এ জার্নি টু দা ক্যাপিটাল অফ ম্যাংগো

গত এপ্রিলে আমার বন্ধূ মাহবুবের শশুড় বাড়ী রাজশাহী গিয়েছিলাম। তখনি বললো জ়ুনে ‘আম খেতে চাপাই নবাবগঞ্জের ভোলাহাট যাওয়ার প্ল্যান আছে। ব্যাপারটা মাথায় রাখিস। সময়মতো ডেট জানানো হবে’। ভোলাহাট ওর মামা শশুড়ের বাড়ী।

প্ল্যান মাফিক বৃহস্পতিবার ছূটি ম্যানেজ করলাম। এখন যে ল্যাংড়া আমের সিজন। আগামী সপ্তাহে ফজলী। ১৭ জ়ুন বুধবার অফিস করে বাসায় গিয়ে কল্যাণপূর যাওয়ার জন্য বের হই এবং অবধারিত ভাবে ৪০ মিনিট দাড়িয়ে থাকার পর সি এন জ়ি পাই। সেখানে গিয়ে দেখলাম সবার আগে যে বাস সেটির সময় ৭.৩০ অপরাহ্ন ।‘দা সূনার দা বেটার’ নীতিতে টিকিট কেটে ফেললাম। গন্তব্য রাজশাহী। আজ যেতেই হবে কারন কাল সকালে ভোলাহাট যাওয়ার অগ্রীম টিকিট কাটা আছে। মাহবুবের শশুর বাড়ী রাজশাহী রেলষ্টেশন থেকে একটু সামনেই কাদিরগঞ্জ।
বাস ঢাকা শহর আর সাভার পার হতেই অনেক সময় চলে গেল। কারণ জ়্যাম তো আমাদের নিত্যসঙ্গী। যাত্রাপথে সিরাজগঞ্জ নাইটিংগেল হোটেলে ২০ মিনিটের যাত্রাবিরতি। তখন রাত ১১ টার মত বাজে। কি খাব ভাবছিলাম। ওয়েটার যে মেনু বললো তাতে রাজহাসের মাংস আছে। আমার আবার হাসের মাংসের প্রতি পূরনো দূর্বলতা আছে তাই লোভ সামলাতে পারলামনা । কিন্তূ যত আগ্রহ নিয়ে খেতে বসলাম ততটাই হতাশ হলাম। অবশ্য সেটা পূষিয়ে গেল হোটেলের সামনে ৫ টাকার বিনিময়ে অসাধারণ চা খেয়ে। আমি বরাবরই উত্তর বংগের চা’এর বিশাল ফ্যান। ওখানে প্রায় সব জায়গায় গরূর দুধের চা পাওয়া যায় যেটা ঢাকায় কল্পনাও করা যায়না। কন্ডেন্স মীল্কের ফালতু চা ছাড়া আমাদের কপালে আর কিই বা জুটে! সবচেয়ে ভাল লেগেছে বগূড়ার শেরপুর বাস স্ট্যাণ্ডের চা । সারাদিন জ্বাল করা কড়া দুধের সাথে কড়া লীকার। ওহ ! চা খাওয়া সার্থক । মনে হয় শুধুমাত্র চা খাওয়ার জ়ন্যও শেরপুর যাওয়া বোকামী হবেনা। ওখানে কেঊ কন্ডেন্স মীল্ক নিয়ে ব্যবসা করতে পারবেনা। ব্যবসায় লালবাত্তি জ়লতে ২ দিনও লাগবেনা। যাহোক চা খেয়ে ফ্রেশ এন্ড চাঙ্গা হয়ে আবার বাসে উঠালাম। রাজশাহী ল্যন্ড করলাম রাত ০১.৩০ টার দিকে। মাহবুবকে ইনফর্ম করা ছিল। মাহবুব এবং ওর মামাত শ্যালক রাজীব আমার জ়ন্য অপেক্ষায় ছিল এবং আমাকে ঠিকমতো রিসিভ করল। বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে তাড়াতাড়ি বিছানার সান্নিধ্যে চলে গেলাম কারন সকাল ৮ টায় বাস। এখন বাজে রাত ২ টার বেশি । খুব ধকল গেল কয়দিন। গত রাতেও ১ টায় ঘুমানোর ঘণ্টাখানেক পর ঝড়ের তাণ্ডবে ঘুম নষ্ট এবং সাত সকালে ঘুম থেকে ঊঠে সারাদিন অফিস করে আবার এত কাহিনি করে মাঝরাত পার করে রাজশাহী এসে তারপরও যদি ঘুম বিট্রে করে !
পরদিন সকালের (১৮ জুন) বাসে চাপাই ঐতিহাসিক কানসাট পার হয়ে ভোলাহাট গেলাম।
img_07741
আমাদের সফরসঙ্গী মাহবুবের পরিবার আর তার লিজেন্ড বাবা মিঃ ইউসুফ। ইউসুফ আংকেল তার ঐতিহাসিক রেডিও নিয়ে গিয়েছিলেন যা ২২ বছরের পুরনো কিন্ত চ্যানেলের অভাব নেই। উনি সারাদিন রেডিও নিয়েই থাকতেন এবং সারা বিশ্বের খবরই রাখেন। ভয়েস অব আমেরিকা, তেহরান বেতার, জার্মানির কোলন রেডিও আরও অনেক কিছুই আর দিলিপ কুমারের বা পুরনো সেই রকম নায়ক অভিনীত সিনেমার গান পেলেই হল। আমাদের কাছে আবার বয়ান করেন বিভিন্ন সিনেমার মেকিং থেকে শুরু করে সবকিছু। মিঃ ইউসুফ মানেই একরোখা এবং জ্ঞানের অফুরান ভান্ডার।তিনপুরুষ(ইউসুফ, মাহবুব, নিয়াজ)
img_0544
ইনফ্যাক্ট আমরা রাজীবদের বাড়ী গেলাম।রাজীবের বাবা খুব রসিক, হ্যান্ডসাম এবং সুঠাম দেহের অধিকারী। আর আছে ওর মা, দুই বোন রিক্তা এবং রিমা।ওদের দুজনের পাশে হাসি(মিসেস মাহবুব)
img_0954

সেখানে প্রথমেই আম দিয়ে আমাদের আপ্যায়ণ করা হলো। তারপর দুপুরের খাবার। একটু পর দুপুরের কড়া রোদে বের হয়ে গেলাম ‘আম ফাউন্ডেশনে’। এটি মুলত আমের হাট বলতে পারেন। আম ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কোন এক ‘টি এন ও’র কল্যানে। এখানে ফাউন্ডেশনের নিয়ম কানুন কড়াভাবে মেনে চলতে হয় সবাইকে। কারও গাছের আম কেউ ছিড়বেনা বা চুরি হবেনা। প্রত্যেকের আম বাগানে কেয়ারটেকার আছে। আর ফাউন্ডেশনে এসে আম বিক্রি করতে হবে। বাইরে কোন খুঁচড়া বিক্রি করা যাবেনা। ফাউন্ডেশনের ভিতর আড়তদার আছে। আম কিনতে হয় ঝাকা ধরে। তারপর আড়তে গিয়ে প্যাক করতে হবে।
এখানে এসেই যে ব্যাপারটা টের পেলাম সেটি হলো আসহনীয় গরম আর বোনাস হিসেবে লোডশেডিং।আসলে সারাদিনই বিদ্যুৎ থাকেনা ভুল করে দিনে ২/৩ বার আসে যেটার পরিমান টোটাল ৩ ঘন্টা হতে পারে। কানসাট বিদ্যুৎ কাহিনী ত সবারই জানা। বিকালে বাজারে এবং আম বাগানে ঘুরে আসলাম।
১৯ জুন শুক্রবার বেশ ব্যস্ততম দিন। সকালেই ঐতিহ্যবাহী কালাইয়ের রুটি দিয়ে নাস্তা । অর্ধেক রুটির বেশি আমার রুচেনি। কালাইয়ের রুটি খাওয়ার উপকরণ বলতে যা ছিল-শুকনা মরিচ আর পেয়াজ মাখানো, আর ছিল আঁচার।
img_0548

এর পরই আরেক ঐতিহ্যবাহী চিতই পিঠা যা কিনা আম দিয়ে খেতে হয়। চিতই পিঠা আমাদের এলাকাতেও পরিচিত কিন্তু আম দিয়ে যে খেতে হবে সেটি কোনদিনও কল্পনা করিনি।
img_0567

তারপর রাজীবদের আমবাগানে ঘুরে আসলাম।
img_0588

img_0604

img_0619

গাছে উঠে আম খাওয়ার মজাই আলাদা
img_0627

বসেও আম মুখে আসে
img_0615

এবার বাইক নিয়ে তিন পাংখা ছুটলাম ‘ঐতিহাসিক ছোট সোনা মসজিদের’ উদ্দেশ্যে।
img_0643

মহিষও স্বস্তিতে ছিলনা গরমে
মহিষ
চলে এলাম সোনা মসজিদ
নির্দেশিকা

img_0662

ওখানে চিরনিদ্রায় শায়িত বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর নাজমুল হক এবং শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাংগীর,বীর শ্রেষ্ঠ

উই সেল্যুট ইউ

উই সেল্যুট ইউ

img_0683

আমি

সোনামসজিদের পাশেই তোয়াখানা, সেখানে দুইটি ফ্লোর ঘুরে দেখলাম।

তোয়াখানা

ভিতরে ফাঁসির কাষ্ঠ ছিল। এখন কেবল কুয়া বর্তমান।
ভিতরে লোকজন টাকা পয়সা ফেলে

পাশে ফুল বাগানের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করলাম।
img_0743
গরমে প্রান উষ্ঠাগত।আর রোদের যে তীব্রতা বারবার মনে হচ্ছিল মুখ পোড়ে যাচ্ছে। যেখানেই সুযোগ পেয়েছি মুখ ধোয়ার চেষ্টা করেছি।
মুখ যেন পুড়ে যাচ্ছে

নাইটিংগেল হোটেলে হাসের মাংস খেয়ে অতৃপ্ত থাকলেও এখানে রাজহাঁস দেখে তৃপ্তি পেয়েছি।
রাজহাঁস
আসার পথে সোনামসজিদ স্থল বন্দর জিরো পয়েন্ট ঘুরে আসলাম।ওখানে বি ডি আর চেকপোষ্ট আছে।ইন্ডিয়া যাচ্ছে,আসছে সেই রাস্তা দেখলাম।ছবি তোলা রেষ্ট্রিক্টেড তাই চেকপোষ্টের ছবি না তুললেও জিরো পয়েন্টের ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারলামনা ।
জিরো পয়েন্ট

স্থল বন্দর
সেখান থেকে ফিরে জুম’আর নামাজ পড়ে আবার আম ফাউন্ডেশনে একটু ঢু মেরে আসলাম।
img_0790
আর বিকালে ঘুরতে গেলাম মহানন্দা নদীর ধারে। মহানন্দা নদীর উপারেই ইন্ডিয়া।মহানন্দা নদীর পানিকে নো ম্যান্স ওয়াটার বলা চলে।
img_0831

img_0832

img_0849

ইন্ডিয়া

আসার পথে এক অপূর্ব গ্রামীন শিল্প ক্যাপচার করলাম
গরুর ফেলে দেয়া মলও ফেলনা নয়

২০ জুন শনিবার সকালেই চিতই পিঠা বানানোর প্রযুক্তি রপ্ত করলাম।
img_0968

তারপর আবার আমবাগানে। এটাকে আম ভাঙ্গা বলে
img_0984

img_0973

img_0996

চামে ইন্ডিয়া থাকেও ঘুরে আসলাম।ওখানেই সীমান্ত।পিলারের একদিকে মাতৃভূমি বাংলাদেশ

img_0594

অপরদিকে ইন্ডিয়া
img_0596

তারপর দুপুরে গেলাম আম ফাউণ্ডেশনে আম কিনতে।

img_1048

img_1081

img_1082

মিঃ ইউসুফ আর আমি দুজন মিলে ১ মণ কিনলাম।

img_1075

আড়ত থেকে কিনলে ৪৮ কেজিতে ১ মণ ধরে মেপে দিবে। আর দাম ২৫০০ টাকা। বাট ঝাকা ধরে কেনাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারন ঝাকায় ৫০ কেজির বেশি থাকবেই। আমাদের ঝাকায় ৫৫ কেজির বেশি ছিল।

img_1088

বিনিময়

আজ বিকেলেই রাজশাহী চলে আসলাম। আসার পথে কানসাটের একটা ছবি না তুললেই নয়।

কানসাট

এসে একটু রেষ্ট নিয়েই বেরিয়ে পড়লাম শহরে টিকিট করতে। কাল সকালে ত আবার ঢাকা ফিরতে হবে।ফেরার পথে বাস থেকে যমুনা ব্রিজ এবং ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের রেলক্রসিং।

বাস উইন্ডো ভিউ

বাস থেকে দেখা যমুনা ব্রিজ

ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক

ছবি তুলেছি ৭০০’র বেশি তার খুব সামান্যই শেয়ার করতে পেরেছি(এতেও অনেকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটবে তা বিলক্ষন বলা যায়)।প্রতিদিনই সময়ে অসময়ে আম খেয়েছি। রাজশাহীর আম আসলেই সেরা। এখনো মুখে স্বাদ লেগে আছে। আর প্রতি মুহুর্তে গোসল আর হাত মুখ ধুয়ে গরম থেকে একটু হলেও বাঁচার চেষ্টা। আর সারাদিন লিটারে লিটারে পানি পান।

আমার ফ্রেন্ড আমাকে রাজশাহীর জামাই বানানোর চেষ্টার ত্রুটি করেনি। রাজশাহীর মেয়েরা নাকি আমের চেয়েও মিষ্টি। কিন্তু রাজশাহী এসে যে শিক্ষাটা হয়েছে সেটি হলো এই গরমের সিজনে আর রাজশাহী নয় (হোক সেটা আমের সিজন) বিয়ে ত দূরে থাক !

২,৬৬০ বার দেখা হয়েছে

৩২ টি মন্তব্য : “এ জার্নি টু দা ক্যাপিটাল অফ ম্যাংগো”

  1. তৌফিক (৯৬-০২)

    যারাই মমুসিং গেছে তারাই বলছে মমুসিং-এর মাইয়ারা সবচেয়ে বেশি সুন্দর। আমাদের এখানে এক বড়ভাই বন্ধুর বিয়েতে মমুসিং-এর নওমহল গেছিলেন। এক মেয়েরে পছন্দ হয়ে যাওয়াতে তার সাথে টাংকি মারা শুরু করলেন। ঘন্টাখানেক পরে জানলেন যে ওই মাইয়া আসলে কাজের মেয়ে। 😀

    (কাজের মেয়েদের প্রতি কোন অশ্রদ্ধা প্রকাশ করি নাই। সত্য ঘটনা বলছি মাত্র।)

    জবাব দিন
  2. আব্দুল্লাহ্‌ আল ইমরান (৯৩-৯৯)
    আব্দুল্লাহ ভাই, আপনি কি আই ইউ টির নাকি? প্রোফাইল পিকটা কই তুলছিলেন?

    ঠিক ধরেছ তৌফিক ওখানেই তোলা বাট আমি আই ইউ টির না।গেছিলাম তোমাদের গেট টুগেদারে।

    জবাব দিন
  3. আমার দেশের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়--- আমের এই মজা আমার খুব আপন আপন লাগলো। এই দু'মাস আগেও আমি গিয়েছিলাম... আম অতটা পাকেনি,কয়েকটা জাতের আম ছিলো তখন...

    দুধ, চিতই, আম দিয়ে খেয়েছেন কিনা বোঝা গেল না, কিন্তু ওইটা একটা অসাধারণ স্বাদের জিনিস... আমার বাসায় প্রায়ই মা চিতই বানান কারণ আমাদের ভাই-বোনদের এইটা খুব প্রিয়...

    কালাই রুটি আর লবণ আরেকটা প্রসিদ্ধ জিনিস... আপনি ভাইয়া সত্যিই দারুণ মজা করেছেন...

    সোনা মসজিদ, বর্ডার গিয়েছিলাম কলেজে ১২ এ থাকতে শিক্ষা সফরে... আহা! কী দিন ছিলো!

    ধন্যবাদ ভাইয়া, দারুণ সুন্দর এই সফরটা শেয়ার করার জন্য...।

    জবাব দিন
    • আব্দুল্লাহ্‌ আল ইমরান (৯৩-৯৯)

      আমি ত 'সকালে আম, দুপুরে আম, বিকালে আম, রাইতে আম' এর উপরেই ছিলাম।তাঁরা খাওয়ানোতেও যেমন উদার ছিলেন আমরা খাওয়ার বেলায়ও ততধিক উদার ছিলাম।পানি আর আমের উপর বেঁচে ছিলাম।ইট্‌স এ রিয়েল চার্জার ! :-B
      আম ত নিয়ে আসছিলাম তুমারে ত সারা বন আতিপাতি করে খুঁজেও পাওয়া গেলনা।বন্য নামে নাগরিক হয়ে থাকলে ত আমার দোষ না। 😮

      জবাব দিন
  4. আব্দুল্লাহ্‌ আল ইমরান (৯৩-৯৯)

    মেহেদি@ছবি ত দিলাম।একটু খুঁজে নিতে হবে। 😛
    লাবলু ভাই@বিদ্যুতের ব্যবস্থা ত ভয়াবহ।ভুলে মাঝে মাঝে আসে আর কি ! কত আর ব্যবস্থা করবেন? আর যাই করেন এফ এম রেডিও শুনার ব্যবস্থা ত করতেই হবে। :((

    জবাব দিন
  5. সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)

    ১। আম নিয়ে সবাই আহ্লাদিত, কিন্তু আমার যে শেরপুরের চা খাইতে মঞ্চায় :dreamy:
    ২।

    গাছে উঠে আম খাওয়ার মজাই আলাদা

    বুঝতে বাকি নাই ডারউইনের সুত্র পুরপুরি ভুল ছিল না!
    ৩।

    রাজশাহীর মেয়েরা নাকি আমের চেয়েও মিষ্টি

    কথাকার ছেলেরা মিষ্টি হয়... ... ...????


    You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আব্দুল্লাহ (১৯৯৩-১৯৯৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।