নিউরনে আলাপনঃ ছয়

: মনটা কেমন বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে, মনে হলো তোমার সাথে কথা হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু আসলে তা হয় না। আরো মনটা কেমন কেমন জানি হয়ে যায়!
: এ আমার লজ্জা! আমার সীমাবদ্ধতার কোন সীমা নেই জানি।
: কাল সারারাত শুধু কাঁদলাম। মনে মনে বললাম, আমার বাকি জীবনটাও কেঁদেই কেটে যাবে। কেউ বুঝবে না তবু, কেউ জানতে চাইবে না?
: পৃথিবীটা অপদার্থ দিয়ে ভরে গেছে!
কাঁদলে ভাবে চোখে বুঝি কিছু পরেছে!
ভরসাও ভুল ছিল মন জেনে গেল,
জল মোছার বদলে চোখ দু’টো আরো কচলে দিল!
: এ জীবনে ওই কবিতা ছাড়া তোমার আর কী আছে?
যাক, তবুও লেখো! ওটাই তোমার হয়!
: আমার কিছু হয় না, এ পৃথিবীতে এরকম অনেক না হওয়া মানুষ আছে।
: মাঝে মাঝে ভাবি, আমার সাথে কেউ ভালো থাকতে পারবে না।
আমি দূর থেকেই ভালো। তুমিও প্রায়ই বলো, “দূরত্বই রহস্য, দূরত্বই আকর্ষণ!”
কাছে গেলেই মোহভঙ্গ হয়। আর আমার নিজের ভালো থাকা আমি নিজেই খুইয়ে ফেলেছি এ জীবনে।
: হুম, আমি বুঝি কিছু কিছু, মানুষের মনটা আসলে মানুষের নিজের না। এখানেই বিপত্তি।
দূরে আছো, কিন্তু তুমি আমার সাথেই আছ … খুব গভীর, খুব গোপন!
: মন তো আরো কিছু চায়। তুমি বুঝবে না।
জানো, তোমার কথা কেউ বললে, তোমার নাম হলে আমার খুব গর্ব হয়।
মনে হয় বলি, তোমরা জানো না, এই মানুষটি আমার খুব কাছের!
: আমি এমন কিছু না, তুমি বড্ড লজ্জায় ফেলে দাও… বারবার…
আমার হয় না।
: তোমরা এমন বলেই আমাদের জীবনের যা কিছু রঙ্গিন তোমাদের দিয়ে আমরা শুধু বিবর্ণ হয়ে থাকি।
: আজো আছে তবু বাকি কিছু সনাতন রসায়ন,
কিছুটা শরীর, কিছুটা মন, কিছুটা যতন,
মিলেমিশে তুমি আমি বিবর্ণ এক দ্রবণ,
তুমি আমার সাথেই আছ … খুব গভীর, খুব গোপন!

সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৫
টরন্টো, কানাডা।

২ টি মন্তব্য : “নিউরনে আলাপনঃ ছয়”

মওন্তব্য করুন : নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।