অতঃপর ব্লগর ব্লগর – ৬


জীবন প্রবাহে জীবিকার ছোবলে আক্রান্ত হতে হয় প্রায়ঃশই। কখনো হোঁচট খাই – কখনো বা পিছলে যাই – কখনো বা আমাদের স্রেফ বসে পড়তে হয়। তারপর আমরা হামাগুড়ি দিয়ে নড়তে শুরু করি। ধীরে ধীরে এরপর হেঁটে চলা আর একসময় দৌড়ে চলা। এহেন জীবন যাপনে আমরা অনেক সময়ই বাস্তবতার সাথে সমঝোতা করে নিই। গত ৪ঠা সেপ্টেম্বরের জমকালো ইফতার সন্ধ্যা মিস্‌ করার পর নিজেকে সান্তনা দেওয়ার জন্যই বোধকরি এ ভূমিকাটুকুর অবতারনা। যাইহোক, ব্লগ, ছবি এবং মন্তব্য থেকে সেদিনকার পুরো প্রোগ্রামটিই যেন লাইভ দেখলাম। সবাইকে ধন্যবাদ। আশাকরি ঈদের পরের গেট টুগেদারে যেন সামিল হতে পারি (ইনশাআল্লাহ)।


আক্ষেপ দিয়ে লেখা শুরু করেছি। এবার একটা উল্লাস এর কথা লিখি। যদিও এই উল্লাস মাতানিয়া ঘটনাটির পেছনে রয়েছে তিনটি মাথা চাপড়ানিয়া কান্ড। একে একে লিপিবদ্ধ করার চেষ্ঠা করি ঐ ঘটনাগুলি – পক্ষান্তরে দুর্ঘটনাও বলা যেতে পারে।

২ ক
আমি গত সেপ্টেম্বরে মিশন থেকে দেশে ছুটি আসছি। পথিমধ্যে দুবাই এয়ারপোর্টে তে লম্বা যাত্রাবিরতি। অন্যদের মুখে শুনেছি দুবাই এয়ারপোর্টে প্রথমবার সময় কাটানো কোন ঘটনাই না। ডিউটি ফ্রী শপ ঘুরতে ঘুরতে চামে সময় কেটে যায়। শপিং এর ঝাকানাকা অফার থাকে দোকানে দোকানে। লাইবেরিয়ে থেকে টুকটাক জিনিস কিনেছিলাম বাসার সবার জন্য।
শপিং ব্যাপারটাই আমার কাছে বিভীষিকাময়। তাই গ্রুপে গ্রুপে অন্য কলিগদের সাথে মার্কেটে যেয়ে টুকিটাকি কিনে জান ছুটিয়েছি। দুবাই’এর গল্প শুনে ভাবলাম – ভালই তো এখানে আমার শ্যালক (এখন চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ে) এর জন্য যুৎসই কিছু পেলাম না যখন ; আমি বরং ওর জন্য দুবাই থেকে কিছু কিনে নিব। প্ল্যান অনুযায়ী চকলেট ক্যাটাগরী ক্রয় কার্য শেষ করে শ্যালকের জন্য ফাটাফাটি দুইটা জিনিস পছন্দ হলো। একটা হচ্ছে কপারফিল্ডের যাদুর ট্রিক্স এর ছোট ছোট সেট। আর আরেকটা হচ্ছে সুডকো’র একটা গেম সেট (বই সহ)। সব দেখে শুনে মনে হলো এই বয়সের পোলাপান যাদুগিরি আর কি করবে বরং গেম সেটটাই ভাল হবে। সুডকো খেলে খেলে মাথা ভাল হবে। শেষমেষ সুডকো সেটটি কিনে ফেললাম তড়িঘড়ি করে। সেলস ম্যান মিষ্টি হেসে বললো যে – বাচ্চাদের জন্য এটা খুবই ভাল একটা খেলানা। আমিও প্রফুল্ল চিত্তে বোর্ডিং গেট এর দিকে পা বাড়ালাম যেখানে আমার বাকি কলিগরা আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন। সময় হলে এমিরেটস এর ফ্লাইটে চলে এলাম দেশে – শুরু হলো দীর্ঘ প্রতীক্ষার ছুটি। দু’দিন টানা ঘুমের পর দেশের সময়ের সাথে ধাতস্থ হলাম। এরপর গেলাম শ্বশুর বাড়ি। দেখা শোনা – সালাম দোওয়া নেয়া আর এর ওঁর গিফট দেয়া – টুকিটাকি এই সব আরকি। সিরিয়ালে আমার বড় কুটুম্বের চকলেট আর সুডকোর সেটটা তুলে দিলাম। সুডকো’র প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ছোট একটা বক্তৃতাও দিয়ে ফেললাম। তারপর প্যাকেট খুলে বাটারী ভরে ডেমো দেখানোর পালা। যথারীতি ব্যাটারী ছিল না প্যাকেটের সঙ্গে। আমি তড়িঘড়ি করে কাছের মার্কেট থেকে ব্যাটারী কিনে আনলাম। যাবতীয় আয়োজন শেষ করে সুডকো সেট অন করলাম। হাল্কা বাজনা দিয়ে অন হলো। তারপর দু চারটা বাটন টিপলাম। স্ক্রীনে কিছুই দেখা যায় না। খুব ভাল করে নাড়াচাড়া করে দেখি খুব ঝাপসা দেখা যাচ্ছে ভিতরের ছকটি। প্রথমে আলতো করে ও পরে সজোরে থাপ্পর দিয়েও কোন লাভ হলো না। আমার ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার সমন্ধি যন্ত্রটি হাতে নিয়ে দেখে নিয়ে বললো ভাইয়া এর ডিস্পলে ইউনিটটা নষ্ট। ও নিয়মিত বিদেশ আসা যাওয়া করে। ও বললো ডিউট ফ্রী শপ থেকে জিনিস কিনলে সাধারনত এরকম হয় না। এরা কোয়ালিটি মেইন্টেইন করে।
আমি তো ভীষন লজ্জায় পড়ে গেলাম। ‘চেক করে আনা উচিৎ ছিল’ বউএর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেলাম না । শ্যালক বাবুকে সুডকো’র বইটা দিয়েই খেলা শিখালাম আর বললাম যে সামনে আবার বাইরে গেলে আরো সুন্দর একটা গেইম এনে দিব। আরো কিছু চকলেট এর বিনিময়ে এ যাত্রা পাড় পেলাম।
মনে মনে ঠিক করলাম – এরপর কিছু কেনার সময় খুব খিয়াল কইরা কিন্তু ……!
:ahem:

২ খ
বেড়াতে গিয়েছিলাম মালয়শিয়ায়। এবং দ্বিতীয়বার জিহবায় কামড় দিয়ে হলো -একই শ্যালক বাবুর জন্য ভিডিও গেইম কিনতে যেয়ে। এইবার আমি তক্কে তক্কে ছিলাম। তাই টেস্টিং কর্ণার এ যেয়ে চেক করে নিলাম খেলনা টি। দেখলাম ঠিকঠিক ভাবে অন হলো। সব বাটন কাজ করছে – বাজনাও বাজছে। কেনাকাটায় সিদ্ধহস্ত নই বলে দোকানদারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে খুশী মনে হোটেলে ফিরলাম। দেশে ফিরে এসে শ্যালক বাবু’র হাতে এই বার অনেক গুলো খেলনা তুলে দিলাম। একবার ধরা খাইছি। তাই এইবার সব ইলেক্ট্রিকাল না। কিছু অ্যানালগ টাইপও আছে। সব মিলিয়ে ভালই হিট হইলো। বিপত্তি ঘটলো যখন ঐ ভিডিও গেইমটা চালু করলাম। সবই হলো। ডিস্পলে ক্লীয়ার। বাটন ওকে। সাউন্ড চমৎকার। শুধু প্রব্লেম একটাই। এটাতে কেবল ডেমো মোড চলে – মানে লার্ণারস পার্ট টুকু চলছে। এরপর আর অপশন আগায় না। ‘লে হালুয়া’। মনে মনে চায়নিজ ম্যানুফাকচারিং কোম্পানির গোষ্ঠী উদ্ধ্বার করলাম। এইবার আর জিহবায় কামড় দিলাম না। বললাম এটা পরে ঠিক করে দিব নে। তুমি অন্য গুলো নিয়ে খেলো।
আমার বউ তখন অনেক খানি ভালবাসা মিশিয়েই বললো যে এর পর ইলেক্ট্রন্টিক্স কেনার সময় দেখে শুনে কিনো। সবার লাক ফেভার করে না। আমিও মাথা নেড়ে খুব বুঝে নিলাম। :thumbdown:

২ গ
সেইবার সপরিবারে বহির্দেশ ভ্রমন করেছিলাম সিঙ্গাপুর। ঘোরাফেরা শেষে ইলেকট্রনিক্স এর সুপার মল এ এল সি ডি মনিটর দেখে মনে ধরে গেল।
স্যামসাং সাড়ে ২১ ইঞ্চি। দেশে তখনও ঐ মডেল আসেনি। আর এর কাছাকাছি গুলির দাম অনেক বেশী। আমি আর আমার বোন জামাই দুজন জামাতে কিনে ফেললাম একটি করে। আমার বউ বারবার বলছিলো যে খুলে চেক করে নিতে। ও শুনেছে কে কে যেন এরকম কিনে নিয়ে দেশে যেয়ে দেখে স্ক্রীন এ স্ক্র্যাচ আছে ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি চেয়ে দেখি এত বড় দোকানে বাকি ক্রেতারা (স্থানীয় বোধ করি) ঝটপট কিনে বেরিয়ে যাচ্ছে। এর মাঝে আমি লজ্জার মাথা খেয়ে বললাম দোকানী কে – “ভাইজান আমি মনিটরটি একটু খুলে দেখতে চাই”। ভ্রু কুচকে দোকানী জানালো আগে দাম পরিশোধ করে নাও – তারপর খুলে দেখানো যাবে – তখন ত্রুটি পেলে বদলে দেয়া হবে। আমি দাম পরিশোধ করে খুলে দেখলাম – স্ক্রীন ভালই আছে – কোন স্ক্র্যাচ নেই। কানেকশন লাগিয়ে চেক করে নিলে ভাল হবে এই মর্মে অনুরোধ জানানোর আগেই তারা চটপট প্যাক করে ফেললো। অপর মনিটরটা আর খোলা হলো না তাদের অবজ্ঞা আর আশ্বস্ততায়। পরে বিল বানানোর সময় দুটো আলাদা রিসিপ্ট দিলো যাতে করে এয়ারপোর্টে ট্যাক্স রিটার্ণ পেতে পারি। সব কিছু ভালয় ভালয় শেষ করে সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্সের প্লেন্টি আমাদের দেশে উড়িয়ে নিয়ে এলো সময় মত। আমি জানতাম যে কম্পিউটার এক্সেসরিজ এর ট্যাক্স নাই। আর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স কতৃক সাপ্লাইকৃত ডিক্লেয়ার ফরমেও এর উল্লেখ নাই। দেশে নামলাম। ইমিগ্রেশন শেষে গ্রীন চ্যানেল (একটাই চ্যানেল অন ছিল) এর স্ক্যানিং মেশিনে লাগেজ দিতেই দুপাশ দুজন ঝাপিয়ে পড়লো মনিটরের প্যাকেট এর উপর। তড়িৎ গতিতে চক দিয়ে ক্রস এঁকে দিয়ে চালান করে দিলো কাস্টমস ডেস্কে আমাদের দুজনকেই। কাস্টমস আফিসারের প্রথম প্রশ্ন – আপনারা মনিটর ডিক্লেয়ার করেন নি কেন। আমি আর আমার বোন জামাই মুখ চাওয়াচাওয়ি করলাম। বললাম ফর্মে তো মনিটরের কথা দেখিনি। চকিতেই উত্তর – আপনারা পুরাতন ফর্ম দেখেছিলেন হয়তো। আমাদের নতুন ফর্মে পরিষ্কার লেখা আছে মনিটর ২০ ইঞ্চির (সম্ভবত) বেশী হলে ট্যাক্স দিতে হবে। আমরা সব এয়ারলাইন্সকে এই ফর্ম দিয়ে দিয়েছি। আপনারা কেন পুরাতন ফর্ম পেয়েছেন সে উত্তর আমার কাছে নেই।
খুবই যৌক্তিক কথা। মাথা নেড়ে সায় জানালাম। বললাম , আচ্ছা আমাদের ভুল হয়েছে। এখন কি উপায়? – উনি বিজ্ঞ দৃষ্টি দিয়ে আমদের দেখলেন। তারপর কাস্টমস রুলস এর বই বের করে রিসিট কাটা শুরু করলেন। আমাদের কাছে রিসিট চাইতেই আমারা তার হাতে দিলাম। সব হিসাব কষে তিনি জিরিমানা নির্ধারন করেলেন যা আমাদের মূল দামের প্রায় সমমানের। প্রতি ক্ষেত্রে জরিমানায় তিনটি ধাপ আছে – মনে হলো। কাস্টমস অফিসাররা যাত্রীর অপরাধ বিচারে তা নির্নয় করেন। আমাদের অপরাধ সাংঘাতিক বোধ করে তিনি সর্বোচ্চ হার নির্ধারন করার মনস্থির করেছিলেন। তার এহেন মানসিকতা দেখে আমি এবার শান্ত কন্ঠে বললাম – ভাই, আমরা তো এই মনিটরটি বানিজ্যের কারনে আনিনি। নেহায়েৎই ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য। আমাদের অজ্ঞতার কারনে ডিক্লেয়ার করিনি। আমদের ভুল হয়েছে। আমরা ট্যাক্স দিতে আগ্রহী। এখন আমাদের একেবারে সর্বোচ্চ জরিমানা ধার্য করে দিচ্ছেন আপনি। ব্যাপারটা কি আরেকবার বিবেচনা করবেন ? প্রথমে বিরক্ত (সরকারী কাজে বাধা দেওয়ায়) পরে হঠাৎ কি মনে করে আগেরটা কেটে আমাদেরকে নিম্ম হারে জরিমানা ধরে বিল ধরিয়ে দিলান। আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে আমরা এয়ারপোর্টের ব্যাংকে ডলার ভাঙ্গিয়ে ট্যাক্স পরিশোধ করে বেরিয়ে এলাম।
বাড়ি ফিরে সব মালপত্র গুছিয়ে রাখা হলো। আমরা মনিটর দুটো যত্ন করে নাড়াচাড়া করছিলাম যাতে এই প্রিয় জিনিস দুটির কোন অঘটন না ঘটে।
এরপর আমার ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় আমি ফিরে গেলাম আবার লাইবেরিয়ায়। পরে জানতে পেলাম যে আমার মনিটরটি প্রথমবার অন করার দু মিনিটের মধ্যে ডিসপ্লে একদম ব্ল্যাক হয়ে গেছে। এ যেন অবধারিত – আমার বেলাতেই ! :no:
ঐ দিকে আমার বোনজামাই এর মনিটরটি বহাল তবিয়তে চলছে। পরে দোকানে নেওয়া হলে জানা গেল – কি সার্কিট এ গোলমাল। টিক করতে ৪- ৫ হাজার টাকা লাগবে। এবং মেরামত শেষে গ্যারান্টি দিবে ১ মাস। শেষমেষ তাই করা হলো। মনিটর ঠিক করা হলো সাড়ে চার হাজার টাকায় তবে মনিটরটি এক মাস না আল্লাহর রহমতে এখনও চলছে। বোনাস লাইফ টাইমে অবস্থানরত মনিটরটি দিকে তাকালেই পুরো ইতিহাস ভেসে ওঠে ছায়াছবির মত। O:-)
আমার হয়তো ইলেকট্রনিক আইটেমে আসলেই লাক ফেভার করে না। আল্লাহই ভাল জানেন। আগামীতে নিশ্চয়ই ভাল হবে এই প্রত্যাশা মনে নিয়ে আশায় বুক বাঁধি আমি। :thumbup:


অনেক বকবকানি হয়ে গেল।
আসলে যে উল্লাসের কথা যা শুরুতে বলতে চাচ্ছিলাম তা হলো – অতীতের শপিং সংক্রান্ত রেকর্ড এর জন্য বর্তমানে আমাকে সকল প্রকার শপিং হতে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। এবারে ঈদের বাজারে এখন পর্যন্ত আমি একদিনও যাইনি। কাজের চাপ ছাড়াও অতীতের ইন্টারন্যাশনাল কারিয়ারের জন্য আমি মোটামুটি চামে গ্যাপে আছি। আওয়াজ দিয়ে রাখছি – লাগলে আমি ড্রাইভারগিরি থেকে শুরু করে ব্যাগ টানার জন্য কুলিগিরি করতে রাজি – কিন্তু মূল শপিং এ আমি স্রেফ দর্শকের ভূমিকায় থাকবো। :guitar:
পারিবারিক সংসদে এই বিল পেশ করে আমি এখন ঘাপটি মেরে আছি। এব্যাপারে আমার বউ এখনও মুখ খোলেনি। আশা করছি এ নিয়ে সামনে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসতে হবে। :-B
আপনারা সবাই দোওয়া করবেন আমাদের জন্য।
সবার সিয়াম সাধনা কবুল হোক – এই কামনা করি।
আজ এখানেই এই ব্লগর ব্লগর মূলতবি ঘোষনা করছি।
সবাই ভাল থাকুন। অনেক ভাল।।

২,৪৯৪ বার দেখা হয়েছে

৩৮ টি মন্তব্য : “অতঃপর ব্লগর ব্লগর – ৬”

  1. রকিব (০১-০৭)

    বুঝছি, নেক্সট টাইম কোন ইলেকট্রনিক জিনিস কিনতে গেলে ভাইয়া আপনাকে সাথে নিয়ে যাবো। আপনি যেইটা গ্যারান্টি দিবেন ঐটা বাদ দিয়ে অন্য আরেকটা নিমু। 😛 😛 😛


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  2. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    আমাদের হিরো হিরো টাইপ চেহারার মানে শাকিব খান, নোবেল না কি জানি- ওরে খুব মিস করছি ইফতারে!! তোমার লেখায় আগামী তিন মাস মন্তব্য বন্ধ রাখমু ভাবতাছি!!
    :dreamy: :dreamy: :dreamy:


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
    • ওবায়দুল্লাহ (১৯৮৮-১৯৯৪)

      :frontroll: :frontroll: :frontroll:
      লাবলু ভাই,
      আগেই শরীর গরম কইরে নিলাম ইফতার মিস্‌ করছি বইলা।
      ঈদের পর অবশ্যই দেখা হবে। আর আপনার বাড়ীতে শীতের নিমন্ত্রণের দিন গুনছি। :goragori:

      আর লেখায় মন্তব্য বন্ধ কইরেন না বস্‌ - এই সিসিবি'র মাধ্যমেই তো মিশে আছি আপনাদের সাথে - সবার সাথে।

      আর শুরুতে যে উপমা গুলি দিছেন - :shy: হেইগুলা ডাইরেকটর কামরুল রে কওন লাগবো ;)) আমার বিকল্প চাকরীর একটা বন্দোবস্ত হইয়া যাইবো আশা রাখি। :dreamy:


      সৈয়দ সাফী

      জবাব দিন
  3. ইউসুফ (১৯৮৩-৮৯)

    ভাল লাগল লেখাটা...কোথায় যেন নিজের সাথে মিল খুজে পাচ্ছি...কুয়েত থেকে কেনা (সব কোয়ালিটি প্রোডাক্ট/ব্রান্ড) মাইক্রোওয়েভ, ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন আর এসি - সবগুলোতেই আমি ধরা।

    আমার এক বন্ধু দেখা হলেই প্রশ্ন করে - "তোর লেটেস্ট কোন ইলেকট্রনিকস আইটেমটা খারাপ হল?"
    😡 😡 :bash: :bash:

    জবাব দিন
  4. তানভীর (৯৪-০০)

    হাহাহাহা :)) :)) দারুণ মজা পেলাম ভাইয়া। =)) =))

    গেট-টুগেদারটা মিস্‌ করলেন, আমরা যেমন মিস্‌ করেছি আপনাকে। পরের গেট টুগেদারে অবশ্যই থাকার চেষ্টা করবেন। 🙂

    জবাব দিন
  5. রবিন (৯৪-০০/ককক)
    বুঝছি, নেক্সট টাইম কোন ইলেকট্রনিক জিনিস কিনতে গেলে ভাইয়া আপনাকে সাথে নিয়ে যাবো। আপনি যেইটা গ্যারান্টি দিবেন ঐটা বাদ দিয়ে অন্য আরেকটা নিমু।

    😀

    জবাব দিন
  6. টুম্পা (অতিথি)
    অতীতের শপিং সংক্রান্ত রেকর্ড এর জন্য বর্তমানে আমাকে সকল প্রকার শপিং হতে অব্যহতি দেয়া হয়েছে

    😛 কিছু কিছু অঘটন এর মধ্যেও কিছু অন্তর্নিহিত সুফল আছে দেখা যাচ্ছে! 🙂
    অ.টঃ ভাইয়া আমি একটা ওয়াশিং মেশিন কিনবো ,আপনাকে নিবো নাকি সাথে ভাবতেছি.. :grr:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : স্বপ্নচারী (১৯৯২-১৯৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।