বাক্সবন্দী !

আকাশের বিশালতা কে
বক্ষে ধারন করবে বলে;
পরম মমতায় মনের মাধুরী মিশিয়ে
নিজ হাতে বানিয়েছি আমি
বত্রিশটা ছোট-বড় ঘুড়ি।

সকালের মিষ্টি রোদের মত কিছু ,
অন্য কিছু সুনীল সাগরের মত।
গোটা কতক রক্তলাল,
কয়েকটার আছে সবুজ পাড়।
কেউ সোনালী, কেউ কেউ রুপালী,
আর বাকি গুলো সাদা-কালো।

আমি আপন মনে বানিয়েছি সব ঘুড়ি
একদিন হয়তো উড়ানোর অনুমতি মিলবে।
অলস সময়কে তাক লাগিয়ে আচমকা টান লাটাইয়ে;
আমার নিরামিষ জীবনে ক্ষনিকের ভাললাগা উচ্ছ্বাস!
অধীর প্রতীক্ষার পর যেভাবে লব্ধ হয় কষ্টার্জিত সফলতা।

চারিদিকে আঁধার, তাই আমি চোখ বুজে
বসে আছি অনেকক্ষন, বসেই থাকি প্রতিক্ষন!
চোখ বুজা থাকলেই আমি বেশ দেখতে পাই-
অনেকদিনের বাক্স-বন্দী রঙ্গীন ঘুড়ি গুলো
একে একে বাক্স ফুরে বেরিয়ে আসছিল যেন!

মুঠো ফোনের চিৎকারে সম্বিত ফিরে পাই;
শুনি ব্যাঙের ডাক, মেঘের আর্তনাদ।
চমকে আমি চোখ মেলে দেখি-
ছাইমাখা দেয়ালের একপাশে
পড়ে আছে আমার ঘুড়ি বাক্স।
মরচে ধরা তালায় বাক্স বন্দী আমার নিভৃত স্বপন যত !!
:dreamy:

২,০৩৭ বার দেখা হয়েছে

৩৪ টি মন্তব্য : “বাক্সবন্দী !”

  1. তাইফুর (৯২-৯৮)

    আহারে,
    বংগদেশে না জন্মায়া চৈনিক সম্প্রদায়ে জন্মাইলে আপ্নের আর ঘুড়ি বাক্সবন্দী কইরা রাখতে হইত না ...
    কন তো ভিসা'র ব্যবস্থা দেখি ...


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সৌমিত্র (৯৮-০৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।