একজন পর্বতারোহী ও কিছু কথা ৫

(২৯-১১-০৯ এর বাকি অংশ)

পারভেজের জ্বরটা আমাদের দুজনের বেইস ক্যাম্প আসার পথের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়, এর মধ্যে আরো কিছু ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় এক স্যার ফল ইন করিয়ে সবাইকে বলে দেন যে পরের দিন(আজ) একটা টিম কে আবার বাক্ষিমের দিকে পাঠিয়ে দেয়া হবে যখন বাকি সবাই রওনা দিবে বেইস ক্যাম্পের উদ্দ্যেশে। স্যারের কথা বলার ধরনটাও ঠান্ডা, কারণ খুব সম্ভবত এটাই যে এ পর্যায়ে এসে বেইস ক্যাম্পের পথে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাকে নিচে পাঠাতে গেলে তা পুরো কোর্সের জন্যই ক্ষতিকর। যাই হোক, এয়ার ফোর্স, বেসিক এবং ITBP কোর্স হতে মোট ৬ জন বাক্ষিমে ফিরে যাবে কাল রাতেই তা ঠিক হয়ে যায়। পারভেজ আর আমার মধ্যে একটা অলিখিত চুক্তিনামা আমরা সেই ঢাকা ছাড়ার আগেই করে এসেছিলাম, এবং তখন আমাদের সম্পর্কটাও এত মজবুত ছিলনা। যাই হোক না কেন, আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব আর একে অন্যের খেয়াল রাখবো। দায়িত্বের দিক থেকে আমি নিজে খানিকটা দুর্বল প্রকৃতির, এজন্য কাল রাতে আমি ভেতরে ভেতরে প্রচন্ড ভয় পেয়ে যাই।
রাত হতে হতে পারভেজ নিজেও বেশ ভেঙ্গে পরে। পাহাড়ে আবার বিকালের পর পরই রাত। যাই হোক, তাবু থেকে ওকে বের করা গেলো না। দেবাশীষের তাবুতে গিয়ে ওর সাথে কথা বলে জানালাম আমাদের অবস্থা। ওর অভয় পেয়ে খানিকটা আত্মবিশ্বাস পেলেও বুঝলাম পারভেজ নিজে চলতে না পারলে ওকে সাহায্য করার কেউ নেই, তবে মনের ভেতরে হলেও বিশ্বাস ছিল যে ও ঠিকই আমাদের সাথে পৌছে যাবে বেইস ক্যাম্প। রাতের খাবারের ডাক পড়লো, মেসটিন নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম লাইনে। তাবুতে গিয়ে পারভেজের সাথে ভাগ করে দুজনে মিলে খেয়ে ফেললাম রাতের খাবার, আমার শারীরিক অবস্থা ভাল থাকলেও কেন যেন খুব একটা ভাত খেতে পারলাম না। সমস্ত চিন্তা তখন কিভাবে ভাল একটা ঘুম দেয়া যায় সেদিকে। যংরীতে সেরকম ঠান্ডা, ঘুমের জন্য সেটা হয়ে দাড়ালো একটা বড় বাধা। কিন্তু আমাদের তাবুতে একজন মানুষ বেশী হওয়ায় ঠান্ডা থেকেও বড় বাধা হয়ে দাড়ালো ঘুমানোর জায়গা। গায়ে ফেদার জ্যাকেট, মাথায় মাংকি ক্যাপ একদম কান পর্যন্ত, তারপর স্লিপিং ব্যাগের ভেতর ঢুকে দুহাত বুকে রাখার পর পাশে ফেরার মত আর জায়গা নেই। কোর্সে আসার পর প্রথমবার বাসার কথা খুব তীব্রভাবে মনে পড়তে লাগলো। শুয়ে শুয়ে এরকম আরো অনেক কথা ভাবলেও বেইস ক্যাম্পের চিন্তা আর করছিলাম না। মন থেকে ওটাকে দূরে রাখাটাই মনে হচ্ছিল বুদ্ধিমানের কাজ। ঘুম মোটেও ভাল হলো না। সারারাত কয়েক দফা ঘুম ভাংগার পর সকালে হটাত করেই ডাক। চোখ মেলতেই দেখি অনেকেই উঠে পড়েছে এবং দু-একজন ছাড়া আর কেউ ঘুমিয়ে নেই, তাড়াহুড়া করে উঠতে গিয়ে পারভেজকেও ঠিক মত ডাকা হলো না, কয়েকবার ডাকার পর ভাবলাম আগে মুখ ধোয়া দরকার। বাইরে দেবাশিষ কে দেখলাম কিছুটা অপ্রস্তুত অবস্থায় ব্রেকফাস্ট আনতে যাচ্ছে। অন্যান্যদের দেখে বুঝলাম আমরা ভালই লেট। পারভেজও এর মধ্যে উঠে গেছে, দৌড়ের উপর ব্রেকফাস্ট আনতে আনতে দেখি আমাদের তাবু লেট হওয়ায় স্যার এসে চেচামেচি করছে, কোনমতে অর্ধেক খেয়েই তাই তাবু গুটানোর কাজে হাত লাগাতে হলো। পারভেজের অবস্থা আরো খারাপ, ব্রেকফাস্ট বলতে গেলে কিছুই খেতে পারলো না ছেলেটা।
17064_412752215133_717635133_10531391_7520528_n

আজকের দিনের ট্রেকের শুরুটা ছিল আমার আর পারভেজের সবচাইতে বাজে শুরু। পুরো কোর্সে সবার পিছে আমরা দুই ভাই। দুজনেরই প্যাকিং এর প্রবলেম। ট্রেকিং এর ৫ মিনিটের মধ্যেই আবিস্কার করলাম আমার প্রিয় ডাইরিটি রুকস্যাক এর পিছনের দিকে আমার পিঠে লাগছে। আর পারভেজ ওর ফেদার জ্যাকেট রুক্স্যাক এ ইন্সটল করতে পারছেনা। তাই থেমে আমরা দুজনে ব্যাগ গোছাতে গোছাতে পাবলিকের দূরে চলে যাওয়া দেখা ছাড়া আর কোন কাজ নেই। একজন স্যার আমাদের দুজনকে বিভিন্ন ভাবে তাড়া দিতে লাগলেন। কেন যেন খুব ভয় পেয়ে গেলাম। পারভেজ কিছু না বল্লেও ওর মুখের দিকে তাকিয়েই বুঝে নিলাম ওর মনের অবস্থা। আমার ভয় তাই ওকে বুঝতে না দিয়ে হাসলাম। জবাবে হাসি দেখে একটু সাহস পেলাম মনে।
অন্যদের প্রায় ১০ মিনিট পিছে চলা শুরু করলাম আমরা দুজন, তবে ২০ মিনিট চলার পর স্লোওয়াকার গ্রুপকে ঠিকই ধরে ফেললাম দুজনে। বেইস ক্যাম্পের কথা চিন্তা করতে লাগলাম। ঠিকভাবে পৌছানো মানে ট্রেনিং এর অর্ধেক অংশ পার করা। যতভাবে মনের চিন্তা অন্যভাবে সরানো যায় সবরকমের চেষ্টা করলাম। ঢাকার কথা ভাবতেই কেমন যেন অন্যরকম মনে হলো, যেই শহুরে জীবনের উপর বিতৃষ্ণা আমার এই পাহাড়ে আসার অনুপ্রেরণা সেই জীবনের প্রতি এক অচেনা আকর্ষণ অনুভব করতে লাগলাম। এটা সেটা নিয়ে পারভেজের সাথে কথা হচ্ছিল। আমাদের সাথে ছিল ROPE 3 এর সেনাবাহিনীর একটা ছেলে কথায় কথায় ২৫ ফেব্রুয়ারীর কথা তুলে জিজ্ঞেশ করতেই আমরা কিছুটা বিব্রত হয়ে গেলাম। পারভেজ আর আমি দুজনেই সেনা পরিবার হতে এসেছি। পারভেজের বড় ভাই ও একজন ক্যাডেট এবং এখন সেনাবাহিনীর চাকুরিরত কর্মকর্তা। এজন্য এ বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে পূর্বেও আলাপ হয়েছে। ছেলেটার মুখে প্রশ্নটা শুনে প্রচন্ড ছোট মনে হলো নিজেকে। কি জবাব দেব তাকে ? যেই বিষয় নিয়ে আমি নিজেও ভাবতে চাইনা, কারণ তো একটাই। আমরা মুখে অনেক কথা বলতে পারি কিন্তু ভেতরে ভেতরে আমরা সবাই কাপুরুষ। নিজের সুখটা আমাদের কাছে সবচাইতে বড়, কি দরকার তাই এসব ভেবে নিজের সুখ নষ্ট করার। কত কিছু পণ করেছিলাম ঘটনার পরের সেই সাতদিন এই করব, সেই করব, তাহলে কি আগেই জানতাম যে এমন একদিন সময় আসবে যখন এসব কথার আর কোন মূল্য থাকবে না! এজন্যই কি এত বড় বড় কথা বলেছিলাম ? নিজের উপর আর দেশের “সাধাসিধা” মানুষের ওপর ঘৃনা হয় যখন ভাবি যে ঘটনার পিছে যে বা যারাই থাকুক তারা এখন খবরের কাগজ পড়ে আর অট্টহাসি হাসে বোকা বাঙ্গালির বোকামি দেখে। আগামী বছরগুলোয় তাদের ভবিষ্যতের নিল নকশা বাস্তবায়ন করা যে কোন ব্যাপারই না, তা মনে করে নিশ্চয়ই কুৎসিত আনন্দে মেতে ওঠে তাদের মন। ঘিন্না লাগে নিজের গোটা অস্তিত্তের উপর।
অনেক কিছু তবু মেনে না নিয়ে উপায় নেই। মানুষের মন বড় অদ্ভুত। যত বড় ট্র্যাজেডিই হোক না কেন সে তা ঠিকই বড় কোন পাথরের আড়ালে চাপা দিয়ে রাখে। মাঝে মাঝে গলায় কিছু একটা আটকে আসে, হয়ত চোখ থেকে দু ফোটা অশ্রুও মাটিতে পড়ে। তবে সেটা দেখে পাছে কেউ দুর্বল না ভেবে বসে, আবেগকে প্রশ্রয় দেয়া যে সবথেকে বড় দুর্বলতা।
17064_412752240133_717635133_10531394_3699370_n

চা বিরতির পর ট্রেকিং টা প্রচন্ড কষ্টদায়ক হয়ে উঠল। পাহাড়ের খুব সরু ট্রেইল দিয়ে চলা শুরু হলো। দেবাশীষ পারভেজকে নিয়ে চলছে, ওদের পেছনে আমি। সমস্ত মনোযোগ ট্রেইলে থাকা খুবই জরুরী, কারণ পা পিছলে গেলে প্রায় ১০০০ ফিট এর মতো পাহাড়ের ঢাল বামদিকে। শ্বাস নেয়াটা এ পর্যায়ে সবথেকে কঠিন হয়ে পড়ে। আশেপাশে অনেককেই দেখি কাশতে। দূর থেকে বেইস ক্যাম্প এর হাটটা আমরা দেখতে পাই এর একটু পরই। মনে আশা জেগে ওঠে, আর হয়ত বেশ একটা দূরে নেই । সবাই যেন কিছুটা শক্তি পায়।
বরফে ঢাকা পাহাড় গুলোও হটাৎ তাদের অস্তিত্ব জানান দিয়ে উঠে আমাদের চারপাশের পাহাড়গুলোর মাথার উপর দিয়ে। আজব ব্যাপার হলো, আজ কাউকেই ক্যামেরা বের করতে দেখিনা। সবার লক্ষ্য ওই বেইস ক্যাম্প। বরফ গলা পানির স্রোত পার হতে হতে চিন্তা করছিলাম বেইস ক্যাম্প কেমন না জানি হবে। এর কিছু পরেই আবার আগের দিনগুলোর মত অবস্থা। পা আর চলতে চায়না। সময়ের জ্ঞ্যান তারও কিছু আগে হারিয়ে ফেলেছি। আজই প্রথম দেখলাম যে আমাদের সাথে ফোর্সের কিছু ছেলেও আছে। এক পর্যায়ে আমি আবারো সেই একা। সামনে পিছে ছোট কিছু গ্রুপ থাকলেও তাদের সাথে যোগ দিলাম না। তবে মাঝে মাঝেই কয়েকজন কে পেলাম আগে পরে, বেইস ক্যাম্পের ঠিক আগে শুরু হলো বড় বড় পাথর। সেগুলো পার হওয়া আবার বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। পেট ব্যাথা শুরু হয়ে গেলো। একবার পানি খেয়ে ঠিক করলাম আর থামবো না পৌছানোর আগে। পাথরের অংশটা পার হওয়ার পরেই দেখি ভলান্টিয়ার কিছু ছেলে ফিরে আসছে অন্যদের সাহায্য করার জন্য। তবে আজ আমার থেকে কেউ ব্যাগ চাইলো না।
dscn0235

বেইস ক্যাম্প পৌছাতে আরো আধা ঘন্টা লেগেছিলো এরপর। হাট পর্যন্ত পৌছানোর পর তেমন কিছু মনে নেই আমার। শুধু দেখি দেবাশীষ এসে আমার রুকস্যাক থেকে ম্যাট্রেস টা নিয়ে দোতলা বিছানায় আমার জন্য একটা জায়গা সিকিউর করলো। ২০ মিনিট পর পারভেজও পৌছে গেল এখানে।
OgAAAGZYvf2X39XLlNIUy4zVj603T_KocZsmR8gWeAybOECw41HfGkTASB8P9Ck85yHRJO5lfm7Mg2Nqjv5cDd41C1MAm1T1UFv2LVz2Q6Fw3dkYPsmzB7qvH_Ka

তারপর কিছুক্ষণ শুধু পড়ে থাকা, সকল আবেগ, সকল চিন্তার উর্ধে। যেন জীবনের সব অর্থ এই পড়ে থাকার মধ্যেই। আমার কোন অতীত নেই, ভবিষ্যত নেই, শুধু সেই মুহুর্তটা। আমার আগে পরে যেন কেউ নেই। ঘন্টার শব্দে এই শূন্যের জগৎ থেকে ফেরত আসি। লাঞ্চের ঘন্টা। ঈদের দ্বিতীয় দিনেও কোম মাংস জোটে না আমাদের কপালে। তবে দুটো ডিম আর সবজি দিয়ে ভাত টাকে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এই অল্প কদিনে যেন এক জীবনের অভিজ্ঞতা হয়ে গেল আমার, পৌছে গেছি বেইস ক্যাম্পে। একটা না একটা গ্রেড ঠিকই নিয়ে যাচ্ছি এখান থেকে। এটুক যেহেতু ঠিক মতই করেছি, এ গ্রেডের জন্যও নিজের সবটুকু দিয়ে দেব। আমরা অনেক কিছু উপেক্ষা করে এ পর্যন্ত এসেছি। ভাল কিছু একটা না নিয়ে যেতে পারা মানে সারা জীবন নিজের কাছে ছোট হয়ে থাকা। জীবনে ভুল করেছি বেশ কয়েকবার, ভুল থেকে শিক্ষাও পেয়েছি, নিজের কাছে ছোট হয়ে থাকার চাইতে কোন ভুলই বড় নয়, এটুকু জানি।

বেইস ক্যাম্প

বেইস ক্যাম্প

সামনের কটা দিন তাই হেসে খেলে কাটালে হবে না, নিজেকে এ কথা মনে করিয়ে দেই। বিকাল শেষ হলেই রাত। আর রাতে চারপাশের পাহাড়্গুলো কেমন দেখাবে ভাবতেই শিহরিত হয়ে উঠি। চা খাওয়ার সময় হয়ে এলো প্রায়। পানি, চা হরলিকস, মাল্টোভা এগুলো কোনভাবেই পাস করতে নেই এ জায়গায়। পানি কম হওয়া মানেই AMS (Acute Mountain Sickness) এর সম্ভাবনা। আর সবকিছুর উপর নিয়ন্ত্রন থাকলেও এই একটি জায়গায় এসে সব পর্বতারোহী কেবল প্রার্থনাই করতে পারে যেন তার AMS না হয়।

৩,২৪৭ বার দেখা হয়েছে

৩২ টি মন্তব্য : “একজন পর্বতারোহী ও কিছু কথা ৫”

  1. তানভীর (৯৪-০০)

    ওমর...চমৎকার লিখেছ।
    এই বরফে ঢাকা পাহাড়গুলোকে দূর থেকে দেখতে খুব ভালো লাগে, জানি না একদম কাছ থেকে দেখতে কেমন লাগে!

    নিজের কাছে ছোট হয়ে থাকার চাইতে কোন ভুলই বড় নয়, এটুকু জানি।

    এই কথাটা খুব ভালো লাগল। 🙂

    জবাব দিন
    • ওমর (৯৫-০১)

      অসংখ্য ধন্যবাদ তানভীর ভাই, একদম কাছ থেকে দেখলে মাথা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়াবহ সম্ভাবনা থাকে। এখন বস, দুনিয়ার কিছু আর ভালো লাগে না, শুধু কেউ যদি কিছু পয়সা দিত তবে আমি প্রতি তিন মাসে একবার কোর্সে যেতাম।
      দোয়া করবেন ভাইয়া।

      জবাব দিন
    • ওমর (৯৫-০১)

      যাওয়া যায় বস, তবে ল্যান্ড করার কিছু সময়ের মধ্যেই আপনি AMS এ আক্রান্ত হবেন, যেটার একমাত্র চিকিৎসা হলো নিচে নামানো। আমাদের এক স্যার বলেছিলেন, AMS হো গেয়া তো উস্কা ট্রিটমেন্ট স্রেফ- descend descend descend। 😀

      জবাব দিন
  2. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    ওমর আমি কিছুদিন আগে Into Thin Air (Jon Krakauer) পড়লাম। ১৯৯৬ সালে স্কট ফিশার আর রব হলের দুটো দলের যে ছয়জন মারা গেল সে সময়টার অভিযান নিয়ে লেখা। নেপালের দিক থেকে পুরো রুটটা আমার এখন মুখস্ত হয়ে গেছে। বইটা পড়ার সময় মনে হচ্ছিল সাধ করে এতো এতো পয়সা খরচ করে মানুষ এই কস্টের মধ্যে দিয়ে যায় কেন? এটা মনে হয় এক বিরাট নেশা।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
    • ওমর (৯৫-০১)

      আপু , Into Thin Air আমার জীবনকে পালটে দেয়া একটি বই, Krakauer এভারেস্ট এ চড়ার যে বর্ণনা করেছিলেন তা পড়ার পরই প্রথম স্বিদ্ধান্ত নেই যে, এভারেস্টে উঠতে হবে। আর, ঠিক ধরেছেন আপু , এটা অনেক বড় একটা নেশা, মাথার মধ্যে একবার ঢুকে যাওয়া মানে নিজের ভেতরের পাগলটার সাথে প্রথমবার পরিচয় হওয়া।
      লেখকের সবগুলো বই আমি এরপর পড়ে ফেলেছি। Into The Wild নামে বইটা পরে চলচিত্রেও রূপ পেয়েছে। অসম্ভব সুন্দর করে লেখা একটি বই।
      অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে। দোয়া করবেন এই ছোট ভাইটার জন্য।

      জবাব দিন
  3. আব্দুল্লাহ্‌ আল ইমরান (৯৩-৯৯)

    আবেগকে প্রশ্রয় দেয়া যে সবথেকে বড় দুর্বলতা

    অসাধারণ লেখা এবং এডভেঞ্ছার। :clap:
    ভার্টিকাল লিমিট এবং ক্লিফহ্যাংগার দেখে অনেক রোমাঞ্ছিত হয়েছি।আর এটা ত বাস্তব। (সম্পাদিত)

    জবাব দিন
    • ওমর (৯৫-০১)

      হেহে, দোস্ত চিট-কোড দিয়া খেইলা মজা নাই কোন। উপরে দাড়ানোর চাইতেও উঠার রাস্তাটা বেশি মজার। আর চিট-কোডের দরকার কিসের বেটা ? এখনো তো যৌবন পুরা বাকি, সেদিন না মাত্র কলেজ থেইকা বাইর হইলাম দোস্ত। :grr:

      জবাব দিন
  4. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    অসাধারণ, দারুণ- এমনসব বিশেষণ এতো ব্যবহার হয়েছে যে, নতুন করে বলতে খারাপ লাগে। ঠিক কি বলবো বলো তো? তোমার সবগুলো পর্ব একসঙ্গে পড়ে ফেললাম মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে। অভিনন্দন ওমর। :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:

    হিমালয় অবশ্যই একদিন তোমার পায়ের নিচে থাকবে। আর আমরা তোমার লেখার সঙ্গে করে ওই শৃঙ্গটাও বেরিয়ে আসবো। তোমাকে পারতেই হবে। আগাম শুভকামনা।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
    • ওমর (৯৫-০১)

      ভাইয়া, আমাকে আর লজ্জা দিবেন না, শুধু দোয়া করবেন যেন একদিন শুধু হিমালয় নয়, পৃথিবীর সবথেকে দুর্গম শৃঙ্গগুলো জয় করে আসতে পারি, তারপর তা সবাইকে জানাতে পারি, আপনাদের আশীর্বাদ আমাকে একদিন ঠিকই পৌছে দেবে আমার গন্তব্যে, এটা আমিও বিশ্বাস করি ভাইয়া। অনেক, অনেক, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : শহীদুল আহসান (১৯৯৫-২০০১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।