ফ্ল্যাশবন্ড ০০৭

আমি মনে হয় রাইটার্স ব্লকে পড়েছিলাম। আমার ব্লগ স্টোর রুম দেখলেই যে কেউ বুঝতে পারবেন।তৌফিকের ফর্মুলা মতে তাই দাঁড়ায় ব্যাপারটা।যদিও আমি তৌফিকের মত তারকা লেখক না তারপরও কেন এমন হলো সেটি আমার বোধগম্য নয়।
যাইহোক সিরিজের এই পার্টের নামকরন নিয়ে একটি কথা বলে নেই।আমি আবার বন্ড সিরিজের একজন ফ্যান।তাই ৭ সংখ্যা আসলেই ০০৭ ইউস করি প্রায় সব জায়গায়।

১/ আমি আর কয়েকজন ফ্রেন্ড মিলে সিনেপ্লেক্সে গিয়েছিলাম জেমস বন্ডের ‘ক্যাসিনো রয়্যাল’ দেখার জন্য। শেষ করার পর লিফটের সামনে অপেক্ষা করছি।সেখানে কাকতালীয়ভাবে বন্ডের দেখা পেয়ে গেলাম।আমি ত দেখেই মালটারে চিনে ফেলেছি। কিঞ্চিত বাতচিত করার কৌতুহ্ল আর চেপে রাখলাম না।

-হাই, উ মাস্ট বি আব্দুল কুদ্দুস বন্ড
-তার স্টাইলে অভিবাদন জানিয়ে হাত মেলালো-ইয়েস আই আম বন্ড,আব্দুল কুদ্দুস বন্ড।হেই ম্যান হাউ আর ইউ?
যারা ‘আজিজ মার্কেট শাহবাগ ১০০০’ ধারাবাহিক দেখেছেন তাদের নিশ্চয়ই চিনতে ভুল হবেনা এই বন্ডকে।

২/ আমার এক ফ্রেন্ডকে তার জি এফ টেক্সট করেছে-তুমি কোথায়?
আমার ফ্রেন্ডের উত্তর ছিল-ইনফ্রন্ট অফ ব্রথেল।একটু পর ঢুকবো।

মোবাইলটা জি এফের ভাইয়ের হাতে ছিল। ভাগ্য নিতান্তই ভাল যে ওর ভাই পড়েনি।তাহলে এই ছেলের প্রতি যে সন্দেহ হতো সেই অযুহাতে ওদের বিয়ে হওয়ার কোন সম্ভাবনা ছিলনা।
আসলে আমার ফ্রেন্ড ‘এন জি ও’ তে কাজ করতো এবং ওর কাজই ছিল সেক্স ওয়ার্কার আর তাদের খদ্দরদের নিয়ে।

৩/ আমাদের কলেজে বিখ্যাত নুরুজ্জামাল মোল্লা স্যার ছিলেন।উনি আবার খেলাধুলায় খুব সিরিয়াস ছিলেন তাই অনেক আইসিসি কম্পিটিশনের সময় ওআইসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।সেরকমই এথলেটিক্স কম্পিটিশনের প্র্যাক্টিসের সময় দৌড়ে সাদাইন ভাইয়ের টাইমিং খারাপ হলো। তখনই অনেক দূর থেকে ডেকে বললেন “সা-দা-ঈ-ন কি করলা ? বা* ফালাইলা?”

৪/ গত শুক্রবার ৫২ জনের ট্যুরিস্ট টিম নিয়ে গিয়েছিলাম যমুনা রিসোর্টে।(আমি স্টুডেন্ট লাইফ থেকেই ফ্রি ল্যান্স গাইড হিসেবে কাজ করতাম।এখন তেমন একটা করা হয় না) এখানে আন্ডা বাচ্চা সহ এগারটা ফ্যামিলি ছিল।আমাদের সাথে একজন মহিলা গাইডও ছিল। মহিলা গাইড আমার কাছে জানতে চাচ্ছে “এখানে উলফাত এর আব্বা কে?”
তার বলার ধরন দেখে মনে হচ্ছিল আমাকেই সন্দেহ করছে
আমার খুব বলতে ইচ্ছা হচ্ছিল আমি না
কিন্ত বললাম, আমি ঠিক জানিনা, দেখিনি।

৫/ একদিন বোটানিক্যাল গার্ডেনে গাছ দেখতে গেছিলাম। ভিতরের রাস্তা দিয়ে হাটছি তখন হঠাৎ ঝোপের আড়াল থেকে এক মহিলার গলা শুনতে পেলাম “ সোজা হয়ে দাড়াও, চেইনটা খোল-আরেকটু উপরে-হ্যা এইবার কর”
আমি সন্দেহজনক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখলাম মহিলা তার বাচ্চাকে পি করাচ্ছে।

৬/আমার এক কলিগ তার ছেলেকে স্কুলে দিয়েছে মাত্র।আমি ত জানি এই ছেলে পুরো বাপ কা বেটা।আমি কাল জিজ্ঞেস করলাম পুংটা কয়টা গার্লফ্রেন্ড জুটাইছে?
-দুইটা।আবার নাম সহ বলে দিল।
আমি বললাম বাহ,ভালই ত।আপনার যোগ্য ছেলে।তারপর উনি বললেন তার ছেলে নাকি এইগুলার হাত ধরে স্কুল থেকে বের হয়।একদিন নাকি তাঁকে দেখে হাত ছেড়ে দিয়েছে।
তখন জিজ্ঞেস করছে তুমি হাত ছেড়ে দিলা কেন?
জবাবে ছেলে বলছে-না এমনি বাবা।

৭/আমার এক ফ্রেন্ড বিয়ে করলো ঈদের পর।দায়িত্ব মনে করে এক বন্ধু জিজ্ঞেস করল কিছু লাগবে নাকি সব ঠিক আছে। সেই ফ্রেন্ড আবার লাজুক,ঝেরে কাশেনা। আমরা আবার ফ্রেন্ড হিসেবে অনেক দায়িত্ববান।তার কাজিনও আমাদের ফ্রেন্ড। আমরা অবশ্য তার কাজিনের হাতে সব বুঝিয়ে দিয়ে এসেছিলাম।

১,৯০২ বার দেখা হয়েছে

২৫ টি মন্তব্য : “ফ্ল্যাশবন্ড ০০৭”

  1. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    :)) :))

    ফ্ল্যাশব্যাকেরো কাম্ব্যাক 😀 সিসিবিতে দেখি কাম্ব্যাক উইক চলতাছে।
    কিরে আব্দুল্লাহ, খবর কিরে? বহুদ্দিন খবর টবর নাই।


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ইফতেখার আলম খান (৭৯-৮৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।