পোলা ত নয় সে ত আগুনের গোলা রে

দুটি কথাঃ অনেক বক্তব্যই অনেক জায়গা থেকে ধার করা।কেউ আবার মানহানির মামলা কইরেননা। বিশেষ করে লিভিং লিজেন্ড আনপ্যারালাল গুরুকে অনুসরণ করা হয়েছে।

হঠাৎ করে আলোর ঝলকানির মত বিশ্ববাসীর চোখকে ধাধিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যয়ী তরুন ক্রিকেটাররা,বাংলাদেশের সোনার ছেলেরা নিউজিল্যান্ডের মত বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তিকে পর পর ৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে পরাজিত করতে সমর্থ হলো।এটা বাংলাদেশের জন্যে, বাঙ্গালী জাতির জন্যে, বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষের জন্যে,অনেক গর্বের, অনেক বড় গৌরবের, অনেক বড় পাওনা,অনেক বড় স্বীকৃতি, অনেক বড় পুরস্কার ।এ এক ঐতিহাসিক ঘটনা, অবিস্মরনীয় ঘটনা, ঐতিহাসিক মুহুর্ত।
শাবাশ বাংলাদেশ ! শাবাশ বাংলাদেশ! তোরা সবে জয়ধ্বনি কর। ঐ নতুনের কেতন উড়ে, পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়,বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে ৪-০ একেবারে বাংলায় যাকে বলে চুনকাম করতে সমর্থ হয়। (ক রাঃ বলার দরকার আছে কি?) :gulli2:

ঐতিহাসিক দিন আসলে সেদিনই গিয়েছে যেদিন সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো। আমার কলিগ আমার হাতে একটি ভিআইপি গ্যালারীর টিকিট ধরিয়ে দিলেন। তাও আবার প্রেসিডেন্ট বক্স/হস্পিটালিটি এসি বক্স।আমি বললাম ধুর মিয়া,এই টিকিট দিয়া আমি কি করুম,একা খেলা দেইখা মজা নাইক্কা।আর ওখানে সব ওজন্দার,জ্ঞানী গুনী লোক বইসা থাকব।গালে হাত দিয়া খেলা দেখন লাগব।আসল মজাটাই ত পাবোনা।আমি ত গ্যালারীতে লাফালাফি করে খেলা দেখতেই অভ্যস্ত।তারপরো বললেন আমি ত যেতে পারবনা,তুমি যাও।ভাবলাম ঠিক আছে যাই পরিচয় হয়ে যাবে সবার সাথে।কিন্তু যা ভাবিনি-সেইরকম/জটিল/চরম/জোশ/ফাটাফাটি/বিন্দাস মজা হবে।সবার সাথে পরিচয় হলো।আমি টের পেলাম, যে গ্যালারীই হোক বাংলাদেশের জন্য উন্মাদনা সবারই মাত্রাতিরিক্ত। আমরা রীতিমত সবাই মিলে হৈ চৈ করেই খেলা দেখলাম। বিশেষ করে নূর আংকেল(সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী) আর ফারুকী ভাইয়ের(জয়েন্ট কমিশনার অফ ট্যাক্স-এনবিআর) সাথে পরিচিত হয়ে খুব ভাল লেগেছে। আসলে নূর আংকেলই(৭৩ নট আউট) জমিয়ে রেখেছিলেন।এই বয়সেও এত তারুন্য মুগ্ধ করেছে সবাইকে।সাকিবের ব্যাটিং এর সময় মমতাজের কালজয়ী গান ‘পোলা ত নয় সে ত আগুনের গোলা রে’ হচ্ছিল।আমরাও সবাই চিৎকার করে গাইছিলাম কারন তখন সাকিবকে ত আগুনের গোলাই মনে হচ্ছিল।পাশের বক্সেই পাইলট,বাশার আরো অনেকেই খেলা দেখছিলেন।ওনাদের সাথেও দেখা হলো।

সবচেয়ে তরুন দুজন।একজন বয়সে আরেকজন মননে


অবসর জীবনে সুখী আসিফ ভাই,ফারুকী ভাই,আমি

আর টাইগাররা যা খেলেছে অতুলনীয়।সাকিবের দুর্দান্ত সেঞ্চুরী আর রাজ্জাকের ফাটাফাটি ক্যাচ অনেকদিন মনে রাখার মত।শুধু উইলিয়ামসন একা লড়াই করে(তাও পায়ে ব্যথা নিয়ে)দেখিয়েছেন কিভাবে সেঞ্চুরী করতে হয় আর ম্যাচ বের করে নেয়ার হুমকি দেয়া যায়।আর গতকাল কি কেউ ভেবেছে ১৭৫ টার্গেট নিউজিল্যান্ড পারবেনা! আসলে পারতে দেয়নি বাংলাদেশের আগুনঝরা বোলিংএবং ফিল্ডিং।ওদের দলের একমাত্র কার্যকর জুটি ভেট্টরী এবং ইলিয়ট দুইজনের ক্যাচই যখন ফেলে দিল জুনায়েদ তখন আমার মনে হয়েছিল বাংলাদেশ হারলে সেটিই হবে টার্নিং পয়েন্ট।ম্যাচটাই বুঝি হাত থেকে ফেলে দিল।তারপরও যে শেষ ওভারে এত নাটকীয়তা তার জন্যই ত ম্যাচ আরো উপভোগ্য হলো।তৃতীয় ম্যাচ বাদে প্রতেকটা ম্যাচই ক্লোজ হয়েছে। :boss:

বাংলাদেশ এখন অবশ্যই একটা বড় দল।নিয়মিত জেতা যেমন নিয়মে পরিনত হয়েছে তেমন সিরিজ জেতাও নিয়মিত হবে।আগে বাংলাদেশ নিয়মিত হারত।দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার।এখন বাংলাদেশই সবল দলকে অত্যাচার করে। কাল ত একেবারে আলমের ১নং পঁচা সাবান দিয়ে বাংলা ধোলাই করে নিজেরাই নিজেদের ছাড়িয়ে গেল।

কিউই পাখির রোষ্ট খাইয়া টাইগাররা পাইল কী সুখ
আহা! কুক্কুরু কুক!! আহা ! কুক্কুরু কুক!! :awesome:

১,৬৩০ বার দেখা হয়েছে

৭ টি মন্তব্য : “পোলা ত নয় সে ত আগুনের গোলা রে”

  1. আমি এভাবে হঠাৎ করে দেশের ক্যাডেট কলেজের ব্লগে ডুকে যাবো ভাবিনি। তাছাড়া দেশের কলেজে ব্লগ আছে ভেবে অত্যন্ত ভাল লাগছে। এখন হাতড়ে বেড়াই - নুতন কোন লেখা দেখার জন্য কারন আমার জানামতে ক্যাডেট কলেজের ছেলেরা অত্যন্ত মেধাবী - ভাল কছু লেখা দেখার আশায়।
    মামুন

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আব্দুল্লাহ্‌ আল ইমরান (৯৩-৯৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।