একটি যাপিত জীবন


লাটিম হয়ে কক্ষপথে নক্ষত্রের ঘূর্ণি-
মানুষ আমি অবিরাম ছুটি দিবানিশি ।
হঠাৎ আচমকা কখনও ফুসরত মিললে
নীল আকাশের দিকে তাকাই মুখ তুলে।

বহমান নদীর জলের মত পলি ফেলে
নিরুদ্দেশের মোহনাকে মেনেছি গন্তব্য।
চলতি পথের নুড়ি পাথরের গায়ে গায়ে
লেপ্টে রয় আমার অপূ্রনীয় স্বপ্নগুলো ।


সবুজ পাহাড় পেরিয়ে যাযাবর হয়ে
ধুলো মাখা পথ মাড়িয়ে ছুটে চলি।
সবুজ ঘাসের ডগায় শিশিরের মত
আমার শরীরের ঘাম জমতে থাকে ।

আমার ঘোরগ্রস্ত দু’চোখের পাতায়
অবসাদ আর ক্লান্তি এসে ভর করে।
চৌচির জমিন নিমিষেই শুষে নেয়
আমার লক্ষ কোটি লোহিত কনিকা !


একজন কিংকর্তব্যবিমুঢ় পথচারী আমি-
চলমান সব পথ আজ থমকে গেছে!
নিথর আমার দেহ মাটিতে শিকড় বিছায়
ঝাঁঝা রোদ জ্বলা নির্মেঘ আকাশের নীচে।

সময়ের ঘূর্ণিতে একদিন হারাবে সবই।
আয়নায় ভাসবে এক অচেনা প্রতিবিম্ব,
দেয়ালে ফুটে উঠবে অদেখা এক ছায়া;
বিস্মিত দীর্ঘশ্বাস ভাবাবে – কে এই আমি ?
😐

৮ টি মন্তব্য : “একটি যাপিত জীবন”

  1. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    রকির তোমারে এখনো চা দেয় নাই! :grr:

    আসলেই ওবায়েদুল্লাহ, "কে এই আমি?" মানব জাতি সেই শুরুর কাল থেকে এই একই প্রশ্ন করে আসছে।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ওবায়দুল্লাহ (১৯৮৮-১৯৯৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।