নিউরনে আলাপনঃ তেরো

: কোথাও কোন লেখা পড়লে বুঝি তুমি আসলেই কত সুন্দর লেখো …
: কী যে বল না তুমি? আমারগুলো এমনি এমনি লেখা, তাতে এমন কী যায় আসে?
মূল্যের দিক থেকে তো সমুদ্রের তীরের বালুকণাও না …
: সে তুমি বুঝবে না … শুধু আমার মন জানে … তোমার মুগ্ধ পাঠকেরাও তো বলে …
তুমি কত ভালো লিখছো সত্যি বুঝতে পাচ্ছো তো?
লেখা দিয়ে এতটা মুগ্ধ ক’রে না রাখলেও পারতে সারা জীবন!
: তোমার কি মনে হয়, আই অ্যাম অ্যান অ্যামেজিং থিং হ্যাপেন্ড টু ইওর লাইফ?
: তুমি বুঝি জানো না?
: জানো, সব সঞ্চয় ঝুলি ভ’রে নিতে মন চায়
যদিও জানি, “তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।”
: তুমি মাঝে মাঝে শুধু যাই যাই কর … আমার মনটা হু হু ক’রে ওঠে …
: যেতে তো হবেই, না?
: আমি নিজে লিখতে পারিনা, আমার যে রবীন্দ্রনাথ আর জীবনানন্দই সম্বল।
“তোমায় আমি দেখেছিলাম বলে তুমি আমার পদ্মপাতা হলে …”
আমি কিছু না জেনে-বুঝেই তোমাকে আমার পদ্ম বলেছি, জানো?
সেই যে ‘কালবেলা’ উপন্যাসে পড়া “যার মুখ হাজার পদ্মের চেয়ে উজ্জ্বল!”
আমি কাউকে বলবো কখনো ভাবিনি!
: একেই কি ভালোবাসা বলে? হবে হয়তো …
সারাদিনে দু’চোখ ভ’রে তোমাকে দেখাটা,
আরো আছে এক চোখ যারে বলে তৃতীয়,
কে যেন আজ শিখালে ‘ভালোবাসি’ বলাটা
ভালোবাসায় অনেকটাই অপ্রয়োজনীয়!

অক্টোবর ১০, ২০১৫
মন্ট্রিয়ল, কানাডা।

২ টি মন্তব্য : “নিউরনে আলাপনঃ তেরো”

মওন্তব্য করুন : লুব্ধক (১৯৮৮-১৯৯৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।