ছায়া কিংবা ছবিঃ ছয়

পরীক্ষার হল একমাত্র জায়গা যেখানে একটি ছেলে একটি মেয়েকে নির্ভয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারে, “তোমারটা একটু দেখি, দেখাবা?”
গল্পটার শুরু এখানেই।
মেয়েটি’র খুব রাগ হয়েছিল। ছেলেরা এত্ত খারাপ!

অনেক অনেক দিনের পরে মেয়েটি একদিন বলেছিল, “দেখবা?”
চাঁদ তখন ভীষণ ছুটছে মনকে নিয়ে যেন ডুরি ছেঁড়া ঘুড়ি।
পূর্ণিমার আলো-আঁধারিতে মেয়েটি কী এক হাসি হেসেছিল,
সেই থেকে ছেলেটি অন্ধ-কালা-বোবা!

কোন এক ভরা পূর্ণিমাতে দূরের এক সাঁওতাল পল্লীতে কালো এক ছোঁড়ার কাঁকাল ধ’রে মাতাল এক ছুঁড়ির নাচার বড় ইচ্ছে জমা হয়েছিল অনেক অনেক দিন ধ’রে, ইচ্ছেটা বুঝি সারাজীবনের হয়েই পড়ে রইল!
ভরা জোছনায় দূর থেকে আগুনের লেলিহান শিখা শুধু চোখে পড়ে এখন। সাঁওতাল জনপদ এখন জ্বলছে …

নভেম্বর ১১, ২০১৬
টরন্টো, কানাডা।

২ টি মন্তব্য : “ছায়া কিংবা ছবিঃ ছয়”

মওন্তব্য করুন : ওবায়দুল্লাহ (১৯৮৮-১৯৯৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।