নিউরনে আলাপনঃ চার

: একটা কথা বলবো?
: বল।
: কোন কিছু নিয়ে বেশি ভাবছো?
চুপ ক’রে আছ কেন?
: আচ্ছা, বলো তো, আমার চোখগুলা কি অসুন্দর?
তুমি ভাল ক’রে কখনো তাকিয়ে দেখেছো?
: দেখি তো শুধু তোমাকেই। তোমার মোলায়েম মুখখানা, মাঝে মাঝে হঠাৎ অস্থির হয়ে থাকা চোখ, কপালের ওপর দু’তিনটে চুল, গাল বেয়ে পড়া ঘাম।
: আজ আমার চোখকে খুনীর চোখ বলেছে এক বন্ধু …
: তুমি আমায় খুনই ক’রে ফেলেছো, ওই চোখগুলো দিয়ে,
তাকালেই আমি খুন, পড়ে থাকে নিথর দেহ,
উড়ে যাবার আগে এই প্রাণ নিয়ে কেহ
তড়পাতে থাকে, ভালবাসাটা বড্ড ইয়ে!
: তুমি তো বেশ বলো! কবিতা টবিতা তাহলে তোমারও হয়?
: না, একদম না, ওটা তোমার আবেশ!
কাছাকাছি থাকলে একজনেরটা আরেকজনে কিছু তো যায়।
: আজ আমার শুধু বিস্ময়ের পালা!
: যাও, ওভাবে বলো না!
আচ্ছা, তোমার চোখগুলো নিয়ে কে অমন বলেছে? কোন মেয়ে?
শোনো, তুমি কি আজ কবিতা শোনাবে না?
: কবিতা মাথায় ঘুরপাক খায়, কাগজে আসে না।
সে কি অতিথি পাখির মত উড়ে
বেড়াতে জানে শুধু, বসতি চেনেনা?
: বসতি চিনে গেলেই কি পুরুষের স্থিতি?
: পথে পথে খুঁজে ফিরি, যাযাবর জীবন,
উৎপত্তি আছে তোর বুঝলি রে মন!
স্থিতি মেলে না, তাতে আছে নিয়ম-শাসন,
হাত বাড়ালেই জল, তবু পিপাসায় মরে ফকির লালন!

সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৫
টরন্টো, কানাডা।

৫ টি মন্তব্য : “নিউরনে আলাপনঃ চার”

  1. টিটো মোস্তাফিজ

    দারুণ হয়েছে। তবে শুধু লিখলেই হবে না। পাঠকের মন্তব্যের জবাব দিতে হবে। অন্যদের লেখাও পড়তে হবে। চালিয়ে যাও নিউরনে আলাপন।


    পুরাদস্তুর বাঙ্গাল

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।