ছায়া কিংবা ছবিঃ তিন

একটা ছেলে কী সুন্দর বাঁশি বাজায়। এই যেদিন একটু ফুল-টুল ফোটে, চাঁদ-টাদ উঠে, সেদিন বাঁশির সুরটাও যেন চড়ে বেশ! মেয়েটি বলেছিল, একটা কথা তার খুব জানার-শোনার ইচ্ছা বহুদিনের – সেও অপেক্ষায় থাকে, যেদিন একটু ফুল-টুল ফোটে, চাঁদ-টাদ উঠে, যদি ছেলেটি আজ বলে।
না বলা, না জানা’র ব্যথা যে কী ভীষণ বাজে বুকের ভেতরটা দুমড়ে-মুচড়ে!

আরেকটি ছেলে ভালই বাসতে গিয়েছিল নির্ভেজাল জীবনের বাইরে। ভালবাসার সাথে অর্থের একটা যোগ আছে সে জানত। মেয়েটির শখ-আহ্লাদ মেটাতে দু’হাতে খরচ করত। ধারের অংকটা যত দ্রুত এগুচ্ছিল, বোঝেনি তার থেকেও দ্রুত মেয়েটির বিয়ের তারিখ এগিয়ে এসেছিল। মেয়েটি বিয়ের দাওয়াতপত্র দিতে এসে বলেছিল নতুন ক’রে কাউকে ভালবেসে বিয়ে করতে!
দুই ঠোঁটের মাঝখানে চিরিক দিয়ে থুথু ফেলে ছেলেটি হঠাৎই বলে ওঠে, “চুদলাম না তর ভালবাসা, ফিরায়া দে আমার ট্যাকা-পয়সা।”

অক্টোবর ৬, ২০১৬
টরন্টো, কানাডা।

১টি মন্তব্য “ছায়া কিংবা ছবিঃ তিন”

মওন্তব্য করুন : ওবায়দুল্লাহ (১৯৮৮-১৯৯৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।