একজন পর্বতারোহী ও কিছু কথা ৪

বেইস ক্যাম্প হাট

বেইস ক্যাম্প হাট


২৯-১১-০৯
আমার জীবনের সবচাইতে কঠিন দুটি দিন পার করে আমি এখন hmi বেইস ক্যাম্প এ । তবে কেন যেন মনে হচ্ছে আমি এদুদিনের কষ্ট খানিকটা মনে করতে পারলেও তা লিখতে পারবোনা। এ যে ভাষায় প্রকাশ করার মত না। জীবন আমাকে সামনে কোথায় নিয়ে যাবে তা বলতে পারিনা, তবে এটুকু জানি যে, এই দুদিনের কষ্টটুকু আমার ভোলা চলবে না, কিছুতেই না। এত কিছু পার করে যেখানে আমরা আসলাম তার জন্য অবশ্য আমার এই ৩৫০ পৃষ্টার ডাইরি খুবই ছোট। বিশাল বিশাল পর্বত দিয়ে ঘেরা ট্রেনিং বেইস ক্যাম্প, বিশ্বাস হতে চায়না, সৃষ্টিকর্তা আমার এই ছোট্ট ভাগ্যে এত বড় একটা জিনিস লিখে দিয়েছিলেন। ভাগ্য নিয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে যে কোন ধরনের বিচার চাওয়ার অধিকার হয়ত আজ হারিয়ে ফেললাম আমি।

Base camp

Base camp

এ যেন আমাদের চিরচেনা পৃথিবীর বাইরের আরেক পৃথিবী, চাঁদে পা রেখে কি এমনই মনে হয়? আমাদের হাটের ঠিক বাইরে একটা বড় পাথরে বসে চা খাওয়া, একটা কাজ শেষ করার আনন্দ আর লাগামছাড়া আবেগ সব কষ্টের চাইতে বড়। অদ্ভুত এ সৌন্দর্য, আর কিছুটা দুঃখ, কাছের মানুষগুলো কাছে না থাকার। হয়ত জীবনের এটাই নিয়ম, প্রত্যেক কে ছুটে যেতে হবে তার নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে একাকী। পথে ক্ষনিকের সাথী হবে কেউ কেউ, একে অন্যের অজান্তেই ছাপ ফেলে যাবে তার জীবনে। এ যেন বাস স্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় হটাত রাস্তার উল্টোদিকে চোখ আটকে যাওয়া একা সেই মেয়েটার মত । কেন যে তার উপর চোখ আটকে গেল তাই ভাবতে শুরু করেছি, কঠিন বাস্তবতা হর্ন মেরে জানান দেয় যে এই বিরাট পৃথিবীতে আমার গন্তব্য মেয়েটার ঠিক উল্টোদিকে । স্বপ্ন দেখা তাও বন্ধ হয়না। মাঝে সাঝে কেমন যেন একটা ব্যথা বুকে আঘাত করে, যার মধ্যেও আমি সুখ খুজে পাই, অনুভব করি যে আমি জীবিত, এই মুহূর্তে আসলেই অনেক বেশি জীবিত। চারপাশে উঁচু উঁচু অদ্ভুত সব পাহাড়, অপার্থিব সৌন্দর্য, আজ আমি আসলেই অনেক অনেক জীবন্ত!
বাক্ষিম হতে আমরা যংরীর দিকে যাত্রা শুরু করি কাল সকাল ৬ টায়। তার আগে আমি, পারভেজ আর নিরাজ একবার করে কোলাকোলি করে নেই। আমাদের ঈদ বলতে গেলে অতটুকুই। আমি আর পারভেজ ছাড়া পুরো কোর্সে নিরাজ শাফীই একমাত্র মুসলিম। যাই হোক, বাক্ষিম হতে যংরী পর্যন্ত শুধু ৭ মাইল, শুনলে তেমন কিছু মনে হয়না। সকালে আমাদেরকে দেয়া হাই ক্যলরীর নাস্তা দেখে সন্দেহ হয়নি তা বলবোনা। তবে ভেবেছিলাম যে কাল চোখা পর্যন্ত যতদুর গিয়েছি, হয়ত তার দ্বিগুন হবে আরকি। যংরী পর্যন্ত উচ্চতা হলো ১৩৫০০ ফিট। টেকনিক্যালি AMS ( Acute Mountain sickness) শুরু হয় এই ১৩০০০ ফিট এর আশেপাশেই, এজন্য মাথা ব্যথা, চোখে ঝাপশা দেখার ব্যপারে স্যাররা আমাদের আগেই সাবধান করে দিলেন, বললেন ভয়ের কিছু নেই, তবে মেডিক্যাল অফিসার কে জানাতে হবে অবশ্যই। বাক্ষিম হতে ফেরত গেল আর্মির এক ছেলে, প্রচন্ড কালো হওয়ায় যাকে সবাই ডাকতো মাকালু বলে। শুরু হলো ট্রেক। মনকে অনেকভাবে বোঝাতে শুরু করলাম যে আজ কোন ভয় নেই, ৭ মাইল মাত্র, দেখতে দেখতে শেষ হয়ে যাবে। এভাবে চোখা পর্যন্ত পৌছতে লাগলো দেড় ঘন্টা। এটা হলো বেইস ক্যাম্প এর আগে সর্বশেষ জায়গা যেখানে একটা দোকান আছে, সব রকমের জুস আর মোমো, চাওমিন এগুলো পাওয়া যায়। অবাক লাগে ভাবতে যে ইয়াক এর পিঠে করে এতদূর এত কিছু নিয়ে আসে ওরা। কত কঠিন এই পাহাড়ের জীবন। তবে এদিন আর কারোর মোমো খাওয়ার সময় নেই, সবার লক্ষ্য যংরী। ১০ মিনিটের রেস্ট যেন জীবনের সবচাইতে বড় আনন্দগুলোর একটি। চোখা জায়গাটা সুন্দর। বাক্ষিমের মত অন্ধকার নয়, অনেক রোদ, একটু হয়ত বেশিই। চোখা থেকে রাস্তা একটু খারাপ হওয়া শুরু, সবাই এক দুইবার আছাড় খাওয়ার পর সাবধান । এক ঘন্টা আরো পার হওয়ার পর রাস্তায় ছোট ছোট পাথর, এবং সমতল বলতে গেলে শেষ। রুক্সস্যাক না থাকলে এটা আমার জন্য কিছুই ছিলনা, এই ব্যাগটাকে নিয়ে চিন্তার যেন শেষ নেই কারোর। পথে এয়ার ফোর্সের মোটা একটা মেয়েকে দেখলাম অবস্থা খারাপ, তারপরও মেয়েটি হাল ছাড়লো না, বরং ছেলেদের সাথে সমান তালে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় তার চোখেমুখে। ভাল লাগলো ব্যপারটা, কোথায় যেন পড়েছিলাম শক্তিশালী হওয়া থেকেও বড় ব্যপার নিজের মধ্যে শক্তি অনুভব করা। ছেলেবেলা হতেই আমাদের বড় করা হয় ওটা ধরোনা, ভেঙ্গে যাবে, পড়ে যাবে এইসব বলে। এখানেই তো পশ্চিমারা আমাদের থেকে এগিয়ে, বুঝলাম ভারত ও আপাতত আমাদের ধরাছোয়ার অনেক বাইরে।

চোখার সেই রাস্তা

চোখার সেই রাস্তা

হটাত দেখা যায় কাঠ পাতানো একটা রাস্তা। আর্মির একটা গ্রুপের এই রাস্তা নিয়ে আবার বেশ আলাপ। একজন বল্লো- জিসনে ভি ইয়ে রাস্তা বানায়া উসে ভাগওয়ান স্বার্গবাসী কারে, অপর একজন এতে আহত হয়ে বলে যে, বেটা তুই তো ওকে স্বর্গে পাঠিয়ে দিলি, তোর বলা উচিত ছিল যে সে যেন হাজার বছর বাঁচে। তো প্রথমজনের উত্তর, আরে ইয়ার ইয়াহা পার ইয়ে রাস্তা বানানে কে বাদ কই বান্দা জিন্দা ক্যাসে র‌্যাহেগা, ভাগওয়ান, তু উসে স্বর্গ মে জ্যাগা দেনা। আমি আর পারভেজ দুজনেই বেশ মজা পেলাম শুনে। এভাবেই যদি পৌছে যাওয়া যেত পুরো রাস্তা। চাইলেই কি আর সব হয়।

পাহাড় চড়া শুরু

পাহাড় চড়া শুরু


৪ ঘন্টা পর একটা ২০ মিনিটের বড় টি ব্রেক শেষে রাস্তা পুরোপুরি টেকনিকাল। কোথাও কোথাও পা পিছলে গেলে কি হবে সেটা আর ভাবতে চাইনা। আমি আর পারভেজ দুজন আলাদা। কিভাবে যেন কাল আলাদা একটা শক্তি অনুভব করছিলাম, অনেক কেই ক্রস করতে থাকলাম, একা একা ট্রেক করার মজাটা পেয়ে গেলাম, সব প্রেশার থেকে নিজেকে মুক্ত মনে হচ্ছিল তখন। এভাবে আরো চলতে থাকা, ১ টার দিকে ভ্যালি ক্রস করে একটা পাহাড়ের মাথায় চড়েছি, শুনলাম আর বেশি দূর নয় যংরী।

১০ মিনিট শেষ করে শেষবারের মত শুরু হলো পুশ। রাস্তা এখানে ভাল, তবে শরীরের সাপোর্ট একটু একটু কমে যেতে লাগলো, সেইসাথে শুরু হলো পেট ব্যাথা। আরেকটা সিভিল গ্রুপের সাথে যোগ দিয়ে চলা শুরু এবং হটাত করে যংরীতে চোখ, দেখতে বেশি দূরে নয়, কিন্তু এটাও বুঝলাম যে ২০ মিনিটের নিচে পৌছানো যাবে না। ঠিক ৩৫ মিনিট পরে দুপুর ২ টায় পৌছে গেলাম জায়গামত, প্রখর রৌদ্রের নিচে আমাদের জন্য টেন্ট করে ফেলেছে আগে আসা গ্রুপগুলো।

DZONGRI

DZONGRI


একটা টেন্টে নিজের জায়গা সিকিউর করা শেষে পারভেজের জন্য জায়গা রাখতে রাখতে দেখি ও চলে এসেছে। ওকে জাপটে ধরে বললাম যে দোস্ত, উই হ্যাভ মেইড ইট। যংরীর মায়েরে বাপ। তারপর সেখানে প্রায় ৩০ মিনিটের একটা স্পিড ন্যাপ শেষে লাঞ্চ ও অতঃপর আবার acclamatization এর জন্য বিকালে ১৪০০০ ফিট উচু কাছের যংরী পিক এ যাওয়া। পিক এর উপর থেকে দেখিয়ে দেয়া হলো আশপাশের সব বড় বড় পর্বতগুলো, দেখলাম কাঞ্চনজঙ্ঘা, ফ্রে এবং আরো বেশ কয়েকটা পর্বত শৃংগ। এরপর আমদের ফেলে আসা রাস্তার দিকে তাকিয়ে হা হয়ে গেলাম।

যংরী পিক হতে নিচের দৃশ্য

যংরী পিক হতে নিচের দৃশ্য

একটা বাচ্চা হওয়ার পর চোখ ফুটলে যেভাবে অবাক চোখে চায় আমার অবস্থাটা মনে হয় তাই হয়েছিল। নিচে দুই পাহাড়ের মাঝে ভ্যালী দিয়ে মেঘ আসছে, কি সুন্দর, দেখে মনে হয় যেন একটা সাগর দেখছি দূর হতে। যংরী পিক এ আমাদের এক স্যার পূজা দিলেন, এরপর নামছি, এর মধ্যেই কেমন যেন মাথা ব্যাথা শুরু, সেইসাথে বাতাসের প্রচন্ড ঝাপ্টা, শীতে কাপতে কাপতে নিচে নেমে শুনি পারভেজ এর জ্বর জ্বর লাগছে, এবং বেশ খারাপ অবস্থা বুঝে ফেললাম কিছুক্ষণের মধ্যেই, কেন জানিনা, ভয়ের একটা অনুভুতি বইয়ে গেল বুকের ভেতরে। আমার এই যে শর্দি ও কাশি, একমাত্র পারভেজ এর উপর ভরসা করে এতদূর এসেছি। ওর যখন এই অবস্থা, নিজেকে ঠিক অভয় দিতে পারলাম না যে ওকে আমি যেভাবেই হোক, বেইস ক্যাম্প পর্যন্ত নিয়ে যাবই। বুঝলাম, সামনে কঠিন একটা রাত পার করতে হবে আমাদের দুই বন্ধুকে।

চলবে

২,০৩৬ বার দেখা হয়েছে

২২ টি মন্তব্য : “একজন পর্বতারোহী ও কিছু কথা ৪”

  1. তানভীর (৯৪-০০)

    বর্ণনা আর ছবি- সব মিলিয়ে অসাধারণ হয়েছে এই পর্ব!

    মাচ্ছুপুচ্ছ্রের উপর সকালের রোদ দেখেছিলাম, এত সুন্দর যে ঠিক লিখে প্রকাশ করার মত না! গাড়িতে করে আরামে গিয়ে দেখেছিলাম- তাতেই কি বিস্ময় ছিল, আর তুমি তো নিজে কষ্ট করে উপরে উঠে এই সৌন্দর্য অনুভব করেছ!

    তো্মার এই সিরিজটা এখন আমার সবচেয়ে প্রিয় সিরিজ। :boss:

    জবাব দিন
    • ওমর (৯৫-০১)

      মাচ্ছুপুচ্ছ্রে বস আমার দেখা সবচাইতে সুন্দর পর্বত, প্রথমবার দেখে মনের মধ্যে সেকি উথাল পাথাল। পাহাড়ের সৌন্দর্যের কোন তুলনা হয়না বস।
      অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ, তানভীর ভাই। দোয়া করবেন বস। 😀 😀 😀

      জবাব দিন
  2. বন্য (৯৯-০৫)

    দারুণ ছবি তো!!ছবি দেখে যাইতে মন চায়....কিন্তু এত কষ্ট পোষাইব না।
    ওমর ভাই..এগিয়ে যান..আমরা আছি বাংলাদেশে। 😀

    যাই ঘুমের মধ্যে আপনার আগে এভারেষ্ট জয় করে আসি 😀

    জবাব দিন
    • ওমর (৯৫-০১)

      হা হা, আরে ভাই, কি যে বলো, ৬ বছরের সব কষ্ট, শিক্ষা আর ক্রস কান্ট্রি কি এত সহজে রক্ত থেকে মুছে যেতে পারে ?? ক্যাডেট দের জন্য পর্বতারোহণ কোন ব্যাপারই হওয়া উচিত না।
      গো অন, ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখা সাস্থ্যের জন্য উপকারী । 😀 😀

      জবাব দিন
  3. আশহাব (২০০২-০৮)

    এভারেষ্ট জয় করবার মঞ্চায় 😀 ভাই, আপনার সিরিজটা দারুন হচ্ছে :thumbup: পাহাড়ের সৌন্দর্য্যের আসলেই কোন তুলনা হয়না :boss:


    "Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
    - A Concerto Is a Conversation

    জবাব দিন
  4. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    এইরকম অন্য ধরনের শখ থাকা মানুষগুলো না থাকলে আমরা অন্য এডভেঞ্ছারের কথা জানবো কী করে?
    একদিন সব উঁচু পাহাড়ের চূড়া ছুতে পার এই আশায় আছি।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
    • ওমর (৯৫-০১)

      আপু, ইচ্ছা আছে আরো অনেক অনেক এডভেঞ্চারের কথা একদিন সবাইকে জানানোর, সেই লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি। 🙂
      আর আপু কি বলে যে ধন্যবাদ দেব আপনাকে, এর থেকে ভাল আশির্বাদ যে আর হতে পারে না, মাথা পেতে গ্রহণ করলাম। 🙂 🙂 🙂

      জবাব দিন
  5. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    দূর্দান্ত অভিজ্ঞতার দূর্দান্ত বর্ননা, সেই সাথে ছবি... ওয়াও... চালিয়ে যান :boss:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  6. আব্দুল্লাহ্‌ আল ইমরান (৯৩-৯৯)

    আগের পর্বগুলি পড়েছি সেই ইমপ্রেশনে আর গত পর্বে সবার ছবির দাবি মিটিয়ে এই ব্লগ ভালই লিখেছ মনে হল।তাই ৫ তারা দাগানোর লোভ/অপেক্ষা সামলাতে পারলামনা।তাই আগে দাগিয়ে তারপর পড়তে বসলাম।যংরী পিক থেকে দেখা পিকচার দেখে মর্তের কোন ছবি মনে হচ্ছেনা।এই ছবিটা আমার খুব ভাল লেগেছে।আমাদের ফৌজদারহাটের পিছনে ত আসলে আমাদের বাউন্ডারী নাই।পুরোটাই পাহাড়।হাউজের জানালা দিয়ে পাহাড় দেখে অনেক উদাস হয়েছি।আমার সবচেয়ে ভাল লাগত ক্রস কান্ট্রি প্রাক্টিস।কারন আমাদের পাহাড়ের উপড় দিয়ে দৌড়াতে হত ক্রস কান্ট্রি তে।প্রাক্টিস এ পাহাড়ে উপড় থেকে সমুদ্র দেখতাম মুগ্ধ বিস্ময়ে আর পুরো কলেজ।কয়েকটি টিলা পার হতে হত।টিলা থেকে নামার সময় খুব রিলাক্স লাগত।আর উপরে আমাদের কলেজ নীতি "কথা নয় কাজ"।আমরা রিইউনিয়নে গেলেও সবার টার্গেট থাকে পাহাড়ে যাওয়া।কলেজ পালিয়ে ত গিয়েছি।এই সামান্য পাহাড়ে পিকে গিয়ে যদি এত পুলকিত হই তাহলে তোমার টা ত কম্পনাই করতে পারিনা।আমি অবশ্য চিম্বুকের পিকে গিয়েছিলাম।দারুন লেখা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছি।আর তোমার জন্য গর্বিত হচ্ছি। :hatsoff: :boss:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ওমর (৯৫-০১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।