বিদ্রোহী কবিকে শ্রদ্ধাঞ্জলিঃ যদি আর না ফিরি

(আজ ১২ ভাদ্র। আমাদের জাতীয় কবি, বিদ্রোহী কবি, রেঁনেসা এবং সাম্যবাদী চেতনার কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ক্ষনজন্মা এই প্রতিভাকে শ্রদ্ধা নিবেদনের ভাষা এবং যোগ্যতা কোনটিই নেই আমার। “যদি আর না ফিরি” শিরোনামে কবির ভাষণটি একযুগ ধরে আমার ডায়েরীতে সংরক্ষিত আছে। কবি নির্বাক হওয়ার আগে এটিই সম্ভবত শেষ বক্তব্য। আজ খুব ইচ্ছে হলো সিসিবির বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি।)
800px-nazrul_tomb_2amr
“মসজিদের পাশে আমায় কবর দিও ভাই/গোর থেকে যেন আযান শুনতে পাই।” কবির চমৎকার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবিকে সমাহিত করা হয়।

বন্ধুগন,
আপনারা যে সওগাত আজ হাতে তুলে দিলেন তা আমি মাথায় তুলে নিলুম। আমার সকল তনুমন প্রান আজ বীণার মতো বেজে উঠেছে, তাতে শুধু একটি মাত্র সুর ধ্বনিত হয়ে উঠেছে-আমি ধন্য হলুম, আমি ধন্য হলুম। আমায় অভিনন্দিত আপনারা সেইদিনই করেছেন, যেদিন আমার লেখা আপনাদের ভাল লেগেছে। বিংশ শতাব্দীর অসম্ভবের যুগে আমি অন্মগ্রহন করেছি। এরি অভিযান সেনাদলের তুর্য বাদকের আমি একজন,এই হোক আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়।
আমি এই দেশে এই সমাজে জন্মেছি বলেই আমি এই দেশেরই এই সমাজেরই নই,আমি সকল মানুষের। কবি চায়না দান,কবি চায় অঞ্জলী কবি চায় প্রীতি। সুন্দরের ধ্যান, তার স্তব গানই আমার ধর্ম।তবু বলছি আমি শুধু সুন্দরের হাতে বীণা পায়ে পদ্মফুলই দেখিনি,তার চোখে চোখ ভারা জলও দেখেছি। শ্বশানের পথে, গোরস্থানের পথে ক্ষুধা দীর্ন মুর্তিতে ব্যথিত পায়ে তাকে চলে যেতে দেখেছি, যুদ্ধভূমিতে তাকে দেখেছি,কারাগারের অন্ধকূপে তাকে দেখেছি,ফাঁসির মঞ্চে তাকে দেখেছি।
আমাকে বিদ্রোহী বলে খামাখা লোকের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন কেউ কেউ। এই নীরিহ জাতটাকে আছড়ে-কামড়ে তেড়ে নিয়ে বেড়াবার ইচ্ছা আমার কোনদিনই নেই। আমি বিদ্রোহ করেছি বিদ্রোহের গান গেয়েছি অন্যায়ের বিরুদ্ধে অত্যাচারের বিরুদ্ধে। জাতিতে জাতিতে বিদ্বেষ যুদ্ধ বিগ্রহ, মানুষের জীবনের একদিকে কঠোর দারিদ্র-ঋন-অভাব, অন্যদিকে লোভী অসুরের যক্ষের ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা পাষান স্তুপের মত জমা হয়ে আছে। এই অসম ভেদ জ্ঞানকে দূর করতেই আমি এসেছিলাম। আমার কাব্য, সংগীতে কর্মজীবনে অভেদ সুন্দর সাম্যকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম। আমি যশ চাইনা খ্যাতি চাইনা প্রতিষ্ঠা চাইনা নেতৃত্ব চাইনা। জীবন আমার যত দুঃখময়ই হোক আনন্দের গান,বেদনার গান গেয়ে যাব আমি। দিয়ে যাবো নিজেকে নিঃশেষ করে সকলের মাঝে বিলিয়ে, সকলের বাঁচার মাঝে থাকবো আমি বেঁচে। এই আমার ব্রত এই আমার সাধনা এই আমার তপস্যা।
রবীন্দ্রনাথা আমায় প্রায়ই বলতেন, “দেখ উন্মাদ তোর জীবনে শেলীর মত,কীট্‌সের মত খুব বড় একটা ট্র্যাজেডি আছে-তুই প্রস্তুত হ”। জীবনের সেই ট্র্যাজেডি দেখবার জন্য কতদিন অকারনে অন্যের জীবনকে অশ্রুর বরষায় আচ্ছন্ন করে দিয়েছি। কিন্তু আমার জীবন রয়ে গেল বিশুদ্ধ মরুভূমির মত তপ্ত। আমার বেশ মনে পড়ছে একদিনের আমার জীবনের মহা অনুভূতির কথা- আমার ছেলে মারা গেছে, আমার মন যখন তীব্র পুত্রশোকে ভেঙ্গে পড়েছে ঠিক সেই দিনে সেই সময়ে আমার বাড়ীতে হাস্নাহেনা ফুটেছে। আমি প্রানভরে সেই হাস্নাহেনার গন্ধ উপভোগ করেছিলাম। আমার কাব্য আমার গান আমার জীবনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে জন্ম নিয়েছে। যদি কোনদিন আপনাদের প্রেমের প্রবল টানে আমাকে আমার একাকীত্বের পরম শুন্য হতে অসময়ে নামতে হয় তাহলে সেদিন আমায় মনে করবেন না আমি সেই নজরুল; সেই নজরুল অনেকদিন আগে মৃত্যুর খিড়কি দুয়ার দিয়ে পালিয়ে গেছে। মনে করবেন পূন্যার্থের তৃষা নিয়ে যে একটি অশান্ত তরুন এই ধরায় এসেছিল অপূর্ণতার বেদনায় তারই বিগত আত্না যেন স্বপ্নে আমাদের মাঝে কেঁদে গেল।
যদি আর বাঁশি না বাজে- আমি কবি বলে বলছিনা, আপনাদের ভালবাসা পেয়েছিলাম সেই অধিকারে বলছি-আমায় আপনারা ক্ষমা করবেন আমায় ভুলে যাবেন। বিশ্বাস করুন আমি কবি হতে আসিনি আমি নেতা হতে আসিনি,আমি প্রেম দিতে এসেছিলাম। সেই প্রেম পেলামনা বলে আমি এই প্রেমহীন নীরব পৃথিবী থেকে নীরব অভিমানে চিরদিনের জন্য বিদায় নিলাম। যেদিন আমি চলে যাব সেদিন হয়তোবা বড় বড় সভা হবে, কত প্রশংসা কত কবিতা হয়ত বেরুবে আমার নামে,দেশপ্রেমিক-ত্যাগীবীর-বিদ্রোহী বিশেষনের পর বিশেষন, টেবিল ভেঙ্গে ফেলবে থাপ্পর মেরে,বক্তার পর বক্তা এই অসুন্দরের শ্রদ্ধা নিবেদনের শ্রাদ্ধ দিনে-বন্ধু তুমি যেন যেওনা। যদি পার চুপটি করে বসে আমার অলিখিত জীবনের কোন একটি কথা স্মরণ করো, তোমার আঙ্গিনায় বা আশেপাশে যদি একটা ঝরা পায়ে পেষা ফুল পাও সেইটিকে বুকে চেপে বলো, বন্ধু আমি তোমায় পেয়েছি—-

“তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু আর আমি জাগিবনা
কোলাহল করি সারা দিনমান কারো ধ্যান ভাঙ্গিবনা
নিশ্চুল-নিশ্চুপ আপনার মনে পুড়িব একাকী
গন্ধ বিধুর ধূপ”।। :salute: :salute: :salute:

৪,০৩৬ বার দেখা হয়েছে

৩৯ টি মন্তব্য : “বিদ্রোহী কবিকে শ্রদ্ধাঞ্জলিঃ যদি আর না ফিরি”

    • আদনান (১৯৯৪-২০০০)

      নজরুলের এই লেখাটা তো মারাত্মক । কত আধুনিক আর সাবলীল । কথা গুলো খুবই মনে ধরেছে । এটার অংশবিশেষ কোন এক স্টেজ কম্পিটিশনে আমাদের মাহফুজুল অথবা হাদী ভাই(৯২-৯৮) পারফর্ম করেছিল মনে হয় । শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আবদুল্লাহ ভাই ।

      জবাব দিন
  1. আব্দুল্লাহ্‌ আল ইমরান (৯৩-৯৯)
    সুযোগ দেয়ার আগেই আমি প্রথম :-B

    আজাইরা বকবক কইরনা আদনান।যাইহোক না পড়ে ১ম হয়ে তারপর পড়েছ ধন্যবাদ। :hatsoff:
    আমার ফ্রেন্ড যারা জানতো আমার কাছে এই কালেকশন আছে তারা আড্ডায় বলতো-"তোর কাছে নজরুল যে চিঠি লিখছে সেইটার কথা বল" 😮

    জবাব দিন
  2. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    সেদিন বাপের এক বন্ধুর কথা শুনছিলাম...উনি সরকারী কর্মকর্তা হলেও লেখালেখি করেন এবং বাংলা একাডেমীর সাথেও কিভাবে জানি যুক্ত আছেন...

    তাঁর ভাষ্যমতে, কাজী নজরুল ইসলামকে বিদ্রোহী কবি বলাটা অনুচিত...বরং বলা উচিত স্বাধীনতাকামী কবি...!! বিদ্রোহী/বিদ্রোহ শব্দ সাধারণত শোষকগোষ্ঠী নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করে থাকে...যা তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার করেছিল...সে কারণেই ১৯৭১ সালে আমাদের জন্য যা ছিল মুক্তিযুদ্ধ, এর বিরোধীদের কাছে ছিল গণ্ডগোল বা বিদ্রোহ...
    অন্যরা কিভাবে নেবে জানি না, তবে আমার আংকেলের কথা বেশ ভাল লেগেছিল...

    যাই হোক, এই ক্ষণজন্মা মহান কবিকে জানাই স্বশ্রদ্ধ সালাম... :salute:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
    • , কাজী নজরুল ইসলামকে বিদ্রোহী কবি বলাটা অনুচিত…বরং বলা উচিত স্বাধীনতাকামী কবি…!! বিদ্রোহী/বিদ্রোহ শব্দ সাধারণত শোষকগোষ্ঠী নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করে থাকে…

      :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup:

      জবাব দিন
  3. শাহরিয়ার (২০০৪-২০১০)

    নজরুলের আমার কৈফিয়ত কবিতার সাথে কে পরিচিত আছেন???কী অসাধারণভাবে নিজের কথাগুলো বলেছেন!

    পরোয়া করি না, বাঁচি বা না- বাঁচি যুগের হুজুগ কেটে গেলে,
    মাথার ওপরে জ্বলিছেন রবি, রয়েছে সোনার শত ছেলে।
    প্রার্থনা ক'রো- যারা কেড়ে খায় তেত্রিশ কোটি মুখের গ্রাস,
    যেন লেখা হয় আমার রক্ত- লেখায় তাদের সর্বনাশ!


    People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.

    জবাব দিন
  4. আব্দুল্লাহ্‌ আল ইমরান (৯৩-৯৯)
    বল বীর বল উন্নত মম শির
    শির নেহারি আমারি নত শির ঐ শিখর হিমাদ্রির
    --------------------------------------------------
    আমি বিদ্রোহী রণক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত।

    অথবা

    কারার ঐ লৌহ কপাট
    ভেঙ্গে ফেল কররে লোপাট

    এগুলো শুনলে রক্তে নাচন উঠবেই। কারো স্থির থাকা সম্ভব না। :boss:

    জবাব দিন
  5. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    নজরুলের এই ভাষণটার একটা চমৎকার আবৃত্তি আছে। ছাত্রত্বের কালে বা তার পরেও বেশ শুনতাম। খিলগাঁওয়ের বাসায় তিনতলায় আমার চিলেকোঠায় গভীর রাতে উচ্চস্বরে শুনতে শুনতে গায়ে কাঁটা দিত। সম্ভবত গোলাম মোস্তফার ভরাট গলায়।

    এখনো কানে বাজছে, "যদি আর বাঁশি না বাজে- আমি কবি বলে বলছিনা, আপনাদের ভালবাসা পেয়েছিলাম সেই অধিকারে বলছি-আমায় আপনারা ক্ষমা করবেন আমায় ভুলে যাবেন। বিশ্বাস করুন আমি কবি হতে আসিনি আমি নেতা হতে আসিনি,আমি প্রেম দিতে এসেছিলাম। সেই প্রেম পেলামনা বলে আমি এই প্রেমহীন নীরব পৃথিবী থেকে নীরব অভিমানে চিরদিনের জন্য বিদায় নিলাম।"

    ধন্যবাদ আব্দুল্লাহ। কবির অসাধারণ ভাষণটি আবার মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  6. আব্দুল্লাহ্‌ আল ইমরান (৯৩-৯৯)

    সানা ভাই, গোলাম মোস্তফার আবৃত্তির গলা সেইরকম :hatsoff:
    উনি মারা যাবার পর "তুমি বাংলা ছাড়" টেলিভিশনে আবৃত্তি শুনলাম মন্ত্রমুগ্ধের মত !
    কাজী নজরুল ইসলাম আমার প্রিয় কবি।কি অবলীলায় মারাত্নক সব কবিতা, গান লিখে গিয়েছেন।
    পছন্দের আরও কয়েকজন কবি আছেন আমার-জীবনানন্দ দাস,নির্মলেন্দু গুন,হেলাল হাফিজ...

    জবাব দিন
    • আব্দুল্লাহ্‌ আল ইমরান (৯৩-৯৯)

      আমার জীবনানন্দ দাসের জীবনমূখী কবিতার প্রতি ভালই আসক্তি আছে।আমরা যখন একাদশ-দ্বাদশ এ তখন 'জীবনানন্দ দাসের কাব্যসমগ্র' কেউ যদি একজন ইস্যু করত তাহলে পুরো ব্যাচ ঘুরতো।টার্মেন্ডে জমা দেয়া হতো।আবার পরের টার্মে কেউ ইস্যু করত আবার চলতে থাকত।ইনফিনিটি লোপ...সবাই কাব্যসমগ্র জ্বরে আক্রান্ত ছিল। 😕

      জবাব দিন
  7. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    আগে পড়িনি। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। রবীন্দ্রনাথের উক্তিটা খুব মধুর লাগল:

    দেখ উন্মাদ তোর জীবনে শেলীর মত, কীট্‌সের মত খুব বড় একটা ট্র্যাজেডি আছে- তুই প্রস্তুত হ।
    জবাব দিন
  8. টিটো রহমান (৯৪-০০)

    আমার নজরুলের সবচেয়ে যেটা বালো লাগে তা হলো ওনার শব্দ চয়ন (যেগুলোকে বিদ্রোহের কবিতা বলা হয়)....

    আর সাম্যবাদ!!! মুসরমানদের ধর্মীয় হামদ নাথ আর হিন্দুদের কীর্তন মানেই তার রচনা....পৃথিবীতেই তো এর এই রকম উদাহরণ বিরল(যদিও হুমায়ূন আজাদ তার লেখা মোটেই পছন্দ করতেন না)

    নজরুলকে :salute:
    লেখাটি শেয়ার করার জন্য আব্দুল্লাহ ভাইকে :hatsoff:


    আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)
      (যদিও হুমায়ূন আজাদ তার লেখা মোটেই পছন্দ করতেন না)

      হুমায়ুন আজাদ নজরুলের লেখা নিয়ে না তাঁর দর্শন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন । আর সেই সাথে বাঙালি মুসলমানদের একটা বড় অংশ কাব্যিক দিকটা বোঝার চাইতে নজরুল মুসলমান বলেই তাঁকে শ্রদ্ধা করতো - এই ব্যাপারটাতে বিরক্ত ছিলেন।
      আমার অবশ্য এত কিছু বোঝার ক্ষমতা হয় নাই, তাঁর সাম্যবাদী কবিতা , প্রেমের গান, বিদ্রোহী (নেগেটিভ সেন্সে না) দর্শন এসব কিছুতেই আমি আলোড়িত হই।

      জবাব দিন
  9. রকিব (০১-০৭)

    খুব ছোট্টবেলায় এছড়াটা দিয়ে কবির সাথে পরিচয়ঃ

    ভোর হলো দোর খোলো,
    খুকুমণি ওঠোরে
    ঐ ডাকে জুঁই শাখে,
    ফুল খুকী ছোটরে ।
    খুলি হাল, তুলি পাল,
    ঐ তরী চললো;
    এইবার এইবার
    খুকু চোখ খুললো!
    আলসে নয় সে
    ওঠে রোজ সকালে,
    রোজ তাই চাঁদ ভাই
    টিপ দেয় কপালে।

    শ্রদ্ধাঞ্জলী হে সাম্যের কবি।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  10. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    নজরুলের গান বা কবিতা, সেটা বিদ্রোহের হোক কিম্বা প্রেমের হোক ভেতরটা স্পর্শ করে। অধিকাংশ লেখক কবিদেরই একটা ধারাবাহিকতা থাকে, একটা পটভূমি থাকে। যেমন জীবনানন্দের মা নিজেই কবি ছিলেন, রবীন্দ্রনাথের কথা বাদই দিলাম, জন্ম থেকেই আশে পাশে কাব্যচর্চা দেখে আসছেন - নজরুলের কথা ভাবি যে একজন মানুষ কতটা প্রতিভাবান হলে একদম শুন্য থেকে শুরু করতে পারে।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
  11. আব্দুল্লাহ্‌ আল ইমরান (৯৩-৯৯)

    কবি নজরুলের প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ বেশি হওয়ার বড় একটি কারন, উইদাউট এনি এনি ব্যাকগ্রাউন্ড এরকম আউটপুট খুব বিরল।প্রতিভা বটে ! :hatsoff:

    আমার কাব্য আমার গান আমার জীবনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে জন্ম নিয়েছে।

    আসলে নজরুলের জীবনটাতেই অনেক বৈচিত্র। :thumbup:

    জবাব দিন
  12. ইফতেখার আলম খান (৭৯-৮৪)

    আব্দুল্লাহ'র লেখাগুলো দেরিতে হলেও আজকে সব একসাথে পড়লাম.........খুবই ভালো............ :clap: :clap: :clap: :clap: এইবার খুশিতে দশটা ফ্রন্ট রোল দাও দেখি.........হারি আপ............ :frontroll: বিগিন

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আদনান (১৯৯৪-২০০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।