যাই না – বলো আসি…

গত ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে ওদের হাল্কা কথোপকথন
আকাশঃ
হ্যালো। দেখতে দেখতে অনেকটুকু সময় পেরিয়ে গেল, না!
নীলিমাঃ
হুম্‌ম। ব্যস্ত সময় খুব দ্রুত পেরিয়ে যায়।

– জানো, তোমায় ভেবে ভেবেই পৃথিবীটাকে লাটিমের মত ঘূর্নি খাইয়ে খাইয়ে এই সময়টুকু পার করেছি আমি।

– এই যে, এখন আমাকে খুশী করা হচ্ছে না? শুধু তো আমায় ভেবেই বুঝি দিন যায় তোমার ? অফিসের কাজ করো না তুমি ?

– হ্যাঁ। ধরেছো ঠিক। তবে তোমায় কাছে না পেয়ে এই অলস সময়টুকু কে পার করতেই তো এত করে সব বাহানা করতে হলো।

– (দীর্ঘশ্বাস) যাহ! তোমার সাথে আমি কথায় পেরে উঠবো না কোন দিনও।

– কি যে বলো না তুমি! আমি যে সেই কবেই হেরে বসে আছি। সে খবর আছে?

– ভালই বলেছো। আমার জয়ের মালা যে তুমিই গেঁথেছো প্রিয়।

– বেশ। আজ তবে আর কথা না বাড়িয়ে আমি রওনা হয়ে যাই। কি বলো?

– হুম্‌ম।

– এখানকার ব্যস্ততা – কোলাহল। এই সব কিছু পিছে ফেলে আমি আসছি তোমার কাছে।

– কোন কিছুই ফেলনা নয় কিন্তু। পৃথিবীতে সব কিছুই রয়ে যায়… ইতিহাসের পাতায় পাতায়।

– আচ্ছা। আচ্ছা। ঠিক আছে, এই দিন গুলি – আমার কাজ এই সব না হয় রইলো ইতিহাসের পাতায় । অনেক হিসাব নিকাশের পর এইবেলা ছুটি পাওয়া গেল। নইলে এই ঈদটাও তোমায় ছাড়া একা একা করতে হতো।

– আলহামদুলিল্লহ।

– হুম্‌ম। আচ্ছা, আমি এখন ঊঠি। আমাকে এক্ষুনি বেরুতে হবে । নইলে প্লেন মিস্‌ করবো কিন্তু। আমি এখন যাই ।

– উঁহু। তুমি না ! যাই বলতে নেই কখনো। বলো- আমি তাহলে এখন আসি।

– বেশ। আমি এখন তাহলে আসি ‘ম্যাডাম’।

– হুম্‌ম। আসো। সাবধানে এসো কিন্তু।

– প্লেন চালাবে পাইলট বাবাজী। ওনার জন্য দোওয়া করো। ডিসকভারী’র প্লেন ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশন এর কয়েকটি ডকুমেন্ট্রি দেখার পর প্লেনে উঠতে কেমন কেমন যেন লাগে। ঠিক মত টেক অফ করবে তো ? – ঠিক মত ল্যান্ডিং করবে তো?

– যাত্রার আগে কেন অমন অলক্ষুনে কথা বলো তুমি ! নিয়তি নির্ধারিত। কপালে থাকলে – হবে। তুমি বিসমিল্লাহ বলে প্লেনে উঠো। আর প্লেনে উঠেই ৪১বার আলহামদুলিল্লাহ পড়ে নিও। কেমন ?

– আচ্ছা ম্যাডাম। তাই হবে ইনশাআল্লাহ।

– ফী আমানিল্লাহ।

– আল্লাহ হাফেয।।

১,৪৬১ বার দেখা হয়েছে

২০ টি মন্তব্য : “যাই না – বলো আসি…”

  1. ওবায়দুল্লাহ (১৯৮৮-১৯৯৪)

    সব্বাইকে ঈদ মোবারক।

    যারা বাড়ি ফিরছেন - আপনাদের যাত্রাপথে বিছানো থাক -
    আল্লাহর রহমত আর নিরাপত্তার রক্ষা কবজ।
    ফী আমানিল্লাহ।


    সৈয়দ সাফী

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ওবায়দুল্লাহ (১৯৮৮-১৯৯৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।