নিউরনে আলাপনঃ পনেরো

: তুমি কোথায়, বলো তো?
: আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াও। দেখবে ঠিক তোমার পেছনে দাঁড়িয়ে আছি।
তোমার চুলের সুবাস নিচ্ছি। তোমার ঘাড়ে নিঃশ্বাস পড়ছে। টের পাচ্ছো?
তুমি ঘুরে দাঁড়ালেই তোমাকে ধ’রে ফেলবো।
: তুমি এমন ক’রে বলো … আমার বুক ধুকপুক ক’রে … মনে হয় স্বপ্ন দেখছি না তো?
: আজ মনটা ফুরফুরে বলেই হয়তো এমন …
: ঘুম ভাল হলো?
: হুম, খুব ভালবাসার পর যেমন ক্লান্তি আর ঘুম ভর করে!
: ইসসস! খুব ভালবাসা হয়েছিল বুঝি?
: ইসসস! কী প্রাণময় সে মুহূর্ত ভালবাসাবাসির।
সেই যে পড়েছিলাম, “ভালবাসা পেলে কোন বোকা পড়ে থাকে জলে?” – আজ মর্ম বুঝলাম।
: এই যে তুমি এমন ক’রে বল আর আমার হৃৎস্পন্দন আবারো দ্রুত থেকে দ্রুততর হয়, বুঝলে?
: আসলে কী জানো, তোমাকে আজ অবধি স্বপ্নেও দেখিনি কখনো।
শুধু কল্পনায় হাত বাড়িয়ে বাস্তবের মত ছুঁয়েছি, হৃদয়ের স্বভাব,
আমার আঙ্গুলে লেগে আছে এখনো তোমাকে স্পরশের উত্তাপ!
আর তোমার শরীরের ভাঁজে ভাঁজে আমার আঙ্গুলের ছাপ,
কত পূণ্যে মানুষ তা পায় কে জানে, লোকে বুঝি তারে বলে পাপ!
: কী এক অসীম শূন্যতায় আমরা মাটি পাথর ভালবাসা জমা করছি, না?
একদিন ধরতে যাবো … আর তখুনি বুঝি সব ভেঙ্গে পড়বে?
: নিয়তি সবচেয়ে ভাল জানে।
: তোমার এত সাধু-শুদ্ধ জীবন, আমার কি সাধু-সঙ্গ হবে কোনদিন?
: একবার এক সাধুর দ্বারে শুনেছিলাম,
“ময়লা গাত্র, ময়লা নেত্র, ময়লা মাথার কেশ,
পঙ্কিল জীবন, পঙ্কিল আচার, পঙ্কিল বেশবাস;
হিংসা, লোভ, অহমিকা, কুচুটেপনা নিয়ে নিত্য বসবাস,
পাপের ভারে নুয়ে থাকি, লোকে ভাবে বিনয়ী দরবেশ!”

অক্টোবর ২১, ২০১৫
টরন্টো, কানাডা।

৩ টি মন্তব্য : “নিউরনে আলাপনঃ পনেরো”

মওন্তব্য করুন : লুব্ধক (১৯৮৮-১৯৯৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।