ফ্ল্যাশব্যাক

চলার পথে অনেক টুকরো ঘটনা আছে যেগুলো একেকটা গল্প হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। কিন্তু সবার সাথে শেয়ার করা থেকে বঞ্চিত হতে চাইনা। তাই কিছু শেয়ার করছিঃ

১।
আমার এক মেয়ে ফ্রেণ্ডের সাথে ঠিক রমজান মাস শেষ হওয়ার পর ফোনে কথা হচ্ছে। আমাকে জিজ্ঞেস করল রোজা কয়টা রাখছ। আমি বললাম ৩০টাই রাখছি। তুমি ?
সে বললো আমিও সব কয়টা রাখছি। আমি বললাম মেয়েরা তো সব রাখতে পারার কথা না। 😉
খলখলিয়ে হেসে বললো, যে কয়টা পারছি।

২।
আমাদের ব্যাংকে সব ব্রাঞ্চ অনলাইন এবং সেন্ট্রালাইজড। আমরা হেড অফিস ‘আইটি’ থেকে বাইক্কা কামগূলা করি। ইউজার লেভেলে কেঊ কোন প্রব্লেম ফেস করলে সলিঊশন দেই এবং সিস্টেম মনিটর করি। ব্রাঞ্চের এক ম্যাডাম ফোন করেছে-
ইমরান ভাই ভাল আছেন?
হ্যা, ভাল
ভাইয়া আমি তো সিস্টেমে ঢুকতে পারিনা, ঢুকিয়ে দেননা… 😮
আমার ঝটপট জবাব – কিভাবে ঢুকাবো দিদি ?
দিদি কি বুঝে হাসলেন জানিনা ।
আমিও হাসলাম।

৩।
আমাদের ‘আইটি’ ডিপার্টমেন্টে প্রথমবারের মতো ২ জন মেয়ে আসছে। আমাদের মনে হল তীব্র দাবদাহে এক পশলা বৃষ্টি। সেই আগ্রহ উবে গেল যখন জানলাম ২ জনই বিবাহিতা এবং ১টি করে বাচ্চার মা।
কিন্তু আমাদের হুমার আগ্রহের কোন কমতি নেই। একদিন সে একজনকে জিজ্ঞেস করল-
আপনার পাওয়ার কত? :gulli2:
আরেক মহিলা বলে- আপনি ওর পাওয়ার জানতে চান কেন, ওর পাওয়ার তো জানবে ওর জামাই। :khekz:

আমরা সবাই হেসেই খুন !
বেচারা হুমা – সে আসলে জানতে চেয়েছিল চশমার পাওয়ার।

বিঃ দ্রঃ একটু নেট প্র্যক্টিস করলাম। সবাই সাড়া দিলে সিরিজ় খেলতে পারি।

২,৫০৩ বার দেখা হয়েছে

৩৭ টি মন্তব্য : “ফ্ল্যাশব্যাক”

  1. আহ্সান (৮৮-৯৪)

    জ্ঞানের অভাবে হয়তো কিছু কিছু বুঝিনাইক্কা... তয় ব্যাপার না...সবাই যেমনে সাবাসি দিছে, তাতে মুনে হইলো ভালোই হইছে...
    ভাই আব্দুল্লাহ, কামে লাইগা যাও... পরবর্তী পার্ট কবে দিবা? নাকি আরেকটু পার্ট লইবা তার পরে দিবা? অপেক্ষায় থাকলাম...

    জবাব দিন
  2. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    আমি ফাস্টেই সন্দ করছিলাম আপনি লুক্টা খুব খ্রাপ। :))
    জলদি সিরিজ শুরু করেন । 😉


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  3. মুসতাকীম (২০০২-২০০৮)

    পিরা গেলামরে ভাই =)) =)) =)) =))
    তারাতারি পরের পর্ব দেন 😉 😉 😉


    "আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আদনান (১৯৯৪-২০০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।