সাতটি তিলের তিমির

তিলের অধিক তিমির হয় না বুঝি!

তেরো নদী
সাত সমুদ্র খুঁজি
বরিশালের কবি শেষে
আকাশের ওপারে
আকাশ পেয়ে গেলে
ট্রে হাতে মেয়েটি
গ্রীন টি হয়ে আসে

অঘ্রানের আলতো বিকেল
সহসা অন্ধকার হলে
সাতটি তিলের
নিবিড় আশ্বাসে,
‘বরং নিজেই তুমি
আঁকোনাকো একটি তিল’!
সুজাতা হতবাক।
ভেতরে পালিয়েছে রুদ্ধশ্বাসে

২,৫৮৪ বার দেখা হয়েছে

২৩ টি মন্তব্য : “সাতটি তিলের তিমির”

  1. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    🙂 🙂 🙂 🙂

    অনেকদিন পৃ দিদিমণির দেখা পাইনি, নূপুর। পৃ কে পশ্চিমে নিয়ে এসো এবার। তারপর ফাটাফাটি একটা ড্রিংসের রেসিপি লিখো আমাদের জন্য, সাথে গদগদ একটি প্রেমের কবিতা। সবাই চিয়াসর্ টিয়ার্স বলি একটু! তুমি যদি কিছু না লিখো হে আমার কিন্তু বেলের সরবতের রেসিপি নিয়ে ছুটোছুটি করতে হবেগো!

    জবাব দিন
  2. মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

    সাধারণত রিমিক্স আমার ভালো লাগে না। কিন্তু এইটি মনে ধরেছে। কারণ, রিমিক্স, তবু এতে একটা ভিন্নতর মেজাজ আছে, ভিন্নতর কল্পনা আছে, ভিন্নতর স্বাদ আছে। একটু খোলাসা করি। জীবনানন্দের 'সাতটি তারার তিমির' কবিতাগ্রন্থটির উপর সার্বিক ধারণা থাকলে খুব ভালো, তবে না থাকলেও এই রিমিক্সটির স্বাদ নিতে হলে নিদেনপক্ষে পাঠকের পড়া থাকতে হবে আরও তিনটি কবিতা। আকাশলীনা (বহুল পঠিত) সমারূঢ় (তীব্র শ্লেষাত্বক), লোকেন বোসের জর্ণাল (বহু আলোচিত)। তুমি খুব কুশলী কায়দায় সেগুলো থেকে একটি দু'টি বাহারি ফুল তুলে এনে ভিন্নতর স্বাদের, ক্ষেত্রবিশেষে সম্পূর্ণ ভিন্নতর প্রেক্ষিতের অবতারণা করেছ। বাগানের ফুল তুলে ফুলদানি সাজাবারও একটা শিল্প আছে, 'ইকেবানা' বুঝি তেমনই একটি শিল্প। তবে দেখবার বিষয় হলো, ফুল সাজাবার কেরদানিতে কতটুকু নতুনত্ব যোগ হলো।

    'আকাশলীনা'-তে মেয়েটি দূরগামী, 'সাতটি তিলের তিমির'-এ মেয়েটি অনুগামী। সুরঞ্জনার হৃদয় সেখানে ঘাস, এখানে মেয়েটির হাতে গ্রীণ টি-র উদ্ভাস। দু-খানেই রঙ যেন কল্পিত সবুজে মিশেছে। সমারূঢ়-তে যে উক্তিতে নির্বোধ কাব্য-সমালোচকের প্রতি তীব্র শ্লেষ ছুঁড়ে দেয়া হয়েছিল (একটি ইংরেজি কবিতার ছায়াবলম্বনে), সেই একই উক্তিকে কাজে লাগিয়ে আরক্ত প্রেমের দৃশ্যকল্প তৈরি করতে দারুণ পারঙ্গমতা দেখিয়েছ তুমি। আর সুজাতা? সে হয়ত আরেকটু আলাদা হতে পারতো। (সম্পাদিত)


    দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

    জবাব দিন
    • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

      মোস্তফা ভাই,
      আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি এতদিন পর এসে উত্তর দেবার জন্যে। কাজের চাপে এমনই জেরবার অবস্থা ছিল যে, আপনার এমন চমৎকার মন্তব্যখানা বার কয়েক পড়লেও কিছু লিখে ওঠা হয়নি । জীবনানন্দে বুঁদ হয়ে থাকার কারণে এহেন 'রিমিক্স' হল।
      তবে আপনার পাঠপ্রতিক্রিয়ায় নিজের লেখাকে নিজেই নতুনভাবে দেখছি। বেশ একটা ভাব চলে এসেছে নিজের মধ্যে। হা হা
      শেষকথার সূত্রে ঃ আলাদা হতেও পারতো, তা ঠিক।

      এ লেখাটা বহু অর্থেই রিস্কি ছিল। এতগুলো বহুলচর্চিত কবিতা/প্রসংগকে একটি লেখায় নিয়ে আসার ব্যাপারে কিছুটা সংশয় ছিল। কিন্তু আপনার মন্তব্যে মনে হচ্ছে --- উতরে গেছে।
      অশেষ ধন্যবাদ।

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাদাত (৯১-৯৭)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।