স্বপ্ন ! পঞ্চম পর্ব।

আগের পর্ব গুলির জন্য


আজ শুক্রবার। ক্যালেন্ডারে মার্চের প্রথম সপ্তাহ চলছে। ঝকঝকে একটা সকাল। ছুটির দিনের আয়েশী প্রাতঃরাশ শেষে, বারান্দায় বসে আকাশ খবরের কাগজ দেখছিলো। অধিকাংশ খবরই মনটা খারাপ করে দেয়। চারিদিকে অপরাধ, নৈরাজ্য, হতাশা, নিরাশা আর অজস্র লোক দেখানো কারবার। আসলে সঠিক জায়গায় সঠিক লোক সঠিক সময়ে থাকে না বলেই আমাদের আজ এই অবস্থা। আর দিন দিন এ অবস্থা অস্বচ্ছ হয়ে উঠছে…। মনের অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো ওর।
এমন সময় টেলিফোনটা বেজে উঠলো। আকাশ রুমে এসে রিসিভার টা তুললো~
-হ্যালো, আস্‌সালামালাইকুম। আকাশ বলছি।
ওলাইকুমুস্‌সালাম। আপনি আকাশ হলে আমি বাতাস বলছি। আরে মশাই ! আকাশ -বাতাস-পাহাড়… এগুলো কারো নাম হয় নাকি?
– (এই সুরটি আকাশের চেনা) ন্‌নাহ…। না মানে – আমার নাম আকাশ, আর বন্ধুরা ভালবেসে ডাকে আক্কাস।
-(নীলিমা হেসে দিলো) বেশ বেশ। তো আক্কাস সাহেব কি করছিলেন? অসময়ে বিরক্ত করলাম না কি?
– হুম্‌ম। বিরক্ত নয় বরং আমাকে তুমি করেছো মুক্ত। খবরের কাগজে দেশের হাহাকারে বিপর্যস্ত হয়েছিলাম। ভাবছিলাম আমি দেশের জন্য কি করেছি বা আমার কি কিছুই করার নাই !
– স্বাধীনতার মাসে এই জাতীয় বক্তৃতা গুলো নিরর্থক আঙ্গিকে ফাঁপা বুলির মত বারবার শোনা যায় বড় বড় মানুষদের মুখে। তবে এখন আপনার কাছে শুনে ভাল লাগলো। আমরা, মানে এ প্রজন্ম যদি সত্যি সজাগ হয় আর নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়-সেদিন দূরে নয় যে আমরা ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখা শুরু করতে পারবো।
– আমার মনের কথা গুলোই যেন তোমার কন্ঠে বেজে উঠলো। আর, শুনতেও ভাল লাগলো। তবে ব্যাপারটা বলা যতটুকু সহজ; বাস্তবে তা পরিনত করা ততোধিক দুরুহ। আমরা যে ভাবে অরাজকতায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পরেছি, এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে প্রত্যেককে আগে নিজকেই শুধরে নিতে হবে। ভাল মন নিয়ে ভাল কিছুর চেষ্টা করলে অবশ্যই ভাল ফল আসবে।

-হুম্‌ম। চমৎকার বলেছেন -প্রত্যেককে আগে নিজকেই শুধরে নিতে হবে। মনে মনে তাই প্রার্থনা করি যাতে আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দেন।

– ইনশাআল্লাহ।
-আচ্ছা ভাল কথা। খবরের কাগজে আর কোন খবর ছিলনা?
– যেমন?
-বিনোদন কিংবা ছুটির দিনে ঘুরে আসুন…এই টাইপের আর কি!
-(এইবার আকাশ হেসে দিলো) হ্যাঁ। আজ ছুটির দিনে অফিস বন্ধ থাকবে। নিউমার্কেট-বনানী-গুলশান খোলা থাকবে। চিড়িয়াখানা-শিশুপার্ক-বোটানিকাল গার্ডেন জমজমাট থাকবে। সব খাবার রেস্টুরেন্টগুলো প্লেট সাজিয়ে কাস্টমারের জন্য অপেক্ষা করবে…ইত্যাদি ইত্যাদি।
-ভাল। আর কিছু?
-হুম্‌ম। বেশ ক’টি নতুন সিনেমা শুভমুক্তি পাচ্ছে। ‘কোর্ট মার্শাল’ নাটকটি আবারো মঞ্চস্থ হবে বেইলী রোডে…
-(আকাশের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে) ঠিক আছে ঠিক আছে। আপনি অনেক খবর দিলেন। এবারে আমি আপনাকে আবহাওয়ার খবরটা দেই। আজ আকাশ সাহেবের মন টা খারাপ। তাই তাকে কোথাও বেরিয়ে আসার জন্য বলা হচ্ছে। এতে করে তার মনে যে মেঘ দানা বেঁধেছে, তা সরে যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
-খবর শেষ করছি। শেষ করবার আগে বিশেষ বিশেষ খবর গুলো আরেকবার জানিয়ে দিচ্ছি-দুপুরে খাওয়া হবে সুপার স্টার এ / বিকালে আশুলিয়া / সন্ধ্যায় নাটক -কোর্ট মার্শাল/ রাতে শিক কাবাব আর নান রুটি।…আমদের পরবর্তী কার্যক্রম ঠিক সাড়ে বারটায় তোমার বাসার সামনে।
-(একটু হেসে নিয়ে) আচ্ছা, দেরী করোনা যেন।
-(সম্বোধন পরিবর্তন টা আপনা থেকেই হয়ে গেল-আর দুজনেই সমান প্রশ্রয় দিলো)-
-জো হুকুম , নীলিমা ম্যাডাম।
-হুম্‌ম। এখন তবে ছেড়ে দিই – আক্কাস সাহেব?
-ঠিক আছে। নীল রঙ এর আজ বুঝি আবার সৌভাগ্য হবে!
-হয়তো বা। তাই বলে তুমি কিন্তু আবার ভর দুপুরে কাল রং এর ভাগ্য খারাপ করোনা। সাদা টাইপের কিছু পড়লে হয়তো ভাল হবে।
– হুম্‌ম। দেখি। রাখি তাহলে?
– হ্যাঁ। আমিও রাখছি। আল্লাহ হাফেয।
– আল্লাহ হাফেয।

…রিসিভারটা রেখে আকাশ আরও কিছুক্ষন ফোনটির দিকে চেয়ে থাকলো। আকাশ টের পেল, ধীরে ধীরে সে যেন মানবের নিশ্চিত পরিনতির দিকে গড়িয়ে চলছে। দুই পাশেই যথেষ্ট আস্থা থাকায় পরিনামটা বেশ সহজাত ভঙ্গীতেই এগোচ্ছে।
একেকটা সময় আসে-আমরা নীরব দর্শকের মত তাকিয়ে থাকি আর প্রকৃতি আমাদের নিয়ে অবিরাম খেলে চলে। বোধকরি আকাশ আর নীলিমাকে নিয়ে প্রকৃতি এবার খেলায় মেতেছে। দুর্বল মানুষ নিয়তির ঠুম্‌রী তালে নাচতে থাকে। দুঃখ -কষ্টে ভরা জীবনে – ক্ষনিকের ভাল লাগা কিংবা রঙ্গীন স্বপ্নরা যদি কদাচিৎ উঁকি মারে; সেই জোয়ারে গা ভাসানো অতীব সাধারন।
আকাশ গুনগুনিয়ে উঠলো-
আজ মন চেয়েছে –
আমি হারিয়ে যাবো,
হারিয়ে যাবো আজই তোমার সাথে
…।

আকাশ দ্রুত তৈরী হয়ে নিল। সাদা একটা ফতুয়া আর নীল রং এর জীন্‌সএ ও’র পুরা ক্যাজুয়াল লুক। তার কাল ক্যারিনা’টা নিয়ে সে ঘুরে ঘুরে নীলিমার জন্য কিছু ফুল, চকলেট, একটা Archies এর কার্ড আর আড়ং থেকে একটা জুয়েলারী বক্স কিনলো। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আকাশ দেখলো পৌনে বারটা বাজে। আজ শুক্রবার সত্ত্বেও রাস্তায় প্রচুর জ্যাম। আজকাল ঢাকায় যে কোন গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য সময় রাখতে হয় মূল আয়োজন অপেক্ষা বহুগুন বেশী। কখনও হাতে যথেষ্ট সময় না নিয়ে বের হলে বড় বিপাকে পড়তে হয়। তাই হিসাবটা পাকাপাকি করেই আকাশ গুলশান এর বাহারী গাড়ী ঠেলে ঠেলে ঠিক সাড়ে বারটায় সময় নীলিমাদের বাসার সামনে চলে এলো।গাড়ী থেকে নেমে মেইন গেটে বেল বাজাতে না বাজাতেই নীলিমা বেরিয়ে এলো। মনে হলো, বারান্দায় অপেক্ষা করছিল। গাড়ী দেখেই বুঝি নেমে এসেছে। হাল্কা নীল একটা ড্রেস পরেছে ও। চুমকি আর সাদা-কালো সুতার কিছু কাজ করা। সাধারন সাজ, খোলা চুল আর ওর সপ্রতিভ চেহারা-সব মিলিয়ে একটা সম্পুর্ণ ছবির ফ্রেম !
আকাশ নীলিমা’র জন্য দরজা খুলে দিয়ে এসে পাশে উঠে বসলো। ভেতরে ভেতরে অজানা এক চাপা শিহরন তার মনের সাদা ইজেলে যেন রংধনু রং এ নানা আঁকিঝুঁকি করে চলেছে। বোধকরি অনেকদিন পর আজ যেন সে পূর্নাঙ্গ ভাললাগা’র অনুভূতি উপলব্ধি করলো।
কিছুক্ষন দু’জনই চুপচাপ। ঘটনার আলোড়ন কাটতে সময় লাগলো। নীলিমাই নৈঃশব্দকে ছুটি দিল-
– কি তোমার অডিও সেট টা নষ্ট না কি?
– (আকাশ হেসে দিল) তা কেন হবে ! তো, কাকে গান গাইতে বলবো ?
– দেখো – ছুটির দিনে কে ফ্রী আছে আমাদের গান শোনানোর জন্য?
– ( আকাশ ড্যাশ বোর্ড থেকে একটা ক্যাসেট বের করে চালিয়ে দিল। স্পীকারে তপন চৌধুরীর মিষ্টি আওয়াজ ভেসে আসলো-)
‘ মন শুধু মন ছুঁয়েছে-
ও… সেতো মুখ খুলেনি।
সুর শুধু সুর তুলেছে-
ও… ভাষা তো দেয়নি।
মন শুধু মন…’

– নীলিমা মুচকি হেসে মাথা নুইয়ে বললো, আমার অসম্ভব প্রিয় একটা গান।
– হুম্‌ম। আমারও।

…অনবদ্য এই গানটার মূর্ছনায় কালো গাড়ীটি ছুটে চললো তালে তালে। ওরা বিশ মিনিটে ফার্মগেট ছাড়িয়ে কারওয়ান বাজার চলে এলো। নীচে ‘সুপার স্টার’ এর পার্কিং এ গাড়ী রেখে – উপরে উঠে এক পাশে যেয়ে বসলো দু’জনে। বসার সাথে সাথেই পিছন থেকে ঠাশ্‌ করে থাবা মেরে একজন বলে উঠলো-‘আজকে তোরে পাইছি রে ব্যাটা ’।
…আকাশ ঘুরে দেখে অফিসের হীরা ভাই ! সঙ্গে ভাবী। ও মনে মনে বললো, ভাই আজই আপনার বিরিয়ানী খাবার ইচ্ছে হলো !
কপাল ! আশা করা যাচ্ছে- কাল মোটামুটি আফিসের সবার মুখে মুখে এ ঘটনা’র ফুলঝুরি ফুটবে।
আকাশ সালাম দিয়ে নীলিমা’র সাথে ওদের পরিচয় করিয়ে দেয়। সবাইকে এক টেবিলেই বসতে হলো। এ সময় হীরা ভাই ঘড়ি দেখে বললো, আকাশ – চল্‌ সময় নাই। পান্থপথ জামে মসজিদ থেকে জুমা’র নামাজ’টা পড়ে আসি। দুই বঊ থাকুক। বসে বসে ভাব করুক। আকাশ হাল্কা প্রতিবাদ করতে যাচ্ছিল এই বলে যে, এখনও বিয়েটা হয়নি রে ভাই! হীরা’র দাপটের সামনে তা ধূপে টিকলো না।

নামাজ থেকে ফিরে এসে সবাই কাচ্চি বিরিয়ানি নিল। সঙ্গে বোরহানি আর শেষে ফিন্নী। জোর করেই বিলটা হীরা ভাই দিয়ে দিল। নীচে নেমে মিষ্টি পান খেতে খেতে ভাবী বললেন, ‘ভাই তোমাদের জুটিটা কিন্তু বেশ মানিয়েছে’। এরপর ওনারা বিদায় নিলে আকাশ’রা গাড়ী বের করে রাস্তায় উঠলো। ওদের নেক্সট স্টপেজ -আশুলিয়া।

শুক্রবার বলে আশুলিয়া লোকে লোকারণ্য। ঢাকা শহরে বিনোদন বলতে তো আর কিছুই নাই। আকাশ অনেকখানি পথ পেরিয়ে একটু খোলা জায়গায় থামলো। গাড়ী থেকে নেমেই আকাশ একটা সিগারেট ধরালো। ও গাড়ীতে সিগারেট খায় না।
নীলিমা ভ্রু কুঁচকিয়ে বললো – এ বদ অভ্যাসটা ছাড়তে পারো না?
হুস করে ধোঁয়া ছেড়ে আকাশ বললো -এর সাথে আমার বন্ধুত্ব অনেক দিনের । সুখে দুখে সব সময় সে আমার সাথে থেকেছে।
-হুম্‌ম। সাথে থেকেছে আর পুড়িয়েছে। এসব কিন্তু আর চলবে না।
সে হাত উঁচু করে মিছিলে স্লোগান দেয়ার ভঙ্গিতে বললো, ‘শুধু গাড়িতে নয় বাড়িতেও সিগারেট’কে না বলুন’।
আকাশ হেসে দিল।
সময় লাগবে যে ম্যাডাম। অতো চট করে ছাড়লে সব গোলমাল হয়ে যাবে যে ! বলতে বলতে সে গাড়ী’র ডিকি খুলে নীলিমা’র জন্য আনা উপহার গুলো বের করলো। সিগারেটএ শেষ টানটা দিয়ে শেষাংশ ছুঁড়ে ফেলে ও দিয়ে নীলিমা’র সামনে গেলো।
নীলিমা বনেটে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আকাশ একে একে তার উপহার গুলো দিচ্ছে আর সাথে খানিকটা ভুমিকা…।
‘ফুল’-মনের আনন্দ প্রকাশের এর চেয়ে সুন্দর আর কিছু নেই প্রকৃতির বুকে। অকৃত্রিম।
– থ্যাংক্স।
‘চকলেট’- সুস্বাদু বটে। আর এর উপাদান রক্তে মিশে সুগার এর পরিমান বাড়িয়ে দেয়, মন চনমনে হয়। দু-বন্ধু’র মধ্যকার দূরত্ব কমে আসার সম্ভাবনা শতকরা আশি ভাগ।
– নীলিমা হেসে দিয়ে বললো – যথার্থ।
এরপর, কার্ড- ‘Special way to say something special to someone special.’
– তোতা পাখির মত শোনালো ওকে। তারপর মুচকি হেসে বললো, ব্যাটাদের দাম বেশী, তবে লেখা গুলো চমৎকার।
নীলিমা হাতে নিয়ে চোখ বুলালো-
“Every Time I Try To Walk Away…
Something Makes Me
Turn Around
And
Stay.
I Can’t Tell YOU Why…..! ”

নীলিমা বিস্মিত হয়ে চোখ তুলে তাকাতেই আকাশ বলে উঠলো-
আজকের শেষ নিবেদন, জুয়েলারী বক্স-আমরা জানি, মেয়েদের প্রিয় গহনা। আর তাদের প্রিয় জিনিষগুলো সযত্নে তুলে রাখবার অভিপ্রায়ে এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্ঠা।
– নীলিমা লাজুক ভঙ্গিমায় মাথা দুলিয়ে বললো,
থ্যাংক ইয়্যু।
সত্যি খুব সুন্দর সব গুলো উপহার। আর তার থেকেও প্রানবন্ত তোমার বর্ননাটুকু।
-‘You are Welcome Neelima’.

এবারে নীলিমা ওর হাতব্যাগ থেকে রাংতা পাতায় মোড়ানো একটা বক্স বের করলো।
আকাশের দিকে বক্সটা বাড়িয়ে দিয়ে ও বললো, নাও খুলো ।
বক্সটা খুলে আকাশ দেখলো সেটা একটা হাত ঘড়ি। রোলেক্স-ব্ল্যাক ডায়াল। ও বললো, সুন্দর। থ্যাংক্স।
নীলিমা যোগ করলো- তোমার মত অত সুন্দর করে তো বলতে পারবনা।
আমি চাই, এটা তোমাকে ক্ষনে ক্ষনে মনে করিয়ে দেবে – তুমি আমার।…শুধু আমার।
তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল। অস্তনমিত সুর্যটা টকটকে কমলা রং এ ভরিয়ে দিচ্ছে দূরের দিগন্তকে।
আকাশ নিষ্পলক কিছুক্ষন নীলিমা’র পানে চেয়ে রইলো। তারপর কাছে এসে ওর হাত দুটি ধরলো। অনুরাগের ছোঁয়া যেন খেলে গেল দুটি প্রাণে-দুটি দেহে।
আকাশ দুহাতে নীলিমার চিবুক ধরে লজ্জায় তার অবনমিত মুখখানি উঁচু করে ধরলো।
নীলিমা চোখ বুজে ফেললো।
আকাশ খুব আলতো করে ওর ঠোঁটে একটা চুম্বন এঁকে দিল।।
😡
(বাকিটুকু দুই কিস্তিতে দিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ)
:dreamy:

১৩ টি মন্তব্য : “স্বপ্ন ! পঞ্চম পর্ব।”

  1. আদনান (১৯৯৪-২০০০)

    বস মেয়েটা একটু বেশি দামী গিফট দিয়ে দিল না ? ফার্স্ট ডেট এই রোলেক্স ! মাইন্ড কইরেন না ভাইয়া, গল্পটা খুবি জমে উঠেছে । এ যায়গাটাতে একটু অসংগতি লাগল, তাই বললাম । যাই পরের পর্ব পড়ি । অফটপিক : আকাশের গিফট আইডিয়া ভাল লাগসে । পোলাপান রেফারেন্স হিসেবে ইউজ করতে পারবে 😀 ।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ওবায়দুল্লাহ (১৯৮৮-১৯৯৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।