Most বেয়াদব জুনিয়র- পার্ট টু

আমাদের Alternate ব্যাচ এর তখন অনেক দাপট চলছে। SSC-র সময় সিনিয়র আপারা ওই ব্যাচকে সাধারনত ঘাটাঘাটি করতেন না। তার উপর ৪তলা পুরোপুরি SSC candidatesদের দখলে হওয়ায় ওনারা তার যথাযোগ্য ব্যবহার শুরু করলেন। আমরা কয়েকজন ছিলাম ওনাদের প্রিয় পাত্রি। rest time, free time থেকে শুরু করে lights off এর আগ পর্যন্ত বিভিন্ন কায়দায় ওনারা আমাদের torture করার উপায় আবিস্কার করতে থাকলেন।

একদিন games time এ আমরা বাস্কেটবল খেলছি। সেদিন অনেক বৃষ্টি হবার কারনে ground এর অনেক জায়গায় পানি জমে ছিল। খেলতে খেলতে বল বাইরে চলে যাওয়ায় আমি দৌড়ে বল আনতে গেলাম। ওইদিকে কিছু ssc candidate আপারা হাটাহাটি করছিলেন। তো বল ধরার পর আসার সময় দেখি একটা জায়গায় অনেকখানি পানি জমে টলটল করছে। স্বভাবসুলভ ভাবে আমি সেখানে ৩ ৩টা লাফ মারলাম। পানি ছিটকে আমার trouser এ লাগলো…ভারি মজার ব্যাপার!

games time এর পর হাউসে আসতেই ডাক পরল ৪তলায়। আমার দোষ হল-বৃষ্টির পানিতে ৩বার লাফ দেয়া!! গিয়ে দেখি পলেনও punishment খাছছে। আমাকে বলা হল উচ্চাঙ্গ সঙ্গিত গাইতে (কেন যে মারিয়া আপাকে নিয়ে গান গাইসিলাম!!!) আমি বললাম আপা উচ্চাঙ্গ সঙ্গিত তো পারিনা। বাঁধন আপা বললেন, singing competition গুলাতে এত গান হয়, ১টাও শিখতে পারলানা এত দিনে! kneel down হয়ে থাক তাইলে। ওদিকে পলেনকে  punishment দেয়া হল আজান দেয়া! আর পলেন সবাইকে অবাক করে দিয়ে আজান শুরু করল…

আপাদের মুখ দেখে আমি আর হাসি আটকে রাখতে পারলাম না। হাসি চেপে রাখতে গিয়ে হঠাৎ বের হয়ে গেলে যেরকম বিশ্রি শব্দ বের হয়, সেরকম কিছু ১টা বের হয়ে গেল! আর সেটা শুনে পলেনও হাসা শুরু করল। তারপর আমাদের কি হল আর বলার অপেক্ষা রাখেনা… আর এভাবেই আমি আর পলেন দোষ করে বা না করে বকা খেতে এসে ১টা না ১টা উটকো fault করে punishment খেতে থাকলাম দিনের পর দিন।

২,৩৫০ বার দেখা হয়েছে

২৩ টি মন্তব্য : “Most বেয়াদব জুনিয়র- পার্ট টু”

    • অর্চি (৯৯-০৫)

      Thnx!বাকি আরও কিছু পর্ব লিখার ইছ্ছা আছে,সময় পেলেই শুরু করব ইনশাল্লাহ।

      কেন জানি অর্চি নামটা 'জনসম্মুখে প্রদর্শিত নাম' এর জায়গায় শো করতেসেনা!হয় পুরা নাম নয়তো ইংরেজীতে নিক নেমটা আসে!

      জবাব দিন
      • জিহাদ (৯৯-০৫)

        প্রোফাইল ফিল্ডে যে দুটো নামের অপশন আছে তাদের একটা হচ্ছে পুরো নাম, আরেকটা ক্যাডেট নাম। নর্মালি এই ব্লগের সবাই হয় পুরো নাম অথবা ক্যাডেট নাম ডিসপ্লেতে ব্যবহার করে। তোমার ক্ষেত্রে ঝামেলা হল অর্চি নামটা না তোমার পুরো নাম, না তোমার ক্যাডেট নাম। তুমি চাইলে রিদওয়ানা রাখতে পারো। অথবা পুরো নামের ফিল্ডটাতে শুধু অর্চি লিখে প্রোফাইল আপডেট কর। তাহলেই ড্রপডাউন লিস্টে অর্চি নামটা আসবে।


        সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

        জবাব দিন
  1. তৌফিক (৯৬-০২)

    আফামনি, আফনে মনে অয় আমার মতন আছিলেন। আমিও পানিশমেন্ট কম খাই নাই। সিনিয়র, অথরিটি কেউ আমারে ভালা ফাইত না। সবাই পাংগাইত। প্রথম কিছুদিন টেরাই করছি যাতে পাংগা কম কম খাই, এরপর দেখি লাভ হয় না, সুতরাং হাল ছাইড়া দিয়া কেমতে সিনিয়ার আর অথরিটির জীবন দুঃসহ কইরা তোলা যায় তা আমার ক্যাডেট জীবনের লক্ষ্য কইরা নিছিলাম। ফলাফল, সিনিয়ারদের কর্তৃক মাইর, পাংগা আর অথরিটির এক্সট্রা ড্রিল। পরে ভাল হয়া গেলেও কালারড হয়া গেছিলাম আগেই। সুতরাং যে কোন কুকর্ম কে করছে এইটা তদন্ত করার সময় আমার ডাক আগের দিকেই পড়তো। কি আর করা! এই কারণে এই ব্লগে আমার লগ ইন নেম হইল নন্দঘোষ।

    জবাব দিন
  2. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    অর্চি আপু,তোমার এই কাজগুলাকে আমরা জেসিসির ভাষায় বলতাম "ঘাউরামি"।অনেক স্মৃতি মনে করায় দিলা......শারেক পাগলাটা কেমন আছে?ওকে বলছ এই ব্লগের কথা?তাড়াতাড়ি জয়েন করতে বল...

    জবাব দিন
    • অর্চি (৯৯-০৫)

      ১ম ১ম ছিলাম ব্যাড লাকের শিকার...পরেরগুলা অবশ্যই ‘ঘাউরামি’কারন coloured হয়ে আর কতদিন থাকা যায়!তৌফিক ভাই এর ভাষায়, "কেমনে সিনিয়ার আর অথরিটির জীবন দুঃসহ কইরা তোলা যায় তা আমার ক্যাডেট জীবনের লক্ষ্য কইরা নিছিলাম।" ঘাউরামির কাহিনী খুব তাড়াতাড়িই শুরু করব। 😀

      শারেকের কথা আর বলেন না। ওর মত আলসের দ্বারা ফেসবুক, ব্লগ কোনোখানেই জয়েন করানো সম্ভব না। 🙁 আমি অনেক বলসি, এখন আপনারা বলেন...

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : তৌফিক (১৯৯৬-২০০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।