে মূলত যে কারণে বিএনপি মূলধারার রাজনীতির মঞ্চে তাদের পদচারণা দশকের পর দশক চালিয়ে গিয়েছে তা হল, আওয়ামী লীগ থেকে জনগণের একটা উল্লেখযোগ্য অংশের মুখ ফিরিয়ে নেওয়াজনিত শূন্যতা। এই শূন্যতা সৃষ্টিতে কার অবদান কতটুকু, তা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে; বিপক্ষ মতবাদের কারও উপর দোষারোপ করাও যেতে পারে; কিন্তু ওটাই, ঐ শূন্যতাই যে বিএনপির খুঁটি গেড়ে বসার মূল চালিকাশক্তি তা নিয়ে বিতর্ক খুব একটা ধোপে টিকবে না।

একই প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়েও জাতীয় পার্টির মূলধারায় না আসতে পারার কারণও সম্ভবত ওখানেই– জনমনের কোনো শূন্যতার নাগাল না পাওয়া। আবার ভিন্ন প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়েও মূলধারার অন্যদলটি অর্থাৎ আওয়ামী লীগ যে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই গণমানুষের দল হয়ে উঠতে পেরেছিল, তাও কিন্তু মূলত ওই একই কারণে, অর্থাৎ শূন্যতার সুযোগ গ্রহণ।

আবুল মনসুর আহমেদের লেখা থেকে জেনেছি, মুসলিম লীগের নেতৃত্বে পাকিস্তান সৃষ্টি করার পর কীভাবে দলটি একে একে বিতর্কিত কাজ ও সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নিজেদের জনবিচ্ছিন্ন ও গণবিরোধী শক্তিতে পরিণত করেছিল। তাদের ওই ভুল অবস্থানের কারণে তাদের একাংশের হাতে খুবই অল্প সময়ে যে আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম হয়েছিল, তা জনমনে দ্রুত গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে।

মুসলিম লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সৃষ্ট শূন্যতা আওয়ামী লীগের তাৎক্ষণিক গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টির মূল উপকরণ—এ কথা বলা নিশ্চয়ই কোনো অতিরঞ্জন নয়। নেতা-কর্মীগণের নিষ্ঠা, সততা, সর্বোপরি নিবেদিতপ্রাণ কর্মকাণ্ড তাতে উত্তাপ ছড়িয়ে থাকবে নিশ্চয়ই। তবে মূল যে বিষয় এটা সম্ভব করেছে তা হল জনমনে থাকা রাজনৈতিক অবস্থানজনিত শূন্যতা।

গণজাগরণ মঞ্চের কৃতিত্ব আছে কী নেই তা নিয়ে প্রশ্নের সঙ্গে এসব বিশ্লেষণ ও গল্পগাঁথার সম্পর্ক কী? সম্পর্ক তো একটা আছেই। তা না-ই যদি থাকত তাহলে জনমনে প্রায় অপরিচিত গুটিকয়েক তরুণের উদ্যোগে গড়ে ওঠা একটি আহ্বানে হঠাৎ সারাদেশ কোন যাদু-মন্ত্রে নড়েচড়ে উঠল?

সেই যাদুটা হল, মূলধারার রাজনৈতিক দলসমূহের নানান কর্মকাণ্ডের কারণে তাদের থেকে জনগণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া। আর এ থেকের সৃষ্ট যে শূন্যতা– তা ওই মঞ্চ ঘিরে থাকা মানুষগুলো তাদের নিষ্ঠা দিয়ে, নিরলস প্রচেষ্টা দিয়ে পূরণ করতে পেরেছে– প্রত্যাশার সৃষ্টি করেছে, স্বপ্ন দেখার সামর্থ্য জুগিয়েছে।

গণজাগরণ মঞ্চ হয়তো সবার সব প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। তাদের সব কর্মকাণ্ড হয়তো বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল না। তারপরেও তারা টিকে গেছে, টিকে আছে।

তার পিছনে যে কারণটা সবচেয়ে বেশি যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হয়েছে তা হল, তাদের উপরে সাধারণ মানুষের সেই আস্থা যে, এরা এতসব করে যাচ্ছে, তার কোনোটাই ব্যক্তিগত লাভালাভের জন্য নয়। ভূতে পাওয়া মানুষের মতো কী এক ঘোরের মধ্যে তারা সবকিছু ছেড়েছুঁড়ে দিনের পর দিন একে একে এমন সব দাবি-দাওয়া সামনে নিয়ে আসছে যা শুনলে বলতে ইচ্ছা হয়– এটা তো ‘আমারও ছিল মনে’, ওরা জানল কীভাবে?

মূলধারার রাজনৈতিক দল হবার জন্য যা যা উপকরণ প্রয়োজন তার সব ক’টিই এখন গণজাগরণ মঞ্চের নাগালের মধ্যে। উপরন্তু, নির্বাচনে অংশ না নেওয়া ও সেই সংশ্লিষ্ট বাড়াবাড়ি এবং যেনতেন একটা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা জাতীয় প্রচারণার মুখে মূলধারার দুটি দলের থেকেই আরও কিছু মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেবার প্রক্রিয়ায় থাকতেই পারে।

এই অবস্থায় তারা একটি রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হলে তা হবে একটা সময়ের দাবি মেনে নেওয়া। তবে এখন পর্যন্ত তাদের সে রকম কোনো উচ্চাভিলাষ আছে বলে আমার মনে হয়নি।

তবুও কথাগুলো বলছি মূলধারার দলগুলিকে সচেতন করার জন্যই। কুড়িটা বছর ধরে তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো দেশ চালিয়ে গিয়েছেন; এখন তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় তা থেকে বেরুনোর চেষ্টা করা উচিত। তাদের বুঝতে চেষ্টা করা উচিত যে কারও দয়া-দাক্ষিণ্যে নয়, বরং জনগণের একটি বিরাট অংশের সস্নেহ প্রশ্রয়কেই পাথেয় করে গণজাগরণ মঞ্চের এতদূর পথচলা। সুসংগঠিত দল হয়েও তারা যদি নিষ্ঠায় ও জনস্বার্থ রক্ষায় একটি ক্ষুদ্র সংগঠনের থেকে পিছিয়ে পড়েন, জনগণের ধৈর্যচ্যুতি কিন্তু ঘটতেই পারে।

আমার চোখে গণজাগরণ মঞ্চের সবচেয়ে বড় সাফল্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এই বার্তা পৌঁছুনোতে যে তারা যেন নিজেদের অপরিহার্য মনে না করে। তাদের ছাড়া জনগণের কোনো গতি নেই, এটা যে দলই মনে করবে, অচিরেই তাদের হতাশ হতে হবে।

দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এই পরিবর্তনটা সম্ভবত একটি দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রাখতে যাচ্ছে যা থেকে রাজনৈতিক দল ও জনগণ উভয়ই উপকৃত হবেন।

এই পরিবর্তনটা অস্বীকার করে কেউ নিস্কৃতি পাবেন না।

(মূল নিবন্ধ থেকে ঈষৎ পরিবর্ধিত ও পরিবর্তিত। মূল নিবন্ধটি পড়া যাবে বিডি নিউজ ২৪-এর “মতামত বিশ্লেষণ” অংশে)

১,১৫৮ বার দেখা হয়েছে

৫ টি মন্তব্য : “একটি মূলধারার রাজনৈতিক দল হিসাবে গড়ে উঠার প্রক্রিয়া ও গণজাগরণ মঞ্চের অবস্থান”

  1. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    চমৎকার একটি লেখা।

    আপনার কাছে একটা অনুরোধ ভাইয়া, লেখা অন্য কোথাও প্রকাশিত হওয়া মাত্রই এখানে পোষ্ট করুন।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : পারভেজ (৭৮-৮৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।