পাঠপ্রচেষ্টা – নূরলদীনের সারাজীবন (প্রস্তাবনা)

আজকে এ এক দুঃসাহস দেখাতে সাধ হল। ‘নূরলদীনের সারাজীবন’ এর প্রস্তাবনা পাঠ করবার। আবেগসর্বস্বতা দিয়ে শীল্পোত্তীর্ণ পাঠ করা সম্ভব নয় — পাঠকে শিল্পে পরিণত করার স্পর্ধা কখনো কখনো হয় কিন্তু ওই পর্যন্তই। অনেক যত্ন আর অনুশীলন দিয়ে একটি পাঠকে নির্মাণ করবো সে-পরিমাণ সাধনা তো করিনি। তবু – গেল কুড়ি পঁচিশ বছরে যতবার যতকণ্ঠে শুনেছি তারই যেন অক্ষম পুনরাবৃত্তি এ পাঠ। মনে পড়ছে চট্টগ্রামের ‘বোধন আবৃত্তি সংস্থা’-র অনুষ্ঠানগুলোর কথা। শ্রোতাবৃন্দ, আপনারা আমার এ স্পর্ধাকে মার্জনা করবেন এটুকু আশা করতেই পারি।

নূরলদীনের সারাজীবন (প্রস্তাবনা)
সৈয়দ শামসুল হক

নিলক্ষা আকাশ নীল, হাজার হাজার তারা ঐ নীলে অগণিত আর
নিচে গ্রাম, গঞ্জ, হাট, জনপদ, লোকালয় আছে ঊনসত্তর হাজার।
ধবলদুধের মতো জ্যোৎস্না তার ঢালিতেছে চাঁদ – পূর্ণিমার।
নষ্ট ক্ষেত, নষ্ট মাঠ, নদী নষ্ট, বীজ নষ্ট, বড় নষ্ট যখন সংসার
তখন হঠাৎ কেন দেখা দেয় নিলক্ষার নীলে তীব্র শিস
দিয়ে এত বড় চাঁদ?
অতি অকস্মাৎ
স্তব্ধতার দেহ ছিঁড়ে কোন ধ্বনি? কোন শব্দ? কিসের প্রপাত?
গোল হয়ে আসুন সকলে,
ঘন হয়ে আসুন সকলে,
আমার মিনতি,আজ স্থির হয়ে বসুন সকলে।
অতীত হঠাৎ হাতে হানা দেয় মানুষের বন্ধ দরোজায়।
এই তীব্র স্বচ্ছ পূর্ণিমায়
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়।
কালঘুম যখন বাংলায়
তার দীর্ঘ দেহ নিয়ে আবার নূরলদীন দেখা দেয় মরা আঙিনায়।
নূরলদীনের বাড়ি রংপুরে যে ছিল,
রংপুরে নূরলদীন একদিন ডাক দিয়েছিল
১১৮৯ সনে।
আবার বাংলার বুঝি পড়ে যায় মনে,
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন শকুন নেমে আসে সোনার বাংলায়;
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমার দেশ ছেয়ে যায় দালালেরই আলখাল্লায়;
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমার স্বপ্ন লুট হয়ে যায়;
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমার কণ্ঠ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়;
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমারই দেশে এ আমার দেহ থেকে রক্ত ঝরে যায়
ইতিহাসে, প্রতিটি পৃষ্ঠায়।
আসুন, আসুন তবে, আজ এই প্রশস্ত প্রান্তরে;
যখন স্মৃতির দুধ জ্যোৎস্নার সাথে ঝরে পড়ে,
তখন কে থাকে ঘুমে? কে থাকে ভেতরে?
কে একা নিঃসঙ্গ বসে অশ্রুপাত করে?
সমস্ত নদীর অশ্রু অবশেষে ব্রহ্মপুত্রে মেশে।
নূরলদীনেরও কথা যেন সারা দেশে
পাহাড়ী ঢলের মতো নেমে এসে সমস্ত ভাসায়,
অভাগা মানুষ যেন জেগে ওঠে আবার এ আশায়
যে, আবার নূরলদীন একদিন আসিবে বাংলায়,
আবার নূলদীন একদিন কাল পূর্ণিমায়
দিবে ডাক,’জাগো, বাহে, কোনঠে সবায়?’

১১,৪৫১ বার দেখা হয়েছে

৭১ টি মন্তব্য : “পাঠপ্রচেষ্টা – নূরলদীনের সারাজীবন (প্রস্তাবনা)”

  1. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    ভাল লেগেছে।
    আমরা যারা জানি কথাগুলি, তাদের জন্য স্পীড ঠিকই আছে।
    কিন্তু না জানাদের জন্য আরো একটু স্লো যাওয়া প্রয়োজন।


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  2. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    🙂 🙂 🙂 🙂

    আমি শুনে যাচ্ছি তো যাচ্ছিই, নূপুর! কী শুনালে তুমি এই রাতে??

    শুনতে শুনতে হঠাৎ মনে হলো, আমি ফক্স থিয়েটারে বসে আছি। আলো নিভে যেতেই পর্দায় আমার পরিচিত একটি মুখচ্ছবি স্থির হয়ে আছে। ওপরে মেকী তারার আকাশে অনন্ত নক্ষত্র রাশি। তুমি পড়ছো, গোল হয়ে আসুন সকলে, ঘন হয়ে আসুন সকলে!

    অসাধারণ, নূপুর!

    জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    নূরের টা শোনা না থাকলে আপনাকে ১০০ দিতাম।
    বাট আপনারটা সেকেন্ড বেষ্ট।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  4. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ইউ কে টাইম ভোর ৪ টা ৫২. কাজ থেকে আসলাম।
    পাশে বউ শুয়ে, হেডফোন লাগাইয়া শুনলাম।
    মিষ্টি খাওয়ান এখন। (সম্পাদিত)


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  5. জিহাদ (৯৯-০৫)

    কলেজের কালচারাল একটিভিটিজ এর কল্যাণে এইটা বহুবার শোনা আবৃত্তির একটা। সিসিবির তৌফিক (৯৬-০২) ভাইও এটা করসিলো মনে হয় যতদূর মনে পড়তেসে। আগে যেগুলো শুনসি সেগুলোর তুলনায় এটা একটু স্পীডি ভার্সন। তারপরও শুনতে ভালো লেগেছে। শেষের দিকে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকটা একটু জোরালো হয়ে গেছিলো মনে হচ্ছে, কথাগুলো সেজন্য একটু অস্পষ্ট শুনলাম মনে হলো। এটুকু বাদ দিলে, দারুণ হয়েছে সবকিছু। নিয়মিত আবৃত্তি/গান/হোয়াটেভার পোস্টানো জারি থাকুক 😀


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  6. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    অতি সংক্রামক এই পাঠ-প্রচেষ্টাটা।
    সংক্রামিত না হয়ে উপায় ছিল না। তাই আমিও আক্রান্ত হলাম এতে। 🙂
    আর মন্দ লাগছে না তা হয়ে।
    সাবিনা, আমি শুরু করলাম তোমাকেও আক্রান্ত দেখতে চাই। শুনতে চাচ্ছি তোমার কাছ থেকেও কিন্তু!!
    এইখানে শোনা যাবে...... (সম্পাদিত)


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  7. সামিউল(২০০৪-১০)

    চরম, মারাত্মক। :gulli2:
    কলেজে বেশ কয়েকবার শোনা হয়েছিল, কিন্তু আজকে নূপুরদা পুরোই অন্যরকম করে শোনালেন।
    সাথে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকও একদম পারফেক্ট লেগেছে। :boss: :boss: :clap:


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
  8. তানজিনা (১৯৯৮-২০০৪)

    প্রথমেই ধন্যবাদ, ভাইয়া, চমৎকার একটা উদ্যোগের জন্য, একটু আধটু অনুপ্রাণিত আমিও হয়েছি 🙂
    দ্বিতীয়ত, "কে একা নিঃসঙ্গ বসে অশ্রুপাত করে?" আর ’জাগো, বাহে, কোনঠে সবায়?’, বিশেষত, এই দুটো জায়গা দুর্ধর্ষ হয়েছে !! :boss:
    আর, তৃতীয়ত, ১৪ নাম্বার লাইনটায় একটা শব্দ বাদ পড়ে গেছে সম্ভবত 😛


    For most of history, Anonymous was a woman. [Woolf, Virginia]

    জবাব দিন
  9. মাহবুব (৭৮-৮৪)

    সেই কবে একবার মঞ্চে দেখেছিলাম, এখনো কানে বাজে। আলি যাকের, নূর...অনেক দিন থেকে ভাবছি এটি কেনো আর মঞ্চে করা হচ্ছে না! কে জানে হয়তো আবৃত্তি ও অভিনয় এক সাথে করার লোক নেই।
    কিন্ত, নূপুর ও পারভেজের কাজ দেখে আবারো আশা জাগলো। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি, পারফর্মিং আর্ট গুলোর মধ্যে আবৃত্তি সবচে কঠিন। তাই আশে পাশে ভালো কন্ঠের কাউকে পেলে আমি আবদার করতাম আবৃত্তি শোনাবার জন্য।
    পারভেজের আবৃত্তি কলেজে শুনেছি, নুপুরেরটা প্রথম শুনলাম। এক কথায় অপূর্ব! :hatsoff:

    জবাব দিন
        • পারভেজ (৭৮-৮৪)

          "এত বড় কবিতা মনে রাখেন কি করে?"

          এইটা একটা চমৎকার প্রশ্ন। সবকাজ ফেলে উত্তর না দিয়ে পারা যাচ্ছে না।
          মনে রাখতে পারার কৃতিত্ব মূলতঃ কবিরই
          এমন সব অংক থাকে, সেগুলোই মনে রাখতে সাহায্য করে।
          তিনবার "তুমি আসবে বলে হে স্বাধিনতা" আছে তাঁর
          - একটা বৈধব্য নিয়ে
          - একটা শহর নিয়ে (সেট)
          - একটা শহরের জিনিষ নিয়ে (সাবসেট)
          তিনবার "তুমি আসবে বলে (হে স্বাধিনতা নাই)" আছে তাঁর
          - একটি গ্রাম নিয়ে (সেট)
          - একটি ভিটা নিয়ে (সাবসেট)
          - শেষটা একটু ভিন্ন, কষ্ট করে মনে রাখা লেগেছে
          তিনবার "স্বাধীনতা তোমার জন্য..."
          - প্রথমটা বৃদ্ধ নিয়ে (ওল্ডেস্ট)
          - দ্বিতীয়টা বিধবা নিয়ে (ওল্ডার)
          - তৃতীয়টা কিশোরী নিয়ে (ইয়াংগার)
          তোমার জন্য তে এসে
          - শুরুতে "সগির আলি" আর "শাহবাজপুর" নিয়ে (দুইটাই এস "S" সাউন্ড)
          - শেষ হছে "কৃষক" মানে কে "K" সাউন্ডে
          - নেক্সট লাইন "কেষ্টদাস" ঐ কে "K" সাউন্ডে শুরু
          - নেক্সট লাইনে "মতলুব মিয়া" "মেঘনা নদি" এম "M" সাউন্ড
          - শেষ হয়েছে ঝড় আর "R" সাউন্ড দিয়ে
          - আর নেক্সট লাইনটা শুরু "রুস্তম শেখ" মানে আর "R" সাউন্ড দিয়ে।

          কি, অংকগুলা কি কিছু কিছু বুঝাতে পারলাম?

          খুব কঠিন না, তাই না?


          Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

          জবাব দিন
          • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

            সত্যি সত্যি এখানে কবিতা নিয়েই একটা আড্ডা বসে যাবে আমার কল্পনারো অতীত ছিল।
            পারভেজ ভাই, এই যে কবিতাটাকে একটু টুকরো টুকরো করে দেখালেন/পড়ালেন আমাদের -- এতে যে কি ভালো লাগছে বলে বোঝাতে পারবো না।
            কবিতার অবয়বকে বোঝাও, কবিতার ভাষা এবং বক্তব্যকে ছাপিয়ে, যে কতটা কাঙ্ক্ষিত -- যারা কবিতা পড়তে বা বুঝতে চান তাদের জন্যে- আবারো উপলব্ধি করতে পারলাম।

            জবাব দিন
      • মাহবুব (৭৮-৮৪)

        অনেক আগে কলেজে এক রাতের অনুষ্ঠানে মি. মাহবুবুল আলম আবৃত্তি করেছিলেন লাশকাটা ঘরের সেই কবিতাটি- শুনতে শুনতে গায়ে কাঁটা দিয়েছিলো। অডিটরিয়ামের সবাই মন্ত্র মুগ্ধ বিহবল। মনে পড়লে আজো সেই পরাবাস্তব বিহব্লতা ফিরে আসে।

        জবাব দিন
        • পারভেজ (৭৮-৮৪)

          দ্যাটস আ হিউজ কমপ্লিমেন্ট।
          মাহবুবুল আলম স্যারের "বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনোজলে ভেসে / চমৎকার ধরা যাক দু'একটা ইদুর এবার" এখনো একইভাবে কানে বাজে।
          ঐটা মনে করানোর মত বড় কমপ্লিমেন্ট খুব বেশি একটা পাই নাই...
          🙂 🙂 🙂 (সম্পাদিত)


          Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

          জবাব দিন
  10. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    বেশী কিছু বলতে চাই না। প্লে বাটন ক্লিক করার আগেই আপনার কন্ঠে কেমন লাগবে চিন্তা করেই একটা ভাল লাগা উপভোগ করেছি। ভাইয়ার দিয়ে দেয়া বেশ দামী হেডফোন কানে লাগিয়ে প্লে বাটন ক্লিক করে বসে ছিলাম। আহা অপূর্ব। :boss: :boss: :boss:


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  11. কয়েকদিন আগেই আক্ষেপ করছিলাম, পুরুষালি ভরাট উদাত্ত গমগমে গলায় আবৃত্তি আর শোনা যায় না।
    প্রথম লাইনেই আবৃত্তিকারের মুন্সিয়ানা ধরা পড়ে অনেকটাই, যা সিদ্ধান্ত নিতে দেয় বাকিটা শুনব কি শুনব না , সেখানে আপনি শতভাগ সফল.
    আর শেষ অর্ধেকে, আপনি একদম বাজিমাত করে দিয়েছেন।
    তাই যখন দামামা ধ্বনির সাথে ধীরে ধীরে স্বর উচ্চগ্রামে ওঠে , আমরা প্রান্তিকজনের গোল হয়ে বসি, রক্তের ভেতর ডেকে ওঠে কোন পূর্বপুরুষের আহ্বান - আপনার কন্ঠে !

    জবাব দিন
    • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

      আপনার মন্তব্য পড়ি দিনের প্রথমভাগে -- কাজের ফাঁকে। তারপর থেকে মাথার ভেতরে আপনার কথাগুলোই ঘুরে ফিরে বাজছিল। যেভাবে বলেছেন, তাতে করে সপ্ত আসমানে পৌঁছে গেছি বললেও কম বলা হবে। 🙂
      সিরিয়াসলি একটা কথা --- এ ধরণের মন্তব্যের পর দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। এবারে সত্যি সত্যি তৈরি হতে হবে পাঠের জন্যে।
      অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা

      জবাব দিন
  12. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    আড্ডাবাজিতে উৎসাহ পেয়ে আবারো লিখতে মন চাইলো। সাঁকো নাড়িয়েছো, এখন বোঝো ঠেলা 🙂 😉
    ঐখানে যায়গা কমে গেছে, তাই নতুন কমেন্ট শুরু করলাম।

    কবিতা মুখস্ত থাকার আসলে অনেক সুবিধা।
    যখন তখন ঢুবে যাওয়া যায় তাতে।
    নতুন করে মজাটা পাওয়ায় আবার শুরু করলাম মুখস্ত করা। চারটা হয়েছে, আরো কিছু করবো।
    শামসুর রাহমানের এটা ছাড়াও, নির্মলেন্দু গুনের "তোমার পায়ের নিচে আমিও অমর হবো", জীবনানন্দ দাসের "ভেবে ভেবে ব্যাথা পাবো, আর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের "কেউ কথা রাখে নি।
    নিলক্ষা আকাশও মুখস্ত করে ফেলতে চাচ্ছি। দেখি কি দাঁড়ায়।
    আর জীবনানন্দ দাসের আরো কিছু কবিতা।
    একাকি সময়গুলো একই কবিতা বারবার বলে দারুন সময় কাটানো যায়। ট্রেড মিল করার সময়টাতে এই চারটা কবিতাই ঘুরে ফিরে বার চারেক বললে দেখি আধঘন্টা কেটে গেছে প্রায়।
    ট্রাফিক জ্যামেও একই ঘটিনা ঘটে। দুবার শেষ হতে না হতেই সবুজ সংকেত চলে আসে।
    ট্রাই করে দেখতে পারো। 😀 😀 😀

    একবার এক টিভি অনুষ্ঠানে সামিনা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, "এত গান মনে রাখেন ক্যামনে?"
    উনি বললেন, "এটাই তো আমার কাজ। সারাক্ষনই তো ঢুবে থাকি এতে। সবাই দেখে খাচ্ছি, বেড়াচ্ছি, ঘুমাচ্ছি। কিন্তু ওসবের মাঝেও আমি যে মনে মনে চর্চ্চা করে যাচ্ছি, সেটা কি আর তাঁরা বোঝে?
    একই কথা বলেছিলেন ব্রততি বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
    দারুন না ব্যাপারগুলো? (সম্পাদিত)


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  13. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    নূপুর । আমার সদস্যপদ সচল হবার আগে এটাই ছিলো আমার একমাত্র সিসিবি পাঠ ও শ্রবণ ।
    তখন মন্তব্য পর্যন্ত আসার সুযোগ হয়নি ।

    পাঠটি ভীষণ ভালো লেগেছে । ভীষণ ।
    চেনা কবিতাগুলো পাঠ করতে দুঃসাহস লাগে ।
    কারণ মনের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পাঠটির অনুরণন সব সময় থেকে যায় । আর তাকে অতিক্রম করা না গেলে ভালো লাগার অনুভূতিকে তেমন দ্যোতনায় নাড়া দেয়া যায় না । তোমাকে কুর্ণিশ । তোমার পাঠকে কুর্ণিশ । তুমি একটি পাঠ শ্রবণের পরিপূর্ণ আনন্দ দিয়েছো । এমন আরো পাঠ শোনবার প্রত্যাশায় ।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।